আধুনীকিকরণ কি
ঐতিহাসিকভাবে ইউরোপীয় রেনেসাঁ ও পুনর্গঠন আন্দোলনের পরবর্তীকালে সূত্রপাত ঘটে
আধুনিকীকরণের। শিল্প বিপ্লবের পর এটা সমগ্র বিশ্বকেই প্রভাবিত করে। আজকে খুব কম দেশই
আছে যারা আধুনিকীকরণের আকাক্সক্ষা পোষণ করে না। মানুষের জীবন যাত্রার সকল দিকেই প্রভাব
ফেলেছে আধুনিকীকরণ। আধুনিকতার সাথে জড়িয়ে রয়েছে প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের উপর
মানুষের ব্যাপক নিয়ন্ত্রণের ধারণা। আধুনিকীকরণ হচ্ছে এক বহুমুখী জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া
মানুষের চিন্তাধারা ও কর্যকলাপের সকল ক্ষেত্রে পরিব্যাপ্ত। আধুনিকীকরণের রুপান্তর বিশ্বের সকল
রাষ্ট্রকেই প্রভাবিত করেছে। রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন দেখতে পাই তা
আধুনিকীকরণের সুফল বলে চিহ্নিত করা যায়।
আধুনিকীকরণ হল সমাজ গড়ার আন্দোলন। আধুনিকীকরণের প্রক্রিয়া সনাতন সমাজে আনে বৈপ্লবিক
পরিবর্তন। আধুনিক সমাজে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সুস্পষ্ট। প্রাচীন সমাজে বিদ্যমান থাকে
ধর্ম প্রভাবিত মানসিকতা। কিন্তু আধুনিক সমাজে দেখা য়ায় ইহজাগতিক আতœসচেতন যুক্তিবাদী
দৃষ্টিভঙ্গী। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত অধিকাংশ দেশে আধুনিকতার অগ্রগতি ঘটেছে পাশ্চাত্যের প্রভাব ও
প্রাচীন সমাজের বিভিন্ন উপাদানের সংমিশ্রণে। ড়ি.এ.রষ্টোর মতে “আধুনিকতার মধ্যে রয়েছে
পাশ্চাত্যের যুক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গী এবং সংরক্ষিত প্রাচীন রীতিনীতি প্রথা পদ্ধতির অনেক উপাদান।’’
সি,ই বøাক তার গ্রন্থে বলেন “আধুনিকীকরণ হল এমন এক
প্রক্রিয়া যা ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে বিবর্তিত প্রক্রিয়াগুলো দ্রুত পরিবর্তনশীল কার্য সম্পাদনের
উপযোগী হয়ে ওঠে। যা মানুষের জ্ঞানের বিকাশ এবং পরিবেশের উপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা
করে। “ডি,এ রষ্টোর মতে “আধুনিকীকরণ হচ্ছে বিদ্যাবুদ্ধি ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এক অভিনব পদক্ষেপ যা
সামাজিক ক্ষেত্রে এক বিপ্লব স্বরূপ”। ক্লদ-ই ওয়েলসের মতে,’’ আধুনিকীকরণ হচ্ছে এমন একটি
প্রক্রিয়া যা প্রাপ্ত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করে আধুনিক সমাজ কাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা করে।”
অনেকে মনে করেন আধুনিকতার যে ছবি বা
চিত্র আমরা দেখতে পাই তা পাশ্চাত্যের অনুকরণ মাত্র। মুলত সনাতন সমাজ থেকে আধুনিক সমাজে
রুপান্তরের পক্রিয়াকে আধুনিকীকরণ বলে অভিহিত করা হয়। স্যামুয়েল পি, হান্টিংটনের মতে,
আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া হচ্ছে আধুনিক ও সনাতন সমাজের মধ্যে সেতু বন্ধনস্বরূপ। অর্থাৎ- সনাতন ও
আধুনিকীকরণের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের মাধ্যমে সনাতন সমাজের ক্ষয়সাধন ও আধুনিক সমাজে
উত্তরনের ঐতিহাসিক প্রক্রিয়াই হচ্ছে আধুনিকীকরণ।
আধুনিকীকরণের বৈশিষ্ট্যঃ
একটি আধুনিক সমাজকে চেনা যাবে তার বৈশিষ্ট্য দিয়ে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এস. পি. হান্টিংটন, রষ্টো, ক্লদ
ইওয়েলস ও ড্যানিয়েল লার্নার সকলেই আধুনিকীকরণের কতকগুলো মৌলিক বৈশিষ্ট্যর কথা উল্লেখ
কারেছেন। এগুলো হচ্ছে:-
শিক্ষা
মানুষের জীবন যাত্রার
সকল দিকেই প্রভাব
ফেলেছে
আধুনিকীকরণ।
নগরায়ন
শিল্পায়ন
গণতন্ত্রায়ন
যৌক্তিকতা
গতিময়তা
ধর্মনিরপেক্ষতা
জাতীয়তাবাদ
আমলাতন্ত্রীকরণ
ইহলৌকিকতা
অভ্যন্তরীণ ঐক্য ইত্যাদি।
আধুনিকীকরণের তিনটি গুরুত্বপূর্ন দিক:- প্রথমত: আধুনিকীকরণ অর্থনেতিক ও শিল্পায়ন পক্রিয়ার
সঙ্গে সংযুক্ত। দ্বিতীয়ত: এটি সামাজিক ও মণস্তাত্তি¡ক পরিবর্তন হিসাবে অধ্যয়ন করা যেতে পারে।
তৃতীয়ত: এটি রাজনৈতিক পরিবর্তন হিসেবে অধ্যয়ন করা যায়।
রাজনৈতিক আধুনিকীকরণ
সাধারণভাবে রাজনৈতিক আধুনিকীকরণ বলতে সনাতন রাষ্ট্র হতে আধুনিক রাষ্ট্রের অভিমুখে যাত্রা
করাকে বুঝায়। আজকের দুনিয়ার অধিকাংশ রাষ্ট্রের উপর প্রভাব ফেলেছে রাজনৈতিক আধুনিকতা।
হান্টিংটন রাজনৈতিক আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে।
সামাজিক গতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন: সামাজিক গতিশীলতা বলতে সমাজে গোষ্ঠি ও ব্যক্তির
আশা আকাক্সক্ষার ক্ষেত্রে পরিবর্তন বুঝায়। সামাজিক গতিশীলতা বলতে এমন প্রক্রিয়াকে বুঝানো হয়
যার মাধ্যমে পুরাতন সামাজিক অর্থনৈতিক ও মানসিক বিশ্বাসের পরিবর্তন সাধন করে। জনগণকে
নতুন ধরনের দীক্ষাদান করায়। অর্থাৎ সনাতন সমাজের মনোভাব মূল্যবোধ ও আশা প্রত্যাশার
পরিবর্তন ঘটে। আধুনিক শিক্ষার সম্প্রসারণ, গণমাধ্যম, যাতায়াত ব্যাবস্থা, নগরায়ন ইত্যদির ফলে
সামাজিক ক্ষেত্রে গতিশীলতার সৃষ্টি হয়।
সমাজের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ও উৎপাদনের বিকাশই অর্থনেতিক উন্নয়ন। শিল্পায়ন,
মাথাপিছু আয়, ব্যক্তির বিকাশ ও কল্যাণ লাভের মাত্রা ইত্যাদি মানদন্ডে সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের
পরিমাপ করা যায়। তিনি সামাজিক অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধুনিকীকরণের রাজনৈতিক দিক ও
ফলাফলকে রাজনৈতিক আধুনিকীকরণ হিসেবে উল্লেখ করেন। হান্টিংটন উল্লেখ করেন যে,
রাজনেতিক পরিবর্তন তাত্তি¡কভাবে সাধিত হওয়া উচিত। তিনি বলেন যে, এশিয়া আফ্রিকা ও ল্যাটিন
আমেরিকার দেশগুলোতে কিছু মাত্রায় সামাজিক গতিশীলতা সাধিত হলেও গণতন্ত্র, রাজনৈতিক
স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংস্কৃতি এবং সরকারি কাঠামোগুলো পৃথকীকরণের ক্ষেত্রে এ সকল দেশগুলো
অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে। এই সকল দেশে উপজাতীয় বিদ্রোহ, গৃহ যুদ্ধ, সামাজিক অভ্যুত্থ্যান
সংঘটিত হচ্ছে। রাজনৈতিক আধুনিকায়নের মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিক হল রাজনীতিতে জনগণের
