বাংলাদেশের সামরিক শাসকদের বেসামরিকীকরণ প্রক্রিয়া আলোচনা করুন।

বাংলাদেশে সামরিক শাসনের বেসামরিকীকরণ
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্যের নেতৃত্বে বাংলাদেশের তৎকালীন
রাষ্ট্রপ্রধান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এই হত্যার ফলে নির্বাচিত আওয়ামী
লীগ সরকারের শাসনাবসান ঘটে। খন্দকার মুশতাক আহমদের নেতৃত্বে একটি সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। দেশে
সামরিক আইন জারি করা হয়। যারা সামরিক অভ্যুত্থান সংগঠিত করেছিলেন তারা বঙ্গভবনে থেকে ‘ক্ষমতা পরিচালনা’
করতে থাকেন। ফলে সেনাবাহিনীতে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং ৩ নভেম্বর (১৯৭৫) সেনাবাহিনীর একটি
অংশ বিদ্রোহ করে। তারা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফকে সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করে ও তৎকালীন সেনা
প্রধান জিয়াউর রহমানকে অন্তরীণ করে। ৫ নভেম্বর খন্দকার মুশতাক পদত্যাগ করলে প্রধান বিচারপতি এ.এস.এম
সায়েম রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কিন্তু ৭ নভেম্বর (১৯৭৫) এক “সিপাহী অভ্যুত্থানে” বিগ্রেডিয়ার মোশাররফ
নিহত হন এবং মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান অন্যতম শক্তি হিসেবে আবির্ভ‚ত হন। তাঁকে উপ-প্রধান সামরিক আইন
প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তিনি ধীরে ধীরে তার ক্ষমতা সুসংহত করেন। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল ভগ্নস্বাস্থের
অজুহাতে বিচারপতি সায়েমকে পদত্যাগ করিয়ে জেনারেল জিয়া প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি তাঁর
সরকারের বৈধকরণ ও বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গণভোট, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার কথা
ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে এ সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাঁর বেসামরিকীকরণের আরেকটি দিক ছিল রাজনৈতিক দল
গঠন করে রাজনৈতিক সমর্থনের ভিত শক্তিশালী করা। সে লক্ষ্যেই ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী
দলের জন্ম হয়েছিল। তবে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে জেনারেল জিয়া নিজ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ধর্মভিত্তিক ও
সা¤প্রদায়িক দলকেও আশ্রয় প্রশ্রয় দেন।
জিয়াউর রহমানের বেসামরিকীকরণ প্রক্রিয়া
জেনারেল জিয়া নিজ রাজনৈতিক উচ্চাভিলাস চারিতার্থ করার জন্য সামরিক শাসন থেকে ধীরে ধীরে বেসামরিক শাসন
প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যেতে থাকেন। নিজের নেতৃত্বে ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায় থেকে দল গঠন করেন।
নির্বাচন অনুষ্ঠান
ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচন, ১৯৭৭ : ১৯৭৭ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের
নির্বাচন শুরু হয়। জিয়া সরকার এ নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করার পরীক্ষা হিসাবে বর্ণনা করেন। আগস্ট -
সেপ্টেম্বর মাসে দেশের পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উভয় নির্বাচনে সরকারি আনুক‚ল্যে ডানপন্থীদের প্রভাব বৃদ্ধি
পায়।
গণভোট, ১৯৭৭ : সামরিক শাসনকে বৈধ করার লক্ষ্যে ৩০ মে, ১৯৭৭ বাংলাদেশে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে
৮৭ শতাংশ ভোটার অংশ এবং জিয়াউর রহমানের পক্ষে ৯৯ শতাংশ ভোট পরে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ১৯৭৮ : গণভোটে জয়লাভের এক বছর পরই দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ নির্বাচনের
পূর্বেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে জিয়াউর রহমান তাঁর ক্ষমতা শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন। এ ছাড়াও ভয় ছিল যে, যদি
সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দল বিশেষত আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে তাহলে সংসদীয় ব্যবস্থা পুনরায় চালু হতে পারে।
৩ জুন, ১৯৭৮ নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী জেনারেল (অবঃ) এম এ জি ওসমানীকে পরাজিত করে জিয়াউর রহমান
রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। নির্বাচনে জিয়াউর রহমান ১ কোটি ৫৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬ শত ৭ ভোট এবং ওসমানী ৪৪ লক্ষ
৫৫ হাজার ২ শত ভোট পায়। ১২ জুন ১৯৭৮ জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৭৯ : রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
(বিএনপি) গঠন করেন। যথেষ্ট সময় না দিয়ে হঠাৎ করে সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা প্রদান করায় বিরোধীদলগুলো নির্বাচন
বর্জনের হুমকি দেয়। শেষ পর্যন্তসংসদের প্রথম অধিবেশনের এক সপ্তাহের মধ্যে সামরিক আইন প্রত্যাহারের প্রতিশ্রæতি
