৬-দফা কর্মসূচির সংগে বাঙালি জাতীয়তাবাদ কিভাবে সম্পর্কযুক্ত হয়?

১৯৭১ সালে একটি সশস্ত্রমুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান ভেঙে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। এটি কোন আকস্মিক
ঘটনা ছিল না। এর পেছনে রয়েছে আন্দোলন-সংগ্রামের এক দীর্ঘ ইতিহাস। সা¤প্রদায়িক দৃষ্টিতে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান
রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে শুরু থেকেই সে রাষ্ট্রে বাঙালিদের আত্মীকরণ’ নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালের ভাষাআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তার প্রথম প্রকাশ ঘটে। পূর্ব বাংলার (পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান) উপর পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক
গোষ্ঠীর ঔপনিবেশিক ধাঁচের শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালিদের মধ্যে স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধিকার এবং আরো পরে,
স্বাধীনতার দাবি ওঠে। এক্ষেত্রে ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক
৬-দফা কর্মসূচি ঘোষণা ছিল একটি টার্নিং পয়েন্ট বা মোড় ফেরানো ঘটনা। এরপর ৬-দফা ভিত্তিক বাঙালিদের আন্দোলন
দমনে আইয়ুব সরকারের ‘আগরতলা ষড়যন্ত্রমামলা’ দায়ের (১৯৬৮), এর প্রতিক্রিয়ায় ’৬৯ -এর গণ অভ্যুত্থান ও
আইয়ুব খানের পতন, ’৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৬-দফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়, নির্বাচনী
ফলাফল নস্যাৎ অর্থাৎ বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার জন্য পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ,
পরিশেষে, বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনের ডাক এবং তাঁর ৭ই মার্চের (১৯৭১) ভাষণে স্বাধীনতার আহবান সমগ্র মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্র রচনা করে। ৬-দফা কর্মসূচি
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রæয়ারি পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোরে সকল বিরোধী দলের এক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। ঐ
কনভেনশনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ৬-দফা কর্মসূচি
উত্থাপন করেন। ৬-দফা কর্মসূচি সংক্ষেপে নি¤œরূপ:
দফা-১ : লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশন বা যুক্তরাষ্ট্র। সার্বজনীন ভোটাধিকারের
ভিত্তিতে প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত আইন পরিষদের প্রাধান্যসহ সংসদীয় পদ্ধতির সরকার গঠনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
দফা-২ : বৈদেশিক সম্পর্ক ও প্রতিরক্ষা ছাড়া সকল বিষয় অঙ্গরাষ্ট্র বা প্রদেশের হাতে ন্যস্তথাকবে। উল্লেখিত
দুটি বিষয় ন্যস্তথাকবে কেন্দ্রীয় বা যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের হাতে।
দফা-৩ : পাকিস্তানের দুটি অঞ্চলের জন্য পৃথক অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রাব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে।
অথবা সমগ্র দেশে একটি মুদ্রা ব্যবস্থা থাকবে, তবে সেক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে
মূলধন পাচার রোধের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য একটি ফেডারেল ব্যাংকের অধীনে
কার্যকরী ব্যবস্থা থাকতে হবে।
দফা-৪ : অঙ্গরাষ্ট্র বা প্রদেশগুলোর কর বা শুল্ক ধার্য করার ক্ষমতা থাকবে। তবে ব্যয় নির্বাহের জন্য কেন্দ্রীয়
সরকার এর একটি অংশ পাবে।
দফা-৫ : পাকিস্তানের দুই অঞ্চলের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পৃথক হিসাব রাখা হবে। অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা স্ব
স্ব অঞ্চলের বা অঙ্গরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের বৈদেশিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য
রেখে আঞ্চলিক সরকার বিদেশে বাণিজ্য প্রতিনিধি প্রেরণ এবং যে কোন চুক্তি সম্পাদন করতে পারবে।
দফা-৬ : নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অঙ্গরাষ্ট্রগুলো প্যারা মিলিশিয়া বা আধা সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে
পারবে এবং নৌ সদর দফতর পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রামে স্থাপন করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর ৬-দফা আন্দোলন
লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলের কনভেনশনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক
৬-দফা কর্মসূচি উত্থাপন করেন কিন্তু উক্ত কনভেনশনে তা গৃহীত হয়নি। এধরনের একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি যে
বঙ্গবন্ধুকে হতে হবে তা তিনি পূর্বেই আঁচ করতে পেরেছিলেন। আওয়ামী লীগের এ কর্মসূচি মূখ্যত পাকিস্তানি শাসন-
শোষণ ও বঞ্চনার মূলে কুঠারাঘাত হানে। লাহোর কনভেনশনে উত্থাপিত ৬-দফা কর্মসূচিকে বঙ্গবন্ধু ‘আমাদের
(বাঙালির) বাঁচার দাবী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তা নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের কাছে হাজির হন। এরই মাঝে
আওয়ামী লীগের কাউন্সিল (মার্চ, ১৯৬৬) ডেকে বঙ্গবন্ধু ৬-দফা কর্মসূচি অনুমোদন করিয়ে নেন। উক্ত কাউন্সিলে
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৬৬ সালের মধ্য ফেব্রæয়ারি (লাহোর কনভেনশনের অব্যবহিত পরে) থেকে ৬-দফা কর্মসূচির অনুক‚লে গণসমর্থন
আদায়ের জন্যে কর্মতৎপরতা শুরু হয়। তিন মাসব্যাপী একটানা গণসংযোগ অভিযান চলে। পাকিস্তান নিরাপত্তা আইনে
বঙ্গবন্ধুকে বার বার গ্রেফতার করা হয়; কখনো সিলেটে, কখনো ময়মনসিংহে, কখনো ঢাকায় আবার কখনো বা
নারায়ণগঞ্জে।
১৯৬৬ সালে ৬-দফা আন্দোলনে প্রথম তিন মাসেই বঙ্গবন্ধু বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হন। একই বছরের ৭ জুন ৬-
দফার প্রতি সমর্থন এবং বঙ্গবন্ধুসহ গ্রেফতারকৃত অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে আওয়ামী লীগের ডাকে
সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। ধর্মঘট পালনকালীন সময়ে পুলিশের গুলিতে ঢাকা, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জে
১৩ ব্যক্তি নিহত হয়। এভাবে পশ্চিম পাকিস্তানী আইয়ুব সরকারের জেল-জুলুম হত্যা-নির্যাতন ৬-দফা আন্দোলনে
বৈপ্লবিক রূপান্তর ঘটায়। সভা সমাবেশ, ধর্মঘট, পোস্টার, লিফলেট ইত্যাদির মাধ্যমে ৬-দফা কর্মসূচি বাংলার জনগণের
মধ্যে দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে এবং তাদের বাঁচার দাবিতে পরিণত হয়।
৬-দফা কর্মসূচি ও বাঙালি মধ্যবিত্ত
৬-দফা দাবি তৎকালীন সামগ্রিক রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রণীত হয়েছিল। আর তা ছিল, পাকিস্তানি
ঔপনিবেশিক ধাঁচের রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ভেঙে বাঙালির জাতীয় মুক্তি অর্জন। অন্যকথায়, ৬-দফা কর্মসূচির লক্ষ ছিল ধর্ম-
বর্ণ-শ্রেণী নির্বিশেষে বাঙালি জনগণকে জাতীয় মুক্তির চ‚ড়ান্তলড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
ভাষায়:
‘‘৬-দফা বাংলার শ্রমিক-কৃষক মুজুর-মধ্যবিত্ত তথা আপামর মানুষের মুক্তির সনদ, ৬-দফা শোষকের হাত থেকে
শোষিতের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ছিনিয়ে আনার হাতিয়ার, ৬-দফা মুসলিম-হিন্দু-খ্রিস্টান-
বৌদ্ধদের নিয়ে গঠিত বাঙালি জাতির স্বকীয় মহিমায় আত্মপ্রকাশ আর আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের চাবিকাঠি .... ৬-
দফার সংগ্রাম আমাদের জীবন মরণের সংগ্রাম।”
৬-দফা কর্মসূচি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ
পাকিস্তানের শাসন আমলে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের মধ্যে যে স্বাধিকার বোধ জন্ম নেয়, সেই পটভ‚মিতে আওয়ামী
লীগের পক্ষ থেকে লাহোর কনভেনশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ৬-দফা দাবি উত্থাপন করেন।
আইয়ুব সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল অত্যন্তকঠোর। জেনারেল আইয়ুব ৬-দফাকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’,
‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী’, ‘ধ্বংসাত্মক’, ‘বৃহত্তর বাংলা প্রতিষ্ঠা’-র কর্মসূচি বলে আখ্যায়িত করেন এবং এ কর্মসূচির প্রবক্তা
বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের ‘এক নম্বর দুশমন’ হিসেবে চিহ্নিত করে ৬-দফা পন্থীদের দমনে ‘অস্ত্রের ভাষা’ প্রয়োগের হুমকি
দেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ এবং এর কর্ণধার বঙ্গবন্ধু আইয়ুব সরকারের হুমকিতে দমে যাবার পাত্র ছিলেন না। এ কর্মসূচি
সমগ্র বাঙালির চেতনামূলে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার কথা বলা হয় নি বটে তবে ৬-দফা বাঙালিদের
স্বাধীনতার মন্ত্রেদীক্ষিত করে তোলে। যে কারণে এটি স¤ভব হয়েছে তা হলো এর ভেতরে বাঙালির জাতীয় মুক্তির বীজ
নিহিত ছিল। এক কথায় বলা যায়, ৬-দফা ছিল বাঙালির জাতীয় মুক্তির সনদ। ৬-দফা কেন্দ্রিক আন্দোলনের পথ ধরেই
জন্ম নিয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
সারকথা
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রæয়ারি পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলের কনভেনশনে আওয়ামী লীগ প্রধান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৬-দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পাকিস্তানকে একটি ফেডারেল বা যুক্তরাষ্ট্রে
পরিণত করা, বৈদেশিক সম্পর্ক ও প্রতিরক্ষা ছাড়া বাকি সকল ক্ষমতা প্রদেশের হাতে ন্যস্ত, পাকিস্তানের দুই অঞ্চলের
জন্য পৃথক মুদ্রাব্যবস্থা প্রবর্তন, অঙ্গরাষ্ট্রের কর বা শুল্ক ধার্য করার ক্ষমতা, বিদেশের সঙ্গে আঞ্চলিক সরকারের বাণিজ্য
চুক্তি করার ক্ষমতা এবং পূর্ব পাকিস্তানের জন্য আধা সামরিক বাহিনী গড়ে তোলা ছিল ৬-দফা কর্মসূচির মূল বক্তব্য। এ
কর্মসূচি ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের উপর চরম দমন পীড়ন-নির্যাতন নেমে আসে। বঙ্গবন্ধুকে বার পর গ্রেপ্তার বরণ
করতে হয়। ৬-দফা ছিল বাঙালিদের জাতীয় মুক্তির সনদ। তাই, আইয়ুব সরকারের নির্যাতন সত্যেও একে কেন্দ্র করে
বাঙালি জাতিসত্তার উত্থান ঘটে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ৬-দফা কর্মসূচির গুরুত্ব অপরিসীম।
সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন দিন
১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬-দফা কর্মসূচি কখন পেশ করেন?
ক. ১৯৬৬ সালের ৫-৬ জানুয়ারি
খ. ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রæয়ারি
গ. ১৯৬৬ সালের ৬-৭ মার্চ
ঘ. ১৯৬৬ সালের ৫-৬ এপ্রিল
২. ৬-দফার কোন কোন দফায় বৈদেশিক সম্পর্ক ও প্রতিরক্ষার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়?
ক. প্রথম দফায়
খ. দ্বিতীয় দফায়
গ. তৃতীয় দফায়
ঘ. ষষ্ঠ দফায়
৩. ৬-দফা আন্দোলনের প্রথম তিন মাসে বঙ্গবন্ধুকে ক’বার গ্রেফতার করা হয়?
ক. আট বার
খ. নয় বার
গ. এগার বার
ঘ. তিন বার
৪. ৬-দফার সমর্থনে প্রথম কখন পূর্ব বাংলার ধর্মঘট পালিত হয়?
ক. ১৯৬৬ সালের ৭ এপ্রিল
খ. ১৯৬৬ সালের ৭ মে
গ. ১৯৬৭ সালের ৭ জুন
ঘ. ১৯৬৬ সালের ৭ জুন
সঠিক উত্তর মালা: ১। খ, ২। খ,ঘ, ৩। ক, ৪। ঘ
সংক্ষিপ্ত উত্তর মূলক প্রশ্ন
১. ১৯৬৬ সালের ৭ জুন কি ঘটেছিল?
২. ৬-দফা কর্মসূচির সংগে বাঙালি জাতীয়তাবাদ কীভাবে সম্পর্কযুক্ত হয়?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬-দফা কর্মসূচির দফাগুলো কী?
২. ৬-দফা কর্মসূচির সংগে বাঙালি জাতীয়তাবাদ কিভাবে সম্পর্কযুক্ত হয়?

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]