ব্যাপক অংশগ্রহণ। শহর-গ্রাম জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সামাজিক গোষ্ঠীগুলো রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে
অংশগ্রহণ করার ফলে রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানের বিকাশ সাধিত হয়।
রাজনৈতিক আধুনিকীকরণের জন্যে কর্তৃত্বকে যুক্তিভিত্তিক করতেহয়। বহুসংখ্যক ধর্মীয় ও বংশভিত্তিক
রাজনৈতিক কর্তৃত্বের স্থলে একক জাতীয় রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করতে হয়। প্রথম রাজনৈতিক
আধুনিকীকরণের জন্যে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় সংহতি সুদৃঢ় ভাবে প্রতিষ্ঠিত করা অপরিহার্য।
দ্বিতীয়: রাজনৈতিক ক্ষমতার পৃথকীকরণ ও বিকেন্দ্রীকরণের ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। আইন,
বিভাগ বিচার বিভাগ ও শাসন বিভাগ সহ সকল কাঠামোর বিকাশ সাধন।
তৃতীয়: সমাজিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়াতে নাগরিকদের ব্যাপক অংশগ্রহণের আবশ্যকতা।
এস,পি হান্টিংটনের ভাষায় একটি ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয় কর্তৃত্বের দ্বারা গতানুগতিক ধর্মীয় ও বংশগত
কর্তৃত্বসমূহের উচ্ছেদ প্রাপ্ত হয়।এভাবে রাজনৈতিক আধুনিকীকরণ কর্তৃত্বের অবস্থানে পরিবর্তন
আধুনিকীকরণের
প্রক্রিয়া সনাতন
সমাজে আনে
বৈপ্লবিক রূপান্তর।
আনয়ন করে। রাজনৈতিক আধুনিকীকরণ সরকারি সিদ্বান্তসমূহে নাটকীয় পরিবর্তন আনয়ন করে।
সরকারের দক্ষতা বহুগুণ বৃদ্ধি করে।
ক্লদ ইওয়েলস রাজনৈতিক আধুনিকীকরণের তিনটি উল্লেখ যোগ্য বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছেন:
১। রাজনৈতিক ব্যবস্থার সাথে জনসাধারণের বৃহত্তর একাত্মতা এবং রাজনীতিতে ক্রমবর্ধমান
অংশগ্রহণ।
২। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রীয়করণ, গণতান্ত্রিক কর্তৃত্বের উৎস সমুহের ক্ষয়প্রাপ্তি।
৩। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সমূহের পৃথকীকরণ ও বিশেষীকরণ।
আধুনিকীকরণের পদ্ধতি: আধুনিকীকরণের অনেক পথ ও মত রয়েছে। এটা একটা গন্ডির মধ্যে
সীমাবদ্ধ নয়। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন উপায়ে আধুনিকীকরণ সম্পাদিত হয়ে থাকে। দুনিয়ার সকলদেশে
একই পদ্ধতিতে আধুনিকীকরণের বিপ্লব ঘটে নি। যেমন:-সোভিযেত ইউনিয়ন ও গণপ্রজাতন্ত্রী চীন
সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে সর্বাতœক পদ্বতিতে খুব সল্প সময়ের মধ্যে আধুনিকীকরণ সম্ভব হয়েছে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে ইসলামী বিপ্লবের মধ্যদিয়ে স্বল্প সময়ে আধুনিকীকরনের এক চমৎকার নজির
স্থাপন করেছে। গ্রেট ব্রিটেনে যুগ যুগ ধরে ক্রমান্বয়ে আধুনিকীকরণের কাজ সম্পাদিত হয়েছে। কয়েক
শতাব্দী ধরে বৃটেনের সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তিত হয়েছে। জাপানে কোন বিপ্লবী রাজনৈতিক পার্টির দ্বারা
নয় বরং এক অভিজাততান্ত্রিক আমলাতন্ত্রের উদ্যোগে আধুনিকীকরণ সাধিত হয়েছে। মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত যারা প্রাশ্চাত্য শিক্ষার দ্বারা প্রভাবিত, যাদের দৃষ্টিভঙ্গী প্রসারিত এ ধরনের ক্ষুদ্র
বুদ্ধিজীবীরাই আধুনিকীকরণে নেতৃত্ব দান করেছেন। এডওয়াট শিলসের মতে“ বর্তমান শতাব্দিতে
রাষ্ট্রগঠনে বুদ্ধিজীবীগণ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিকাশ সাধন করে
আধুনিকীকরণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সারকথা :
আধুনিকীকণের বিপ্লব সমগ্র বিশ্বব্যাপি আলেড়ন সৃষ্টি করেছে। আধুনিকীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া
যার ফলে সমাজে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ও অর্থনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন সাধিত হয়। আধুনিকীকরণ
ও রাজনীতির মধ্যকার যোগাযোগ অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়ে উঠে। নতুন রাষ্ট্র সমূহে দ্রুতগতিতে
আধুনিকীকরণের জন্যে প্রায়শই আদর্শ ওফবড়ষড়মু কাজে লাগানো হয়। বিংশ শতাব্দীতে সামাজিক
জীবনে ব্যাপক পরিবর্তনের জন্যে সরকারগুলোর রয়েছে প্রযুক্তিগত দক্ষতা। তাই রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও
সক্রিয় সহযোগিতায় আধুনিকীকরণ সম্পন্ন হয়। রাজনৈতিক আধুনিকায়নের মৌলিক ও গুরুত্বপুর্ণ দিক
হল রাজনীতিতে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ।
দুনিয়ার সব দেশে
একই পদ্ধতিতে
আধুনিকীকরণের
বিপ্লব ঘটেনি।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তরটি লিখুন।
১। "ঞযব উুহধসরপং ড়ভ গড়ফবৎহরুধঃরড়হ" এই গ্রন্থের লেখক কে?
(ক) ডি, এ, রস্টো
(খ) ক্লদ- ই ওয়েলস
(গ) এস, পি, হান্টিংটন
(ঘ) সি,ই বøাক।
২। আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে সামাজিক গতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন- এ দুটি বিষয়ের প্রতি কে
গুরুত্ব আরোপ করেছেন?
(ক) ড্যনিয়েল লার্নার
(খ) এস, পি হান্টিংটন
(গ) সি,ই বøাক
(ঘ) ডি,এ,রস্টো।
৩। ইউরোপীয় রেনেসাঁ ও পূনর্গঠন আন্দেলনের পরে সূত্রপাত ঘটে-
(ক) শিল্প বিপ্লবের
(খ) রাষ্ট্র গঠনের
(গ) জাতীয় সংহতির
(ঘ) আধুনিকীকরণের।
৪। অভিজাততান্ত্রিক আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে আধুনিকীকরণ সাধিত হয়েছে কোন দেশে?
(ক) বৃটেনে
(খ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে
(গ) জাপানে
(ঘ) ইরানে।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন:
১। আধুনিকীকরণ কি?
২. আধুনিকীকরণের বৈশিষ্ট্য কি কি?
রচনা মুলক প্রশ্ন:
১। আধুনিকীকরণের বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করুন।
২. আধুনিকীকরণ ও উন্নয়নের মধ্যে পার্থক্য বর্ণনা করুন।
উত্তর মালা : ১। ঘ, ২। খ, ৩। ঘ, ৪। গ
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত