নেতৃত্ব বলতে কি বুঝায়? ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?

নেতৃত্বের ধারণা
নেতৃত্ব একটি বিশেষ গুণ। কোন বিশেষ পরিবেশ-পরিস্থিতিতে কোন ব্যক্তি যদি তার ব্যক্তিত্ব ও
কর্মক্ষমতার মাধ্যমে অন্যদের পরিচালনা করতে পারে, তাহলে ব্যক্তির সেই সামর্থ্যকেই নেতৃত্ব বলে।
সামাজিক গোষ্ঠীভুক্ত কোন ব্যক্তির প্রজ্ঞা, মেধা ও আচরণ যদি সেই গোষ্ঠীর অন্যদের আকৃষ্ট করে
তাহলে তারা নেতার অধীনে সংগঠিত হয় এবং তার নির্দেশ মেনে চলে। লা পিয়ের ও চার্লসওয়ার্থ
নেতৃত্বের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন, ‘অপর ব্যক্তিদের আচরণ নেতাকে যতখানি না প্রভাবিত করে,
নেতৃত্ব হলো সেই আচরণ যা অপর ব্যক্তিদের আচরণকে অধিকতর প্রভাবিত করে’। নেতৃত্বের একটি
গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হলো নেতা তার দলকে বহুল পরিমাণে উদ্দীপিত করেন, কিন্তু দলের দ্বারা নিজে
বিশেষ উদ্দীপিত হন না। নেতা তার অনুগামীদের চিন্তা ও আচরণকে যতটা প্রভাবিত করেন,
অনুগামীদের চিন্তা ও আচরণ দ্বারা ততটা প্রভাবিত হন না।
হল্যান্ডার এবং জুলিয়ান-এর ভাষায়, “নেতৃত্ব হচ্ছে দ্বিমুখী প্রক্রিয়া’’। নেতা যাদের তার অনুগামী মনে
করছেন তারা যদি নেতাকে স্বীকার করে না নেয় তবে নেতৃত্ব অর্থহীন হয়।
নেতৃত্ব কোন ব্যক্তি নয়, একটা প্রক্রিয়ামাত্র। এ প্রক্রিয়ার তিনটি উপাদান রয়েছে, যার কোন একটিকে
বাদ দিয়ে নেতৃত্বের সংজ্ঞা দেয়া যায় না। এ তিনটি উপাদান হলো (১) নেতা, (২) অনুগামীবৃন্দ এবং
(৩) পরিস্থিতি। নেতা এই প্রক্রিয়ার কেন্দ্রীয় ভ‚মিকায় থাকলেও কেবল তার কাজই নেতৃত্ব নয়,
অন্যান্য অনুগামীবৃন্দ এবং পরিস্থিতির চাহিদা ও বৈশিষ্ট্য নেতৃত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নেতৃত্ব মূলত:
নেতা ও অনুগামীদের সম্পর্কের ফলশ্রুতি।
ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য
'ঈযধৎরংসধ' শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো আধ্যাত্মিক শক্তি বা সম্মোহনী ক্ষমতা। এই শব্দটি ধর্মীয়
অর্থে ভক্তি ও উৎসাহ সঞ্চারের ক্ষমতা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু কালক্রমে শব্দটি
ধর্মীয় পরিমন্ডলের বাইরে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। জার্মান দার্শনিক
ম্যা´ ওয়েবার ‘কর্তৃত্ব’ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে “ক্যারিসম্যাটিক কর্তৃত্বের’’ ধারণা প্রকাশ করেছিলেন।
ওয়েবার কর্তৃত্বকে প্রধানত: তিনভাগে বিভক্ত করেন : সনাতন কর্তৃত্ব, আইনগত-যৌক্তিক কর্তৃত্ব ও
ক্যারিসম্যাটিক কর্তৃত্ব। ম্যা´ ওয়েবারের কর্তৃত্বের বিভাজন হতেই অলৌকিক বা সম্মোহনী নেতৃত্বের
ধারণা সামাজিক বিজ্ঞানের আলোচনায়, বিশেষ করে নেতৃত্ব সংক্রান্ত আলোচনায় গুরুত্ব লাভ করে।
ওয়েবারের মতে, সম্মোহনী শক্তি-সম্পন্ন ব্যক্তি তার অতিপ্রাকৃত গুণাবলীর ভিত্তিতে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব
দাবি করেন। তিনি এক প্রকার অতিমানব 'ঝঁঢ়বৎ-গধহ' হিসেবে প্রতিভাত হন।
বিভিন্ন ধরনের নেতৃত্ব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কিছু কিছু নেতা আছেন যাদের মধ্যে সবাইকে
আকর্ষণ করার বা সম্মোহিত করার ক্ষমতা থাকে। অর্থাৎ যেসকল নেতা অন্যদের সম্মোহিত করে
তাদের প্রভাবিত ও পরিচালিত করার যোগ্যতা রাখেন তাদেরকেই ক্যারিসমেটিক নেতা বলা হয়।
ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের কতিপয় সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। যেমন -
ক্যারিসম্যাটিক নেতার মধ্যে এমন কিছু অতি-মানবিক এবং অতি প্রাকৃতিক গুণাবলী থাকে, যার ফলে
তার নেতৃত্বকে উৎকৃষ্ট এবং প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হয়।
নেতৃত্বের উপাদান
মূলত: তিনটি (১)
নেতা, (২)
অনুগামীবৃন্দ এবং
(৩) পরিস্থিতি।
যে সকল নেতার মধ্যে সম্মোহনী ক্ষমতা থাকে এবং এ ক্ষমতা ব্যবহার করে যারা অন্যকে প্রভাবিত ও পরিচালিত করতে পারেন তাদেরকে ক্যারিসম্যাটিক নেতা বলা হয়।
ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের ক্ষেত্রে নেতা ও অনুসারীদের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নেতার প্রতি
অনুসারীদের গভীর বিশ্বাস এবং অনুসারীদের প্রতিও নেতার প্রচন্ড আস্থা সৃষ্টি হয়। নেতা যে ভাবে
পরিচালিত করেন অনুসারীরা সেভাবেই চালিত হয়। অনুসারীদের প্রত্যাশা সর্ম্পকেও নেতা সচেতন
থাকেন। নেতা ও অনুসারীদের মধ্যকার এ গভীর সম্পর্কই ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের মূলকথা।
সম্মোহনী প্রভাব অক্ষুন্ন রাখার উদ্দেশ্যে ক্যারিসম্যাটিক নেতা তার উত্তরাধিকার নির্বাচন করে তার
হাতে ক্ষমতা অর্পন করেন। এক্ষেত্রে সাধারণত: তার ঘনিষ্ট ও আস্থাভাজন এবং বিশেষ গুণসম্পন্ন
ব্যক্তিকেই মনোনীত করা হয়।
ধারাবাহিকভাবে ক্যারিসম্যাটিক নেতার কাজ পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হয় কর্তৃত্ব, সামাজিক মর্যাদা,
অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ইত্যাদি।
ক্যারিসম্যাটিক নেতার সম্মোহনী ক্ষমতার ব্যবহার বহুলাংশে তার নিকট-সহকর্মীদের সামাজিক প্রভাব
ও অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।
কোন বিশেষ পরিস্থিতিতে কর্তৃত্ববাদী ক্ষমতা অর্জনের মধ্য দিয়ে, আবার কখনও গণভোটের মাধ্যমে
ক্যারিসম্যাটিক নেত্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।
ক্যারিসম্যাটিক নেতা বাগ্মিতা কিংবা বিশেষ প্রতীক ব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপর
তার নেত্বত্ব প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হন।
ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের ভ‚মিকা:
সামাজিক পরিবর্তন এবং আধুনিকায়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ।
পুরনো সামাজিক ব্যবস্থা হতে নতুন ব্যবস্থায় উত্তরণে, রাষ্ট্রগঠন প্রক্রিয়ায় এবং যে কোন ধরনের
সংকটকালে ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ও নির্ধারক ভ‚মিকা পালন করে। এ কারণে ক্যারিসম্যাটিক
নেতৃত্বকে আধুনিকায়নের বাহক হিসেবে অভিহিত করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে
ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের ভ‚মিকা আলোচনা করবো।
পুরনো সমাজ হতে আধুনিক সমাজে উত্তরণের ক্ষেত্রে ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের অবদান লক্ষ করা
যায়। ইউরোপে প্রটেষ্ট্যান্ট সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে আধুনিক সমাজের যে উত্থান ঘটেছিল তা
মার্টিন লুথারের সম্মোহনী নেতৃত্বের কারণে গতিলাভ করেছিল। এছাড়া, ভারতীয় সমাজের সনাতন
প্রথা ভেঙ্গে আধুনিক সমাজের যে অভিযাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে, তার নেপথ্যে রামমোহনের
ব্যক্তিত্বের আকর্ষণ কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।
গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানো , স্বাধীনতা অর্জন এবং সংবিধান প্রণয়ন ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও
সম্মোহনী নেতৃত্বের ভ‚মিকা লক্ষ করা যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ওয়াশিংটন, জেফারসন প্রমুখের
অবিসংবাদিত নেতৃত্ব রাষ্ট্র গঠন ও স্থিতিশীলতা অর্জনে সহায়ক ছিল।
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় এবং নিপীড়িত মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের
ক্ষেত্রে ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিগ্রোদের আত্মনিয়ন্ত্রণ
আন্দোলনে মার্টিন লুথার কিং এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সংখ্যাগরিষ্ট কৃষ্ণকায় জনগোষ্ঠীর অধিকার
আদায়ে নেলসন ম্যান্ডেলার সম্মোহনী নেতৃত্ব নির্ধারক ভ‚মিকা রেখেছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সামাজিক বিপ বে ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ। গণ জাগরণ -
সৃষ্টি করে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং সামাজিক ক্ষমতা-কাঠামোর বৈপ বিক পরিবর্তন সাধনে -
সম্মোহনী নেতৃত্বের অবদান লক্ষ করা যায়। এক্ষেত্রে চীনের মাও সে তুং এবং ভিয়েতনামের হো-চিমিনের নাম সর্বাগ্রে উলে খযোগ্য। -
উপনিবেশবাদ বিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করা এবং উপনিবেশিক শাসকদের বিতারিত করার ক্ষেত্রে
সম্মোহনী নেতৃত্বের ভ‚মিকা ইতিহাসে সুষ্পষ্ট। এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জাতীয়তাবাদী
আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সম্মোহনী নেতৃত্বের ভ‚মিকা অনস্বীকার্য। ভারতে গান্ধী, ইন্দোনেশিয়ায়
সুকর্নো,বার্মায় জেনারেল আউং সান, সিংহলে বন্দরনায়েক, ঘানায় নক্রমা প্রমূখের নেতৃত্বের কারণেই
জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ত্বরান্বিত হয়। ফলে এসকল নতুন রাষ্ট্রের উত্থান ঘটে।
জনগণকে উগ্র জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্ধুদ্ধ করা এবং সম্প্রসারনবাদী তৎপরতায় নিয়োজিত করার
ক্ষেত্রেও সম্মোহনী নেতৃত্ব কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানীর
হিটলার ও ইতালির মুসোলিনি তাদের নেতৃত্বের গুণে জার্মান জাতিকে একত্রিত করতে এবং বিশ্বজয়ের
আকাক্সক্ষা জাগ্রত করতে সক্ষম হয়েছিল।
যে কোন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা যুদ্ধ সংক্রান্ত জাতীয় সংকটে ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্ব
জনগণের মনোবল এবং ঐক্য টিকিয়ে রাখতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে চার্চিল ইংরেজদের মনোবল
রক্ষা করেছে দৃঢ়তার সাথে। ইরাকে পাশ্চাত্যের আক্রামনের বিরুদ্ধে সাদ্দাম হোসেন জনগণকে
একত্রিক রাখতে পেরেছে তার সম্মোহনী নেতৃত্বের গুণে।
ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের এ সকল ভূমিকা ও অবদানের কারণে একদিকে আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ায় গতি
সঞ্চারিত হয়েছে, অপরদিকে স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতি সুনিশ্চিত হয়েছে। তবে সম্মোহনী নেতৃত্বের
কারণে স্বৈরাচারের জন্ম হতে পারে। তাই সম্মোহনী নেতৃত্বের কিছু নেতিবাচক দিকও আছে। তবে
ব্যতিক্রমকে নিয়ম হিসেবে গণ্য করার কোন অবকাশ নেই। এ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ক্যারিসম্যাটিক
নেতৃত্বকে সামাজিক পরিবর্তন ও আধুনিকায়নের বাহন হিসেবে অভিহিত করা যায়।
সারকথাঃ
যে সকল নেতা অন্যদের সম্মোহিত করে তাদের প্রভাবিত ও পরিচালিত করার যোগ্যতা রাখেন
তাদেরকেই ক্যারিসম্যাটিক নেতা বলা হয়। ক্যারিসম্যাটিক নেতার মধ্যে কিছু অতি মানবিক এবং
অতি প্রাকৃতিক গুণাবলী থাকে। এ ক্ষেত্রে নেতা ও অনুসারিদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নেতা
যেভাবে পরিচালিত করেন, অনুসারীরা সেভাবেই পরিচালিত হয়। মূলত: পুরনো সমাজ থেকে
আধুনিক সমাজে উত্তরণের ক্ষেত্রে। বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রে এবং জাতীয়তাবাদী
আন্দোলন সংগঠিত করে স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা লক্ষ্য করা যায়।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :
সঠিক উত্তরটি লিখুন।
১। নেতৃত্ব গঠন প্রক্রিয়ার উপাদান কয়টি?
ক. তিনটি
খ. চারটি
গ. পাঁচটি
ঘ. ছয়টি।
২। ক্যারিসম্যাটিক কর্তৃত্বের ধারণা কে প্রকাশ করেন?
ক. আইডান ফস্টার কার্টার
খ. লা পিয়ের
গ. ম্যা´ ওয়েবার
ঘ. কার্ল মার্কস।
৩। ম্যাক্স ওয়েবার নেতৃত্বকে কত ভাগে বিভক্ত করেছেন?
ক. দুইভাগে
খ. তিনভাগে
গ. চারভাগে
ঘ. পাঁচভাগে।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন :
১। নেতৃত্ব বলতে কি বুঝায়?
২। ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?
রচনামূলক প্রশ্ন :
১. ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের ভ‚মিকা আলোচনা করুন ।
উত্তরমালা: ১. ক, ২. গ, ৩. খ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]