যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুর্নগঠনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সরকারের চ্যালেঞ্জসমূহ আলোচনা কর। (Discuss About the Initiative of the Government of Bangabondhu to Reconstruct the War Destroyed Country.)

বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) | Bangladesh Krishak - Shromik Awami League (BAKSAL) | সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির শাসন এবং একদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। সংবিধানের ১১৭ (ক) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ কৃষক- শ্রমিক-আওয়ামী লীগ নামে একটি নতুন ও একক রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এ দলটি প্রতিষ্ঠার ফলে দেশে অন্য সকল রাজনৈতিক দলের কার্যকারিতা বিলুপ্ত হয়ে যায়। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জুন রাষ্ট্রপতি জাতীয় দল হিসেবে বাকশালের গঠনতন্ত্র ঘোষণা করেন। সাংবিধানিকভাবে ঘোষিত এই গঠনতন্ত্রে বাকশালের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, গঠন পদ্ধতি, বিভিন্ন কমিটি, নিয়ম-শৃঙ্খলা, সদস্য অন্তর্ভুক্তি, অর্থসংগ্রহ প্রভৃতি বিষয়ের বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়। সরকার বাকশালকে 'দ্বিতীয় বিপ্লব' হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রচার-প্রচারণা চালাতে থাকে ।
১. বাকশালের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য (Aims and Objectives of BAKSAL) বাকশালের নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জুন বাংলাদেশ গেজেটে দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আলোকপাত করা হয়। বাকশালের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নরূপ—
(১) বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে বর্ণিত জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র এই ৪টি মূলনীতি বাস্তবায়ন করা ।
(২) বাঙালি জাতির ঐক্য ও সংহতি বিধান করা ।
(৩) নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা।
(৪) মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যবোধের স্বীকৃতি দান করা ।
(৫) মানুষের স্বাভাবিক জীবন বিকাশের পরিপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করা।
(৬) ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িকতার বিলোপ সাধন করা।
(৭) কৃষক-শ্রমিকসহ মেহনতি ও অনগ্রসর জনগণের উপর শোষণ অবসানের জন্য পূর্ণ অর্থনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক
স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শোষণমুক্ত ও সুষম সাম্যভিত্তিক এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা ।
(৮) সর্বাঙ্গীণ গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষিব্যবস্থার আমূল সংস্কার ও পর্যায়ক্রমিক যান্ত্রিকীকরণ এবং সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ
পদ্ধতির প্রচলন করা ।
(৯) কৃষি ও শিল্পের প্রসার, উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন বণ্টন ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কৃষক শ্রমিকের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা ।
(১০) মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণ ও অধিকতর কর্মসংস্থান বিপ্লবোত্তর সমাজের প্রয়োজনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ গণমুখী সর্বজনীন সুলভ গঠনাত্নক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
(১১) অন্ন-বস্ত্র, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যরক্ষাসহ মানুষের দৈনন্দিন জীবনধারণের মৌলিক সমস্যাবলির সমাধান, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বয়ম্ভর অর্থনীতির সুদৃঢ় ভিত্তি রচনা করা।
(১২) ব্যক্তিগত সম্পত্তির সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা।
(১৩) বিচার ব্যবস্থার সময়োপযোগী জনকল্যাণকর পরিবর্তন সাধন এবং গণজীবনের সর্বস্তর থেকে দুর্নীতির মুলোৎপাটন করা ।
(১৪) বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার সকল প্রচেষ্টায় সাহায্য ও সহযোগিতা করা এবং সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, বা
বর্ণ বৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সংগত মুক্তির সংগ্রামকে সমর্থন করা।
২. বাকশালের সাংগঠনিক কাঠামো (Organizing Structure of BAKSAL)
