দাস সমাজ ও সামন্ত বাদী সমাজ সম্পর্কে আলোচনা করুন।

মানব সমাজের ইতিহাস ক্রমবিকাশের ইতিহাস। সমাজ-সংস্কৃতি, রাজনীতি ও অর্থনীতি প্রতিনিয়তই
পরিবর্তিত হচ্ছে। পরিবর্তন চিরন্তন। সমাজ পরিবর্তনের অনিবার্য ধারায় মানুষের চিন্তাজগতেও
এসেছে পরিবর্তন। যুগান্তকারী পরিবর্তন এবং মানব সমাজের ক্রমবিকাশের বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম
করে আমরা উপনীত হয়েছি আধুনিক সমাজব্যবস্থায়। মানুষের সংঘব্ধ প্রচেষ্টার ফসল হচ্ছে আধুনিক
সমাজব্যবস্থা। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠজীব মানবজাতির ঐক্যবদ্ধ জীবন সংগ্রামের বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে এই ইউনিটে আলোচনা করা হয়েছে।
সমাজের ঐতিহাসিক ক্রম বিকাশ মানব সমাজ পরিবর্তনশীল । দুনিয়াতে একদিন আদিম সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা ছিল। তখন সমাজ
ছিল অনুন্নত। সভ্যতার ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে আদিম সমাজ ভেঙ্গে দাস সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
সমাজে দেখা দিল দু’শ্রেণীর মানুষ-দাস ও দাস-মালিক। পরবর্তীকালে দাস সমাজ ভেঙ্গে সামন্তবাদী
সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়। সমাজে দেখা দিল শোষণ। সামন্তবাদী সমাজে মানুষের উত্তরণ এক বিরাট
পদক্ষেপ। অগনিত শ্রমিক ও দরিদ্রের শ্রমে অনাবাদী জমি ও অরন্যকে শষ্যক্ষেত্র ও ফলোদ্যানে
রুপান্তরিত করা সম্ভব হয়েছিল। সম্ভব হয়েছিল নগর নির্মান এবং সমুদ্রপথে দূর দূরান্তে পাড়ি দেওয়া।
সমাজ পরিবর্তনের ধারায় সামন্তবাদী সমাজ ভেঙ্গে ধনতান্ত্রিক সমাজের জন্ম হয়। আর বর্তমান
দুনিয়ার অনেক দেশে ধনতান্ত্রিক সমাজের বদলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সমাজতান্ত্রিক সমাজ।
মানব সমাজের এই ক্রম বিকাশের মূলে ছিল মানুষের সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত সমাজ
বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক এঙ্গেঁল্স উল্লেখ করেছেন যে, “শ্রমই মানুষকে মানুষ করেছে”।
আদিম সাম্যবাদী সমাজ:
মানব সমাজের বিকাশের গোড়ায় ছিল আদিম সাম্যবাদী সমাজ। বিকাশের এ স্তরে উৎপাদনের
অভিজ্ঞতা ছিল খুবই সীমাবদ্ধ ও অনুন্নত। যেহেতু উৎপাদিকা শক্তি অনুন্নত ছিল তাই মানুষ গাছের
ফলমূল, মাছ শিকার করা জন্তুর মাংস খেয়ে জীবন ধারণ করত। দৈহিক শক্তি ছিল বেঁচে থাকার এক
মাত্র অবলম্বন। বন্য জন্তুর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা করতে হত দলবদ্ধভাবে। তখন মানুষের পক্ষে
বিচ্ছিন্নভাবে জীবিকা অর্জন ও বেঁচে থাকা সম্ভব ছিল না। সকলে মিলে যৌথভাবে প্রয়োজনীয় দ্রব্য
সংগ্রহ করত। আদিম মানুষের সংঘবদ্ব জীবন যাপন ও পরিশ্রমের বদৌলতে তারা প্রকৃতির বিরুদ্বে
