বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে কী জানেন ?

সংসদের কার্যপদ্ধতি
সংসদের কার্যক্রম ও নিয়মাবলী এবং সকল প্রকার বিধি বিধান সংসদ নিজেই নির্ধারণ করবে। অনুরূপ বিধি বিধান প্রণীত
না হওয়া পর্যন্তরাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা সংসদের কার্যক্রম ভোটের মাধ্যমে সংসদে সিদ্ধান্তগৃহীত হবে।
স্পীকার সাধারণত ভোট দান করবেন না। যখন সমসংখক ভোট কোন বিষয় অমীমাংসিত থাকবে তখন স্পীকার নির্ধারক
ভোট প্রদান করবেন। এদের দুজনের যে কোন একটি পদ শূন্য হলে চলতি অধিবেশনের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অথবা
পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে উক্তপদ পূরণ করতে হবে।
সংসদের কোন আসন শূন্য রয়েছে এবং অযোগ্য কোন ব্যক্তি সংসদে উপস্থিত আছেন, এ কারণে সংসদের কোন কার্যধারা
অবৈধ হবে না।
সংসদের কার্যাবলি (ক) সরকারি কার্যাবলি এবং (খ) বেসরকারি সদস্যদের কার্যাবলি এই দুইভাগে বিভক্ত থাকবে। কোন
মন্ত্রী কর্তৃক উত্থাপিত বিল, বাজেট, সিদ্ধান্তপ্রস্তাব, সংশোধনী ও অন্যান্য প্রস্তাব সরকারি কার্যাবলি বলে গণ্য হবে।
অপরদিকে বেসরকারি সদস্যগণ কর্তৃক প্রস্তাবিত বিল, সিদ্ধান্তপ্রস্তাব, সংশোধনী ও অন্যান্য প্রস্তাব বেসরকারি সদস্যদের
কার্যাবলি বলে গণ্য হবে।
বৃহস্পতিবারে বেসরকারি সদস্যদের কার্যাবলি প্রাধান্য পাবে এবং অন্যান্য দিনে সরকারি কার্য ব্যতীত অন্য কোন কার্য
সম্পাদন করা হবে না। তবে প্রয়োজন বোধে স্পীকার সংসদ নেতার সঙ্গে কথা বলে বেসরকারি সদস্যদের কার্যাবলি
সম্পদনের জন্য ভিন্ন দিনও ধার্য করতে পারবেন।
সংসদ নেতার সঙ্গে পরার্মশক্রমে স্পীকার যেরূপ নির্দেশ প্রদান করবেন, সচিব সেই ক্রমানুসারে সরকারি কার্যাবলি বিন্যাস
করবেন। স্পীকার যেরূপ নির্দেশ দান করবেন সেভাবে সে দিনের জন্য ব্যালট অনুষ্ঠিত হবে। তবে কমপক্ষে পাঁচদিন
পূর্বে ব্যালট অনুষ্ঠিত হবে এবং সংসদে আলোচনার জন্য নির্ধারিত দিনের কমপক্ষে তিনদিন পূর্বে ব্যালটের ফলাফল
সদস্যদের জানাতে হবে।
সচিব নির্দিষ্ট দিনের জন্য একটি কার্য তালিকা প্রস্তত করবেন এবং স্পীকার কর্তৃক অনুমোদিত হবার পরের দিনের কাজ
আরম্ভ হবার পূর্বে কার্যতালিকায় একটি প্রতিলিপি প্রত্যেক সদস্যের ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করা হবে। এরূপ প্রস্তুত
তালিকাকে “দিনের কার্যসূচি” বলা হয়।
রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দান করবেন, এই মর্মে তাঁর কাছ থেকে লিখিত পত্র প্রাপ্তির পর স্পীকার রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিদিষ্ট
তারিখ ও সময় উল্লেখ পূর্বক ঐ তারিখের দিনের কার্যসূচীতে “রাষ্ট্রপতির ভাষণ” এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করবেন। স্পীকার
সংসদ নেতার সঙ্গে পরামর্শক্রমে সংবিধানের ৭৩ অনুচ্ছেদের অধীন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সংসদে প্রদত্ত ভাষণে উল্লিখিত