দেওয়া হলে ২৯ টি রাজনৈতিক দল ও উপদল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। ১৮ ফেব্রæয়ারি, ১৯৭৯ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
মোট ৩০০ টি আসনের মধ্যে বি এন পি ২০৭ টি আসন লাভ করে। আওয়ামী লীগ ৩৯ টি আসনে জয়ী হয়। জাতীয়
সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সামরিক শাসন বৈধকরণের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ঘটে। তবে বিরোধীদলের পক্ষ থেকে
কারচুপির অভিযোগ ওঠে।
দলগঠন প্রক্রিয়া : সামরিক শাসনকে বৈধ করার জন্য দল গঠনের প্রয়োজনীয়তা জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করতে
পেরেছিলেন। শুরু থেকেই তিনি বিভিন্ন দলের রাজনীতিকদের সাথে ব্যক্তিগত এবং আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ
রেখেছিলেন। এ সময় বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতাকারী চক্র জেনারেল জিয়াকে সামনে
রেখে একটি রাজনৈতিক দল গঠনে তৎপর হন। এলক্ষে ১৯৭৮ সালের জুন মাসে ‘জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল’
(জাগদল) গঠন করা হয়। জিয়া নিজে সদস্যপদ গ্রহণ না করলেও উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার এবং মন্ত্রিসভার দশ
জন সদস্য এ দলের নেতৃত্বে থাকেন। জাগদল পরবর্তীতে একটি ফ্রন্ট গঠন করে। পরে জিয়াউর রহমান ছয়টি
রাজনৈতিক দলের জোট - ‘জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট’র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৯‘র সংসদ
নির্বাচনকে সামনে রেখে, ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি ) গঠন করা হয়। জিয়াউর
রহমান এ সংগঠনের নেতৃত্বও গ্রহণ করেন।
এরশাদের বেসামরিকীকরণ প্রক্রিয়া : ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল এরশাদ রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে
ক্ষমতা দখল করে সারাদেশে সামরিক শাসন জারি করেন। অন্যান্য সামরিক শাসকদের মতই এরশাদও জারিকৃত
সামরিক শাসন অন্তর্বর্তীকালীন বলে ঘোষণা দেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গণতন্ত্রপ্রতিষ্ঠা করে সামরিক বাহিনী ব্যারাকে
ফিরে যাবে বলে আশ্বাস দেন। পরবর্তীকালের ঘটনা প্রবাহ প্রমাণ করে যে, এরশাদের এ সব অঙ্গীঁকার সত্য ছিল না।
বরং দখলকৃত ক্ষমতা সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে প্রথাগত পথেই অগ্রসর হয়ে জিয়াউর রহমানের মতই উদ্দেশ্যমূলকভাবে
বেসামরিকীকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেন। পূর্বের সামরিক শাসকের মত তিনিও নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দলগঠনের মাধ্যমে
সামরিক শাসনের বেসামরিকীকরণ করেন।
গণভোট, মার্চ ১৯৮৫: ক্ষমতা দখলের পর জেনারেল এরশাদ সংবিধান স্থগিত করে বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচি ঘোষণা
করেন। সংবিধান স্থগিত থাকা সাপেক্ষে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্তএরশাদ ক্ষমতায় থাকবেন কি না এবং তাঁর গৃহীত নীতি
ও কর্মসূচির প্রতি জনসমর্থন আছে কি না- তা যাচাইয়ের লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালের ২১ মার্চ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এ
গণভোটের বিপক্ষে যে কোন প্রচারনা চালানো নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। যদিও এর পক্ষে প্রচারণাতে কোন বাধা ছিল না। এ
নির্বাচনে ৯৪.১৪ ভাগ ভোটদানকারী এরশাদের সমর্থনে ‘হাঁ’ ভোট প্রদান করেন বলে ঘোষণা করা হয়। যদিও কারচুপির
অভিযোগ উঠেছিল।
উপজেলা নির্বাচন, মে ১৯৮৫: ১৯৮৪ সালের মার্চ মাসে এরশাদ সরকার সারাদেশে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রচন্ড
বিরোধীতার কারণে উপজেলা নির্বাচন তখনকার মত স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালের মে মাসে বিরোধী
দলগুলোর ব্যাপক অসন্তোষের মধ্যেও উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। গোলযোগপূর্ণ এ নির্বাচনের প্রার্থীরা সরাসরি
দলীয় পরিচয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন নি। এ ছাড়াও মোট ভোটারের অতি অল্প সংখ্যকই নির্বাচনে ভোট দান করেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৮৬ : উদ্দেশ্য প্রণোদিত বেসামরিকীকরণ প্রক্রিয়া চ‚ড়ান্তকরার জন্য জেনারেল এরশাদ
ধাপে ধাপে অগ্রসর হন। গণভোট এবং উপজেলা নির্বাচনের পর ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের
তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বিরোধী দলগুলো নির্বাচনের ঘোষণা প্রত্যাখান করে এবং সামরিক শাসনের অবসান সহ
নির্দলীয়- নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এমতাবস্থায় সরকার
নির্বাচনের তারিখ ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল পুনঃধার্য করে। বিরোধী দলগুলো ঘোষিত নতুন তারিখও প্রত্যাখান করে
একে সামরিক শাসন দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্রহিসাবে বর্ণনা করে। কিন্তু এরশাদ ঘোষণা করেন যে, নির্বাচনে অংশ না
নিলে সংসদ নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হবে এবং আরো কঠিনভাবে সামরিক আইন প্রয়োগ করা হবে।
এরূপ বাস্তবতায় সরকার বিরোধী ১৫ দলীয় ঐক্যজোটের প্রধান শরিক দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত
নেয়। তাদের যুক্তি ছিল, প্রতিদ্ব›িদ্বতাহীন নির্বাচনে এরশাদকে জয়ী হওয়ার সুযোগ দেওয়া রাজনৈতিক দূরদর্শিতার
পরিচায়ক হবে না। জামায়াতে ইসলামি, মুসলিম লীগ, জাসদ সহ আরো কিছু দল নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতার সিদ্ধান্তনেয়।
অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর নেতৃত্বাধীন ৭- দলীয় ঐক্যজোট নির্বাচন বর্জন করে। ১৯৮৬
সালের ৭ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জেনারেল এরশাদের দল ক্ষমতাসীন জাতীয় পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ
করে। তবে এ নির্বাচনও আদৌ অবাধ ও সুষ্ঠু হয় নি। দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকরা সরকারী সন্ত্রাসযুক্ত এ নির্বাচন নিরপেক্ষ
হয় নি বলে মত দেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, অক্টোবর ১৯৮৬ : নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বেসামরিকীকরণের শেষ ধাপ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এরশাদ
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঘোষণা দেন। ১৫ অক্টোবর ১৯৮৬, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন স্থির হয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন
৮ দলীয় এবং বি.এন.পি’র নেতৃত্বাধীন ৭ দলীয় জোট নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের
দিন হরতালের ডাক দেয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরশাদ সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। যদিও তিনি সশস্ত্রবাহিনীর
সর্বাধিনায়ক এবং প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের পদ ত্যাগ করেন নি। বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জন ঘোষণা এবং
আন্দোলন সত্তে¡ও নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন হয়। এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রার্থী রূপে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সরকারী
ফলাফলে এরশাদ ৮৪% ভোট লাভ করেছেন বলে ঘোষণা করা হয়।
দলগঠন প্রক্রিয়া: সামরিক শাসনকে বৈধ করার জন্য নিজস্ব একটি রাজনৈতিক দলগঠনের প্রয়োজনীয়তা জেনারেল
এরশাদ অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। সে জন্যই ১৯৮৩ সালের ২৭ নভেম্বর ‘জনদল’ গঠিত হয়। কিন্তু কিছুদিন পরেই
বিভিন্ন দল থেকে বেরিয়ে আসা সদস্যদের মধ্যে দ্ব›দ্ব দেখা দেয়। এর পরিণতিতে ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি এরশাদের
সমর্থন পুষ্ট হয়ে ‘জাতীয় পার্টি’ গঠিত হয়। প্রাথমিক অবস্থায় কৌশলগত কারণে এরশাদ জাতীয় পার্টির সাথে নিজেকে
যুক্ত করেন নি। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে ১ সেপ্টেম্বর তিনি জাতীয়
পার্টির সদস্যপদ গ্রহণ করেন এবং পরদিন এ দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ ভাবেই এরশাদও সামরিকশাসনের
বেসামরিকীকরণের উদ্দেশ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান ও দলগঠন উভয় প্রক্রিয়াই অনুসরণ করেন।
সারকথা
১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসের সামরিক অভ‚্যত্থানে বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটে। এরপর
দীর্ঘ দেড় দশক দুজন সামরিক ব্যক্তিত্ব দ্বারা বাংলাদেশ শাসিত হয়। উভয় শাসকই তাদের অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধ
করা এবং দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে বেসামরিকীকরণ প্রক্রিয়ার আশ্রয় নেন। রাজনৈতিক দল গঠন করে তারা সামরিক সরকারের বেসামরিকীকরণ করার চেষ্টা করেন।
সঠিক উত্তরে টিক () দিন
১। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কবে হত্যা করা হয়?
ক) ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি খ) ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট
গ) ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঘ) ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর
২। জেনারেল এরশাদ কবে ক্ষমতা দখল করেন?
ক) ১৯৮০ সালের ২৪ মার্চ খ) ১৯৮১ সালের ২৪ মার্চ
গ) ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ ঘ) ১৯৮৩ সালের ২৪ মার্চ
৩। সামরিক শাসকরা বেসামরিকীকরণের জন্য কোন কোন পন্থা অবলম্বন করেন?
ক) গণতন্ত্রও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা খ) নির্বাচন অনুষ্ঠান ও দলগঠন।
গ) স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করণ ঘ) ক্ষুধা ও দারিদ্র্যবিমোচন
উত্তর মালা: ১। খ, ২। গ, ৩। খ
রচনামূলক প্রশ্ন
১। বাংলাদেশের সামরিক শাসকদের বেসামরিকীকরণ প্রক্রিয়া আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]