ব্রিটেনে রাজা বা রানীর ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করুন।

নির্বাহী বিভাগ ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটেনের শাসন ব্যবস্থা কোন সুপরিকল্পনার ফল নয়। কোন
বিশেষ ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক এ শাসন ব্যবস্থা সৃষ্টি হয় নি। দেশ ও দেশবাসীর ভৌগোলিক অবস্থা, সামাজিক অর্থনৈতিক
কাঠামো ও মূল্যবোধের পরিপ্রেক্ষিতে শাসনব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। ব্রিটেনের শাসন ব্যবস্থা সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার একটি
উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ ধরনের শাসন বিভাগের শীর্ষে আছেন রাজা বা রানী। ব্রিটিশ শাসন বিভাগ বলতে রাজা বা রানী;
প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টকে বুঝায়। রাজা বা রানী এ ব্যবস্থায় নামমাত্র প্রধান। সরকারের যাবতীয় ক্ষমতা তার নামেই
প্রয়োগ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রীই শাসন ব্যবস্থার মূল চালিকা শক্তি। রাজা বা রানী সহ পার্লামেন্টের সকল ক্ষমতা
বাস্তবে মন্ত্রিসভার নামেই পরিচালিত। বস্তুত পক্ষে ‘রাজা বা রানী’ সহ পার্লামেন্ট, প্রিভিকাউন্সিল, ক্যাবিনেট এবং স্থায়ী
রাজকর্মচারীদের নিয়ে ব্রিটেনের শাসন বিভাগ গঠিত। ব্রিটেনের শাসনবিভাগ তথা শাসন ব্যবস্থা হল সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার মডেল স্বরূপ। রাজা বা রানী ব্রিটেনের শাসন ব্যবস্থার নাম মাত্র প্রধান। যাবতীয় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার উৎস হল রাজা বা রানী।
দেশের ভিতরে তাঁর এই বিপুল শক্তির উৎস হল দু’টি:
১. পার্লামেন্টের বিধিবদ্ধ আইন ঃ পার্লামেন্টের বিধিবদ্ধ আইন ব্রিটেনের রাজশক্তি ক্ষমতার প্রধান
উৎস। পার্লামেন্টের কাছ থেকে রাজা বিধিবদ্ধভাবে কতকগুলো ক্ষমতা পেয়েছেন। এ ক্ষমতার
ভিত্তিতে তিনি বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে কার্যাদি সম্পন্ন করেন। এছাড়া অর্পিত ক্ষমতা প্রসূত আইন
(উবষবমধঃবফ ষবমরংষধঃরড়হ) -এর মাধ্যমে শাসন-বিভাগীয় মন্ত্রীদের কার্যাদি সম্পর্কে রাজা প্রশ্ন
জিজ্ঞাসা করতে পারেন। এগুলোই হল পার্লামেন্টের বিধিবদ্ধ আইন।
২. বিশেষাধিকার ঃ বিশেষাধিকার ব্রিটেনের রাজা বা রানীর ক্ষমতার দ্বিতীয় উৎস। ব্রিটেনের রাজশক্তির
ক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল বিশেষাধিকার রাজার এই বিশেষাধিকারগুলো
চিরাচরিত প্রথার মাধ্যমে প্রাপ্ত। এগুলো তার ক্ষমতার ভিত্তি স্বরূপ।
“রাজা কোন অন্যায় করতে পারেন না” (ঞযব করহম পধহ ফড় হড় ৎিড়হম) এ প্রবাদটি ব্রিটেনে ব্যক্তি রাজার
ক্ষেত্রে নয়, প্রতিষ্ঠান রাজার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সুদূর অতীতে রাজার অবাধ ক্ষমতা ছিল এবং তাঁকে বিধাতার
প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য করা হত। সে সময় রাজার ক্ষমতাকে সন্দেহাতীতভাবে মেনে নেওয়া হত। রাজা
সব দোষ ত্রæটির উর্ধ্বে বলে ধরে নেয়া হত। কিন্তু বর্তমান রাজার নিজস্ব ব্যক্তিগত কোন ক্ষমতা নেই।
নিজ দায়িত্বে তিনি কিছুই করেন না। যাবতীয় কাজকর্ম তার নামেই পরিচালিত হয়। তাই তিনি কোন
অন্যায় করেন না। এ কারণে তাঁকে কোন অন্যায়-অবিচারের জন্য দায়ী করা যায় না। সরকারী কাজের
