জাতীয় গণসংগ্রেস হল গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সর্বোচ্চ সংস্থা। সাংবিধানিক উপায়ে এ সংস্থাটির উদ্ভব। রাষ্ট্রীয়
কাঠামোর একটি বিশেষ অঙ্গ হল এই জাতীয় কংগ্রেস। এটি হল গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের আইন সভা বা
পার্লামেন্ট। ১৯৪৯ সনের গণচীন প্রতিষ্ঠার পর প্রথম সংবিধানে গণকংগ্রেস সৃষ্টির কথা বলা হয়।
সাংবিধানিক বিবর্তনের ধারায় বর্তমান সংবিধানে কংগ্রেস একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছে। ১৯৮২
সনের সংবিধানের ৫৭নং অনুচ্ছেদে বলা হয় যে, এ কংগ্রেস জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত।
গণসার্বভৌমত্বের নীতির প্রেক্ষিতে গণকংগ্রেসের সৃষ্টি। এ নীতি অনুসারে সকল ক্ষমতা জনগণের হাতে
ন্যস্ত। চীনের গণসার্বভৌম বাস্তবে কর্যকর হয় মূলত জাতীয় গণকংগ্রেস এবং অন্যান্য স্থানীয়
গণকংগ্রেসগুলোর মাধ্যমে। রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে এ কংগ্রেসের চরম কর্তৃত্ব বিদ্যমান। প্রথম সংবিধান থেকে
শুরু করে প্রতিটি সংবিধানে এ গণকংগ্রেসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা। যায় পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে
সংবিধানিকভাবে এর মর্যাদা স্বীকৃত।
জাতীয় কংগ্রেসের গঠন ও কার্যকাল
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সর্বোচ্চ সংস্থা হল এ কংগ্রেস। চীন হল একটি এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র। তাই জাতীয়
গণকংগ্রেস হল একটি এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা। ডেপুটিগণকে নিয়ে এ কংগ্রেস গঠিত। তাঁরা
পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন। বিভিন্ন প্রদেশ, স্ব-শাসিত অঞ্চল, পৌরসভাগুলোর কংগ্রেস এবং গণমুক্তি
ফৌজের প্রতিনীধিদের নিয়ে এ সংস্থা গঠিত। ডেপুটিগণ গণতান্ত্রিক বিধি মোতাবেক নিজ নিজ কংগ্রেসে
আলাপ-আলোচনার পর গোপন ব্যালোটে নির্বাচিত হন। ডেপুটিগণের সংখ্যা ও তাদের নির্বাচন সম্পর্কে
সংবিধানে কোন স্পষ্ট বিধি-বিধান নেই। এদের সংখ্যা সংবিধানের ৫৯ নং ধারা মতে আইনের দ্বারা
নির্ধারিত। ১৮ বছর বয়স্ক ব্যক্তি জাতীয় গণকংগ্রেসের ডেপুটি বা প্রতিনিধি পদে প্রার্থী হতে পারেন। এ
পদে প্রার্থী হবার জন্য অন্য কোন বিশেষ যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের গণকংগ্রেসের
কর্মকাল ৫ বছর। তবে এর কার্যকাল বৃদ্ধি করা যায়। কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের
সিদ্ধান্তঅনুসারে নির্বাচন স্থগিত রাখা যায়। কার্যকালও বৃদ্ধি করা যায়। তবে এ অবস্থা অবসানের পর ১
বছরের মধ্যে এর নির্বাচন আহবান করতে হয়। সাধারণতঃ বছরে একবার কংগ্রেসের অধিকেশন আহবান
করা যায়। স্থায়ী কমিটি এ অধিবেশন আহবান করে।
জাতীয় গণকংগ্রেসের ক্ষমতা ও কার্যাবলী
জাতীয় কংগ্রেস গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়ন কারী সংস্থা। আইন প্রণয়নসহ যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ
কাজ জাতীয় কংগ্রেস করে থাকে। বিশেষ করে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আইনসভা হিসেবে জাতীয় কংগ্রেসের
ভ‚মিকা অপরিসীম। জাতীয় কংগ্রেস নি¤েœাক্ত কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে।
১. আইন ও সংবিধান সংক্রান্তকাজ ঃ আইন ও সংবিধান সংক্রান্তকাজ গণকংগ্রেসের সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ কাজ। দেশ পরিচালনার জন্য যাবতীয় মৌলিক আইন প্রণয়নের দায়িত্ব কংগ্রেসের উপর