বিষয়গুলোর আলোচনার জন্য সময় বরাদ্দ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কোন মন্ত্রী ইতোপূর্বে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে থাকুন বা না থাকুন আলোচনার শেষে সরকারের
পক্ষ থেকে সরকারের বক্তব্য পেশ করবার সাধারণ অধিকার তাঁর থাকবে।
স্পীকার অন্যরূপ নির্দেশ না দিলে প্রত্যেক বৈঠকের প্রথম এক ঘন্টা প্রশ্ন উত্থাপন ও তার উত্তরদানের জন্য নির্দিষ্ট
থাকবে। তবে বাজেট উপস্থাপনের দিনে কোন প্রশ্নকাল থাকবে না। কোন সদস্য তার প্রশ্নের জন্য মৌখিক উত্তর চাইলে
স্পীকার প্রশ্নটিকে তারকাচিহ্নের দ্বারা চিহ্নিত করবেন। স্পীকার আসন গ্রহণ করার অন্যূন্য অর্ধঘন্টা পূর্বে সকল প্রশ্নের
উত্তরগুলো মুদ্রিত প্রতিলিপি টেবিলে উপস্থাপিত হবে।
কোন মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রদত্ত প্রশ্ন, এমন সরকারি বিষয় সংক্রান্তহবে যার সঙ্গে তিনি সরকারি ভাবে জড়িত আছেন কিংবা
তা এমন কোনো প্রশাসনিক বিষয় সংক্রান্তহবে যার জন্য তিনি দায়ী। আবার কোন বেসরকারি সদস্যের উদ্দেশ্য প্রদত্ত
প্রশ্ন এমন কোনো বিল, সিদ্ধান্ত, প্রস্তাব বা সংসদের কার্যাবলি সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে হবে যার জন্য উক্ত সদস্য
দায়ী।
স্পীকারের সম্মতি নিয়ে সাম্প্রতিক ও জরুরি জনগুরুত্ব সম্পন্ন কোন নির্দিষ্ট বিষয় আলোচনার উদ্দেশ্যে সংসদের কাজ
মুলতবী করার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করা যাবে। এর পরে এবং দিনের কর্মসুচিতে প্রবেশের পূর্বে মুলতুবী প্রস্তাব
উত্থাপনের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করতে হবে। পরে স্পীকার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেবেন।
কোরাম
কমপক্ষে সংসদের ৬০ জন সদস্য নিয়ে কোরাম গঠিত হবে অর্থাৎ সংসদের কাজ চলবে। কোন কমিটির বৈঠকের জন্য
নির্ধারিত তারিখে অথবা বৈঠক চলাকালীন কোন সময়ে যদি কোরাম না থাকে তা হলে উক্ত কমিটির সভাপতি কোরাম
না হওয়া পর্যন্তবৈঠক স্থগিত রাখবেন, নতুবা ভবিষ্যতে অন্য কোন দিন পর্যন্তবৈঠক মুলতুবী করবেন।
উপবিধি মোতাবেক পূর্ব নির্ধারিত দু‘দিন পর পর বৈঠক মুলতবী করতে হলে সভাপতি বিষয়টি সংসদের গোচরে
আনবেন।
বিভিন্ন কমিটিসমূহ
আধুনিক সরকারের আইন প্রণয়ন ব্যবস্থায় আইন বিভাগের অন্যতম একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কমিটি ব্যবস্থা।
বাংলাদেশের আইনসভারও রয়েছে কমিটি ব্যবস্থা। আইন প্রণয়ন বা কোন সরকারি ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে বিচার বিবেচনা
করার কাজটি আইন সভার বিভিন্ন কমিটির মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। প্রত্যেক কমিটিকেই নিয়মানুযায়ী কোন নির্দিষ্ট
বিষয় সম্পর্কে এখতিয়ার প্রদান করা হয় এবং কমিটি ঐ বিষয় সংক্রান্তবিল বিবেচনা করার জন্য গ্রহণ করে। আইন
সভার কাজে রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ সদস্যসংখ্যা অনুযায়ী এই সকল কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব লাভ করে। আইন
সভার কার্যপদ্ধতি অনুযায়ী কোন বিল সমগ্র কক্ষের দ্বারা বিবেচিত হবার পরে বা পূর্বে কমিটির কাছে বিবেচনার জন্য
প্রেরিত হতে পারে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কমিটির কাজ হচ্ছে “ক্ষুদ্র আইন ক” হিসাবে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট বিলকে
এরূপে পরিবর্তন বা সংশোধন করা, যেন তা সদস্যদের দ্বারা গৃহীত হয়। বিলগুলো বিবেচনা করার ক্ষেত্রে কঠোর দায়িত্ব
আইনসভা কমিটির সাহায্যে সম্পাদন করে থাকে।
বাংলাদেশের আইনসভা ‘জাতীয় সংসদের’ও কমিটি ব্যবস্থা রয়েছে। সংসদের অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে সদস্যদের
মধ্যে থেকে কমিটিগুলো নিয়োগ করা হয়। যেমন:
১। সরকারি হিসাব কমিটি,
২। বিশেষ অধিকার কমিটি,
৩। সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে নির্দিষ্ট অন্যান্য স্থায়ী কমিটি।
এগুলো ছাড়াও সংসদ প্রয়োজন বোধে অতিরিক্ত স্থায়ী কমিটি নিয়োগ করবে। এই কমিটিগুলো বিভিন্ন কার্যাবলি ও দায়িত্ব
পালন করবে। যেমন :
ক) খসড়া বিল ও অন্যান্য আইনগত প্রস্তাব পরীক্ষা
খ) আইনের বলবৎকরণ, পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব
গ) কোন মন্ত্রণালয়ের কাজ বা প্রশাসন সম্বন্ধে তদন্তবা অনুসন্ধান পরিচালনা
ঘ) সংসদ কর্তৃক অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালন
জাতীয় সংসদের কার্যপ্রনালী বিধির ২৪৭ বিধি অনুসারে ২৪৬ ও ২৪৮ বিধিতে বর্ণিত কমিটির নিয়োগ, কমিটির গঠন ও
কমিটির দায়িত্ব পালনকল্পে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলো গঠিত হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে কেন্দ্র করে
গঠিত এই সমস্তস্থায়ী কমিটির সংখ্যা হচ্ছে ৩৭টি। নীচে কয়েটি কমিটির নাম দেয়া হল:
১। কার্য উপদেষ্টা কমিটি
২। কার্য প্রণালী বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
৩। বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
৪। পিটিশন কমিটি
৫। সরকারি হিসাব সম্পর্কিত কমিটি
৬। অনুমতি হিসাব কমিটি
৭। সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি
৮। সরকারি প্রতিশ্রæতি সম্পর্কিত কমিটি
৯। লাইব্রেরি কমিটি
সংসদে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী কমিটির সদস্য নিয়োগের সময় যা বিবেচনা করতে হবে তা হচ্ছে -
এমন কোন সদস্য কমিটিতে নিযুক্ত হবেন না, যার-ব্যক্তিগত আর্থিক ও প্রত্যক্ষ স্বার্থ কমিটিতে বিবেচিত হতে পারে
এমন বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছে। কিংবা কোন কমিটিতে কাজ করতে অনিচ্ছুক সদস্যকেও কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা
হবে না।
সংবিধানের বিধি বিধান সাপেক্ষে কোন বিল সম্পর্কিত বাছাই কমিটি অথবা কোন বিশেষ উদ্দেশ্য সাধন হেতু সংসদ
দ্বারা গঠিত কোন বিশেষ কমিটি ছাড়া কমিটির মেয়াদ সংসদের মেয়াদ কাল পর্যন্তবলবৎ থাকবে। তবে প্রয়োজনবোধে
সংসদ কর্তৃক কমিটি পুর্নগঠিত হতে পারে।
স্পীকারকে সম্বোধন করে নিজ হাতে লেখা আবেদনের মাধ্যমে কোন সদস্য কমিটির আসন থেকে পদত্যাগ করতে
পারবেন। সংসদ আগে থেকে মনোনীত না করে থাকলে কমিটির সদস্যগণ তাঁদের মধ্যে থেকে একজনকে সভাপতি
