আওয়ামী লীগ সরকারের সফলতা আলোচনা কর। ( Discuss the Successes of Awami League Government.)

আওয়ামী লীগ সরকারের সফলতা/যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সরকারের পদক্ষেপ ও ব্যর্থতার কারণ
Causes of Success/Initiatives of Bangabandhu Govt. to Reconstruct the War Destroyed Country and Failure of Awami League Government
ক. আওয়ামী লীগ সরকারের সফলতা (Success of Awami League Government)
এক রক্তক্ষয়ী জাতীয়তাবাদী বিপ্লবের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসক ও শোষকগোষ্ঠীর কবল থেকে মুক্তি লাভ করলেও স্বাধীনতা-উত্তরকালে বাংলাদেশ তার ঈপ্সিত লক্ষ্যে উপনীত হতে ব্যর্থ হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রধান নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ (বঙ্গবন্ধু) কতিপয় ক্ষেত্রে যেমন সাফল্য অর্জন করে ঠিক তেমনি আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যর্থতারও পরিচয় দেয়। বিশেষ করে দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, চোরাচালান, গুপ্ত হত্যা প্রভৃতি আওয়ামী লীগের তথা বঙ্গবন্ধুর সাফল্যকে নিষ্প্রভ করে দেয়।
বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সরকারের সফলতাসমূহ : বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ মাত্র সাড়ে ৩ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল। এ স্বল্প সময়ের মধ্যেও-এর সাফল্য কম নয়। নিচে বঙ্গবন্ধুর সরকারের সাফল্যের দিকগুলো যথাক্রমে তুলে ধরা হলো—
5. সংবিধান প্রণয়ন (Preparation of Constitution) : একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দানের পর আওয়ামী লীগ সরকার সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের সংবিধান রচনার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের অস্থায়ী সাংবিধানিক আদেশ (Provisional Constitutional Order) জারি করেন। দেশের জন্য একটি বাস্তবধর্মী সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে নির্বাচিত সংযুক্ত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ এবং প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদেরকে নিয়ে একটি গণপরিষদ (Constituent Assembly) গঠন করা হয়। ডক্টর কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি সাংবিধানিক কমিটি গঠন করে তার ওপর সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়। সর্বমোট ৭৮টি অধিবেশনে ৩০০ ঘণ্টা আলাপ-আলোচনার পর নব্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের জন্য ১৫৩টি অনুচ্ছেদ (Article) সংবলিত একটি সংবিধান প্রণীত হয়। এতে সময় লেগেছিল মাত্র ৯ মাস। এত স্বল্পকালের মধ্যে কৃতিত্বের সাথে সংবিধান রচনা করে দেশ পরিচালনার এক পূর্ণরূপ রূপরেখা প্রণয়ন নিঃসন্দেহে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য।
২. ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যাবর্তন (Abstraction of Indian Army) : ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের পর বিজয়ী মুক্তিবাহিনীর সাথে সাথে ভারতীয় মিত্র বাহিনীও স্বাধীন বাংলাদেশে চলে আসে এবং আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশে কিছুকাল অবস্থান করে। তারপর বঙ্গবন্ধু ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ভারতে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করেন। এদিক থেকে বিচার করলে আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধু সরকারের সাফল্য বিশেষভাবে প্রতিভাত হয়ে ওঠে ।
অস্ত্র সমর্পণ (Surrender of Arms ) : স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান তাদের অস্ত্র সমর্পণের জন্য। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিভাবে অস্ত্র গ্রহণ করবেন বলে ঘোষণা দেয়া হলো। তার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দলে দলে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে তার পদতলে অস্ত্র সমর্পণ করলেন। শেখ মুজিব ছিলেন সম্মোহনী শক্তিসম্পন্ন এক বিশাল ব্যক্তিত্ব; আর এজন্যই তার ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা উৎসাহব্যঞ্জকভাবে সাড়া দিয়েছিলেন; ব্যক্ত করেছিলেন তাদের অকৃত্রিম আস্থা শেখ মুজিবের নেতৃত্বের প্রতি অস্ত্র সমর্পণের মধ্য দিয়ে । অন্য কোনো নেতার পক্ষে হয়তো সে সময়ে তা সম্ভব হতো না।