জন্য সাধারণত মন্ত্রীরাই দায়ী থাকেন। রাজার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা যায় না।
ব্রিটেনে দিনে দিনে নানা রকম সরকারী ক্ষমতা ব্যক্তি রাজার হাত থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সীমিত ক্ষমতার
অধিকারী প্রাতিষ্ঠানিক রাজার হাতে চলে যায়। বর্তমানে ব্রিটেনে দায়িত্বশীল সংসদীয় সরকার বিদ্যমান।
এ ধরনের সরকারী ব্যবস্থায় যাবতীয় দায়-দায়িত্ব সরকার প্রধানের হাতে ন্যাস্ত। রাজা এখানে নামে মাত্র
প্রধান। রাজা বা রানী মন্ত্রিসভার পরামর্শক্রমে নির্ধারিত যাবতীয় কার্যাদি পালন করেন। রাজার ঘোষণাপত্রে
যে কোন একজন মন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষর আবশ্যক। অন্যথায় এ ঘোষণা কার্যকরী হয় না। সকল দায় দায়িত্ব
মন্ত্রীসভার উপর ন্যাস্ত। রাজা কোন ভুল করলে তা অন্যদের উপর বর্তায়।
ব্রিটেনে রাজশক্তির ক্ষমতা ও কার্যাবলী
সাংবিধানিকভাবে ব্রিটেনের সকল ক্ষমতা রাজা বা রানীর নামে পরিচালিত হয়। তত্ত¡গত বিচারে ব্রিটেনের
রাজশক্তি হল যাবতীয় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার উৎস। রাজা বা রানী ব্রিটেনের শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ ও
বিচার বিভাগের অবিচ্ছেদ্য অংশ, ব্রিটেনের রাজা বা রানীর ক্ষমতা ও কার্যাকবলীকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। সরকারী কাজের জন্য সাধারণত মন্ত্রীরাই দায়ী থাকেন।
১. শাসন সংক্রান্তক্ষমতাঃ ব্রিটেনের রাজা বা রানী রাষ্ট্রপ্রধান। তার নামেই সকল ক্ষমতা পরিচালিত
হয়। তিনি হলেন শাসন বিভাগীয় প্রধান। শাসন ব্যবস্থার সর্বোচ্চ ব্যক্তি। দেশের শাসন ক্ষমতা যাতে
আইনানুগ ভাবে পরিচালিত হয় সেদিকে তিনি দৃষ্টি রাখেন। বিভিন্ন বিষয়ে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে
তত্ত¡াবধান ও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা তাঁর উপর ন্যাস্ত। তিনি প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের নিয়োগ দান
করেন। এছাড়া তিনি তাদের পদচ্যুত করার ক্ষমতা রাখেন। ব্রিটেনের স্থল, নৌ, বিমান বাহিনী,
সামরিক বিভাগ তাঁর নামেই পরিচালিত হয়। ডোমিনিয়ন ও উপনিবেশগুলোর শাসনকার্য পরিচালনার
দায়িত্ব রাজার হাতেই ন্যস্ত। তিনি কমনওয়েলথ দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করেন। শাসন
কার্য পরিচালনার জন্য তিনি ডোমিনিয়নগুলোর গভর্নর জেনারেলদের নিযুক্ত করেন।
২. আইন সংক্রান্তক্ষমতা ঃ আইন সংক্রান্তক্ষমতা ব্রিটেনের রাজা বা রানীর একটি মৌলিক দায়িত্ব।
তিনি কেবলমাত্র শাসন বিভাগের প্রধান নন আইন বিভাগেরও অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটেনের পার্লামেন্টে
বলতে রাজা বা রানী সহ পার্লামেন্টকে বোঝায়। তিনি পার্লামেন্টের অধিবেশন আহŸান করেন,
অধিবেশন মূলতবী ও প্রয়োজনবোধে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিতে পারেন। শাসনতান্ত্রিক রীতি অনুসারে
বছরে একবার অন্ততঃ পার্লামেন্টর অধিবেশন আহŸান করা হয়। তিনি প্রতি বছর পার্লামেন্টে একটি
বাণী পাঠ করেন। এ বাণীকে সিংহাসন থেকে প্রদত্ত ভাষণ (ঝঢ়ববপয ভৎড়স ঃযব ঃযৎড়হব) বলা হয়।
পার্লামেন্টের প্রতিটি বিলে রাজা বা রানীর স্বাক্ষর প্রয়োজন। তাঁর স্বাক্ষর ছাড়া কোন বিল আইনে
পরিণত হয় না। ক্যাবিনেটের পরামর্শ ক্রমে তিনি আইন সংক্রান্তক্ষমতা প্রয়োগ করেন। কখনও