নির্বাচিত করবেন, সভাপতি যদি কমিটির কোন বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার কিংবা অন্য কোন কারণে তাঁর দায়িত্ব পালনে
ব্যর্থ হন, তাহলে কমিটি অপর কোন সদস্যকে উক্ত বৈঠকের সভাপতি নির্বাচিত করবেন।
কমিটির বৈঠকের জন্য উক্ত কমিটির মোট সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের যতদূর কাছাকাছি হয় এমন সংখ্যক সদস্যের
উপস্থিতিতে কোরাম হবে।
কমিটির অনুমতি ব্যতিরেকে কোন সদস্য যদি পর পর দুই বা ততোধিক বৈঠক থেকে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে উক্ত
সদস্যকে কমিটি থেকে পদচ্যুত করবার জন্য সংসদে প্রস্তাব আনা যেতে পারে।
উপস্থিত ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে কমিটির বৈঠকে সকল প্রশ্নের সিদ্ধান্তগ্রহণ করা হবে।
কোন প্রশ্নে সম-সংখ্যক ভোটের ক্ষেত্রে সভাপতি বা সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে পালনরত ব্যক্তি একটি দ্বিতীয় বা নির্নায়ক
ভোটদান করতে পারবেন।
কমিটিতে প্রেরিত কোন বিষয় পরীক্ষা করে দেখবার জন্য মূল কমিটির ক্ষমতা সম্পন্ন এক বা একাধিক সাব কমিটির
নিয়োগ করতে পারবেন এবং এসব সাব কমিটির রির্পোর্টমূল কমিটির কোন বৈঠকে অনুমোদন লাভ করে থাকলে মূল
কমিটির রির্পোর্টহিসাবে বিবেচিত হবে।
সভাপতি যে রকম নির্ধারণ করে দেবেন, সেই দিনে ও সময়ে কমিটির বৈঠক বসবে।
সংসদ চলাকালে কোন কমিটির বৈঠক চলতে পারে। রেকর্ড কাগজ-পত্র এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ডেকে পাঠাবার ক্ষমতা
কমিটির থাকবে।
কমিটিতে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর একটি রেকর্ড রাখা হবে এবং সভাপতির নির্দেশক্রমে তা সদস্যদের দেওয়া হবে।
কমিটির বিভিন্ন কাজ
সুষ্ঠু আইন প্রণয়ন, সরকার ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করবার ক্ষেত্রে কমিটি ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কমিটি
পর্যায়ে অন্যতম উল্লেযোগ্য হলো ৩৭ টি সংসদীয় কমিটি। এসব কমিটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে।
প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাজের তদারকি করে। বিভিন্ন সুপারিশ করে। মূলত এসব কমিটির লক্ষ্য হলো জনপ্রতিনিধিদের
কাছে প্রশাসনের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করা।
কার্যউপদেষ্টা কমিটি সংসদ নেতার সঙ্গে পরামর্শক্রমে যে সব সরকারি বিল বা অন্যান্য কাজ কমিটিতে প্রেরণ করবার
জন্য স্পীকার নির্দেশ দেবেন সেই সব বিল বা অন্যান্য কাজের স্তর বা স্তরগুলো আলোচনার জন্য কি পরিমাণ সময় বরাদ্দ
করা উচিত, সে সম্পর্কে সুপারিশ করে থাকে।
কমিটির প্রেরিত প্রত্যেকটি পিটিশন, “পিটিশন কমিটি” পরীক্ষা করবে এবং পিটিশনটি যদি বিধিসম্মত হয়, তাহলে
কমিটি নির্দেশ দিতে পারবেন যে, পিটিশনটি প্রচার করা হোক।
সংসদ কমিটির কাজ হবে প্রথমত, সংসদ সদস্যদের আবাসিক ব্যবস্থা সম্পর্কিত সমস্তকাজ করা এবং দ্বিতীয়ত,
সদস্যগণকে খাদ্য, চিকিৎসা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার তত্ত¡াবধান করা। তৃতীয়ত, উপদেশ দিয়ে সাহায্য করা।
বেসরকারি সদস্যদের বিল ও প্রস্তাব সম্পর্কিত কমিটি মূলত কোন বেসরকারি সদস্য কোন বিলের নোটিশ দিলে তা
উত্থাপনের অনুমতি সম্পর্কিত প্রস্তাব ‘দিনের কর্মসূচির’ অর্ন্তভুক্তির আগে তা পরীক্ষা করবে।
সরকারের হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির কাজ হলো সরকারের বার্ষিক আর্থিক হিসাব পরীক্ষা করা এবং এই কমিটি
সমীচীন মনে করলে সংসদে উত্থাপিত অন্যান্য আর্থিক হিসাব পরীক্ষা করবে।
সংসদ কর্তৃক কমিটিতে প্রেরিত অনুমতি হিসাবগুলো পরীক্ষা করাই হচ্ছে অনুমতি হিসাব সম্পর্কিত কমিটির কাজ,
লাইব্রেরি কমিটির কাজ হলো লাইব্রেরি সংক্রান্তযেসব বিষয় সময়ে সময়ে স্পীকার কমিটির নিকট প্রেরণ করবেন, তা
বিবেচনা করে পরামর্শ দেওয়া।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে সংসদের বিভিন্ন কমিটি বিভিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে প্রশাসনের
দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করছে।
এই সমস্তকমিটির সভায় স্পীকার সভাপতিত্ব করেন না তবে তিনি কমিটির সদস্য হিসাবে অনেক সময় বিতর্কে অংশ
গ্রহণ করতে পারেন। স্থায়ী কমিটিগুলো কোন বিশেষ ধরনের বিল বিবেচনা করে না বরং প্রতিটি কমিটি বিভিন্ন ধরনের
বিল বিবেচনা করে থাকে।
সারকথা
সংসদের কার্যক্রম ও নিয়মাবলি এবং সব ধরনের বিধি-বিধান সংসদ নিজেই নির্ধারণ করবে। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে
সংসদে সিদ্ধান্তগ্রহণ করা হয়। সংসদে ৬০ জন সদস্য নিয়ে কোরাম হয় অর্থাৎ সংসদের কাজ চলবে। কিন্তু কোরাম না
হলে বৈঠক মুলতবী হয়ে যায়। নির্ণায়ক ভোট কেবলমাত্র স্পীকার এবং ডেপুটি স্পীকার প্রদান করতে পারেন। বর্তমানে
আইনসভায় অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কমিটি ব্যবস্থা। জাতীয় সংসদের রয়েছে বিভিন্ন কমিটি। আইন প্রণয়ন বা
কোন সরকারি ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে বিচার বিবেচনা করবার কাজটি আইনসভায় বিভিন্ন কমিটির মধ্যে ভাগ করে দেওয়া
হয়। কমিটির সভাগুলোতে স্পীকার সভাপতিত্ব করেন না, তবে তিনি কমিটির সদস্য হিসাবে অনেক সময় বির্তকে অংশ
নিয়ে থাকেন। কমিটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জন প্রতিনিধিদের কাছে প্রশাসনের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করা।
সঠিক উত্তরটিতে টিক () দিন
১। কোরাম গঠনের জন্য প্রয়োজন —
ক) ৬০ জন সদস্য খ) ২০ জন সদস্য
গ) ৩০ জন সদস্য ঘ) ৫০ জন সদস্য
২। কমিটির মেয়াদ কাল—
ক) ২ বছর খ) ৩ বছর
গ) ৪ বছর ঘ) ৬ বছর
৩। কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হবেন—
ক) স্পীকার খ) কমিটির সদস্যদের মধ্যে থেকে
গ) ডেপুটি স্পীকার ঘ) চীফ হুইপ
উত্তর : ১ - ক, ২ - গ, ৩ - খ।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমুলক প্রশ্ন
১। জাতীয় সংসদের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে কী জানেন ?
রচনামুলক প্রশ্ন
১। আইন সভার কমিটিগুলোর কার্যাবলি বিস্তারিত আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]