বাকশালের আলাদা কার্যনির্বাহী কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটি ছিল। কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ১৫ জন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ১১৫ জন। বাকশালের চেয়ারম্যান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সাধারণ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল ১৯৭২-১৯৭৫
সম্পাদক ছিলেন ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী। পদাধিকার বলে বাকশালের চেয়ারম্যান বজাবন্ধু এ नর্ব মিট, কমিটি ও পার্টি কাউন্সিলের সভাপতি ছিলেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী থাকশালের এ টি স্তর ছিল। স্তরগুলো নির্মে প্রদর হলো:
১. কার্যনির্বাহী কমিটি;
৬. জেলা কমিটি;
২. কেন্দ্রীয় কমিটি;
৫. থানা কমিটি;
এছাড়া গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বাকশালের ৫টি অঙ্গসংগঠন ছিল। এগুলো হলো
৩. नী কাউ
৬. ইউনিয়ন কমিটি।
১. জাতীয় কৃষক লীগ;
৪. জাতীয় যুবলীগ;
২. জাতীয় শ্রমিক লীগ
৫. জাতীয় ছাত্রলীগ।
৩. জাতীয় মহিলা লীগ
১০.৩.৫. বঙ্গবন্ধু সরকারের চ্যালেঞ্জসমূহ
Challange of Bangabondhu Government
একটি স্বাধীন দেশের দায়িত্বভার নিয়ে যেকোনো রাষ্ট্রনায়ককে দেশ পুনর্গঠনসহ দেশকে সমৃयির দিকে এগিয়ে নিতে অনেক বাধাবিপত্তি তথা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। বঙ্গবন্ধু সরকারও তার ব্যতিক্রম নয় ।
বঙ্গবন্ধু সরকার দক্ষতা ও শ্রম দিয়ে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন যা নিচে বর্ণনা করা হলো:
১. অর্থনৈতিক সমস্যা : দীর্ঘ টানা ৯ মাস যুদ্ধে বাংলাদেশের অর্থনীতি ফাংস হয়ে যায়। একদিকে যেমন ছিল না বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তেমনি অন্যদিকে ফুরিয়ে যায় খাদ্যদ্রব্যাদির মজুদ। ফলে দেশ চরম সংকটে পড়ে যায়। জাতিসংঘের হিসাবমতে, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রায় ১.২ লাখ বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয়। তাছাড়া আত্মসমর্পণের পূর্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাংকসমূহে গচ্ছিত রাখা কাগজের নোটগুলো পুড়িয়ে ফেলে এবং অনেক স্বর্ণ অলঙ্কার লুট করে নেয়। ব্যাংকগুলোর নথিপত্রগুলোকেও তারা ধ্বংস করে দেয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় বেশিরভাগ শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অনেক মিল কারখানা জনবলের অভাবে অকেজো হয়ে পড়ে। এগুলো চালু করার মতো পর্যান্ত কাঁচামালও ছিল না। ফলে দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসে যা কাটিয়ে উঠতে বঙ্গবন্ধু সরকারকে অনেক শ্রম দিতে হয়েছে।
দেশ পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন : ৯ মাস যুদ্ধে বাংলাদেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের রাস্তাঘাট, সেতু ধ্বংস করে যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়। এমনকি স্কুল, কলেজ, ঘরবাড়ি, গুদাম, হাটবাজার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ফলে দেশের অবকাঠামো বিকল হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার নিয়ে দেশ পুনর্গঠনে উদ্বুদ্ধ হয়। তাছাড়া যুদ্ধের সময় প্রায় ১ কোটি মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারতে আশ্রয় নেয়। দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে এসব মানুষ দেশে ফিরতে থাকে। অধিকাংশের ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ায় বঙ্গবন্ধু সরকার এ বিপুল সংখ্যক মানুষের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেয়। একই সাথে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীকেও ভারতে ফেরত পাঠাতে সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে তার ব্যবস্থা করতে হয়েছে যা ছিল তৎকালীন সরকারের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
৩. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিপর্যয় : স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার হাতে অস্ত্র ছিল। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সবাইকে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু অনেকেই তা করেনি। ফলে এসব অস্ত্র দিয়ে দেশে পরবর্তীতে হত্যা লুট, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি ইত্যাদি অনেক অবৈধ ও অনৈতিক কার্য সম্পাদিত হয়। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। বঙ্গবন্ধু সরকারের তাই অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের আইনশৃঙ্খলাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্য নিয়ে আসা।
