গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যগুলো আলোচনা করুন।

মৌলিক অধিকারের সংজ্ঞা
‘অধিকার’ নাগরিক জীবনের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। ‘অধিকার’ নাগরিক জীবন বিকাশের জন্য
অপরিহার্য শর্ত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরিপ্রেক্ষিতে অধিকার হল মানুষের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ সাধনের অন্যতম
উপাদান। ব্যক্তি জীবনের সম্যক প্রকাশের জন্য প্রয়োজন সুযোগ-সুবিধা। অর্থাৎ ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য
অত্যাবশ্যকীয় সুযোগ-সুবিধাই হল অধিকার। এ পাঠে আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সংবিধানে অধিকার ও
কর্তব্যের সন্নিবেশন সম্পর্কে আলোচনা করব।
চীনের সংবিধানে অধিকার ও কর্তব্যের বৈশিষ্ট্যগুলো নিæরূপ ঃ
আত্মোপলদ্ধি ও ব্যক্তিত্ববিকাশের জন্য অধিকার অপরিহার্য। এ দিকে দৃষ্টি রেখে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের
কর্তৃপক্ষ ১৯৮২ সনের সংবিধানে অধিকার ও কর্তব্যকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এ অধিকার ও
কর্তব্যকে বিশ্লেষণ করলে নি¤েœাক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো পাওয়া যায় ঃ
১. শ্রেণী চরিত্র ঃ গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্যে সমাজের শ্রেণী চরিত্র ফুটে উঠে।
প্রগতিশীল সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তিতে চীনের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার গড়ে উঠেছে।
চীনের রাষ্ট্রনেতাদের মতে সমাজের শ্রেণী চরিত্র ও রাষ্ট্রীয় মৌলিক আদর্শের উপর নাগরিক অধিকার
নির্ভর করে।
২. ব্যক্তিগত সম্পত্তি ঃ চীনের নাগরিক অধিকার ও কর্তব্যেকে বিশ্লেষণ করলে ব্যক্তিগত সম্পাত্তির
সমর্থন লক্ষ্য করা যায়। চীনে ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সাথে সাথে
রাজনৈতিক অধিকারের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। তবে এ অধিকার গণতান্ত্রিক দেশের চেয়ে
ব্যতিক্রমধর্মী।
৩. অর্থনৈতিক অধিকার ঃ চীনের নাগরিক অধিকার ও কর্তব্যের অন্যতম দিক হল অর্থনৈতিক
অধিকার। চীনের রাষ্ট্রনেতাদের মতে অর্থনৈতিক অধিকার ছাড়া রাজনৈতিক অধিকার অর্থহীন। এ
কারণে চীনের সংবিধানে নাগরিক অধিকার ও কর্তব্যের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অধিকারের কথা বলা
হয়েছে।
৪. সর্বজনীনতা ঃ চীনের নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে সর্বজনীনতা লক্ষ্য করা যায়। ঐ দেশের
সংবিধানে নাগরিক অধিকার প্রদানে কোন রকম বৈষম্য করা হয় নি। সংবিধানে স্বীকৃত অধিকারগুলো
সার্বজনীন। জাতি, বর্ণ, ধর্ম, নির্বিশেষে সবাই সার্বজনীনভাবে অধিকার ভোগ করতে পারে।
৫. কার্যকরী ব্যবস্থা ঃ চীনের সংবিধানে নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বিশেষ করে ১৯৮২ সনের সংবিধানে এ ব্যাপারে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
৬. সমাজতান্ত্রিক আদর্শ ঃ চীনের নাগরিক অধিকার ও কর্তব্যের মাঝে সমাজতান্ত্রিক আদর্শ স্পষ্ট
হয়ে উঠে। নাগরিকের অধিকারে মধ্যে মার্কসবাদ লেনিনবাদের চিন্তাধারা ফুটে উঠে। তারা বিশ্বাস করে যে অধিকার সংরক্ষিত হয় সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে।
৭. শ্রেণী দ্ব›দ্ব অনুপস্থিত ঃ চীনের নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্যে শ্রেণী সংগ্রাম অনুপস্থিত। বুর্জোয়া
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শ্রেণী বর্তমান থাকে কিন্তু চীনের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয় বলে দাবী করা হয়।
চীনা কর্তৃপক্ষ মনে করে শ্রেণী স্বার্থ অধিকারগুলোকে সংকীর্ণ পরিসরে আবদ্ধ করে।
৮. জাতিসত্তার স্বীকৃতি ঃ চীনের সংবিধানে জাতিসত্তার স্বীকৃত মেলে। বর্তমান ১৯৮২ সনের সংবিধানে
বিভিন্ন জাতিসত্তার সমান অধিকার স্বীকার করা হয়েছে। চীন হল একটি বহুজাতিক রাষ্ট্র। বিভিন্ন
জাতির মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু তাদের মধ্যে সাম্যতা বিদ্যমান ছিল।
৯. বিদেশীদের অধিকার ঃ বিদেশীদের অধিকার চীনের নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্যের একটি বিশেষ
বৈশিষ্ট্য। গণ-প্রজাতন্ত্রী চীনের বর্তমান সংবিধানে বিদেশী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের অধিকার দেয়া হয়েছে।
বিদেশীদের অধিকার ও কর্তব্য চীনের আইনের দ্বারা সংরক্ষিত।
১০. মামলা ঃ চীনের নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্যে সর্বশেষ দিক হল মামলা। এ অধিকার ও কর্তব্যের
ক্ষেত্রে সরকারের বিরুদ্ধে মামলার কথা স্বীকার করা হয়েছে। ১৯৮৯ সনের ৪ঠা এপ্রিল চীনের গণকংগ্রেসের একটি নতুন আইন পাস করা হয়। এ আইনে সাধারণ মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে।
নাগরিকদের মৌলিক অধিকারসমূহ
নাগরিকের অধিকার চীনের সংবিধানের একটি উল্লেখযোগ্য দিক। চীনের নাগরিকগণ সংবিধান অনুসারে
নি¤েœাক্ত অধিকারগুলো ভোগ করেন।
১. আইনের অধিকার ঃ চীনে আইনের চোখে নাগরিকদের সাম্যের অধিকার স্বীকৃত। এ ব্যাপারে
সংবিধানের ৩৩ নং ধারায় বিধান রাখা হয়েছে।
২. নির্বাচনের অধিকার ঃ নির্বাচনের অধিকার চীনের নাগরিকের একটি মৌলিক অধিকার। চীনের
নাগরিকগণ নির্বাচনের অধিকার ভোগ করে। পাশাপাশি নির্বাচিত হওয়ার অধিকারও রাখে।
আইনানুসারে ১৮ বছরের সকল নাগরিক এ অধিকার ভোগ করে থাকে। উল্লেখ্য যে নির্বাচনে প্রার্থী
হওয়ার জন্য চীনের নাগরিকগণের বিশেষ কোন সময়সীমা প্রয়োজন পড়ে না। তবে একদলীয় ব্যবস্থা
বিদ্যমান থাকায় এবং অত্যাধিক কেন্দ্রীকতা বাস্তবে এ অধিকারকে অর্থহীন করে তুলেছে।
৩. মতামত প্রকাশের অধিকার ঃ চীনের নাগরিকের অন্যতম অধিকার হল মতামত প্রকাশের অধিকার।
এটির মাধ্যমে চীনের নাগরিকের ব্যক্তিত্বের বিকাশের সুযোগ রয়েছে। সাংবিধানিকভাবে চীনের
নাগরিকগণের বাক ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাকে স্বীকার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নাগরিকগণ
বাক-স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সভা-সমিতির স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে বলে দাবী করা
হয়। অবশ্য বাস্তবে জনগণ এ অধিকার থেকে বঞ্চিত বলে পশ্চিমী সমালোচকরা দাবী করে থাকেন।
৪. ধর্মের অধিকার ঃ ধর্মের অধিকার চীনা নাগরিকদের একটি মৌলিক অধিকার। চীনের নাগরিকদের
সাংবিধানিক ভাবে ধর্মের অধিকার দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্র কোন ব্যক্তির উপর কোন ধর্ম চাপিয়ে দিতে
পারবে না। ধর্মীয় বিশ্বাসে অধিকারের কারণে নাগরিকদের মধ্যে কোন বৈষম্য করা যাবে না।
প্রয়োজন মত নাগরিকগণ স্ব-স্ব ধর্ম পালন করবে।
৫. ব্যক্তি স্বাধীনতা ঃ চীনের নাগরিকদের জন্য ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার দেয়া হয়েছে। আরও বলা
হয় যে, গণ-আদালতের সিদ্ধান্তছাড়া কোন নাগরিককে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তবে নাগরিক অধিকার
নিতান্তই একপেশে এবং রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত।
৬. অভিযোগের অধিকার ঃ অভিযোগ করার অধিকার চীনা নাগরিকের একটি মৌলিক অধিকার।
সাংবিধানিক ভাবে এ অধিকার স্বীকৃত। নাগরিকগণ রাষ্ট্রীয় সংস্থা বা কর্মচারীর কাজের সমালোচনা
করতে পারে। তবে তথ্য বিনিময় বা বিকৃত করে খুশীমত অপরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা যায় না।
৭. কাজের অধিকার ঃ কাজের অধিকার চীনা নাগরিক ভোগ করে থাকেন। চীনের সংবিধানে
নাগরিকদের কাজের অধিকার স্বীকার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংবিধানের ৪২ নং ধারায় বিধান
রাখা হয়েছে। এ অধিকার কার্যকরী করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা আছে।
৮. বিশ্রামের অধিকার ঃ বিশ্রামের অধিকার চীনা নাগরিক একটি অন্যতম মৌলিক অধিকার। এটি
নাগরিকগণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। চীনা কর্তৃপক্ষ মনে করেন কাজের পাশাপাশি বিশ্রামের
প্রয়োজন রয়েছে। এ অধিকার বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
৯. সাহায্য প্রাপ্তির অধিকার ঃ চীনের নাগরিকগণ সাহায্য লাভের অধিকার ভোগ করে থাকে। চীনের
রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায়, অসুস্থ্য ও পঙ্গু ব্যক্তিগণ সমাজের কাছে সাহায্য লাভের আশা করতে পারে।
সংবিধানে বলা হয়েছে যে, এ ব্যবস্থা সামাজিক বীমা, সামাজিক সহায়তা, চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য
ব্যবস্থাকে প্রসারিত করবে। সুতরাং এটি নাগরিকের জন্য একটি অপরিহার্য অধিকার।
১০. শিক্ষার অধিকার ঃ শিক্ষার অধিকার মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। চীনের নাগরিকগণ এ
অধিকারের বাইরে নয়।
১১. সাংস্কৃতিক অধিকার ঃ সাংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়ক। চীনের সংবিধানে সাংস্কৃতিক কাজকর্মে
আত্ম নিয়োগের স্বাধীনতাকে স্বীকার করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে যে জনগণের উপযোগী শিক্ষা,
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সাহিত্য ও শিল্পকলা কাজকর্মে রাষ্ট্র অনুপ্রাণিত ও সাহায্য করবে। তবে সমাজতান্ত্রিক
ব্যবস্থা বলবৎ থাকায় অবাধ ও মুক্ত সংস্কৃতি চর্চায় সুযোগ নেই।
১২. নারীর স্বাধীনতা ঃ নারীর অধিকার চীনের নাগরিকের একটি মৌলিক অধিকার। গণ-প্রজাতন্ত্রী চীনে
নারীর অধিকার স্বীকৃত। চীনের কর্তৃপক্ষ সাম্যে বিশ্বাসী। এ দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় নারী পুরুষের
সমানাধিকারকে স্বীকার করা হয়েছে।
১৩. পরিবার গঠনের অধিকার ঃ পরিবার গঠনের অধিকার চীনের নাগরিকের একটি উল্লেখ যোগ্য
মৌলিক অধিকার। চীনের সংবিধানে বিবাহ ও পরিবার গঠনের অধিকারকে স্বীকার করা হয়েছে।
নারী পুরুষে পছন্দমত স্বাধীনভাবে বিবাহ করার অধিকার রাখে। এটি নাগরিকের একটি মৌলিক
অধিকার।
১৪. বিদেশীদের অধিকার ঃ চীনের সংবিধানে বিদেশীদের অধিকার স্বীকৃতি পেয়েছে। চীনের নাগরিকগণ
বিদেশে অবস্থান কালে ন্যায্য অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের সুযোগ পেতে পারে। পাশাপাশি
বিদেশীদেরও অধিকারের কথা বলা হয়েছে। চীনের আইনের দ্বারা বিদেশীদের অধিকার ও স্বার্থ
সংরক্ষিত করা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে বিদেশী চীনে আশ্রয় গ্রহণের অধিকার রাখে।
নাগরিকের কর্তব্য
কর্তব্য ছাড়া অধিকার অর্থহীন। একটি কে বাদ দিয়ে অপরটিকে চিন্তা করা যায় না। তাই চীনের
নাগরিকগণ অধিকারের পাশাপাশি কতিপয় কর্তব্য পালন করেন, যেগুলো নিæরূপ ঃ
১. কাজ করা ঃ কাজ করা চীনের নাগরিকের প্রথম কর্তব্য। বিধান মতে চীনের প্রত্যেক নাগরিক তার
সমর্থ অনুযায়ী কাজ করবে। সংবিধানে বলা হয় রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে যৌথ অর্থনীতির ইউনিটে নিযুক্ত
শ্রমজীবীরা দেশের মালিকানার মনোভাব নিয়ে শ্রমের কাজ করবে।
২. শিক্ষা গ্রহণ ঃ শিক্ষা গ্রহণ চীনের নাগরিকের একটি মৌলিক কর্তব্য। সংবিধানের ৬৪নং ধারা মতে,
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিটি নাগরিকের শিক্ষাগ্রহণ একটি মৌলিক দায়িত্ব।
৩. পরিবার পরিকল্পনা ঃ পরিবার পরিকল্পনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণ গ্রহণ প্রতিটি নাগরিকের একটি দায়িত্ব।
চীনের নাগরিকগণ সংবিধানের ৪৯নং ধারামতো স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করে
থাকে। সেই সাথে প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক লোকদের কর্তব্য হল পিতা-মাতার ভরন পোষণ করা।
৪. জাতীয় ঐক্য রক্ষা ঃ জাতীয় ঐক্য রক্ষা করা চীনের নাগরিকের একটি মৌলিক কর্তব্য। নাগরিকগণ
কোন মতে এ কর্তব্য পালনে বিরত থাকবে না। সংবিধানের ৫২নং ধারা মতে নিজস্ব স্বাধীনতা ও
অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হল জাতীয় সংহতি রক্ষা করা।
কর্তব্য ছাড়া অধিকার অর্থহীন। প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হল জাতীয় সংহতি রক্ষা করা। সাংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়ক।
৫. সংবিধান মান্য করা ঃ চীনের নাগরিকের কর্তব্যের অন্যতম একটি হল সংবিধান মান্য করা। চীনের
নাগরিকগণ সংবিধানিকভাবে সংবিধান মান্য করতে বাধ্য। তারা কোন মতে সংবিধান ও আইন
অমান্য করতে পারে না। সেই সাথে তারা সামাজিক নীতিবোধকে সম্মান করবে।
৬. মাতৃভ‚মির স্বার্থ রক্ষা ঃ গণ-প্রজাতন্ত্রী চীনের নাগরিকের অন্যতম কর্তব্য হল মাতৃভ‚মির স্বার্থ রক্ষা
করা। এটি একটি মৌলিক দায়িত্ব। নাগরিকের পবিত্র কর্তব্য হল মাতৃভ‚মির নিরাপত্তা, মর্যাদা ও স্বার্থ
রক্ষা করা। এ কর্তব্য থেকে তারা কোন রকম বিরত থাকতে পারে না।
৭. সামাজিক কর্তব্য ঃ চীনের নাগরিকগণের একটি বিশেষ কাজ হল সামাজিক কর্তব্য। মাতৃভ‚মিকে
রক্ষা করা তাদের একটি সামাজিক দায়িত্ব। মাতৃভ‚মির বিরুদ্ধে আগ্রাসন প্রতিহত করা গণ -প্রজাতন্ত্রী
চীনের প্রত্যেক নাগরিকের পবিত্র কর্তব্য। আইনানুসারে তারা মিলিশিয়াতে যোগদানের সম্মানে ভ‚ষিত
হন।
৮. কর প্রদান ঃ কর প্রদান গণ-প্রজাতন্ত্রী চীনের নাগরিকের অন্যতম দায়িত্ব। সাংবিধান মতে চীনের
নাগরিকগণ কর প্রদান করে থাকে।
সারকথাঃ
অধিকার ও কর্তব্য নাগরিক জীবনের সাথে ওতপ্রোতোভাবে জড়িত। অধিকার ও কর্তব্য ছাড়া নাগরিক
জীবন অসম্পূর্ণ। আত্মোপলব্ধি ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য প্রয়াজনীয় সুযোগ সুবিধাই হল অধিকার। প্রতিটি
দেশের অধিকার সংবিধানিক ভাবে স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। গণ-প্রজাতন্ত্রী চীনও এর বাহিরে নয়। গণপ্রজতন্ত্রী চীন বিশ্বের একটি বৃহৎ সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। গণ-প্রজাতন্ত্রী চীনের সাংবিধানেও লেনিনবাদের
চিন্তাধারা লক্ষ্য করা যায়। এ চিন্তাধারার প্রেক্ষিতে নাগরিকের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে মৌলিক কর্তব্যেরও উল্লেখ রয়েছে।
সঠিক প্রশ্নে টিক () দিন।
১. অধিকার ব্যক্তিত্ব বিকাশেরক. পরিপন্থী; খ. সহায়ক;
গ. সংযোজন; ঘ. কোনটি নয়।
২. অধিকারের শর্ত হল -
ক. দুইটি; খ. পাঁচ টি;
গ. তিন টি; ঘ. চার টি।
৩. গণ-প্রজাতন্ত্রী চীনের নাগরিকের শিক্ষার অধিকারের ধারা হলক. ৪৬ নং; খ. ২৫ নং;
গ. ৩০ নং; ঘ. ৫৬ নং।
উত্তর মালাঃ ১। খ, ২। ক, ৩। ক
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১। অধিকারের সংজ্ঞা দিন।
রচনামূলক-প্রশ্ন
১। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যগুলো আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]