বাংলাদেশে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের ইতিহাস বর্ণনা করুন।

সংসদীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন
একটি গণতান্তিক শাসনব্যবস্থা লাভের আকাক্সক্ষা থেকেই বাঙালি জাতি পাকিস্তানি সামরিক-আমলাতান্ত্রিক শোষণের
বিরোধিতা করে। এবং এই বিরোধিতারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম
গণতান্তিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, গণতন্ত্রের অভিমুখে
বাঙালি জাতির অভিযাত্রা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৯৭৫-১৯৯০ সাল মেয়াদের শাসনামলে সংসদীয় গণতন্ত্রের কোন চিহ্ন ছিল
না। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই যে, এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠী গণতন্ত্রহীনতাকে কখনোই খুশী মনে মেনে নেয়নি।
বরং পূর্ব ঐতিহ্য বজায় রেখেই আন্দোলন-সংগ্রাম-প্রতিরোধের মাধ্যমে অগণতান্ত্রিক সামরিক শাসনকে সর্বদাই প্রতিহত
করার চেষ্টা করেছে। বাঙালির এই প্রতিরোধের সংস্কৃতিকে, ১৯৯০ সালের সামরিক শাসনের অবসান এবং সংসদীয়
ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসাবে চিহ্নিত করা যায়। এ ছাড়াও সে সময়কালে আন্তর্জাতিক রাজনীতির
কিছু গুণগত পরিবর্তন প্রান্তিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজনীতির উপর অবশ্যম্ভাবীভাবে প্রভাব ফেলে। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র
ব্যবস্থার পতন ¯œায়ুযুদ্ধের অবসান, শক্তিধর পুঁজিবাদী বিশ্বের জন্য তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে সামরিক শাসকদের
উপস্থিতি অনেকটা অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়া ইত্যাদি সব কারণ মিলে বিশ্বব্যাপী পাশ্চাত্য ধাঁচের পুঁজিবাদী-উদারনৈতিক
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি আকর্ষণ দেখা দেয়। বাংলাদেশেও এই প্রবণতার ব্যতিক্রম হয় নি। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা
যায়ে যে, বাঙালি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক সংস্কৃতির সাথে আন্তর্জাতিক রাজনীতির অনুকূল পরিবেশই মূলত ১৯৯০ সালের
ডিসেম্বর মাসে গণআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সামরিক শাসন অবসান এবং পরবর্তীতে সংসদীয় ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন সম্ভব
করে তোলে। এক্ষেত্রে আরো উল্লেখ্য যে, আদর্শগত ক্ষেত্রে ব্যাপক মতভেদ থাকা সত্তে¡ও ডান-বাম-মধ্যপন্থী এমনকি
ধর্মনির্ভর দলগুলো একটি ইস্যুতে অর্থাৎ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের কাছে সামরিক সরকারের ক্ষমতা
হস্তান্তর ও একই কর্তৃপক্ষের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে, ঐকমত্যে পৌঁছতে সক্ষম হয়।
১৯৯১-২০০১ সময়সীমায় তিনটি সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনের কোন
গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। কিন্তু এই সংসদে তত্ত¡াবধায়ক সরকার সংক্রান্তসংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী গৃহীত হয়।
বিএনপি আমল, ১৯৯১-১৯৯৬
১৯৯১ সালের ২৭ ফেরুয়ারি, তত্ত¡াবধায়ক সরকারের ব্যবস্থাপনায়, পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমেবাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের পুনঃযাত্রা সূচিত হয়। জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৪০টি আসনে জয়লাভ করে
বিএনপি সরকার গঠনের কৃতিত্ব অর্জন করে। অন্যান্য দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও নৌকা মার্কা প্রতীকধারীরা ১০০ টি,
জাতীয় পার্টি ৩৫ টি এবং জামায়াত-ই-ইসলামি ১৮ টি আসন লাভ করে। ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (সিরাজ), এনডিপি,
ইসলামি ঐক্যজোট প্রত্যেকে ১টি করে আসন দখল করতে সক্ষম হয়। এ নির্বাচনে মোট ৩ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী বিজয়ী হন।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলেও সরকারি দল এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে প্রায় সকল ইস্যুতে মতবিরোধ
সৃষ্টি হয় এবং দীর্ঘ সংসদ বয়কটের (বিরোধীদল কর্তৃক) মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যদিও সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার
সফল পরিচালনার জন্য পরিমিত মাত্রার মতানৈক্য আবশ্যক। কিন্তু একদিকে উপ-নির্বাচনে দুর্নীতির অভিযোগ সংসদে
কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ সহ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করে বিরোধী দলগুলোর টানা সংসদ অধিবেশন বর্জন,
রাজপথে আন্দোলন, এক কথায় সরকারি এবং বিরোধী দলসমূহের মধ্যে সংসদীয় রাজনীতি লালনে ব্যর্থতায় সামরিক
শাসন উত্তর সংসদীয় ব্যবস্থায় অচলাবস্থা তৈরি হয়। বিশেষ করে ১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ, মাগুরা-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে সরকারি দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশই বাড়তে থাকে। উক্ত উপনির্বাচনে বি.এন.পি. ভোট কারচুপী করেছিল বলে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়। বিরোধী দলগুলো আর কোন উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দেয়। এ ছাড়াও ৩০ মার্চ থেকে বিরোধী দলগুলো সংসদ বর্জন শুরু করে।
পরবর্তীতে, একই বছর ২৮ ডিসেম্বর ১৪৭ জন সাংসদ একযোগে পদত্যাগের ঘোষণার ফলে পঞ্চম জাতীয় সংসদ গুরুত্ব
হারিয়ে ফেলে। দীর্ঘদিন বিরোধী দলবিহীন সংসদ চলার পর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হলেও বিরোধী দলগুলো অংশগ্রহণ না করায় এবং নির্বাচনের অল্প কয়েক দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ৩০ মার্চ, বিএনপি
সরকার পদত্যাগ করে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করায় বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এই
নির্বাচন কোন গুরুত্ব বহন করে না।
এটি ঠিক যে, পূর্বে উল্লেখিত নানাবিধ সমস্যাগুলো সংসদীয় গণতন্ত্রের মূলনীতিকে পদে পদে বিঘিœত করেছিল। আবার
এটিও উল্লেখযোগ্য যে, সামরিক শাসন পরবর্তী প্রথম বেসামরিক সরকার, অর্থাৎ বিএনপি শাসনামলে, এমন কয়েকটি
পদক্ষেপ গৃহীত ও বাস্তবায়িত হয়েছিলো যেগুলো বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশ ও স্থায়িত্বের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। নি¤েœএদের কয়েকটি আলোচনা করা হলো :
সংসদীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন
ক্ষমতা লাভের অল্প সময়ের মধ্যে, সমগ্র জাতির আশা-আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে দলমত নির্বিশেষে ঐকমত্যের ভিত্তিতে,
সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্রের পুনঃসূচনাকে বিএনপি শাসনামলের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অর্জন
হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। নির্বাচনে জয়লাভের পর, ১৯৯১ সালের ১৯ মার্চ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসাবে
নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং পরদিন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করেন। সরকার গঠনের পর, অতি অল্প সময়ের মধ্যে, জাতীয় সংসদে
সর্বসম্মতিক্রমে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী গৃহীত হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি, চতুর্থ
সংশোধনীর আওতায় প্রবর্তিত রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার অবসান ঘটে এবং মুক্তিযুদ্ধের আশা-আকাক্সক্ষার সাথে
সঙ্গতিপূর্ণ সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন হয়। যদিও এ দাবি বি.এন.পি’র নির্বাচনী ইস্তিহারে ছিলনা। সংবিধানের
দ্বাদশ সংশোধনী শুধু যে সরকার পদ্ধতিরই পরিবর্তন ঘটায় তা নয়, এই সংশোধনী প্রতিদ্বন্দী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে
জাতীয় ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছতে সক্ষম হওয়ার অনন্য নজিরও স্থাপন করে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, সংসদে বিরোধী দলের
উপনেতার পক্ষ থেকে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী সংক্রান্তবিল উত্থাপনের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এবং সরকারি দলসহ
অন্যান্য দলগুলো জাতীয় সংসদে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পেরেছিল।
তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন
বিএনপি সরকারের শাসনামলের শেষ মুহূর্তে, অর্থাৎ ১৯৯৬ সালের ২৬ মার্চ, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে
তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের বিধানকে বাংলাদেশের সংসদীয় ব্যবস্থার ইতিহাসে অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসাবে চিহ্নিত
করা যায়। উল্লেখ্য যে, ১৯৯১ সালের তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা কোন স্থায়ী ব্যবস্থা ছিল না। বরং তা ছিল সামরিক শাসকের
হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য একটি অস্থায়ী ফর্মুলা। কিন্তু সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর ফলে তত্ত¡াবধায়ক সরকার এর
ধারণাটি একটি স্থায়ী রূপ লাভ করে। নতুন আইন অনুযায়ী, তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে একটি স্থায়ী অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা
হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। এ আইন অনুসারে সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া বা মেয়াদ অতিক্রমের ১৫ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক
তত্ত¡াবধায়ক সরকার (১ জন প্রধান উপদেষ্টা ও সর্বোচ্চ ১০ জন অন্যান্য উপদেষ্টা) নিযুক্তির বিধান করা হয়। নিয়োগপ্রাপ্ত
তত্ত¡াবধায়ক সরকারের প্রধান দায়িত্ব সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠুনির্বাচন অনুষ্ঠান পরিচালনা করা। বিধান
অনুসারে, নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যর্ন্ত তত্ত¡াবধায়ক সরকার বহাল থাকবে। যদিও তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে
স্থায়ী রূপ প্রদানের ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিদ্যমান অসহিষ্ণু মনোভাবের বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ
পেয়েছে, তথাপি এটুকু বলা যায় যেÑ অন্তর্বর্তীকালীন একটি ব্যবস্থা হিসাবে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের ধারণাটিকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার
ফলে, তাত্তি¡কভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আওয়ামী লীগ আমল, ১৯৯৬-২০০১
১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ৩০০ টি আসনের মধ্যে ১৪৬ টি
আসনে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী অন্যান্য দলের
মধ্যে বিএনপি ১১৬ টি, জাতীয় পার্টি ৩২ টি, জামায়াত-ই- ইসলামি ৩টি, জাসদ (রব) ১ টি ও ইসলামি ঐক্যজোট ১
টি আসন লাভ করে। এই নির্বাচনে মাত্র ১ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয়লাভে সমর্থ হন। উক্ত প্রার্থীর আওয়ামী লীগে যোগদান
এবং জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) ও জাসদ (রব) এর সমর্থন লাভের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ঐকমত্যের সরকার গঠন করে।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গৃহীত ও বাস্তবায়িত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নি¤œরূপ :
 নির্দলীয় ব্যক্তি হিসাবে ১৯৯১ সালের তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে রাষ্ট্রপতি পদে
নিয়োগদান।
 জাতীয় সংসদ অধিবেশন চলাকালীন সপ্তাহে একদিন প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রশ্ন-উত্তর পর্বের সূচনা। এ ছাড়াও রয়েছে,
মন্ত্রীদের পরিবর্তে সংসদ সদস্যদের সভাপতি করে বিভিন্ন সংসদীয় কমিটি গঠনের বিধান প্রবর্তন।
 ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি-বণ্টন চুক্তি (১৯৯৬) এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর সাথে শান্তিচুক্তি
(১৯৯৭) স্বাক্ষর।
 স্থানীয় সরকার কমিশন গঠনের মাধ্যমে চারস্তর বিশিষ্ট, যথা গ্রাম পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও
জেলা পরিষদ, স্থানীয় সরকার কাঠামো গ্রহণ।
 সংসদে কমিটি প্রথার উপর গুরুত্বারোপ।
 খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, বয়স্কভাতা, দুস্থ মহিলা ভাতা প্রবর্তন ইত্যাদি।
সারকথা
১৯৯১ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের ব্যবস্থায় পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের
পুনঃযাত্রা সূচিত হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠনের কৃতিত্ব অর্জন
করে। সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন বাংলাদেশের ইতিহাস অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং জাতীয় পার্টি ও জাসদ (রব)
এর সমর্থন লাভের মাধ্যমে সরকার গঠন করে। সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়।
সঠিক উত্তরের পার্শ্বে টিক ( ) চিহ্ন দিন
১। বাংলাদেশে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন কোন সালে ঘটে?
ক. ১৯৯০ খ. ১৯৯১
গ. ১৯৯২ ঘ. ১৯৯৩
২। পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হয়?
ক. ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ খ. ২৭ ফেব্রæয়ারি ১৯৯১
গ. ১৫ ফেব্রæয়ারি ১৯৯৬ ঘ. ১২ জুন ১৯৯৬
৩। জেনারেল এরশাদ কবে পদত্যাগ করেন?
ক. ১৯ নভেম্বর ১৯৯০ খ. ৪ ডিসেম্বর ১৯৯০
গ. ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ ঘ. ২৭ ফেব্রæয়ারি ১৯৯১
উত্তর : ১। খ; ২। খ; ৩। গ।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। বাংলাদেশে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের ইতিহাস বর্ণনা করুন।
২। তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিধানগুলো আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]