কখনও তিনি পরোক্ষভাবে আইন প্রণয়নে অংশ নেন। নিয়মতান্ত্রিক শাসন প্রধান হিসেবে আইন
সংক্রান্তবিষয়ে রাজার ভ‚মিকা আনুষ্ঠানিক মাত্র।
৩. বিচার সংক্রান্তক্ষমতা ঃ ব্রিটেনের রাজা বা রানী ন্যায় বিচারের উৎস (ঋড়ঁহঃধরহ ড়ভ লঁংঃরপব)
হিসেবে অভিহিত। তাঁর নামে সকল বিচারকার্য সম্পন্ন হয়। এ প্রসঙ্গে ওগ এবং জিংক বলেন, “ ব্রিটেনের সকল বিচারকদের রাজা বা রানী নিয়োগ করেন। আবার তাদের পদচ্যুত
করতে পারেন। এ বিষয়ে অবশ্য তাঁকে পার্লামেন্টের সাথে পরামর্শ করে নিতে হয়। যে কোন
অপরাধীর প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করতে পারেন। বিচারকার্য সম্পাদনের জন্য আদালত গঠনের দায়িত্ব
তাঁর উপর ন্যাস্ত। কিন্তু রাজা বা রানীর বিরুদ্ধে আদালতে কোন মামলা দায়ের করা যায় না। প্রিভি
কাউন্সিলে আনীত আপীলে তিনিই রায় দেন। তবে এক্ষেত্রে তিনি স্বরাষ্ট্র সচিব-এর সাথে পরামর্শ
করে নেন।
৪. পররাষ্ট্র সংক্রান্তক্ষমতা ঃ ব্রিটেনের রাজা বা রানী পররাষ্ট্র বিষয়ে ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। বৈদেশিক
বিষয় পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করার দাযিত্ব তার উপর ন্যাস্ত। বিদেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ, রাষ্ট্রদূত গ্রহণ
ও আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদন রাজার নামে হয়ে থাকে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে যাবতীয় নির্দেশ তিনিই
দিয়ে থাকেন। আন্তর্জাতিক সন্ধি ও চুক্তি তাঁর উপর ন্যস্ত। তবে কিছু কিছু বৈদেশিক চুক্তিতে তিনি
পার্লামেন্টের সাহায্য নেন। দেশের কোন ভ‚খন্ড হস্তান্তর তিনিই করেন।
৫. সম্মান প্রদান সংক্রান্তক্ষমতা ঃ ব্রিটেনের রাজা বা রানী সম্মানের উৎস হিসেবে খ্যাত। সাধারণত
নববর্ষ, রাজ্যভিষেক ও জন্মদিন উপলক্ষে রাজা বা রানী বিভিন্ন সম্মানসূচক খেতাব বা উপাধি বিতরণ
করেন। পূর্বে রাজা বা রানী তাঁর খুশিমত নিজের অনুগ্রহভাজনদের সম্মানসূচক খেতাব প্রদান
করতেন। তবে বর্তমানে এ সকল কার্যাদি মন্ত্রিসভার পরামর্শ সাপেক্ষে পরিচালিত। এ বিষয়ে সম্মান
আইন নামে একটি আইন১৯২৩ সনে প্রণয়ন করা হয়।
৬. ধর্মীয় ক্ষমতা ঃ ব্রিটেনের রাজা বা রানী কিছু কিছু ধর্মীয় ক্ষমতাও প্রয়োগ করেন। রাজা বা রানীই
ইংল্যান্ডে গীর্জার প্রধান। ব্রিটেনে রাজশক্তির সঙ্গে খৃীষ্ঠর্ধম ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। খৃীষ্ঠধর্ম
প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান হলেন রাজা বা রানী। তিনি প্রধান যাজক ও অন্যান্য যাজকের নিযুক্ত করেন।
তাঁর নামেই খ্রীষ্টধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সভা অনুষ্ঠিত। চার্চের বিধি বিধান রাজা বা রানীর অনুমোদন
সাপেক্ষে চালিত হয়। এ ক্ষেত্রে রাজা প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে নেন। তিনি চার্চের প্রধান রাজা বা রানীর বিরুদ্ধে আদালতে কোন মামলা দায়ের করা যায় না। পার্লামেন্টের প্রতিটি বিলে রাজা বা রানীর স্বাক্ষর প্রয়োজন।
হিসেবে বিশপ ও আর্চবিশকপদের, ডিন ও ক্যাননদের নিয়োগ করেন। এগুলোই হল রাজা বা রানীর
ধর্মীয় বিষয়ক ক্ষমতা।
রাজার বিশেষ অধিকার
রাজা ব্রিটেনের শাসন ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক প্রধান। শাসন ব্যবস্থায় রাজা বা রানী বিশেষ মর্যাদাবান ব্যক্তি।
রাজার বিশেষ অধিকার প্রসঙ্গে ডাইসি বলেন, ব্রিটেনের রাজা বা রানীর বিশেষ