ন্যস্ত। এ ব্যাপারে সংবিধানে ৬৪ নং ধারায় বিধান রাখা হয়েছে। ফৌজদারী, দেওয়ানী ও রাষ্ট্রীয়
সংক্রান্তআইন জাতীয় কংগ্রেস সংশোধন করতে পারে। দেশের সংবিধান বলবৎ রাখা ও তদারকী
করার দায়িত্ব জাতীয় কংগ্রেসের উপর ন্যাস্ত। সংশোধনের ব্যাপারে এ সংস্থার ভ‚মিকা অপরিসীম।
সংবিধান সংশোধন প্রস্তাব গণকংগ্রেসের এক পঞ্চাংশ ডেপুটিগণ উত্থাপন করতে পারেন। কিন্তু
সংশোধনের জন্য কংগ্রেসের দুই তৃতীয়াংশের বেশী প্রতিনিধির সমর্থন অপরিহার্য। এ সংশোধন
সাধারণ আইন পাশের তুলনায় জটিল প্রকৃতির।
২. শাসন সংক্রান্তকাজ ঃ শাসন সংক্রান্তবিষয়ে চীনের কংগ্রেস ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী। চীনের
প্রশাসন মূলত কংগ্রেসকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। প্রশাসনিক প্রয়োজনে জাতীয় কমিটি, আইন কমিটি,
শিক্ষা কমিটি, কৃষি ও জনস্বাস্থ্য কমিটি ও বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি জাতীয় কংগেসই গঠন
করে থাকে। প্রদেশ ও কেন্দ্রীয় সরকারের মিউনিসিপ্যালিটি গঠন করার অনুমোদন জাতীয় কংগ্রেসের
হাতে ন্যস্ত। প্রশাসনিকভাবে যুদ্ধ ও শান্তির প্রশ্নে সিদ্ধান্তগ্রহণের ব্যাপারে ঐ সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা
রাখে। বিশেষ করে প্রশাসনিক অঞ্চল গঠন ও প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সিদ্ধান্তেগ্রহণ করা গণকংগ্রেসের
একটি গুরু দায়িত্ব। প্রশাসনিক প্রয়োজনে কংগ্রেস তার স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তেরদ-বদলের ক্ষমতা
রাখে। এ সংস্থা স্থায়ী কমিটির কোন সিদ্ধান্তেঅযৌক্তিক মনে করলে তা বাতিল বলে ঘোষণা করতে
পারে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় পরিষদের বিভিন্ন দপ্তর ও কমিশনকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে।
৩. নিয়োগ ও নির্বাচন সংক্রান্তকাজ ঃ নির্বাচন সংক্রান্তকাজ গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের কংগ্রেসের একটি
মৌলিক দায়িত্ব। জাতীয় কাংগ্রেস চীনের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করে। কংগ্রেস
কাউন্সিলের প্রিমিয়ারদের নিয়োগ অনুমোদন করে। রাষ্ট্রপতির পরামর্শ ক্রমে রাষ্ট্রীয় পরিষদের
প্রধানমন্ত্রীকে নিযুক্ত করে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রীগণ, মাহাসচিব ও প্রধান
হিসাব রক্ষক পদম্মুখ ব্যক্তিদের কংগ্রেস নিযুক্ত করে। কেন্দ্রীয় মিলিটারী কমিশনের চেয়ারম্যান
নিয়োগের দায়িত্ব কংগ্রেসের উপর ন্যস্ত। চেয়ারম্যানের পরামর্শ ক্রমে কংগ্রেস সামরিক কমিশনের
অন্যান্য সদস্যদেরকে নির্বাচিত করে থাকে। সর্বোচ্চ গণআদালতের সভাপতি, প্রকিউরেটর
জেনারেল, স্থানীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান জাতীয় কংগ্রেস কর্তৃক নিযুক্ত হন।
৪. অর্থ সংক্রান্তকাজ ঃ রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির ব্যাপারে জাতীয় সংগ্রেস গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এ সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে। অর্থনৈতিক পরিকল্পনা
প্রণয়ন, বাজেট প্রণয়ন ও হিসাব পত্র চূড়ান্তভাবে পরীক্ষা ও অনুমোদনের দায়িত্ব মূলত কংগ্রেসেরই।
কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া জাতীয় পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন অসম্ভব। সামাজিক ও অর্থনৈতিক
উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সংক্রান্তরিপোর্ট পরীক্ষা ও অনুমোদন করা এ সংস্থার কাজ।
৫. পররাষ্ট্র সংক্রান্তকাজ ঃ বৈদেশিক বিষয়েও জাতীয় গণ কংগ্রেস গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকায় অবতীর্ণহয়।
যুদ্ধ ও শান্তির প্রশ্নে সিদ্ধান্তগ্রহণের দায়িত্ব মূলত এ কংগ্রেসের উপর ন্যাস্ত। কংগ্রেসের এ সিদ্ধান্ত
বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ বৈদেশিক নীতি নির্ধারণের দায়িত্ব কংগ্রেসের উপর অর্পণ করা হয়েছে।
৬. অন্যান্য ক্ষমতা ঃ জাতীয় গণ কংগ্রেস উপরোক্ত কার্যাবলী ছাড়াও অন্যান্য কাজও সম্পাদন করে
থাকে। জাতীয় কংগ্রেস বিভিন্ন প্রদেশ, স্ব-শাসিত অঞ্চল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীন
পৌরসভা ও প্রশাসনিক অঞ্চল স্থাপনের বিষয় অনুমোদন দিয়ে থাকে।
গণ- কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির ক্ষমতা ও কার্যাবলী
গণ-প্রজাতন্ত্রী চীনের গণ কংগ্রেসের সর্বোচ্চ সংস্থা হল স্থায়ী কমিটি। এটি কংগ্রেসের সর্বোচ্চ ও গুরুত্বপূর্ণ
সংস্থা। আইন, শাসন, বিচার, অর্থ ও পররাষ্ট্র বিষয়ে যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তএ কমিটিকে নিতে হয়।
১জন সভাপতি, কয়েকজন সহ-সভাপতি, ১ জন সাধারণ সম্পাাদক ও কতিপয় সাধারণ সদস্য নিয়ে এ
কমিটি গঠিত। এ কমিটির ক্ষমতা ও কার্যাবলীকে নি¤েœাক্তভাবে আলোচনা করা যেতে পারে।
১. আইন সংক্রান্তক্ষমতা ঃ আইন সংক্রান্তবিষয়ে স্থায়ী কমিটি বিশেষ ভ‚মিকা পালন করছে।
সংবিধানের ৫৮ নং ধারা অনুসারে কংগ্রেস এ ক্ষমতা প্রয়োগ করে। বছরে একবার জাতীয় কংগ্রেসের
অধিবেশন বসে। স্থায়ী কমিটি এ অধিবেশন আহবান করে। এ কমিটি সংবিধান ও আইনের ব্যাখ্যা
করতে পারে। কংগ্রেসের উপর অর্পিত আইন ছাড়া কমিটি অন্যান্য আইন প্রণয়ন ও সংশোধন করে
থাকে। কংগ্রেসের অধিবেশন স্থগিত থাকাকালীন সময়ে কংগ্রেস নির্ধারিত আইনের সংশোধন ও
সংযোজন করতে পারে। এ ছাড়া স্থায়ী কমিটি সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব উপস্থাপন করতে পারে।
২. শাসন সংক্রান্তক্ষমতা ঃ শাসন সংক্রান্তবিষয়ে কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন
করে। স্থায়ী কমিটি জাতীয় কংগ্রেসের ডেপুটিদের নির্বাচন পরিচালনা করে। সাধারণত কংগ্রেসের
মেয়াদ শেষ হবার দুই মাস আগেই নতুন সদস্যদের নির্বাচন শেষ করতে হয়। স্থায়ী কমিটি
প্রশাসনিকভাবে রাষ্ট্রীয় পরিষদ, কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন, সর্বোচ্চ গণ-আদালত ও গণ-প্রকিউরেটর
বিভাগের কাজ তদারকী করে। এ কমিটি রাষ্ট্রীয় পরিষদের সংবিধান বা আইন বিরোধী সিদ্ধান্তও
আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা রাখে। এ ছাড়া পৌরসভার কোন কোন সিদ্ধান্তবাতিল করার ক্ষমতা
রাখে। প্রধানমন্ত্রীর মনোয়ন অনুসারে বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী, কমিশনের সভাপতি, অডিটর জেনারেল
ও রাষ্ট্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাাদক নিয়োগ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তনিতে পারে। বিদেশে পূর্ণ ক্ষমতা
সম্পন্ন রাষ্ট্রদূতদের স্থায়ী কমিটি নিযুক্ত করতে পারে।
৩. বিষয় সংক্রান্তকাজ ঃ স্থায়ী কমিটি কতিপয় বিষয় সংক্রান্তকাজ করে থাকে। গণ-আদালদের
সভাপতির অনুরোধ ক্রমে আদালতের সভাপতি, সহ-সভাপতি, বিচারক ও বিচারক কমিটির
সদস্যদের নিযুক্ত ও অপসারিত করতে পারে। এ ছাড়া স্থায়ী কমিটি প্রধান প্রকিউরেটর ও প্রকিউরেটর
কমিটি সদস্যদের নিয়োগ ও অপসারণ করার ক্ষমাত রাখে। গণ-আদালত ও প্রকিউরেটর সংস্থার
কাজকর্ম তদারকীর দায়িত্ব গণ-কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির। আবার স্থায়ী কমিটি বিশেষ ক্ষমতা
প্রদর্শনের সিদ্ধান্তগ্রহণ করেন।
৪. সামরিক ক্ষমতা ঃ গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি কতিপয় সামরিক ক্ষমতাও ভোগ করে। কংগ্রেসের
অধিবেশন চলাকালে বৈদেশিক আক্রমণ প্রতিহত করার ব্যবস্থা স্থায়ী কমিটি নিয়ে থাকে। সামরিক
প্রস্তুতি নেয়ার দায়িত্ব স্থায়ী কমিটির। প্রদেশ, অঞ্চল ও কেন্দ্র শাসিত নগরে সামরিক আইন জারীর
সিদ্ধান্তস্থায়ী কমিটি নিয়ে থাকে। এছাড়া আংশিকভাবে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার ক্ষমতা
স্থায়ী কমিটির উপর ন্যস্ত।
৫. অর্থনৈতিক ক্ষমতা ঃ অর্থনৈতিক বিষয়ে কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি কতিপয় কাজ করে থাকে।
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্ব স্থায়ী কমিটির উপর ন্যাস্ত। অর্থনৈতিক বিষয়ে
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগ্রহণে স্থায়ী কমিটি জাতীয় কংগ্রেসকে সাহায্য করে থাকে। উন্নয়ন পরিকল্পনা
বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রীয় বাজেটের আংশিক রদবদল পরীক্ষা করার ক্ষমতা স্থায়ী কমিটির উপর ন্যাস্ত।
সুতরাং স্থায়ী কমিটির অর্থনৈতিক ভ‚মিকাকে উপেক্ষা করা যায় না।
৬. অন্যান্য ক্ষমতা ঃ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি কতিপয় অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকে। স্থায়ী কমিটি
কতিপয় অর্পিত ক্ষমতা ভোগ করে যা কংগ্রেস কর্তৃক নির্ধারিত। গণ কংগ্রেসের অধিবেশন না থাকলে
স্থায়ী কমিটি বিশেষ কমিটির দায়িত্ব পালন করে। অন্যান্য ক্ষমতা সংক্রান্তবিষয় সংবিধানের ৬৭ নং
ধারায় বিধান রাখা হয়েছে।
সারকথাঃ
গণ-কংগ্রেস গণ-প্রজাতন্ত্রী চীনের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী- সংস্থা। সাংবিধানিকভাবে এ সংস্থাটির
সৃষ্টি। ১৯৫৪ সনের প্রথম সংবিধান থেকে শুরু করে প্রতিটি সংবিধানে গণ-কংগ্রেসের বিধান রাখা হয়েছে।
পরবর্তীতে ১৯৮২ সনের সংবিধানে জাতীয় গণ-কংগ্রেসকে এক-কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা হিসেবে আখ্যা
দেয়া হয়। এর সদস্যগণ প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত নন। এ কংগ্রেসের কার্যকাল পাঁচ বছর। কংগ্রেসের
সদস্যগণ ডেপুটি নামে অভিহিত। এ কংগ্রেসের অধিবেশন সাধারণত বছরে একবার বসে। স্থায়ী কমিটি
এ অধিবেশনের আহবান করে থাকে। স্থায়ী কমিটি হল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ সংস্থা। এ সংস্থাটির মাধ্যমে
জাতীয় কংগ্রেস তার দায়িত্ব পালন করে।
সঠিক উত্তরে টিক () দিন
১. কংগ্রেসের সদস্যগণ পরিচিত
ক. সামরিক কমিশন নামে;
খ. ডেপুটি নামে;
গ. সাধারণ সদস্য নামে;
ঘ. সবকটি।
২. কংগ্রেসের কার্যকালক. ৪ বছর;
খ. ৬ বছর;
গ. ৫ বছর;
ঘ. ৮ বছর।
৩। পঞ্চম জাতীয় কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির সহ-সভাপতি ছিলক. ১ জন;
খ. ১৫ জন;
গ. ২১ জন;
ঘ. ২০ জন।
উত্তর মালাঃ ১। খ, ২। গ , ৩। ক
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১. কংগ্রেসের গঠনের পটভ‚মি ব্যাখ্যা করুন।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের গণ-কংগ্রেসের ক্ষমতা ও কার্যবলী আলোচনা করুন।
২। গণ-কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির ক্ষমতা ও কার্যাবলী বর্ণনা করুন।
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত