সমাজের সংজ্ঞা লিখুন সমাজ পরিবর্তন কি সমাজ পরিবর্তনের কারণসমূহ আলোচনা করুন।

সমাজের সংজ্ঞা:
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। কোন মানুষই একাকী বা নি:সংগ
জীবন-যাপন করতে পারে না। পরস্পর মিলে-মিশে বসবাস করাই মানুষের ধর্ম। সমাজবিজ্ঞানীরা
ব্যাপক অর্থে সমাজ বলতে সমগ্র মানবজাতিকে বুঝিয়েছেন। সংকীর্ণ অর্থে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনসমস্টিকে এক
একটি সমাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ম্যাকাইভার বলেন, ‘সমাজ মানুষের বহুবিধ সামাজিক
সম্পর্কের এক বিচিত্র রূপ।’
ইতালির সমাজবিজ্ঞানী প্যারোটোর মতে, ‘সমাজ হলো অসংখ্য মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক সম্বলিত
একটি জনসমস্টি।’ সমাজবিজ্ঞানী গিডিংস-এর মতে ‘সমাজ বলতে সেই সংঘবদ্ধ মানব গোষ্ঠীকে
বুঝায়, যারা কোন সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তে মিলিত হয়েছে।
স্যার হেনরী মেইন দু’ধরনের সমাজের কথা বলেছেন-একটি কুলভিত্তিক সমাজ যার ভিত্তিমূলে রয়েছে
সনাতন মর্যাদাবোধ অন্যটি হল পেশাভিত্তিক সমাজ যার ভিত্তি হল চুক্তি। তার মতে, প্রগতির অব্যাহত
ধারায় কুলভিত্তিক সমাজ যুক্তিবাদী, ধর্মনিরপেক্ষ ও যুক্তিবাদী সমাজে রূপান্তরিত হবে। ফার্ডিন্যান্ড
টোনিজ দু’ধরনের মানব সমাজের বিবরণ দিয়েছেন। লোকায়ত প্রথা, আচার ও ধর্মবিধি শাসিত
জনপদকে তিনি সম্প্রদায় বলে অভিহিত করেছেন। অন্যাটিকে বলেছেন সমাজ। তাঁর মতে সমাজ
শাসিত হয় বিধিবিধান আইন ও জনমতের দ্বারা।
সমাজের শ্রেণীবিন্যাস
ম্যাক্সওয়েবার কর্তৃত্বের শ্রেণী বিভাগ করে দু’ধরনের সমাজের বিবরণ দিয়েছেন। তিনি বলেন,
আইনভিত্তিক ও যুক্তিবাদী কর্তৃত্ব দ্বারা আধুনিক সমাজ পরিচালিত হয়। অন্যদিকে প্রাচীন সমাজ
প্রচলিত ঐতিহ্য ও প্রতিষ্ঠিত মূল্যবোধের উপর নির্ভরশীল। আমেরিকার সমাজবিজ্ঞানী ট্যালকট
পারসনস দু’ধরনের সমাজের কথা উল্লেখ করেছেন। একটি সনাতন সমাজ অন্যটি আধুনিক সমাজ।
পারসনস-এর অনুসরণ করে ফ্রেডরিগস ও এফ. এক্স সাটন দু’টি ভিন্নধর্মী সমাজব্যবস্থার কথা উল্লেখ
করেছেন। একটি কৃষিভিত্তিক সমাজ অপরটি শিল্পভিত্তিক সমাজ। পাশ্চাত্যের পন্ডিতগণ এভাবে
সমাজের বিশ্লেষণ করেছেন ভিন্নধর্মী বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে পরিবর্তন ও গতিশীলতাই সমাজের ধর্ম। মানব
সমাজের এ পরিবর্তন উদ্দেশ্যবিহীন নয়। প্রাচীন সমাজের বহু ধাপ অতিক্রম করে মানুষ সভ্য সমাজে
উপনীত হয়েছে। তাই প্রাচীন ও আধুনিক সমাজের মধ্যে বিরাট পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। অতীতে
বিধবা বিবাহ নিষিদ্ধ ছিল কিন্তু বর্তমানে বিধবা বিবাহকে সকলে মেনে নিয়েছে। অতীতে হিন্দু সমাজে
সতীদাহ প্রথার প্রচলন ছিল। প্রথা অনুসারে স্ত্রীকে মৃত স্বামীর চিতায় প্রাণ বিসর্জন দিতে হত। কিন্তু
সে প্রথাকে মানুষের মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যে বিবর্তন সাধিত হয়েছে তা সামাজিক ক্ষেত্রে
গভীর প্রভাব ফেলেছে। সামাজিক পরিবর্তন ‘সমাজ হলো অসংখ্য মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক সম্বলিত একটি জনসমষ্টি।’
সামাজিক পরিবর্তনের অর্থ সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও জীবন আদর্শের পরিবর্তন। সামাজিক পরিবর্তন হল
সমাজের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন। সমাজবদ্ধ মানবগোষ্ঠীর মন-মানসিকতা পরিবর্তিত হলেই প্রকৃতপক্ষে
সামাজিক পরিবর্তন সাধিত হয়। উইলিয়াম এফ অগবার্নের মতে সামাজিক পরিবর্তনের অর্থ হল
‘সমাজে বসবাসকারী জনসমস্টির কৃষ্টি ও সংস্কৃতির পরিবর্তন।’ অধ্যাপক স্যামুয়েল কোয়েনিগের মতে
সামাজিক পরিবর্তন হচ্ছে-কোন জাতির জীবন ব্যবস্থার সামগ্রিক পরিবর্তন ও রূপান্তর।’ গার্থ ও মিলস
বলেন, কালের গতিতে রীতি-নীতি এবং সমাজ ব্যবস্থার যে পরিবর্তন ঘটে তাকে সামাজিক পরিবর্তন
বলে।’ সমাজ বিজ্ঞানীগণ সমাজ পরিবর্তনের কারণস্বরূপ শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার প্রাকৃতিক,
