ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ ঘটনাপঞ্জি '৭১' পরিশিষ্ট 23


পরিশিষ্ট
23
ঢাকা শহর শাখা জামায়াতে ইসলামি তাদের দলীয় মন্ত্রী আব্বাস আলী খান ও মওলানা এ. কে. এম. ইউসুফকে সংবর্ধনা জানায়। সভায় গোলাম আজম বলেন, 'জামায়াতে ইসলামি পাকিস্তান ও ইসলামকে অভিন্ন মনে করে।' তিনি আরো বলেন, 'জামায়াত বাঙালি জাতীয়তাবাদ মেনে নিতে রাজি নয়' । ১৫৮
- ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ রবিবার
গভীর রাতে গোপীবাগে মুসলিম লীগ সভাপতি মোহাম্মদ হোসেনের বাসভবনে গেরিলাদের হামলা এবং বাসভবনে পাহারারত রাজাকারদের সাথে গেরিলাদের গুলি বিনিময়।
→ ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ বুধবার
দিলকুশা ইউনিয়ন শান্তি কমিটির উদ্যোগে কার্জন হলে মন্ত্রীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। গোলাম আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় শামসুল হক বলেন, 'ভারতের দুরভিসন্ধি ফাঁস হয়ে যাবে ভেবেই তারা জাতিসংঘ, রেডক্রস, সাংবাদিক এবং মানবতাবাদীদের দেশে ঢুকতে দিচ্ছে না'। ১৫৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দেয়া চা-চক্রে যোগ দেন গভর্নর মালিক, শিক্ষামন্ত্রী আব্বাস আলী খানসহ দালাল নেতৃবৃন্দ ৷
৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ বৃহস্পতিবার
ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাহরিক ইশতেকলাল প্রধান এয়ার মার্শাল (অব.) আসগর খান বলেন, 'যারা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন তাদের ক্ষমতায় আসা উচিত'।
১ অক্টোবর, ১৯৭১ শুক্রবার
মার্কিন কংগ্রেস সদস্য মি. পিটার ও এইচ. বি ফ্রেলিইসেনের ৩ দিনের সফরে ঢাকা আগমন । ১৬১
→ ২ অক্টোবর, ১৯৭১ শনিবার
সফররত পাকিস্তানি নেতা আসগর খান কর্তৃক শান্তি কমিটির কার্যকলাপের সমালোচনা ।
→ ৪ অক্টোবর, ১৯৭১ সোমবার
ঢাকার বনানীস্থ নৌ-বাহিনীর সদর দফতরের কাছে গলফ স্কোয়ারে গেরিলাদের অতর্কিত হামলায় ৪ জন রাজাকার নিহত হয়। → ৫ অক্টোবর, ১৯৭১ মঙ্গলবার
ঢাকা স্টেডিয়াম এলাকায় গেরিলাদের বোমা হামলায় সেনাবাহিনীর ২ জন অফিসারসহ একটি সামরিক জিপ বিধ্বস্ত। - ৬ অক্টোবর, ১৯৭১ বুধবার
রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেরিলা আক্রমণে গেটে প্রহরারত ৩ জন রাজাকার নিহত ও ২ জন আহত ৷ ১৬২
৭ অক্টোবর, ১৯৭১ বৃহস্পতিবার
প্রাদেশিক মন্ত্রিসভায় আরও ৩ জন মন্ত্রী নিয়োগ ।
খাদ্যমন্ত্রী নওয়াজেশ আহমদের সাথে বিশ্বব্যাংকের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধির সাক্ষাৎ। ১৬৩
- ১২ অক্টোবর, ১৯৭১ মঙ্গলবার
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান কর্তৃক ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান । নগরীর কয়েকটি স্থানে মুক্তিবাহিনীর বোমা হামলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিধ্বস্ত।
১৫৮। দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক সংবাদ (২৬.৯.৭১)
১৫৯। দৈনিক পাকিস্তান (৩০.৯.৭১)
১৬০। দৈনিক পাকিস্তান
১৬৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ
১৬১। দৈনিক আজাদ (২.১০.৭১)
১৬২। দৈনিক পাকিস্তান
১৬০ । দৈনিক আজাদ
১৬৪ । দৈনিক আজাদ (১৩.১০.৭১)
২৪
১৩ অক্টোবর, ১৯৭১ বুধবার
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস
পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক গভর্নর আবদুল মোনায়েম খান সন্ধ্যায় বনানীস্থ স্থায়ী বাসভবনে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর ১৪ তারিখে তার মৃত্যু হয়। ১
এ অপারেশনে মোঃ মোজ্জাম্মেল হক ও আনোয়ার হোসেন অংশ নেয়।
১৫ অক্টোবর, ১৯৭১ শুক্রবার
পূর্ব পাকিস্তান ইসলামি ছাত্রসংঘের অস্থায়ী সভাপতি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ বলেন, “সাচ্চা দেশপ্রেমিক যুবকদের নিয়ে রাজাকার বাহিনী গঠিত হচ্ছে। রাজাকারদের ভূমিকা নিয়ে কোনো বিতর্ক চলতে পারে না”।
১৬ অক্টোবর, ১৯৭১ শনিবার
বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে জামায়াতে ইসলামির গণজামায়াত অনুষ্ঠিত সমাবেশে গোলাম আজম 'তথাকথিত বাংলাদেশের' ভুয়া স্লোগানে কান না দিয়ে পাকিস্তানকে নতুনভাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। ১৮
- ১৮ অক্টোবর, ১৯৭১ সোমবার
ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে গেরিলাদের বোমা হামলা।
১৯ অক্টোবর, ১৯৭১ মঙ্গলবার
বেলা ১১ টার দিকে মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় হাবিব ব্যাংক ও ই. পি. আই. ডি. সি. ভবনের সম্মুখের রাস্তায় এক মারাত্মক বোমা বিস্ফোরণে ৪টি গাড়ি বিধ্বস্ত ও ২টি গাড়ির ক্ষতি সাধিত হয়। এতে ৫ ব্যক্তি নিহত হয়। ১৮৭ ডেমরার কাজলায় সাবেক মন্ত্রী হামিদুল হক চৌধুরীর এসোসিয়েট প্রিন্টার্স লি. প্যাকেজিং কারখানা বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত। ২৩ জন মুক্তিযোদ্ধা আত্মসমর্পণ করেছে বলে ঢাকায় সরকারিভাবে দাবি। ১৮
২০ অক্টোবর, ১৯৭১ বধুবার
দুপুরে স্টেট ব্যাংকের ৫ তলার বাথরুমে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। তবে কেউ হতাহত না হলেও ব্যাংকে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এতে অংশ নেন সাদেক, আমান, জসীম, নাজমুল ও ব্যাংকের একজন কর্মচারী। ১৬
২১ অক্টোবর, ১৯৭১ বৃহস্পতিবার
রেডিও সুইডেনের প্রতিনিধি এল. ল্যান্ডসন বলেন, 'ঢাকা এখনো মৃত নগরী, সূর্যাস্তের পূর্বেই সব বন্ধ হয়ে যায়।' মালিবাগের কাছে রেলগাড়িতে গেরিলাদের বোমা হামলায় গাড়ির ক্ষতিসাধন ।
→ ২৪ অক্টোবর, ১৯৭১ রবিবার
দুপুরে ওয়েস্ট এন্ড হাই স্কুল প্রাঙ্গণে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। তবে কেউ হতাহত হয় নি
- ২৬ অক্টোবর, ১৯৭১ মঙ্গলবার
390
মতিঝিল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বাসায় বোমা বিস্ফোরিত। এতে ২ জন আহত। ১৭১ এক সরকারি হ্যান্ডআউটে বলা হয়, ৪ নভেম্বর ঢাকায় নিষ্প্রদীপ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
২৭ অক্টোবর, ১৯৭১ বুধবার
খিলগাঁও রেললাইনে গেরিলাদের বিস্ফোরণে ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত ও ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ । ১৭২
১৬৫। দৈনিক আজাদ (১৪.১০.৭১)
১৬৬। দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক সংবাদ (২9.10.91)
১৬৭ । দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান (২০.১০.১ )
১৬৮। দৈনিক পাকিস্তান (২০.১০.৭১)
১৬৯ । দৈনিক আজাদ (২১.১০.৭১)
১৭০ । দৈনিক আজাদ (২৫.১০.৭১)
১৭১ । দৈনিক আজাদ (২৭.১০.৭১) ১৭২। দৈনিক আজাদ (২৮.১০.৭১)
পরিশিষ্ট
২৫
- ২৮ অক্টোবর, ১৯৭১ বৃহস্পতিবার
O
দুপুর আনুমানিক দুটোর দিকে ডিআইটি ভবনের ৬ষ্ঠ তলার টেলিভিশন ভবনে বোমা বিস্ফোরিত। কেউ হতাহত না হলেও ভবনে ব্যাপক ফাটল দেখা দেয়। টাওয়ারে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এককভাবে অভিযান করেন টেলিভিশনের কর্মকর্তা মাহবুব আলী। ১৭৩
