১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে কিভাবে বাঙালির জাতির উত্থান ঘটে?

অসহযোগ আন্দোলনের পটভ‚মি
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আবিভর্‚ত হলে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর
মধ্যে ক্ষমতা হারাবার ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ অধিক আসনে জয়লাভ করবে এ ধারণা কমবেশি সবাই পোষণ
করেছিল কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে জনগণের ম্যান্ডেট পাবে পশ্চিমা শাসকেরা তা ভাবতে পারে নি। তাহলে
হয়তো তারা ভিন্ন ক‚টকৌশলের আশ্রয় নিত। আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মধ্য দিয়ে বাঙালির রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব
অর্জন এবং ৬-দফা ভিত্তিক সংবিধান প্রণয়নের বিষয়টি নিশ্চিত হয়, যার কোনটিই পাকিস্তানি সামরিক-বেসামরিক আমলা
শাসকগোষ্ঠীর নিকট গ্রহণযোগ্য ছিল না। ফলে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের অব্যবহিত পরে শুরু হয় নতুন প্রাসাদ
ষড়যন্ত্র। সামরিক-বেসামরিক আমলা শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে এ প্রাসাদ ষড়যন্ত্রেসহায়তা প্রদান করে পশ্চিম পাকিস্তানি
রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিশেষত পাকিস্তান পিপলস্ পার্টির জুলফিকার আলী ভুট্টো।
১৯৭১ সালের ৩ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করেছিলেন। নির্বাচনের
পর সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তিনি পাকিস্তানের ‘ভাবী প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবেও
আখ্যায়িত করেছিলেন। কিন্তু এ সবই ছিল বাইরে থেকে লোক দেখানো। ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছিল
কিভাবে নির্বাচনের রায় বানচাল করা যায়। অন্যদিকে ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে
সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দলীয় নব নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যদের এক
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ ঐতিহাসিক ৬-দফা এবং ছাত্রসমাজের প্রাণের দাবি
১১-দফার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন না করে পাকিস্তানের সংবিধান রচনার শপথ গ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগের শপথ গ্রহণ
অনুষ্ঠান যখন পূর্ব বাংলার জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যথার্থঅর্থে আশার সঞ্চার করছিল তখন
জুলফিকার আলী ভুট্টো পাকিস্তানে ‘দুটি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল’ (আওয়ামী লীগ ও পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি) এ তত্ত¡ হাজির
করেন। সংবিধানের প্রশ্নে দুটি দলের মধ্যে একটি সমঝোতা না হওয়া পর্যন্তজাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান না
করার কথা তিনি ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার পেছনে ইয়াহিয়ার সামরিক জান্তার যোগসাজসের বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা
যাচ্ছিল। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার দু’দিন পূর্বে ১ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অধিবেশন
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতকরণের খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্ধ
ছাত্র-জনতা রাজপথে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বাঙালির জাতীয় উত্থানে এক নব অধ্যায় সূচিত হয়।
অসহযোগ আন্দোলন ও বাঙালির জাতীয় উত্থান
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া কর্তৃক পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অর্নিদিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সমগ্র পূর্ব বাংলায় হরতালের ডাক দেন। কার্যত ১ মার্চ থেকে পাকিস্তানি
শাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। ২ মার্চ রাতে কার্ফু জারি করা হয়। ছাত্রজনতা কার্ফু ভঙ্গ করে।
সেনাবাহিনী গুলি চালায়। আন্দোলনের প্রতিটি দিনে শতশত লোক হতাহত হয়। প্রতিবাদে প্রতিরোধে জেগে ওঠে
বাংলাদেশ। উত্থান ঘটে একটি জাতির। বাঙালি জাতির। চারদিকে বিদ্রোহ দেখা দেয়। বিদ্রোহের শ্লোগান ছিল : ‘বীর
বাঙালি অস্ত্রধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’
১৯৭১ সালের ১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্র-জনতার সমাবেশে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন, ৩
মার্চ পল্টনের জনসভায় বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে ছাত্র সমাজের ‘স্বাধীন বাংলাদেশের ইশতেহার পাঠ’, ‘স্বাধীন বাংলাদেশ
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন’ ২৩ মার্চ পাকিস্তান প্রজাতন্ত্রদিবসে পূর্ব বাংলার সর্বত্র পাকিস্তানের পতাকার পরিবর্তে
স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১৯৭১ সালের ২ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্তবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সারা বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ
পালিত হয়। পূর্ব বাংলার সকল সরকারি, বেসরকারি অফিস, সেক্রেটারিয়েট, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, হাইর্কোট, পুলিশ
প্রশাসন, ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা-বাণিজ্য, পরিবহন পাকিস্তানি সরকারের নির্দেশ অমান্য ও অগ্রাহ্য করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলে। পূর্ব বাংলায় পাকিস্তানি প্রশাসন সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু
হয়ে উঠলেন কার্যত সরকার প্রধান। বঙ্গবন্ধুর আবাসস্থল ধানমন্ডীর ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িটি পরিণত হয় সকল নির্দেশের উৎসস্থান অর্থাৎ সরকার প্রধানের কার্যালয়।
৭ মার্চের ভাষণ ও এর প্রেক্ষাপট
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালিদের জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। এ দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে
সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান) লক্ষ লক্ষ জনতার স্বতঃস্ফুর্তসমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশে এক গুরুত্বপূর্ণ
ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। ইতিহাস খ্যাত এ ভাষণই ৭ মার্চের ভাষণ। ২ মার্চথেকে বঙ্গবন্ধুর আহবানে সারা পূর্ব পাকিস্তানে
পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অসহযোগ চলছিল। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্য এ ছিলো অন্তিম মুহূর্ত। অন্যদিকে
স্বাধীনতার চেতনায় প্রদীপ্ত বাঙালি জাতির জন্য এ ভাষণ ছিল পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের নাগপাশ ছিন্ন
করে জাতীয় মুক্তি বা কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে চ‚ড়ান্তসংগ্রামের সূচনা।
মাত্র ১৮ মিনিটের এক ভাষণ। বঙ্গবন্ধু তাঁর সংক্ষিপ্ত অথচ তেজস্বী ভাষণে পাকিস্তানের ২৪ বছরের রাজনীতি ও বাঙালিদের
বঞ্চনা করার ইতিহাস ব্যাখ্যা, পাকিস্তান রাষ্ট্রের সঙ্গে বাঙালিদের দ্ব›েদ্বর স্বরূপ উপস্থাপন, অসহযোগ আন্দোলনের পটভ‚মি
বিশ্লেষণ ও বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা, সারা বাংলায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ, প্রতিরোধ সংগ্রাম শেষাবধি মুক্তিযুদ্ধে
রূপ নেয়ার ইঙ্গিত, শত্রæর মোকাবেলায় গেরিলা যুদ্ধের কৌশল অবলম্বন, যে কোন উ¯কানির মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
বজায় রাখার পরামর্শদান ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরার পর ঘোষণা করেন:
“ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শক্রর মোকাবেলা করতে হবে। রক্ত যখন
দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ। .... এবারের সংগ্রাম আমাদের
মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।”
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল একজন দক্ষ কৌসুলির সুনিপুন বক্তব্য উপস্থাপন। বিশেষত ভাষণের শেষ পর্যায়ে তিনি
‘স্বাধীনতার’ কথা এমনভাবে উচ্চারণ করেন যাতে ঘোষণার কিছু বাকিও থাকলো না, আবার তাঁর বিরুদ্ধে একতরফা
স্বাধীনতা ঘোষণার অভিযোগ উত্থাপন করাও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর জন্য আদৌ সহজ ছিল না। মনে করা যায় বঙ্গবন্ধুর
এ ভাষণ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় সরাসরি ভাবে তা ঘোষণা না করে তিনি কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করেন।
বাস্তবে ২৫ মার্চ, ১৯৭১ রাতের বেলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালিদের উপর অতর্কিতে বর্বর ও রক্তক্ষয়ী আক্রমন
চালয়। বঙ্গবন্ধুর ঘোষণায় শুরু হয় মুক্তি যুদ্ধ। ৯ মাসব্যাপী সশস্ত্রমুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বঙ্গবন্ধুর এ কৌশল বা অবস্থান
বাংলাদেশ সংগ্রামের পক্ষে ইতিবাচক ফল বয়ে আনে।
সারকথা
১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার গঠনের
কথা। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাদের কায়েমী স্বার্থে বাঙালিদের সরকার গঠনের সুযোগ দিতে কিছুতেই রাজি ছিল
না। তাই নির্বাচনের ফলাফল নস্যাৎ করে নিজেদের শাসন-শোষণ অব্যাহত রাখার হীন উদ্দেশ্যে তারা ষড়যন্ত্রের আশ্রয়
নেয়। এরই অংশ হিসেবে ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন একতরফাভাবে স্থগিত ঘোষণা
করা হয়। অপরদিকে আলাপ-আলোচনার নাম করে সময় নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে জাহাজভর্তি অস্ত্রও সৈন্য আনতে
থাকে। পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রবুঝতে পেরে ১ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। ২৫
মার্চ পর্যন্ততা অব্যাহত থাকে। পূর্ব বাংলায় পাকিস্তানি প্রশাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে। অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লক্ষ জনতার উত্তাল জনসমুদ্রে
‘মুক্তি’ ও স্বাধীনতা’র সংগ্রামের আহবান জানান। শক্রর বিরুদ্ধে তিনি ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলার নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধুর
৭ই মার্চের ভাষণ একটি মূল্যবান দলিল। এটি ছিল বস্তুত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র
বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনী সশস্ত্রআক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়লে বঙ্গবন্ধু সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয়
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। ৯ মাসের সশস্র সংগ্রামের মধ্যদিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন দিন
১. প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান কখন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করেন?
ক. ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর
খ. ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি
গ. ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ
ঘ. ১৯৭০ সালের ৩ মার্চ
২. বঙ্গবন্ধুর আহবানে কোন সময় পূর্ব বাংলায় অসহযোগ আন্দোলন চলে?
ক. ২-২৫ জানুয়ারি ১৯৭১
খ. ২-২৫ মার্চ ১৯৭১
গ. ৫-২৬ মার্চ ১৯৭১
ঘ. ৭-২৫ মার্চ ১৯৭০
৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় কখন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয়?
ক. ২৩ ফেব্রয়ারি ১৯৬৯
খ. ৭ ডিসেম্বর ১৯৭০
গ. ২৩ মার্চ ১৯৭১
ঘ. ১ মার্চ ১৯৭১
উত্তরমালা: ১. গ, ২. খ, ৩. ঘ
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের বিষয়বস্তু কী ছিল?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলনের পটভ‚মি সম্বন্ধে কী জানেন?
২. ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে কিভাবে বাঙালির জাতির উত্থান ঘটে?
বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]