জয়লাভ করেছিল। তখন সমাজের উৎপাদনের উপকরনের ওপর ব্যক্তিগত মালিকনার ধারণা আসেনি।
শুধু আত্মরক্ষা ও উৎপাদনের জন্য হাতিয়ার থাকতো প্রত্যেকের। এই সমাজে শ্রেণী শোষণ ছিল না
শাসক রুপে আলাদা একদল লোকের কোন অস্তিত্ব ছিল না। এজন্যেই আদিম যৌথ সমাজকে বলাহয়
আদিম সাম্যবাদী সমাজ।
আদিম সমাজের মানুষ ছোট ছোট পারিবারিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে বসবাস করতো। ক্রম বিকাশের
নি¤œ স্তরে তারা অসভ্য অবস্থায় জীবন যাপন করত। আদিম সমাজ ব্যবস্থা মধ্যযুগ পর্যন্ত অঞ্চল
নির্বিশেষে বিকাশের একই স্থরে ছিল। আদিম মানুষের জীবন ছিল ভয়ানক কষ্টের। বিপদ ছিল পদে
পদে। আদিম মানুষের পক্ষে একক বিচ্ছিন্ন বসবাস করা সম্ভব ছিল না। তখনকার মানুষ দল বেধেঁ,
হাতে লাঠি ধারালো পাথুরে অস্ত্র আর শাবল নিয়ে খাদ্য সংগ্রহে বের হতো।
আদিম মানুষের প্রথম বাসস্থান ছিল অন্ধকার স্যাঁতসেতে পর্বত ও গুহা। অগ্নিকুন্ডের পাশে বসে তারা
দেহটাকে গরম রাখতো। আদিম মানুষ ঝড়, বন্যা ও অসুখ বিসুখে খুব অসহায় বোধ করতো। বৃষ্টি,
বজ্রপাত, আগ্নেয় গিরির অগ্নুৎপাত এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ তারা বুঝতো না। বাঁচার তাগিদে
সকলের সম্মিলিত সংগ্রাম মানুষকে একে অন্যের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সৃষ্টি করেছিল। নতুন শ্রমই মানুষকে মানুষ করেছে।
উৎপাদিকা শক্তির আবির্ভাবের ফলে আদিম সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থার অবসান ঘটে এবং প্রতিষ্ঠিত হয়
দাস সমাজ ব্যবস্থা।
দাস সমাজ:
পুরাতন যৌথ মালিকানা সম্পর্ক ভেঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হলো দাস মালিকানা সম্পর্ক। দাস ব্যবস্থায় উৎপাদন
সম্পর্কের ভিত্তি হল -যে দাসের মালিক সেই উৎপাদনের উপকরণের মালিক। মালিক দাসকে
ইচ্ছামতো বেঁচতে কিনতে কিংবা পশুর মতো হত্যাও করতে পারতো । তাদের কোন স্বাধীনতা ছিল
না। সমাজ বিকাশের এ স্তরেই দেখা দিল সম্পত্তিবান ও সম্পত্তিহীন শ্রেণী । এ অবস্থায় সমাজের
মধ্যে পণ্য আদান প্রদানের সম্ভাবনা এবং মুষ্টিমেয় ব্যক্তির হাতে ধন সঞ্চয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। যার
যত বেশি দাস সে তত সম্পদশালী। এ ভাবে স্বাধীন মানুষ ও দাসদের বৈষম্যের পাশাপাশি ধনী ও
দারিদ্র্যের সৃষ্টি হল।
আদিম যৌথ সমাজ থেকে দাস সমাজের উদ্ভবের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি লক্ষণীয় তা হচ্ছে নতুন
উৎপাদিকা শক্তির বিকাশ। উৎপাদন এক জায়গায় থেমে থাকে না। দাস সমাাজেও উৎপাদন থেমে
থাকে নি। লোহার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মধ্যদিয়ে উৎপাদন শক্তির আরো বিকাশ ঘটল । গড়ে উঠলো