৪. জাতিগঠনমূলক কাজে আত্মনিয়োগ (Self Appointment in Nation Building Activities) : স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই বঙ্গবন্ধু সরকার জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে আত্মনিয়োগ করে। ধ্বংসপ্রাপ্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করা হয়। ধ্বংসপ্রাপ্ত সেতুসমূহ পুনঃনির্মাণ, বিমান ও নৌবন্দরসমূহ সংস্কার, রেল ও সড়ক মেরামত প্রভৃতির মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ সাফল্য অর্জন করে। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে দেশ যে দুর্ভিক্ষে নিপতিত হয় তার আশু সমাধানের জন্য, জনগণকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আওয়ামী সরকার বাংলাদেশে জাতিসংঘের রিলিফ অপারেশন (আনরব- UNROB) থেকে ১৩৭৩ মিলিয়ন ডলার সাহায্য এনে উক্ত দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা ও মৃত্যুর করাল গ্রাস থেকে মানুষকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে সরকার জাতীয় বাজেট ঘোষণা করে এবং দেশের জন্য একটি পাঁচসালা পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের জন্য তা ছিল নিঃসন্দেহে একটি গৌরবের বিষয়।
৫. জাতীয়করণ নীতির প্রবর্তন (Inauguration of Nationalization Policy) : বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হচ্ছে দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠাকল্পে জাতীয়করণ নীতির প্রবর্তন ও তা কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ। দেশের বৃহৎ বৃহৎ শিল্প, ব্যাংক ও বিমা জাতীয়করণ করা হয়। এক্ষেত্রে
. সরকার শতকরা ৮৬ ভাগ শিল্পকারখানা ও শতকরা ৮৭ ভাগ বৈদেশিক বাণিজ্য জাতীয়করণের আওতায় নিয়ে আসেন। এগুলো পরিচালনার জন্য গঠন করে বিভিন্ন কর্পোরেশন। এভাবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব (বঙ্গবন্ধু) দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে অগ্রসর হয়।
৬ ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন ( National Parliament Election, 1973) : আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু সরকার মূলত ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনের ভিত্তিতেই স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। এ সরকার জনগণের আস্থাভাজনও ছিল। তবুও আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু সরকার নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই জাতীয় সংসদের নির্বাচন প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দের ৭ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটাধিক্যে জয়লাভ করে। প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতা লাভের দেড় বছর পর আওয়ামী লীগের এ বিজয় নিঃসন্দেহে জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে-এর অগ্রগতি, সাফল্য ও জনগণের আস্থারই বহিঃপ্রকাশ ।
৭. সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অবসান (Conclusion of Communal Politics ) : বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের শাসনামলেই সর্বপ্রথম সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অবসান ঘটে। দেশের শতকরা ৮৭ ভাগ জনগণই মুসলমান এবং বাকি ১৩ ভাগ হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে মুসলিম ও অমুসলিম সকল সম্প্রদায়ের জনগণই তাদের নিজস্ব ধর্মীয়সত্তা ভুলে গিয়ে বাঙালি সত্তায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশমাতৃকার মুক্তির পতাকা ছিনিয়ে আনতে আত্মনিয়োগ করেছিল। এ ধারণা ও চেতনার বশবর্তী হয়েই স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সাংবিধানিকভাবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র (Secular State) বলে ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশের ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতাকে গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ সরকার এদেশের মাটি থেকে সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্পকে চিরতরে দূর করতে চেয়েছিলেন। এটা নিঃসন্দেহে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের ও বঙ্গবন্ধু সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য অবদান ।
৮ জোট নিরপেক্ষ নীতির অনুসরণ (Following Non- Alliance Policy) : পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে জোট নিরপেক্ষ নীতির অনুসরণ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের ও বঙ্গবন্ধুর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পাকিস্তান আমলে পাকিস্তান সরকার মূলত পাশ্চাত্য-ঘেঁষা পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করেছিল। কিন্তু স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে বাংলাদেশ সরকার জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে। এটা বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সরকারের একটা অত্যন্ত বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ছিল । সে সাথে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখাও বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সরকারের নীতির একটি উল্লেখযোগ্য দিক হিসেবে বিবেচিত হয়। পারস্পরিক ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার (Bi-lateral Discussion) ভিত্তিতে সকল সমস্যার সমাধানে এ সরকার ছিল দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। ‘সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষভাব নয়' (Friendship to all malice to none)-এটাই ছিল আওয়ামী লীগ অনুসৃত পররাষ্ট্র নীতির মূল বৈশিষ্ট্য।
যোগাযোগ ব্যবস্থার পুনর্গঠন (Reconstruction of Communication System) : আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থার পুনর্গঠন ও উন্নয়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ধ্বংসপ্রাপ্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করতে আওয়ামী লীগ সরকার সর্বশক্তি নিয়োগ করে। অল্পদিনের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার ৩০০টি রেলওয়ে ব্রিজ, ১৭০টি সড়ক সেতু, ৬টি বিমান বন্দর ও মংলা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করেন ।
১০. প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন (Inauguration of 1st Five year Plan) : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে একটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং এটি জুলাই থেকে কার্যকর করে। এ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার লক্ষ্য ছিল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা, জাতীয় আয় বৃদ্ধি, অধিক সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ইত্যাদি। এ পরিকল্পনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সক্ষম হয় ।
১১. বাংলাদেশি মুদ্রার প্রচলন ( Introduction of Bangladeshi Currency) : স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশে
পাকিস্তানি মুদ্রার প্রচলন ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ব্রিটিশ সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশের নিজস্ব মুদ্রা . চালু করেন। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের পরিবর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীকালে দেশে মুদ্রাযন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে ‘টাকশাল' গড়ে তোলা হয় ।
১২. বৈদেশিক সাহায্য সংগ্রহ (Collecting Foreign Aid) : বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বহু লোকের অনাহারে, অর্ধাহারে মৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দেয়; যে কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে সাহায্য-সহযোগিতার আহ্বান জানায়। বিদেশ থেকে প্রাপ্ত প্রচুর খাদ্যসামগ্রী ও বিভিন্ন প্রকার ত্রাণসামগ্রী জনগণের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয় ।
১৩. শিক্ষা সংস্কার (Reformation of Education) : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিক্ষাব্যবস্থায় সংস্কার সাধনের লক্ষ্যে ‘কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন' গঠন করে। এ সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের কালাকানুন বাতিল করে গণতান্ত্রিক অধ্যাদেশ- ১৯৭৩ প্রণয়ন করে। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার ৪০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারি কর্মচারী হিসেবে মর্যাদাদান করে।
১৪. ভূমি সংস্কার (Land Reformation) : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার কৃষকদের দুঃখ-দুর্দশা মিটানোর জন্য ২৫ বিঘা জমির খাজনা পুরোপুরি মওফুক করে দেয়। ভূমিহীন কৃষকদের কথা চিন্তা করে জমির সিলিং ১০০ বিঘা নির্ধারণ করে দেয় ।
১৫. প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ (Decentralization of Administration) : বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় উন্নতির জন্য প্রতিটি মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। প্রত্যেক জেলায় একজন করে গভর্নর নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয় । বিধান করা হয় যে, জেলা গভর্নর হবেন জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি ।
১৬. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাফল্য (Success in International Fields) : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে কমনওয়েলথ, ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে জাতিসংঘ ও ইসলামি সম্মেলন সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় পাকিস্তানসহ বিশ্বের ১৪০টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রামে অবদান রাখার জন্য বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে 'জুলিও কুরি' খেতাবে ভূষিত করে।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]