ঢাকার ইংরেজি দৈনিক মর্নিং নিউজ অফিসের প্রবেশদ্বারে বোমা বিস্ফোরিত। ১৭৬
পলাশী ফায়ার বিগ্রেডের নিকট থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার । ১৭৫
৩০ অক্টোবর, ১৯৭১ শনিবার
সকাল ৯টায় সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ প্রাঙ্গণে একটি বোমা বিস্ফোরিত। কেউ হতাহত হয় নি। ১৭৬
কাঁঠালবাগান শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আসাদুল্লাহ গেরিলাদের আক্রমণে নিহত ।
→ ৩১ অক্টোবর, ১৯৭১ রবিবার
কাকরাইল পেট্রোল পাম্পে গেরিলাদের বিস্ফোরণ।
→ ১ নভেম্বর, ১৯৭১ সোমবার
O
সকাল ১১টায় সিদ্বেশ্বরী রোডে ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ডাকাতি ।
নগরীর নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে বোমা বিস্ফোরণ ও এক ব্যক্তি আহত। ১৭৭
সন্ধ্যায় ইডেন কলেজ এলাকা ও কাকরাইল পেট্রোল পাম্পে বোমা বিস্ফোরণ। ১৭৮
২ নভেম্বর, ১৯৭১ মঙ্গলবার
জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক হেনরির ঢাকা আগমন । ১৭৯
৩ নভেম্বর, ১৯৭১ বুধবার
মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংকের পলওয়েল শাখায় বেলা ১১টায় গোরিলাদের অভিযান। এতে অংশ নেন আসাদ, মুনীর, ফিরোজ, জন, ফেরদৌস ও আসিফ।
0
৪ নভেম্বর, ১৯৭১ বুধবার
|
ঢাকায় রাত ৮.৩০ থেকে ৯.৩০ পর্যন্ত নিষ্প্রদীপ মহড়া অনুষ্ঠিত ।১৮০
৫ নভেম্বর, ১৯৭১ শুক্রবার
সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী খান এ. সবুরের ধানমন্ডির বাসভবনে বোমা বিস্ফোরণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ। ১৮১
০৬ নভেম্বর, ১৯৭১ শনিবার
মতিঝিলস্থ পিআইএ অফিসে বোমা বিস্ফোরণ। শাহবাগ মোড়ে গেরিলা-রাজাকার গুলি বিনিময়, এক রাজাকার নিহত ।
১৭৩। দৈনিক আজাদ (২৯,১০.৭১) ১৭৪ । দৈনিক আজাদ (৩০.১০.৭১)
১৭৫। দৈনিক আজাদ (৩০.১০.৭১)
১৭৬। দৈনিক আজাদ (৩১.১০.৭১)
১৭৭ । দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান (২.১১.১ )
১৭৮। দৈনিক পাকিস্তান (২.১১.৭১)
১৭৯। দৈনিক পাকিস্তান (৩.১১,৭১)
১৮০। দৈনিক আজাদ (৫.১১.৭১) ১৮১। দৈনিক পাকিস্তান (৬.১১,৭১)
৭ নভেম্বর, ১৯৭১ র জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে ঢাকার ान সভাপতিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত।
০৮ নভেম্বর, ১৯৭১ সোমবার
রাজধানী ঢাকার ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে- বালানী একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে এ কলেজের গ্যালারিতে বোমা বিস্ফোরিত হয়
D৯ নভেম্বর, ১৯৭১ মঙ্গলবার
সকাল ১০টায় ভিকারুনন্নেসা গার্লস স্কুলে একটি হাতবোমা বিস্ফোরিত হয়। কেউ হতাহত হয় ি
সন্ধ্যায় কমলাপুর-গেণ্ডারিয়া রেল স্টেশনের মাঝে গেরিলাদের বোমা বিস্ফোরণ, রেল চলাচল । ি গেণ্ডারিয়া রেল স্টেশনে হামলা চালায়।
সরকারি প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে জানানো হয়, পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত ১০ জন সিএসপি অফিाর ৪ জন ইপিসি অফিসারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন শিক্ষককে স্বাধীনতা স দানের অপরাধে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও তাদের সম্পত্তির অর্ধেক বাজেয়াপ্ত করা হয়। দণ্ডিত শিক্ষকরা হচ্ছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী ও আবদুর রজ্জাক, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক খান সরওয়ার মুরশিদ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাজহারুল ইসলাম।
গভীর রাতে পাকিস্তান বাহিনী ও রাজাকারদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে প্রবেশ ও ব্যাপক লুটপাট।
১০ নভেম্বর, ১৯৭১ বুধবার
আজিমপুর গার্লস স্কুল ও হলিক্রস কলেজে বোমা বিস্ফোরিত। এতে কেউ হতাহত হয় নি।**
১১ নভেম্বর, ১৯৭১ বৃহস্পতিবার
ঢাকার সামরিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদেশের সকল বেসামরিক এলাকায় পরিখা খননের নির্দেশ জারি।
বায়তুল মোকাররমে বিপনি কেন্দ্রের সামনে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ৬ জন নিহত ও ৫৫ জন আহত। নেতৃত্ব দেন আসাদ, ফেরদৌস, নাজিম, ফিরোজ, আরিফ, জন এবং বাবু। লক্ষ্মীবাজারে সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলে বোমা বিস্ফোরণ। ১৩ নভেম্বর, ১৯৭১ শনিবার
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের পাশে বোমা বিস্ফোরণ এবং বায়তুল মোকাররমে বিস্ফোরিত বোমায় ৬ জন নিহত। ১৪ নভেম্বর, ১৯৭১ রবিবার
ঢাকায় অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামির মজলিসে শূরার বৈঠকে গোলাম আজম দেশের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে উল্লে করে বলেন, 'দুষ্কৃতকারীরা (মুক্তিযোদ্ধা) জনগণের শত্রু'। ১৮৮
ঢাকা উত্তর এলাকার কমান্ডার রেজাউল করিম মানিক সাভারে সম্মুখ যুদ্ধে নিহত।
→ ১৫ নভেম্বর, ১৯৭১ সোমবার
কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহ-এর বাসভবনে বোমা বিস্ফোরণ। বাসাবোতে শান্তি কমিটির সভায় গেরিলা আক্রমণ।
১৮২। দৈনিক পাকিস্তান (৮.১১.৭১)
১৮৩। দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান (৯.১,৭১)
১৮৪ । দৈনিক আজাদ, (১০.১১.১ )
১৮৫। দৈনিক পাকিস্তান (১০.১১.৭১)
১৮৬। দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান (১১.১১.৭১)
১৮৭। দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান (১৪.১১.৭১) ১৮৮। দৈনিক পাকিস্তান দৈনিক সংবাদ (১৫.১১.১)
পরিশিক্ষ
০ ১৬ নভেম্বর, ১৯৭১ মঙ্গলবার
মতিঝিল নটরডেম কলেজের ব্রিজের নিচ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. আজহারুল হক ও হুমায়ূন শরীফের লাশ উদার।
গভর্নর ড. এম. এ. মালিকের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে 'সেনা' নামে একটি বাহিনী গঠনের মা।
১৭ নভেম্বর, ১৯৭১ বুধবার
ভোর ৫টা ৩০ মিনিট থেকে ১৫ ঘন্টাব্যাপী ঢাকা শহরে কারফিউ । সব সময় গোটা নগরী তরা করে কয়েকশ তরুণকে মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে আটক করে।
১৯ নভেম্বর, ১৯৭১ শুক্রবার
ঢাকায় সাম্যা আইন চলাকালে ৪ 'ভারতীয় চর' (মুক্তিযোयা) নিকৃত (bh
বোমা বিস্ফোরণে শান্তিনগরস্থ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড ভবন বি
পিআইএ এবং বাংলাদেশের সকল অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট খণিত।
→ ২২ নভেম্বর, ১৯৭১ সোমবার
সামরিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সড়ক পরিবহন সংস্থার আন্তঃজেলা কোচ সার্ভিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণ ০ ২৩ নভেম্বর, ১৯৭১ মঙ্গলবার
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া কর্তৃক ঢাকাসহ সারা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
