দেশপ্রেমের বাস্তব উপাদান ও বস্তুগত ভিত্তি কি কি?দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের পারস্পরিক সম্পর্ক

দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদের ধারণা
দেশপ্রেম : দেশপ্রেম মূলত: একটি অনুভ‚তি, একটি ভাবগত ধারণা। নিজের দেশকে মানুষ তার
পিতৃভ‚মি বা মাতৃভ‚মি বলে মনে করে। কেননা, এ ভ‚মিই তার পূর্ব পুরুষের আবাসস্থল ছিল। এ ভ‚মিতে
তারও জন্ম হয়েছে এবং এ ভ‚মির প্রকৃতি ও পরিবেশের মধ্য দিয়েই তার জীবনের বিকাশ ঘটে থাকে।
এ কারণে নিজেদের দেশ নামক ভ‚খন্ডকে প্রত্যেকে তার জন্মভ‚মি হিসেবেও গণ্য করে। নিজের
জন্মভ‚মির প্রতি মানুষের একটি স্বাভাবিক আকর্ষণ গড়ে ওঠে। দেশের প্রতি তার মনে মমত্ববোধ বা
ভালোবাসা জন্ম নেয়। এ মমত্ববোধ বা ভালোবাসার নামই হল দেশপ্রেম।
তবে দেশপ্রেমকে শুধু দেশের প্রতি বিমূর্ত আবেগ হিসেবেই গণ্য করা হয় না। দেশপ্রেমের কিছু বাস্তব
উপাদান ও বস্তুগত ভিত্তি রয়েছে। দেশের নিরপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সচেষ্ট থাকা, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখায় সহায়তা করা এবং দেশের সার্বিক অগ্রগতি ও উন্নতি বিধানে কার্যকর ভ‚মিকা
পালনের মধ্য দিয়ে দেশপ্রেম মূর্ত হয়ে উঠে। দেশের সম্পদ রক্ষা করা, দেশের আইন মান্য করা, দেশ
বিরোধী তৎপরতা প্রতিহত করা এবং দেশের স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করা একজন দেশপ্রেমিকের
দায়িত্ব। মানুষ যেমন নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সজাগ থাকে, তেমনি তার কর্তব্য সম্পর্কেও সচতন
থাকে। অধিকার ও কর্তব্যবোধের মধ্য দিয়েই দেশপ্রেমের বাস্তব ভিত্তি গড়ে ওঠে। এদিক থেকে
বিবেচনা করলে দেশের প্রতি অনুভ‚তি ও দেশের জন্যে কর্তব্য সম্পাদনের মানসিক প্রস্তুতিই হল
দেশপ্রেম।
জাতীয়তাবাদ : জাতীয়তাবাদ দেশপ্রেমের মতোই একটি ভাবগত ধারণা, একটি মানসিক অনুভ‚তি।
যদি কোন একটি জনগোষ্ঠীভুক্ত মানুষেরা নিজেদের রাজনৈতিক ইতিহাস, অতীতের স্মৃতি, ঐতিহ্য
এবং আশা-আকাক্সক্ষার মধ্যে মিল খুঁজে পায় তখন তাদের মধ্যে ঐক্যের অনুভ‚তি গড়ে ওঠে। ঐক্যের
অনুভ‚তি বা ঐক্যসাধনকারী ধারণা থেকেই একটি জনগোষ্ঠী নিজেদেরকে এক ও অভিন্ন বলে মনে
করে। ঐক্য সাধনকারী জনগোষ্ঠী এক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যকার সাদৃশ্য এবং অন্যের সাথে বৈসাদৃশ্য
সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। ফলে তারা নিজেদেরকে অন্যান্য মানব গোষ্ঠী থেকে স্বতন্ত্র ও বিচ্ছিন্ন
বলে ভাবতে শেখে। কোন জনগোষ্ঠীর নিজেদের মধ্যে একাত্ম ও ঐক্যবদ্ধ হবার এবং অন্যদের থেকে
নিজেদের ভিন্ন মনে করার ও পৃথক থাকার এই যে অনুভ‚তি বা প্রচেষ্টা প্রকৃত অর্থে সেটাই হল
জাতীয়তাবাদ। তবে একটি জনগোষ্ঠী যদি নিজেদের জন্যে সুনির্দিষ্ট বাসভ‚মি গড়ে তুলতে না পারে
কিংবা সে ব্যাপারে সচেতন ও সচেষ্ট না হয় তাহলে জাতীয়তাবাদ পূর্ণতা লাভ করতে পারেনা। অর্থাৎ
কোন জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্রগঠন প্রক্রিয়ার সাথে জাতীয়তাবাদের ধারণা সম্পর্কযুক্ত। জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার
মধ্য দিয়েই মূলত: জাতীয়তাবাদ সম্পূর্ণতা লাভ করে। আধুনিককালে দেশ ও জাতি এ দু’টি প্রত্যয়
অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। দেশ ছাড়া জাতি কিংবা জাতি ছাড়া দেশ কোনটাই প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয়।
একারণেই লাস্কি বলেছেন, মানুষের মধ্যে একত্রিত হয়ে বসবাস করার প্রবৃত্তি এবং নিজস্ব শাসন
ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রবণতা থেকেই জাতীয়তাবাদের জন্ম হয়।
দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের পারস্পরিক সম্পর্ক:
দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদ নামক ধারণা দু’টি ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। দেশপ্রেমের মানসিকতার কারণেই
জাতীয়তাবাদের চেতনা গড়ে ওঠে। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী চেতনার ফলেই দেশপ্রেম জাগ্রত হয়।
নিজের দেশের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসার নামই দেশপ্রেম। আর জাতীয়তাবাদ হল একটি জনগোষ্ঠীর মধ্যেকার ঐক্যের অনুভ‚তি। দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদ উভয়ই মূলতঃ ভাবগত ধারণা।
কাজেই এ বিষয় দু’টিকে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব নয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জে. এইচ. হায়েসের মতে,
জাতীয়তাবাদ হল জাতীয়তা ও দেশপ্রেম এ দু’টি আধুনিক অনাসক্ত বিষয়ের এক আবেগময় সমম্বয় ও
অতিরঞ্জিতকরণ।
বস্তুত: কোন জনগোষ্ঠী একটি ভৌগোলিক সীমার মধ্যে নিজেদের আশা-আক্সক্ষা এবং স্বাধীকার ও
আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা থেকে নিজেদের জন্য রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলে। এ রাজনৈতিক
সংগঠনই হল জাতি-রাষ্ট্র। একদিকে জাতি-রাষ্ট্র গড়ে তোলা, অন্যদিকে এই জাতি-রাষ্ট্রকে টিকিয়ে
রাখা এবং তাকে বিকশিত করার জন্যেও জনসমষ্ঠীর মধ্যে তীব্র অনুভ‚তি জন্ম নেয়−যার নাম
দেশপ্রেম। অপরদিকে, এক বা একাধিক কারণে যখন কোন জনসমাজের মধ্যে একাত্মবোধ সৃষ্টি হয়
তখন তারা প্রত্যেকে সুখ-দু:খ, ন্যায়-অন্যায়, মান-অপমানের সমান অংশীদার বলে ভাবতে থাকে।
জনসমষ্টির মধ্যেকার সম্মিলিত ভাবনার সাথে দেশ- প্রেমের অনুভ‚তি যুক্ত হলেই রাজনৈতিক আদর্শ
হিসেবে জাতীয়তাবাদ পরিপুষ্ট হয়। অর্থাৎ জাতীয়তাবাদের অনুভ‚তি থেকে দেশপ্রেমের অনুভ‚তি গড়ে
ওঠে, আর দেশপ্রেমের অনুভ‚তি জাতীয়তাবাদকে পূর্ণতা দেয়। কাজেই এ বিষয় দু’টি একে অপরের
পরিপুরক।
এখন আমরা জাতীয়তাবাদ বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে দেশপ্রেমের ভ‚মিকা নিয়ে আলোচনা করব।
অধ্যাপক লুই সিন্ডার (খড়ঁরং ঝুহফবৎ) জাতীয়তাবাদ বিকাশের যে চারটি পর্যায়ের উল্লেখ করেছেন
তা হল :
১. ঐক্যসাধনকারী জাতীয়বাদ, যার সময়কাল ১৮১৫ থেকে ১৮৭১ সাল;
২. বিভেদকামী জাতীয়তাবাদ, যার সময়কাল ১৮৭১ থেকে ১৮৯০ সাল;
৩. আগ্রাসী জাতীয়তাবাদ, যার সময়কাল ১৯০০ থেকে ১৯৪৫ সাল এবং
৪. প্রতিক জাতীয়তাবাদ, ১৯৪৫ সাল থেকে যার সূচনা।
প্রথম পর্যায়ে ইতালি ও জার্মানির ঐক্যসাধনের প্রয়োজনীয়তা থেকে জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
এ সময়ে স্পেন ও ফ্রান্সের স্থিতিশীলতা ও সুশাসনের অভিজ্ঞতা এবং ইতালি-জার্মানির অস্থিতিশীলতা
ও অপশাসনের প্রেক্ষাপটে যে দেশপ্রেম জাগ্রত হয়েছিল তা থেকেই জাতীয়তাবাদের চেতনা গড়ে
ওঠে। দ্বিতীয় পর্যায়ে অস্ট্রো-হাঙ্গেরি সাম্রাজ্যের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের পরিবর্তে সুশাসন নিশ্চিত করার
জন্যই বৃহৎ সাম্রাজ্য ভেঙ্গে জাতি-রাষ্ট্র গড়ে তোলার অভিপ্রায় জেগে ওঠে যার মূল দেশপ্রেমের গভীরে
নিহিত। তৃতীয় পর্যায়ে পরস্পর বিরোধী জাতীয় স্বার্থের ধারণা বা জাতীয়তাবাদী দ্ব›দ্ব থেকে যে দু’টি
বিশ্বযুদ্ধ সংগঠিত হল তার নেপথ্যেও ছিল উগ্র দেশপ্রেম। চতুর্থ পর্যায়ে বা সাম্পতিককালের
জাতীয়তাবাদ ঔপনিবেশিক শাসন হতে মুক্তির লড়াই তথা স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গড়ে
উঠেছে যা উপনিবেশের জনসাধারণের তীব্র দেশেপ্রেমেরই ফলশ্রুতি।
এ আলোচনায় স্পষ্ট যে, বিভিন্ন পর্যায়ে জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটেছে মূলত: দেশ প্রেমের অনুভ‚তির
জন্যে। শুধু জাতীয়তাবাদের বিকাশের ক্ষেত্রেই নয়, জাতীয়তাবাদের অস্তিত্ব রক্ষা তথা জাতি-রাষ্ট্র
ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রেও দেশপ্রেম একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক শক্তি। দেশপ্রেমের অনুভ‚তি না
থাকলে মানুষ ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত স্বার্থে পরিচালিত হতো। ফলে জাতি-রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারতো
না। দেশপ্রেমের কারণে মানুষ অনেক সময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে। এ
কারণেই জাতীয়তার চেতনা কিংবা জাতি- রাষ্ট্রের ধারণা এখনও অবলুপ্ত হয়নি।
দেশপ্রেম জাতীয় নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। দেশপ্রেমের
কারণে জাতীয় স্বাধীনতা টিকে থাকে এবং অন্যের আধিপত্য হতে নিজ জাতির আত্মরক্ষা ও
আত্মনিয়ন্ত্রণে যে কোন জনসমাজ উদ্বুদ্ধ হয়। শুধু অস্তিত্ব রক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, জাতীয় অগ্রগতি অর্জন
এবং জাতীয় মর্যাদা রক্ষায়ও জাতীয় জনসমাজ আগ্রহী হয়ে উঠে দেশপ্রেমের কারণেই। এ থেকে স্পষ্ট
যে, জাতীয়তাবাদের বিকাশ এবং জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার মূল চেতনাই হচ্ছে দেশপ্রেমের চেতনা।
এবার আমরা দেখবো জাতীয়তাবাদ কিভাবে দেশপ্রেমকে জাগ্রত করে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের
অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, জাতীয়তাবাদী চেতনা প্রবল হয়ে উঠলেই সেখানে গোষ্ঠীগত ও সম্প্রদায়গত
মনোভাব দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গী গড়ে ওঠে। জাতীয় সংহতি সুদৃঢ় হয়। জাতীয়
দৃষ্টিভঙ্গী এবং জাতীয় সংহতি প্রতিষ্ঠা দেশেপ্রমেরই অভিব্যক্তি।
এছাড়া, জাতীয়তাবাদী অনুভ‚তি যত তীব্র হয়ে উঠবে, মানুষ জাতি ও জাতি-রাষ্ট্রের ভাগ্যের সাথে
নিজেকে তত বেশি সম্পৃক্ত করবে। এর ফলে নিজ দেশের প্রতি তার মমত্ব ও দায়িত্বের মাত্রাও
স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যাবে। ব্যক্তি তখন সার্বিক জাতীয় স্বার্থে ভ‚মিকা পালনে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
অর্থাৎ দেশের প্রতি মানুষের যে আনুগত্য এবং দেশের স্বার্থ রক্ষায় মানুষের যে প্রচেষ্টা তা
জাতীয়তাবদী অনুভ‚তি থেকেই জন্ম নেয়। এছাড়া, দেশের সমস্ত মহৎ সৃষ্টি, প্রতীক ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি
মানুষের যে আগ্রহ ও ভালোবাসা তা জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গী ও জাতীয়তাবাদী চেতনার কারণেই জাগ্রত হয়।
পৃথিবীর যেসকল দেশে জাতীয়তাবাদ এবং দেশপ্রেমের সমম্বয় ঘটেছে সেসকল দেশে রাষ্ট্রীয় সংহতি
ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এমনকি সে সকল দেশ বৈষয়িক দিক থেকেও ব্যপক উন্নতি
করেছে। যেমন ফ্রান্স, জার্মানী, জাপান। কিন্তু যে সকল দেশে জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের সুসমম্বিত
বিকাশ ঘটেনি সে সকল দেশের রাষ্ট্রীয় সংহতি ও স্থিতিশীলতা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বৈষয়িক দিক
দিয়েও তারা সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে নি। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে সোমালিয়া, আফগানিস্তান
প্রভৃতি দেশের নাম উল্লেখ করা যায়।
তবে একথাও ঠিক যে, উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং উগ্র দেশপ্রেম অনেক সময় অন্য জাতি ও অন্য রাষ্ট্রের
স্বাধীনতা ও অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান জাতীয়তাবাদ এবং
দেশপ্রেমের আতিশয্য সমস্ত মানব সমাজকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে তুলেছিল। জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের
নামে সাম্রাজ্য বিস্তার এবং আধিপত্য প্রতিষ্ঠার বাসনা অন্যের দেশপ্রেমকে প্রচন্ডভাবে আঘাত করতে
পারে। এ ধরণের ঘটনা ও পরিস্থিতি মানব সভ্যতার জন্যে হুমকিস্বরূপ। কাজেই কোন জনগোষ্ঠীর
জাতীয়তাবাদী চেতনা ও দেশপ্রেম যাতে উগ্র রূপ লাভ না করে তা এক্ষেত্রে বিবেচনার বিষয়।
জাতীয়তাবাদের স্বাভাবিক বিকাশ এবং দেশপ্রেমের ইতিবাচক প্রকাশই মানব সমাজ ও জাতি-রাষ্ট্র
ব্যবস্থার ভিত্তিস্বরূপ। এ ভিত্তি ভেঙ্গে পড়লে মানব সমাজ জাতীয় জনসমাজ হিসেবে যেমন টিকে
থাকতে পারবে না, তেমনি জাতি-রাষ্ট্র ব্যবস্থাও পাল্টে যাবে। বিশ্বব্যবস্থা বিন্যস্ত হবে নতুন ভাবে।
সারকথা:
দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদ উভয়ই একটি ভাবগত ধারণা। কোন জনগোষ্ঠীর নিজেদের মধ্যকার
ঐক্যের অনুভ‚তি থেকে জাতীয়তার জন্ম হয় এবং সেই জনগোষ্ঠী রাষ্ট্র বা দেশ গঠনে অগ্রহী হয়ে
ওঠে। অন্যদিকে সেই দেশের প্রতি মানুষের স্বাভাবিক আকর্ষণ বা মমত্ববোধ গড়ে ওঠে জাকে বলা হয়
দেশপ্রেম। মূলত: জাতীয়তাবাদ হল জাতীয়তা ও দেশপ্রেম এ দুটি আধুনিক অনাসক্ত বিষয়ের এক
আবেগময় সমন্বয় ও অতিরঞ্জিতকরণ। জাতীয়তাবাদের স্বাভাবিক বিকাশ মানুষের জন্য কল্যাণকর, কিন্তু উগ্র জাতীয়তাবাদ ক্ষতিকর।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :
সঠিক উত্তরটি লিখুন।
১। জে. এইচ. হায়েসের মতে জাতীয়তাবাদ কোন্ দু’টি বিষয়ের আবেগময় সমন্বয়?
ক) জাতীয়তা ও দেশপ্রেম
খ) রক্তের বন্ধন ও গোষ্ঠীচেতনা
গ) জাতীয়তা ও মানবিকতা
ঘ) ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র।
২। ঐক্যসাধনকারী জাতীয়তাবাদের সময়কাল কোন্টি?
ক) ১৮১৫ থেকে ১৮৭১
খ) ১৮৭১ থেকে ১৮৯০
গ) ১৯৪৫ থেকে ১৯৭৯।
ঘ) ১৯৮০-১৯৯৭।
৩। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোন জাতীয়তাবাদ মানব সমাজকে ভীত সন্ত্রস্ত করে তুলেছিলে?
ক) úাভ জাতীয়তাবাদ
খ) রোমান জাতীয়তাবাদ
গ) জার্মন জাতীয়তাবাদ
ঘ) ফরাসী জাতীয়তাবাদ।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন :
১। দেশপ্রেমের বাস্তব উপাদান ও বস্তুগত ভিত্তি কি কি?
২। লুই সিন্ডার-এর মতে জাতীয়তাবাদ বিকাশের পর্যায় কয়টি ও কি কি?
রচনামূলক প্রশ্ন :
১। দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিরুপন করুন।
উত্তারমালা: ১. গ, ২. ক, ৩. গ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]