৪. বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা : ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে যুদ্ধের সময় সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যুদ্ধের সময় সারাদেশে প্রায় ২৭৪টি ছোটবড় সড়ক সেতু ও ৩০০টি রেল সেতু ধ্বংস করা হয়। রেললাইনেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। অনেকগুলো ইঞ্জিন অকেজো হয়ে পড়ে। তখন ৮৫% জলযান ধ্বংস করা হয় এবং প্রায় ৩০০০ মালবাহী নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া দেশের বিমান বন্দরগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা ছিল বঙ্গবন্ধুর অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ।
৫. বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পুনঃস্থাপন : যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয় পাকবাহিনী। বিদ্যুতের সাবস্টেশনগুলোও ধ্বংস করা হয়। একই সাথে ধ্বংস করা হয় লাইন ও বিদ্যুৎ পোলগুলো। নতুন সরকারের কাছে এগুলো পুনঃস্থাপন করা ছিল কঠিন সাধ্য ।
৮ বিপর্যস্ত শিক্ষাব্যবস্থা : যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় যুদ্ধের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সারা দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলো ধ্বংস করার পাশাপাশি পুড়িয়ে দেওয়া হয় মূল্যবান বইপুস্তক। নতুন দেশের নতুন সরকারের কাছে নতুন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলো নির্মাণসহ পর্যাপ্ত আসবাবপত্র, বই সরবরাহ করা ছিল তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকারের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ সরকারের হাতে পর্যান্ত মূলধন ছিল না।
সংবিধান প্রণয়নে সমস্যা : তৎকালীন সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির তেমন উৎকর্ষতা ছিল না। ছিল না অভিজ্ঞ সংবিধান বিশেষজ্ঞ আইন প্রণেতা। ফলে নতুন দেশের সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব ন্যস্ত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর। সংবিধান প্রণয়ন নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। দেশে বিভিন্ন ধরনের বিতর্কের উদ্ভব হয় যেমন- বাংলাদেশে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত হবে, না রাষ্ট্রপতি শাসিত হবে, বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হিসেবে থেকে যাবেন কিনা ইত্যাদি ।
জাসদের উত্থান : বঙ্গবন্ধু সরকারের জন্য অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল জাসদের উত্থান। জাসদের পূর্ণরূপ হলো জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৩১ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগের একটি অংশের নেতৃত্বে জাসদের প্রতিষ্ঠা হয় যা বঙ্গবন্ধু সরকারের জন্য নাজুক পরস্থিতি সৃষ্টি করে। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে দলটি খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং বিপুল সংখ্যক তরুণ সমাজের সদস্যদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়। একই সাথে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সম্প্রদায়ও সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জাসদে যোগদান করে। অল্প সময়ের মধ্যেই জাসদ দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে পরিবেশ ঘোলাটে করে যা আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় ।
সীমান্তে পাচার : আওয়ামী লীগ শাসনামলে সীমান্তে পাচার চরম আকার ধারণ করে। দেশের সোনালি আঁশ পাট ভারতে পাচার হতে থাকে। এছাড়া বৈদেশিক সাহায্য, রিলিফ সামগ্রী, খাদ্যদ্রব্য, ধাতব মুদ্রা অবাধে ভারতে পাচার হতে থাকে। সেনাবাহিনীকে সীমান্তে পাচার রোধে প্রেরণ করা হলেও তেমন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। কারণ আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা চোরাচালানি ও পাচারের সাথে সম্পৃক্ত ছিল।
১০. দক্ষ জনবলের অভাব : স্বাধীনতার পূর্বে দেশের বিভিন্ন উচ্চপদে নিয়োগ করা হতো পশ্চিম পাকিস্তানি লোকদেরকে আর পূর্ব পাকিস্তানের লোকদেরকে তুলনামূলক নিম্নপদে চাকরি দেওয়া হতো। দেশ স্বাধীন হবার পর পশ্চিম পাকিস্তানের দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকজন এদেশ ছেড়ে চলে যায়। ফলে দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবলের ঘাটতি দেখা যায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। তাই নতুন দেশে সবকিছুতে নতুনরূপে সাজাতে দক্ষ জনবল তৈরি করা বঙ্গবন্ধু সরকারের জন্য জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]