২৪ নভেম্বর, ১৯৭১ বুধবার
ঢাকায় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট থেকে ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নিষ্প্রদীপ মহড়া অনুষ্ঠিত। এছাড়া বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকায় কারফিউ বলবৎ । ১৯
রাজারবাগ পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সামনে বোমা বিস্ফোরণ। ১৯৬
বেসামরিক প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি হিসেবে ঢাকার সর্বত্র পরিখা খনন সম্পন্ন হয়েছে বলে সরকারি ঘোষণা। ১৯৬
ঢাকায় কেরোসিনের সঙ্কট চরম আকার ধারণ। ১৯৫
ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ ও গ্রেফতারের সহযোগিতার জন্য বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা।
- ২৫ নভেম্বর, ১৯৭১ বৃহস্পতিবার
আলবদর বাহিনীর উদ্যোগে ভারতীয় হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় মিছিল অনুষ্ঠিত। খাজা খয়েরউদ্দিনের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত এবং তাতে ভারতীয় হামলার প্রতিবাদে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ।
০২৬ নভেম্বর, ১৯৭১ শুক্রবার
নিউ মার্কেটের কাছে বোমা বিস্ফোরণে ২ ব্যক্তি আহত। ১৯৭
D ২৮ নভেম্বর, ১৯৭১ রবিবার
প্রকাশ্য দিবালোকে বেইলি রোডের ইস্টার্ন ব্যাংক লুট ।
খাজা আসকারীকে ঢাকা শহরের চিফ ওয়ার্ডেন করে ওয়ার্ডেন কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত।
১৮৯ । দৈনিক আজাদ (১৮.১১.১ )
১৯০। দৈনিক পাকিস্তান (২০,১১,৭১)
১৯১। দৈনিক সংবাদ, দৈনিক পাকিস্তান (২৫.১১.৭১)
১৯২। দৈনিক আজাদ (২৫.১১.৭১)
১৯৩। দৈনিক পাকিস্তান (২৫,১১,৭১)
১৯৪ । দৈনিক পাকিস্তান
১৯৫ । দৈনিক পাকিস্তান
১৯৬। দৈনিক সংবাদ, দৈনিক পাকিস্তান (২৬.১১.৭১)
১৯৭। দৈনিক পাকিস্তান (২৭.১১.১)
C
যুক্তিবিশের ইউনাইটেড ।
ডিসেম্বর, ১৯৭১
ঢাকায় আস্থা আইন জটি থেকে অনিবিকাশের জন্য ঢা
১৯৭১
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান কর্তৃক দুপুরে জাতির উদ্দেশ্যে প্রদর এক বেতার ভাষণে ভারতে সাপলা। তোর ২টা ৪৫ মিনিট থেকে ঢাকার আকাশে বিान
গভর্নর মালিকের বেতার ভাষন।
ডিসেম্বর, ১৯৭১
ঢাকার আকাশে বিমান যুগ্ম অব্যাহত। ৪৬টি ভারতীয় বিমান বিধ্বস্ত করা না বলে দাবি
ডিসেম্বর, ১৯৭১ সোমবার
ভারত কর্তৃক স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান ।
৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ মঙ্গলবার
ঢাকায় পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বিকাল ৫টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সান্ধ্য আইন জারি। নিষ্প্রদীপ
অব্যাহত।
নুরুল আমিনকে প্রধানমন্ত্রী ও ভুট্টোকে সহকারী প্রধানমন্ত্রী করে কেন্দ্রে কোয়ালিশন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত। বিকেে ঢাকায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুর উপর যৌথবাহিনীর বিমান হামলা।
ভুটান কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দান। ২০৬
৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১ বুধবার
ঢাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা ।
১৯৮। দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক আজাদ, দৈনিক সংবাদ (৩০.১১.১ )
১৯৯। দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তान (4,229)
২০০ । দৈনিক আজাদ (...)
২০১। দৈনিক আজাদ (..१১) ২০২। দৈনিক পাকিস্তান (৬.১২.৭১) ২০৩। দৈনিক পাকিস্ত..) ২০৪ | দৈনিক পাকি.. ) ২০৫ | দৈনিক পাকিস্তা (৮.১২.১) ২০৬। দৈনিক পাকি (৮.১২.১)
8
পরিশিষ্ট
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতশাস্ত্রে এম.এ (১৮৯৫); আইন কলেজ থেকে বি.এল (১৮৯৭) ডিগ্রি লাভের পর কিছুকাল কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসায় শিক্ষানবিশী করার পর ১৯০১ থেকে বরিশাল আদালতে আইন ব্যবসা শুরু করেন এবং এর পাশাপাশি তিনি রাজেন্দ্র কলেজে গণিতে অধ্যাপনা করেন। ১৯০৬-'১২ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরি নেন। ১৯১২ কলকাতা হাইকোর্টে যোগদান করেন এবং রাজনীতি শুরু করেন। ১৯১৩-'১৫ ভারতীয় ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য মনোনীত হন । ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। বঙ্গীয় মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক (১৯১৩-'১৬)।
৩১
১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের সভাপতি ও ভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন । ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম লীগের লক্ষ্ণৌ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে অবিভক্ত বাংলার শিক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩৭-'৪৭ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য, ১৯৩৭-'৪১ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম লীগ ও কৃষক প্রজা পার্টি কোয়ালিশন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম লীগে যোগদান করে লক্ষ্ণৌ অধিবেশনে যোগদান করেন এবং বঙ্গীয় মুসলিম লীগের সভাপতির পদ লাভ করেন। এ অধিবেশনে তিনি ‘শেরে বাংলা' উপাধিতে ভূষিত হন। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে জিন্নাহর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে মুসলিম লীগ থেকে পদত্যাগ করেন এবং কংগ্রেস, হিন্দুসভা ও কৃষক প্রজা পার্টির কোয়ালিশন করে দ্বিতীয়বার মন্ত্রিসভা গঠন করেন, যা ইতিহাসে শ্যামা-হক মন্ত্রিসভা নামে খ্যাত। তিনি ২৭ জুলাই, ১৯৫৩ মুসলিম লীগ থেকে পদত্যাগ করে কৃষক শ্রমিক পার্টি গঠন করেন এবং এর সভাপতি নিযুক্ত হন। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গ প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী মুসলিম লীগ ও নিজামে ইসলামি দলের সঙ্গে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেন। অতঃপর যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৫৫-'৫৮ কেন্দ্রীয় আইনসভারও সদস্য হয়েছিলেন। ১১ আগস্ট, ১৯৫৫ কেন্দ্রে চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে গঠিত মুসলিমলীগ যুক্তফ্রন্ট কোয়ালিশন মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচিত। তিনি ২৫ মার্চ, ১৯৫৬ থেকে ৩১ মার্চ, ১৯৫৮ পর্যন্ত পূর্বপাকিস্তানের গভর্নর ছিলেন। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন ।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী (১৮৮০-১৯৭৬)
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন মজলুম জননেতা, দীর্ঘজীবী রাজনীতিবিদ ।
তার জন্ম সিরাজগঞ্জে। তিনি মক্তবে শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে আসাম গমন করেন। ১৯০৭-'০৯ সময়কালে যুক্ত প্রদেশের দেওবন্দে শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে আসাম প্রত্যাবর্তন। ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে কংগ্রেসে যোগদান। ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে আসামে কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে ধুবড়ী জেলার ভাসান চরে কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠান করেন এবং জ্বালাময়ী ভাষণের জন্য 'ভাসানী খেতাব' লাভ করেন । অতঃপর কৃষক আন্দোলনকে সংগঠিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মুসলিম লীগে যোগদান করেন। তিনি লাইন প্রথা বিরোধী আন্দোলনে (১৯৩৭) নেতৃত্বদান করেন ।