সামাজিক শ্রম বিভাগ ও বিনিময় ব্যবস্থা। কৃষি থেকে আলাদা হলো কুটির শিল্প। উৎপাদন ব্যবস্থায়
বৈচিত্র্য ও শিল্প সুক্ষতা দেখা দিল। আধুনিক সভ্য ইউরোপে দাস প্রথার প্রাধান্য ছিল। দাস ব্যাবস্থার
চরম বিকাশ ঘটেছিল প্রাচীন গ্রীস ও রোমে। গ্রীস ও রোমের স্থাপত্য নির্দশনগুলো নির্মিত হয়েছিল
ক্রীতদাসদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের দ্বারা। পৃথিবীর বেশির ভাগ জাতির মধ্যে দাস প্রথার প্রচলন ছিল।
কম উন্নত জাতির মধ্যে আজও দাস প্রথার রেশ রয়ে গেছে। যেমন আফ্রিকাতে এখনও দাস প্রথার
প্রকাশ দেখতে পাওয়া যায়।
শ্রেণী বিভক্ত দাস সমাজে মালিকদের স¦ার্থে দাসদের শ্রম দিতে বাধ্য করা হতো। মালিকদের
অমানুষিক অত্যাচার সইতে না পেরে তারা পালিয়ে যেতে চেষ্টা করতো আবার কখনও তারা বিদ্রোহ
করতো। এর ফলে ওদের উপর চালানো হতো আরও অমানবিক নির্যাতন ও জুলুম । অনেককে মেরে
ফেলা হতো। দাস ও দাস মালিক সর্ম্পর্ক উৎপাদিকা শক্তির ক্রম বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াল । দাসদের
বার বার বিদ্রোহ দাস সমাজের ধ্বংসের পথই প্রশস্ত করেছিল। দাস সমাজ আর টিকে থাকতে
পারেনি। দাস সমাজের স্থলে প্রতিষ্ঠিত হয় সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা।
সামন্ত সমাজ:
দাস সমাজ ধ্বংস হয়ে তার জায়গায় নতুন সমাজ গড়ে উঠল। নতুন সমাজের একদিকে কৃষক
ভ‚মিদাস অন্যদিকে তার মালিক সামন্ত জমিদার। উৎপাদন শক্তির বিকাশই দাসযুগের ক্রীতদাসের
জায়গায় সামন্ত যুগের ভুমিদাসের আবির্ভাবকে সম্ভব করে তুললো। ভুমিদাস ভুমির সঙ্গে আষ্টে পৃষ্ঠে
বাঁধা ছিল। সামন্ত প্রভুর জমিতে বেগার খাটা ছাড়াও ভ‚মিদাসকে যখন তখন তার হুকুম তামিল করতে
হতো। সামন্ত প্রভু কৃষককে তার ভরণ-পোষণের জন্যে দিত এক খন্ড জমি। আর তারই বলে তার
কাছ থেকে আদায় করতো খাজনা। গোড়ার দিকে ভুমিদাস সামন্তপ্রভুর খাস জমিতে বেগার খেটেই
রেহাই পেত। পরে চালু হলো ফসলে খাজনার নীতি। এই রীতি রদ করতে কৃষককে অনেক রক্ত দিতে
হয়েছে। অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীর কৃষক- বিদ্রোহগুলোর দিকে তাকিয়ে আমরা সে কথা বুঝতে
পারি সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই দেখা দিয়েছিল।পশ্চিম ইয়োরোপের
দেশগুলোতে কয়েক শতাব্দীব্যাপী এই ব্যবস্থা স্থায়ী ছিল। চীনে দু’হাজার বছরের বেশি সময় ধরে
সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকে ছিল। মধ্যযুগে সামন্ততান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ভিত্তি ছিল ক্ষুদ্র ক্ষদ্র কৃষক
গোষ্ঠীর স্বয়ং সম্পূর্ণ অর্থনীতি।দাস সমাজের মত সামন্ত সমাজের বৈশিষ্ট্য ছিল শ্রেণী সংঘাত। সামন্ত
শোষণের বিরুদ্বে বার বার দেখা দিয়েছে কৃষক ভ‚মিদাসের বিদ্রোহ। আর এ সকল বিদ্রোহীকে দমন
করা হয়েছে সামন্তবাদী রাষ্ট্রযন্ত্রের সাহায্যে।
সামন্ত যুগের শেষের দিকে নতুন নতুন দেশের আবিষ্কার এবং বাণিজ্যের প্রসারের ফলে বণিক শ্রেণীর হাতে এন দিল প্রচুর অর্থ সম্পদ। যন্ত্র চালিত ইঞ্জিন আবিস্কারের ফলে বনিকশ্রেনী সমাজে একটি প্রতি
দাস সমাজের মত সামন্ত সমাজের বৈশিষ্ট্য ছিল শ্রেণীসংঘাত। পৃথিবীর বেশীর ভাগ জাতির মধ্যে দান প্রথার প্রচলন ছিল।
পত্তি শ্রেণী হয়ে উঠল। পুরাতন উৎপাদন পদ্বতিগুলো বদলাতে লাগলো। উৎপাদনের কলা কৌশল
উন্নত হল। নতুন নতুন যন্ত্রের উদ্ভাবন এ প্রক্রিয়াকে আরও তরান্বিত করলো। বৃহদায়তন শিল্পের
প্রভাব পড়ল বাণিজ্যের ওপর। বুর্জয়া বণিক শ্রেণী ক্রমেই বেশি করে সম্পদ ও সামাজিক ক্ষমতা
নিজের হাতে জমাতে থাকলো। সামন্ততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার অভ্যন্তরে এক নতুন ধনতান্ত্রিক উৎপাদন
পদ্বতির আবির্ভাব ঘটল। নতুন সামাজিক চিন্তাধারা মানুষকে সংঘবদ্ধ করে বিপ্লবী শক্তিতে পরিণত
করে। সামন্ত শোষণপিষ্ট ভ‚মিদাস,ক্ষুদ্রশিল্পী ও মধ্য শ্রেণীর সমাবেশ ঘটিয়ে সৃষ্টি করলো সমাজের সেই
বিপ্লবী শক্তি। আর এভাবেই নতুন চিন্তা শক্তি সামন্তবাদী সমাজের গর্ভ থেকে গড়ে উঠলো ধনতান্ত্রিক
সমাজ।
সারকথা :
মানব সমাজের ক্রমবিকাশের মধ্য দিয়ে আদিম সাম্যবাদী সমাজের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দাস
সমাজ। দাস সমাজ ভেঙে প্রতিষ্ঠিত হল সামন্তবাদী সমাজ। ইতহাসের অনিবার্য কারণে সামন্তবাদী
সমাজের স্থলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা। বর্তমান বিশ্বের অনেক দেশেই আবার
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সমাজতান্ত্রিক সমাজ। তাই বলা যায় মানব জাতির ইতিহাস সভ্যতার ক্রমবিকাশের ইতিহাস।
সঠিক উত্তরটি লিখুন।
১। শ্রমই মানুষকে মানুষ করেছে। এ উক্তিটি কার?
(ক) এঙ্গেলস
(খ) লেলিন
(গ) কার্লমার্কস
(ঘ) মাঁও সেতুং।
২। শূন্যস্থান পূরণ করুন।
(ক) দাস সমাজ ভেঙ্গে ------- --প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
(খ) আদিম সমাজ ভেঙ্গে ---------প্রতিষ্ঠিত হল।
৩। মানব সমাজের বিকাশের গোড়ায় ছিল
(ক) দাস সমাজ
(খ) ধনতান্ত্রিক সমাজ
(গ) সম্যবাদী সমাজ
(ঘ) আদিম সাম্যবাদী সমাজ।
৪। দাস সমাজে দাসদের কি ছিলনা?
(ক) বাসস্থান
(খ) খাওয়া দাওয়া
(গ) স্বাধীনতা
(ঘ) দায়িত্ব -কর্তব্য।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন:
১। মানব সমাজের ঐতিহাসিক ক্রমবিকাশ কি ভাবে হয়েছিল ?
রচনামূলক প্রশ্ন:
১। দাস সমাজ ও সামন্ত বাদী সমাজ সম্পর্কে আলোচনা করুন।
উত্তরমালা : ১. ক, ২. ক- সামন্তবাদী সমাজ, খ- দাস সমাজ, ৩. ঘ, ৪. গ

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]