অধিকার সম্পর্কেশাসনতান্ত্রিকভাবে বলা আছে যে, ‘পরামর্শ দান, উৎসাহ দান করাই হল রাজা বা রানীর
বিশেষ অধিকার।’
পরামর্শদান ঃ পরামর্শদান ব্রিটেনের রাজা বা রানীর প্রথম অধিকার। পরামর্শদানের অধিকার অর্থ হল যে
রাজাকে রাষ্ট্রীয় বিষয়ে সব সময় অবহিত রাখা হয়, আইন ও অন্যান্য সরকারী কাজে রাজা বা রানীর
সম্মতির প্রয়োজন হয়। মন্ত্রিসভা গুরুত্বপূর্ণবিষয়ে রাজা বা রানীর সাথে পরামর্শ করে নেন। মন্ত্রীরা তাদের
গুরুত্বপূর্ণসিদ্ধান্তনেয়ার আগে অবশ্যই রাজা বা রানীর সাথে আলোচনা বা পরামর্শ করতে বাধ্য থাকেন।
এভাবে রাজা বা রানীর তার পরামর্শদানের অধিকার ভোগ করেন।
উৎসাহ দান ঃ উৎসাহদানের অধিকার ব্রিটেনের রাজা বা রানীর একটি বিশেষ অধিকার। ব্রিটেনে
ক্যাবিনেট ব্যবস্থা বিদ্যমান। তিনি গুরুত্বপূর্ণবিষয়ে ক্যাবিনেটকে উৎসাহ দেন। তাকে জনকল্যাণ নীতি
ও সিদ্ধন্তের বিষয়ে অবহিত করতে হয়। বিশেষ করে তিনি জনকল্যাণ বিষয়ে সিদ্ধান্তনিতে ক্যাবিনেটকে
উৎসাহ প্রদান করেন।তাঁর এ উৎসাহ ক্যাবিনেটের মনস্তাত্তিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
সতর্ককরা ঃ সতর্ক করা ব্রিটেনের রাজা বা রাণীর অন্যতম অধিকার। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে
সতর্ককরে দেন। কোন জনস্বার্থ সম্পর্কিত সিদ্ধান্তনিতে হলে তাঁকে অবহিত করতে হয়। রাজা কোন
জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্তমেনে নেন না। রাজার এরূপ সতর্ক বাণী ক্যাবিনেটের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।রাজা
এ সকল সতর্কমূলক ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভাকে সতর্ক করে দেন।
সারকথা
রাজা বা রানী, ব্রিটেনের শাসন ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক প্রধান মাত্র। ব্রিটেনের রাজপদ বংশানুক্রম ভাবে
এসেছে। পার্লামেন্টের নিয়ম কানুন সৃষ্টির পর রাজার পদটি প্রাতিষ্ঠানিকতা পেয়েছে। কার্যক্ষেত্রে রাজা
কিন্তু দেশের প্রকৃত শাসক নন। দেশের প্রকৃত শাসন ব্যবস্থা পার্লামেন্টের দ্বারা সৃষ্ট আইনের আওতায়
ক্যাবিনেট দ্বারা পরিচালিত হয়। মন্ত্রিসভা বিভিন্ন বিষয়ে রাজা বা রানীর সাথে আলোচনা করে নেন।
এক্ষেত্রে সকল দায় দায়িত্ব মন্ত্রিসভার। রাজার যাবতীয় ক্ষমতা মন্ত্রিসভার নামেই পরিচালিত। সরকারী কোন কাজের জন্য রাজার কোন রকম দায় দায়িত্ব থাকে না। রাজা কোন জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্তমেনে নেন না।
সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন () দিন
১। রাজা বা রাণী হলেন ব্রিটেনের 
ক. আনুষ্ঠানিক প্রধান;
খ. প্রধান সরকার প্রধান;
গ. আনুষ্ঠানিক প্রধান সরকার প্রধান;
ঘ. কোনটি নয়।
২। ব্রিটেনের শাসন ব্যবস্থায় তিনটি বিশেষ অধিকার ভোগ করে
ক. রাজা বা রানী;
খ. প্রধান মন্ত্রী;
গ. উপদেষ্টা পরিষদ;
ঘ. পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
৩। রাজার শাসন ব্যবস্থায় তিনটি বিশেষ অধিকার ভোগ করেন 
ক. শাসনক্রমে;
খ. বংশানুক্রমে;
গ. জনগণের ই্চছামত;
ঘ. উভয়ই।
উত্তর মালা ১। ক ২। ক ৩। খ
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্নঃ
১। ব্রিটেনের রাজশক্তির উৎসগুলো কি ?
২। ব্রিটেনের রাজার বিশেষ অধিকারগুলো কি ?
রচনামূলক প্রশ্নঃ
১। ব্রিটেনে রাজা বা রানীর ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]