মানুষের নৈতিক অধিকারসমূহ কি ? মানুষের নৈতিক কর্তব্যসমূহ কি ?

অধিকারের স্বরূপ
অধিকারের ধারণাটি কম-বেশি সব নীতিবিদই বিভিন্নভাবে নীতিবিদ্যার আলোচনায় উপস্থাপন
করেছেন। উইলিয়াম লিলির মতে, আইনসঙ্গত বা নৈতিক ভিত্তির উপর নির্ভর করে কোন কিছু
পাওয়ার বা কোন নির্দিষ্ট পন্থায় কাজ করার যুক্তিসঙ্গত বা যুক্তিসম্মত দাবীকে অধিকার বলা হয়।
উল্লেখ্য যে, আইনসঙ্গত অধিকার ও নৈতিক অধিকার এক নয়। আইনসঙ্গত অধিকারের সংরক্ষণ ও
লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে বিচারালয়ে আইনের সাহায্য নেওয়ার প্রশ্ন উঠে। পক্ষান্তরে, নৈতিক অধিকার রাষ্ট্র বা
বিচারালয়ের আইনের বলে অর্জিত হয় না। নৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।
আইনসঙ্গত অধিকারের চেয়ে নৈতিক অধিকারই নীতিবিদ্যার আসল আলোচ্য বিষয়। স্মরণযোগ্য যে,
নৈতিক অধিকার সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত।
নৈতিকতার ক্ষেত্রে ব্যক্তি যেমন সমাজের উপর প্রভাব বিস্তার করে, তেমনি সমাজও ব্যক্তির নৈতিকতার
বিকাশের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। প্রয়োজন অনুসারে সমাজ মানুষের অধিকারের সীমারেখাও নির্দিষ্ট
করে দিতে পারে। মানুষের নৈতিকতা বিকাশের প্রাথমিক পদক্ষেপই হলো তার নৈতিক অধিকার।
অধিকার ব্যতিত কোন মানুষ মানবিক জীবন যাপন করতে পারে না। মানুষের নৈতিক অধিকারের দু’টি
শর্ত আছে। যথা :-
ক. সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তির বিনা বাধায় তার অধিকার ভোগ করার ক্ষমতা রয়েছে এবং খ. প্রত্যেকটি
ব্যক্তিকে তার অধিকার নিজের ও সমাজের অপরাপর ব্যক্তির কল্যাণে সঠিকভাবে ব্যবহার করা উচিত।
উলে খিত শর্ত দুটি ব্যতিত কোন অধিকারকে সমাজ স্বীকার করে নেয় না। সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত, -
গৃহীত ও অনুমোদিত নৈতিক দাবীই হলো মানুষের নৈতিক অধিকার।
মানুষের নৈতিক অধিকারসমূহ
মানুষের প্রধান কতকগুলো অধিকার রয়েছে; যেমন- ক. বাঁচার অধিকার খ. কাজ করার অধিকার, গ.
স্বাধীনতার অধিকার, ঘ. সম্পত্তির অধিকার, ঙ. শিক্ষার অধিকার, চ. চুক্তির অধিকার। নৈতিকতা
বিকাশের ক্ষেত্রে এ অধিকারগুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে থাকে বলে নীতিবিদ্যায়
এগুলোর আলোচনা করা হয়। এবার মানুষের মুখ্য অধিকারগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব।
ক. বাঁচার অধিকার : বাঁচার অধিকারই হলো মানুষের অধিকারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক
অধিকার। সুস্থ সমাজ জীবন যাপন করার অধিকার যদি মানুষ না পায়, তাহলে নৈতিকতা বা নৈতিক
প্রগতি ব্যাহত হয় এবং ফলে ব্যক্তি যেমন নিজের কল্যাণ সাধন করতে পারে না, তেমনি সে সমাজের
সার্বিক কল্যাণ সাধন করতেও ব্যর্থ হয়।
কোন কোন সময় আমরা মানুষের বাঁচার অধিকারকে অস্বীকার করি। কোন ব্যক্তি যদি তার নিজের
বাঁচার অধিকারকে ভোগ করে, তাহলে তার উচিত অপরকে বাঁচতে দেওয়ার অধিকারের প্রতি সম্মান
প্রদর্শন করা। বাঁচার অধিকার সমানভাবে না থাকলে সমাজের সার্বিক কল্যাণ সাধন করা সম্ভবপর হয়ে উঠে না।
খ. কাজ করার অধিকার : মানুষের বাঁচার অধিকারের স্বীকৃতির মধ্যেই তার কাজ করার অধিকার
নিহিত। মানুষকে প্রাণে বাঁচাতে হলে তার খাদ্য, বস্ত্র, ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হয, আর এগুলোর
সংগ্রহের জন্যে তাকে কাজ করার অধিকার দিতে হয়।
গ. স্বাধীনতার অধিকার : স্বাধীনতা হলো মানুষের একটি মৌালিক অধিকার। মানুষের ইচ্ছার স্বাধীনতা
নৈতিকতার ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য শর্ত। ব্যক্তিগত স্বাধীনার মাধ্যমেই মানুষ তার স্বীয় কল্যাণ অর্জন
করতে পারে। অবশ্য ব্যক্তি-স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে, ব্যক্তি তার খেয়াল-খুশী অনুযায়ী কাজ
করবে। ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থই হলো নিজের স্বাধীনতা ও স্বর্কীয়তাকে রক্ষার জন্যে অপরের
স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করে তার স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধার ভাব পোষণ করা।
ঘ. সম্পত্তির অধিকার : মানুষের নৈতিকতার জন্যে যেমন তার স্বাধীনতার প্রয়োজন, তেমনি সম্পত্তির
অধিকারও মানুষের জীবনের স্বাধীনতা বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। সম্পত্তির অধিকার মানুষের নিজের
মঙ্গলের সাথে সাথে সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্যেও যুক্তিসঙ্গতভাবে ব্যবহার করার বিষয়কে জড়িত
করে।
ঙ. শিক্ষার অধিকার : শিক্ষা অর্জনের অধিকারের স্থান মানুষের বাচাঁর অধিকারের পরেই। শক্তি-
সামর্থ্যনুযায়ী শিক্ষা লাভের অধিকার মানুষের জম্মগত। শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে কারোও
পক্ষে সমাজের সার্বিক কল্যাণ সাধন করা কষ্টসাধ্য। সুষ্ঠু শিক্ষার চর্চা ও অনুশীলনের মাধ্যমেই ব্যক্তি
ও সমাজের কল্যাণ নিহিত। শিক্ষার এ দিকটিকে লক্ষ্য করেই সক্রেটিস বলেন যে, জ্ঞানই সদগুণ।
চ. চুক্তির অধিকার : সমাজে বসবাস করতে হলে চুক্তির অধিকার থাকা খুবই প্রয়োজনীয়। নৈতিকতা
আমাদের স্বাধীনতার উপর নির্ভর করে এবং মানুষের স্বাধীনতাই মানুষকে তার সম্পত্তি এবং কাজ
করার অধিকার রক্ষা করার জন্যে অপরের সাথে চুক্তি বন্ধনে আবদ্ধ করে। সম্পত্তি থাকলে তাকে রক্ষা
করার বা কাজ করার অধিকারের জন্যে চুক্তি খুবই আবশ্যক।
কর্তব্যের স্বরূপ
অধিকার ও কর্তব্য সমাজস্থ মানুষের সঙ্গে জড়িত। আমরা যেসব নৈতিক অধিকার ভোগ করি সেই
অধিকারগুলোই পরোক্ষভাবে আমাদের উপর কর্তব্য চাপিয়ে দেয়।
আমার বাচাঁর অধিকার যেমন আমার কাছে খুবই প্রয়োজনীয়, তেমনি আমার মতো অন্য ব্যক্তিও যাতে
বাঁচতে পারে, সে দিকে খেয়াল রাখাও আমাদের মৌলিক কর্তব্য। নৈতিক নিয়ম অনুযায়ী যেসকল
কাজ আমাদের করা উচিত সেগুলোকে কর্তব্য বলা হয়। নৈতিক দায়িত্ববোধের সাথে নৈতিক
কর্তব্যবোধ সম্পৃক্ত এবং নৈতিক কর্তব্যবোধের সাথে কর্তব্য সম্পাদিত করার নৈতিক বাধ্যতাবোধ সম্পৃক্ত।
কর্তব্য হচ্ছে মানুষের এমন এক নীতিনিষ্ঠ আচরণ, যা সকল সময়ই সর্বপ্রকার মানুষ পালন করতে
বাধ্য থাকে। নৈতিক কর্তব্য নিয়মিত পালন করার মানসিক প্রবণতা বা অভ্যাস থেকেই মানুষের মধ্যে
সদগুণ গড়ে উঠে এবং কর্তব্য সম্পাদনের মধ্য দিয়েই সদগুণ প্রকাশিত হয়ে থাকে। কর্তব্যের স্বরূপ
প্রসঙ্গে ম্যাকেনজী বলেন যে, কর্তব্য হচ্ছে এমন এক বিশেষ ধরণের কাজ- যা আমাদের করা উচিত।
কর্তব্যের কতকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন :
১. কর্তব্য হচ্ছে ন্যায় কাজ, যা অনেক লোকই পরিহার করতে প্রবৃত্ত হয় ;
২. কাজটি যে করছে তার চেয়ে অন্যের উপরই কর্তব্যের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল বর্তে বলেই
আমাদের মধ্যে কর্তব্যকে পরিহার করার প্রবণতা দেখা দেয় ;
৩. কর্তব্য এমনভাবে অনুমোদনের ভাবাবেগ উদ্রেক করে, যা নিছক ন্যায় কাজ করে না।
কর্তব্যকে কেউ কেউ তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেন ; যেমন-আত্মকেন্দ্রিক, পরকেন্দ্রিক ও আদর্শ
কেন্দ্রিক। আবার কেউ কেউ দু’ধরনের কর্তব্যের কথা বলেছেন, যেমন- নির্দিষ্ট ও অনির্দিষ্ট। নির্দিষ্ট
কর্তব্যের ক্ষেত্রে ব্যক্তির জ্ঞান সুষ্পষ্ট থাকে। পক্ষান্তরে অনির্দিষ্ট কর্তব্যের ক্ষেত্রে ব্যক্তির সুষ্পষ্ট জ্ঞান থাকে না। মানুষের নৈতিক কর্তব্যসমূহ
মানবোচিত জীবন যাপনের জন্য মানুষের যেমন কতকগুলো মৌলিক অধিকার রয়েছে, তেমনি
সমাজের প্রতিও মানুষের কতকগুলো কর্তব্য রয়েছে। ম্যাকেন্জী মানুষের প্রধান প্রধান কর্তব্যের মধ্যে
নিæলিখিত কর্ত্যব্যগুলোকে মানুষের মৌলিক কর্তব্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যেমন:-
ক. জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা : ‘হত্যা কান্ডে লিপ্ত থাকা উচিত নয়’- এ আদেশটি পালন করা হচ্ছে মানুষের
একটা প্রধান নৈতিক কর্তব্য। সমাজে কোন ব্যক্তির যেমন বাচাঁর অধিকার রয়েছে তেমনি অপর
ব্যক্তিরও বাচাঁর অধিকার রয়েছে। আমাদের জীবনের প্রতি আমাদের যেমন শ্রদ্ধা রয়েছে তেমনি অপর
ব্যক্তির জীবনের প্রতিও শ্রদ্ধা থাকা আমাদের কর্তব্য।
খ. স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা : ব্যক্তির নিজের ও অপরের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ব্যক্তির আরেকটি
প্রধান কর্তব্য। দাসত্ব, স্বেচ্ছাচারীতার স্বরূপই হচ্ছে নীতি-বিগর্হিত কাজ এবং এ ধরনের কাজ
আমাদের কর্তব্যের পরিপন্থী।
গ. চরিত্রের প্রতি শ্রদ্ধা : কেবল জীবন ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনই আমাদের কর্তব্য নয় বরং
চরিত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধও আমাদের আরেকটি কর্তব্য। হেগেল বলেন, মানুষ হও এবং অপরকে মানুষ
হিসেবে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করো।
ঘ. সম্পত্তির প্রতি শ্রদ্ধা : নিজের সম্পত্তি নষ্ট করা বা অপব্যবহার করা যেমন অন্যায় তেমনি অপরের
সম্পত্তির ব্যবহার বা হরণও অন্যায় বলে মনে করা আমাদের কর্তব্য। সুতরাং নিজের সম্পত্তিকে রক্ষা
করা যেমন আমাদের কর্তব্য, তেমনি অপরের সম্পত্তি রক্ষা করাও আমাদের সবার নৈতিক কর্তব্য।
ঙ. সামাজিক নিয়ম-শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা : নৈতিক প্রগতির স্বার্থে প্রত্যেক সমাজ তার সদস্যদের
সুবিধা ও অসুবিধার বিবেচনা করে তার উপর কতকগুলো বিধি-নিষেধ আরোপ করে থাকে। সমাজের
এসব বিধি-নিষেধ পালন করা সমাজস্থ সদস্যদের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। তাই সুস্থ সমাজ জীবনের
জন্যে সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা করা প্রত্যেকটি মানুষের কর্তব্য।
চ. সত্যের প্রতি শ্রদ্ধা : মিথ্যা বলা উচিত নয়- এ নৈতিক নিয়মটি দু’টি বিষয়ের উল্লেখ করে। এক
দিকে নৈতিক নিয়মটি বলে যে, আমাদের কথার সঙ্গে কাজের সঙ্গতি থাকা দরকার। অপরদিকে এই
নৈতিক নিয়মটি বলে যে, আমাদের চিন্তার সঙ্গে আমাদের কথার সঙ্গতি থাকা দরকার। তাই সত্যের
প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে আমাদের চিন্তা, কথা ও কাজের মধ্যে সঙ্গতি থাকা একান্ত কর্তব্য।
ছ. প্রগতির প্রতি শ্রদ্ধা : প্রগতিতে বিশ্বাস রেখে, প্রগতি অনুসারে কাজ করাও আমাদের একটা প্রধান
নৈতিক কর্তব্য। অবশ্য কাজ হচ্ছে এক ধরনের প্রার্থনা বা উপাসনা। কাজেই সমাজের প্রগতির স্বার্থে
সাধ্য অনুযায়ী কাজ করা প্রত্যেক মানুষের কর্তব্য। আর একেই বলে প্রগতির প্রতি শ্রদ্ধা।
কর্তব্যের বিরোধিতা
দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে মানুষ তার বৈচিত্র্যময় জীবনে বিচিত্রধর্মী কর্তব্যের সম্মুখীন হয়ে থাকে।
বিভিন্ন ধরনের কর্তব্যের মধ্য থেকেই আমরা জীবন রক্ষা করা ও সত্য কথা বলাকে নৈতিক কর্তব্য
বলে ধরে নেই। কিন্তু অনেক সময় এ দু‘টি কর্তব্যের মধ্যে বিরোধিতা দেখা যায়। অর্থাৎ সত্য কথা
বলা এবং অন্যের জীবন রক্ষা এ দু‘টি কর্তব্যের মাঝে বেশীর ভাগ সময়ই বিরোধিতা লক্ষ্য করা যায়।
যখনি আমরা এক কর্তব্য পালন করতে গিয়ে আরেক কর্তব্যের সম্মুখীন হয়ে পড়ি তখন তাকে
কর্তব্যের বিরোধিতা বলা হয়।
বিভিন্ন নীতি-দার্শনিকগণের মতে কর্তব্যের মধ্যে কোন বিরোধিতা থাকতে পারে না। মানুষ বুদ্ধিবৃত্তি
সম্পন্ন জীব। এ বিচার-বুদ্ধিই কর্তব্যের মধ্যে কোন বিরোধিতা সৃষ্টি করে না। উদাহরণস্বরূপ গ্রীণ
বলেন যে, বাস্তবে কর্তব্যের বিরোধিতা বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই। কিন্তু সমালোচকদের কেউ
কেউ আবার এ-ও উল্লেখ করেন যে, নৈতিক আদর্শের মধ্যে কর্তব্যের কোন বিরোধিতা নেই। কামনা,
বাসনা, ভাবাবেগ, ব্যক্তিগত স্বার্থ প্রভৃতির দ্বারা চালিত হয়ে আমরা অনেক সময় কর্তব্যের বিরোধিতা
সম্মুখীন হই। কিন্তু বিচার বিবেচনার ক্ষেত্রে নৈতিক আদর্শে পৌছার ক্ষেত্রে এসকল বিষয়গুলোর কোন
স্থান নেই, সেহেতু যথার্থ নৈতিক আদর্শের ক্ষেত্রে কর্তব্যের বিরোধিতার প্রশ্ন অবান্তর।
নৈতিক বিচারে আত্মোপলদ্ধি যদি মানুষের যথার্থ নৈতিক আদর্শ বা সর্বোচ্চ কর্তব্য হয় তাহলে তার
মধ্যে কর্তব্যের বিরোধিতা থাকতে পারে না। কারণ আত্মোপলদ্ধি তখনই সম্ভব হয় যখন তার মধ্যে
কোন বিরোধিতা থাকে না। তাই এটা বলা হয়ে থাকে যে, ব্যক্তি সুষ্ঠু বিচার-বিবেচনার মাধ্যমে
কর্তব্যের বিরোধিতাকে দূরীভুত করতে পারে।
সারকথা:
নৈতিক ভিত্তির উপর বা আইনসঙ্গতভাবে কোন কিছু পাওয়ার বা কোন নির্দিষ্ট পন্থায় কাজ করার
যুক্তিসঙ্গত বা যুক্তিসম্মত দাবিকে অধিকার বলা হয়। তবে আইনসঙ্গত অধিকার ও নৈতিক অধিকার
এক নয়। নৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কোন নিয়ন্ত্রণ নাই। নৈতিক অধিকার সমাজ কর্তৃক
স্বীকৃত। মানুষের নৈতিক অধিকারসমূহের মধ্যে রয়েছে বাঁচার অধিকার, কাজ করার অধিকার,
স্বাধীনতার অধিকার, সম্পত্তির অধিকার, শিক্ষার অধিকার চুক্তির ইত্যাদি। নৈতিকতার বিকাশের
ক্ষেত্রে এ অধিকারগুলো বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে থাকে। তাই মানুষের নৈতিক বিকাশের প্রাথমিক
পদক্ষেপ হলো তার নৈতিক অধিকার।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :
সঠিক উত্তরটি লিখুন
১. মানুষের নৈতিক অধিকারের শর্ত কয়টি ?
ক. দুইটি
খ. তিনটি
গ. চারটি
ঘ. পাঁচটি।
২. কর্তব্য কি ?
ক. নীতিনিষ্ট আচরণ
খ. অপরিহার্য আচরণ
গ. আবশ্যকীয় প্রাপ্তি
ঘ. দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাপ্রদর্শন।
৩. নৈতিকতার ক্ষেত্রে মানুষের ইচ্ছার স্বাধীনতা কি ধরনের শর্ত?
ক. আরিহার্য
খ. মূখ্য
গ. গৌণ
ঘ. উপরের কোনটি না।
৪. নৈতিক দায়িত্ববোধের সাথে কিসের সম্পৃক্ততা জরুরি?
ক. নৈতিক চরিত্রের
খ. নৈতিক প্রগতির
গ. নীতিহীনতার
ঘ. নৈতিক কর্তব্যবোধের।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমুলক প্রশ্ন :
১. অধিকার কাকে বলে ?
২. কর্তব্য কাকে বলে ?
রচনামূলক প্রশ্ন :
১. মানুষের নৈতিক অধিকারসমূহ কি ? আলোচনা করুন।
২. মানুষের নৈতিক কর্তব্যসমূহ কি ? ব্যাখ্যা করুন।
উত্তর : ১. ক ২. ক, ৩. ক, ৪. খ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]