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের উল্লেখ করেছেন। নিæে সামাজিক পরিবর্তনের কারণসমূহ
আলোচনা করা হল:
শিক্ষার প্রভাব
সামাজিক পরিবর্তনে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। মানব সমাজের সার্বিক উন্নয়ন শিক্ষার উপর
নির্ভরশীল। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষাই সমাজ পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি। শিক্ষা ব্যক্তির সৎগুণাবলী বিকাশের
মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। সকল প্রকার কুসংস্কার ও সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে থেকে মানুষ উদার ও সচেতন
হয়ে উঠে। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ সততা, নৈতিকতা কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলা ও সমাজিকতা ইত্যাদি গুণের
অধিকারী হয়। শিক্ষার দ্বারা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী প্রসারিত হয়। শিক্ষা সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে।
তাই শিক্ষাকে আধুনিক সমাজব্যবস্থার মেরুদন্ড হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। শিক্ষার প্রসার সমাজ জীবনে
নিয়ে আসছে কাক্সিক্ষত পরিবর্তন। উন্নততর শিক্ষার ফলেই নব নব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সম্ভব হচ্ছে।
তাই বলা যায় শিক্ষাই আলো। শিক্ষা মানুষকে পূর্ণতা দান করে। শিক্ষা মানুষকে সমাজের জন্যে
উপযুক্ত করে গড়ে তোলে। শিক্ষার দ্বারা উন্নততর নাগরিক জীবন-যাপন সম্ভবপর হয়। তাই শিক্ষাকে
বলা যায় সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মৌলিক উপাদান। শিক্ষাগত পরিবর্তন বিভিন্ন দিক থেকে সামাজিক
পরিবর্তনকে প্রভাবিত করে শিক্ষাগত পরিবর্তনের ফলে স্বাভাবিকভাবে সামাজিক পরিবর্তন সূচিত হয়।
শিক্ষা হচ্ছে সংস্কৃতি ও সভ্যতার বাহন। বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ সালাল্লাহু আলাইহে
আসাল্লাম শিক্ষার গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, ‘দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন কর।’ তিনি
আরও বলেছেন, ‘প্রয়োজনবোধে সুদূর চীন দেশে গিয়েও জ্ঞান অর্জন কর।’ সুতরাং সামাজিক
পরিবর্তনে শিক্ষার বিশেষ তাৎপর্যমন্ডিত ভ‚মিকা রয়েছে।
প্রাকৃতিক কারণ
প্রকৃতি বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে মানুষের মনের উপর প্রভাব ফেলে। প্রকৃতির পরিবেশগত পরিবর্তন
মানব মনে রেখাপাত করে এবং এর প্রভাবে সামাজিক পরিবর্তন ঘটে। কোন অঞ্চলের আবহাওয়া,
জলবায়ু, ভৌগোলিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে সামাজিক পরিবর্তন সাধিত হয়।
রাজনৈতিক কারণ
একটি দেশের জাতির রাজনৈতিক পট পরিবর্তন সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন
করে। রাজনৈতিক ঘটনাবলী বিভিন্ন সময়ে সামাজিক পরিবর্তন ঘটায়। ১৯৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধ
১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ উপমহাদেশের সামাজিক
পরিবর্তনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
অর্থনৈতিক কারণ
সামাজিক পরিবর্তনের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল অর্থনৈতিক কারণ। অর্থনৈতিক প্রয়োজনে
মানুষের চিন্তা শক্তিতে এসেছে বিপ্লব। উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের ফলে সমাজ
জীবনে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, কৃষিভিত্তিক সমাজে শিল্পের প্রসারের ফলে মানুষের জীবন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। ধর্মীয় কারণ শিক্ষ সমাজ পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠী
ধর্মীয় বিশ্বাস ও আকিদা মানুষের হৃদয় মনে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। ধর্মীয় মূল্যবোধ সমাজে
বিপ্লব সৃষ্টি করে। জীবনাদর্শের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাতে পারে। আরবে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাবের
ফলে সমাজ কাঠামোতে বিরাট পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল। বর্তমান শতাব্দীতে ইরানের ইসলামী বিপ্লব
সমাজ জীবনকে প্রচন্ডভাবে নাড়া দিয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভাব
সামাজিক পরিবর্তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভাব অপরিসীম। যে জাতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যত
উন্নত, সে জাতি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে তত অগ্রগণ্য। বিজ্ঞানের নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি
সমাজকে করেছে গতিশীল। চিন্তারাজ্যে ঘটিয়েছে বিপ্লব। জন বিয়ার্ডের টেলিভিশন এবং মার্কোনির
বেতার তরঙ্গ আবিষ্কার চিত্ত বিনোদনের জগৎকে করেছে সমৃদ্ধ। মাইকেল ফ্যারার্ডের বিদ্যুৎ
আবিষ্কারের ফলে সমাজ জীবনে এনেছে বহুবিধ পরিবর্তন। কৃষিভিত্তিক সমাজ রূপান্তরিত হয়েছে শিল্প
সমাজে। গড়ে উঠেছে বিরাট বিরাট শিল্প কারখানা। বিজ্ঞানের অভ‚তপূর্ব আবিষ্কারের ফলে মানুষের
সনাতন জীবন থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভাবে সনাতন জীবন থেকে আধুনিক জীবনে উত্তরণ
ঘটেছে। বিজ্ঞান সমাজ জীবনে বৈপ্লবিক রূপান্তর সাধন করেছে। বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির কারণে মানুষের
প্রকৃতির গোপন রহস্য উদঘাটন করে জীবনকে করেছে সুন্দর ও সমৃদ্ধতর। বিজ্ঞানের অসাধারণ
অবদানের ফলেই মানব সমাজ উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করেছে। সুতরাং সামাজিক পরিবর্তনে
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভ‚মিকা অনন্যসাধারণ।
মহাপুরুষের অবদান
যুগে যুগে ক্ষণজন্মা মহাপুরুষের আবির্ভাবে মানব সমাজে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সাধিত হয়। মিলস ও
গার্থ বলেন, ‘সামাজিক পরিবর্তন সাধিত হয় ক্ষণজন্মা ব্যক্তির নির্দিষ্ট ভ‚মিকা, যান্ত্রিক আবিষ্কার ও
ধ্যান-ধারণার মাধ্যমে।’ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সমাজ বিজ্ঞানীদের সুচিন্তিত রাষ্ট্রদর্শন ও মতামত, রাজতন্ত্র ও
সামন্তবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক শাসনের প্রবর্তন করেছে। হযরত
মুহাম্মদ (স:), ঈসা (আ:), গৌতম বুদ্ধ প্রমুখ মহাপুরুষের ধ্যান-ধারণা সমাজে বিপ্লব, আন্দোলন সৃষ্টি
করেছিল। ’কালমার্কস, লেনিন, মাওসেতুং, মার্টিনলুথার, মহাত্মাগান্ধী, একে ফজলুল হক প্রমুখ
ক্ষণজন্মা ব্যক্তিদের অবদানে সমাজ জীবনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। এ ভাবে মহাপুরুষদের
অত্যুজ্জ্বল অবদানে সমাজ ধন্য হয়েছে।
সারকথাঃ
ব্যাপক অর্থে সমাজ বলতে সমগ্র মানবজাতিকে বুঝায়। মানুষের বহুবিধ সামাজিক সম্পর্কের এক
বিচিত্র রূপ সমাজ। পরিবর্তন ও গতিশীলতাই সমাজের ধর্ম। সমাজের বহু ধাপ অতিক্রম করে মানুষ
সভ্য সমাজে উপনীত হয়েছে। সমাজ পরিবর্তনে জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা ও প্রযুক্তির ভ‚মিকা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
সঠিক উত্তরটি লিখুন।
১. প্যারোটো কে?
ক. একজন দার্শনিকে
খ. বৈজ্ঞানিক
গ. সাহিত্যিক
ঘ. সমাজবিজ্ঞানী।
২. কর্তৃত্বের শ্রেণীবিভাগ করে দু’ধরনের সমাজের বিবরণ দিয়েছেন কে?
ক. ম্যাক্সওয়েবার
খ. প্যারোটো
গ. মস্কা
ঘ. ট্যালকট পারসনস।
৩. সতীদাহ প্রথার প্রচলন ছিল কোন সমাজে ?
ক. মুসলমান সমাজে
খ. বৌদ্ধ সমাজে
গ. হিন্দু সমাজে
ঘ. আর্য সমাজে।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১. সমাজের সংজ্ঞা লিখুন
২. সমাজ পরিবর্তন কি তা ব্যাখ্যা করুন
রচনামূলক প্রশ্ন:
১. সমাজ পরিবর্তনের কারণসমূহ আলোচনা করুন।
২. সনাতন সমাজ ও আধুনিক সমাজের মধ্যে পার্থক্য বর্ণনা করুন।
উত্তরমালা-১-ঘ, ২-ক, ৩-গ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]