তিনি ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। অতঃপর ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ববাংলায় ফিরে আসেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ভাষা আন্দোলনে সহযোগিতার জন্য ১৬ মাস কারাবরণ করেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি প্রশ্নে সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে মতান্তর হলে ১৯৫৭-তে আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (NAP) গঠন করেন এবং এর সভাপতি নির্বাচিত হন । রহস্যজনক কারণে ভাসানী ৬-দফার বিরোধিতা করেন। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে ন্যাপ দ্বিখন্ডিত হলে চিনাপন্থি ন্যাপের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচন বর্জন। তবে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মার্চের অসহযোগ আন্দোলনকে সমর্থন দান করেন । মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত গমন। মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা নিযুক্ত হন।
মুজিব আমলে (১৯৭২-'৭৫) অবাধ সীমান্ত বাণিজ্য এবং অসমবাণিজ্য চুক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন পরিচালনা করেন । ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে টাঙ্গাইলের সন্তোষে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা তাঁর অমর কীর্তি ।
৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৭.৩.১৯২০–১৫.৮.১৯৭৫)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ । তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শেখ লুৎফর রহমান, মাতা মোসাম্মৎ সায়রা খাতুন। ৪ বোন এবং ২ ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয় সন্তান। গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক (১৯৪২), কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে আই.এ (১৯৪৪) এবং বি.এ. (১৯৪৭) ডিগ্রি লাভ। কলকাতায় বেকার হোস্টেলে অবস্থান করতেন। ছাত্রজীবনেই তিনি রাজনীতি শুরু করেন।
১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ভর্তি হন। কিন্তু উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবি-দাওয়াসংক্রান্ত আন্দোলনে নেতৃত্ব
দিতে গিয়ে তাঁকে সহ ৫ জনকে জরিমানা করা হয়। তিনি জরিমানা প্রদান ও মুচলেকায় সই করতে অস্বীকার করায় তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১১ মার্চ যে ধর্মঘট হয় তার প্রাক্কালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ১১ মার্চ ভাষা দিবস উদযাপনের সময় তাকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলনের সময় ফরিদপুরে জেলে তিনি আমরণ অনশন শুরু করেন। ফলে ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন ।
১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে পূর্ববাংলা ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে সামরিক আইনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে সোহরাওয়ার্দীকে গ্রেফতার করার পর পর শেখ মুজিবকেও গ্রেফতার করে ৬ মাস আটক রাখা হয় ।
১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ৬-দফা ঘোষণা করেন এবং ২০ মার্চ থেকে ৮ মে পর্যন্ত মাত্র ৫০ দিনে ৩২টি জনসভায় ভাষণ দিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন । অতঃপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন, ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তাকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি করা হয়। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের গণঅভ্যুত্থানের চাপে পাকিস্তান সরকার আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে এবং তিনি মুক্তিলাভ করেন ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে। ২৩ ফেব্রুয়ারি (১৯৬৯) ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান এবং তাঁকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হলে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন । ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ রাতে পাকসামরিক বাহিনী ঢাকায় গণহত্যা শুরু করে এবং শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পূর্বেই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দেশ স্বাধীন হলে তিনি মুক্তিলাভ করে ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২ ঢাকা প্রত্যাবর্তন করেন। ১২ জানুয়ারি (১৯৭২) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সংবিধান প্রণয়ন ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি বাকশাল গঠন এবং সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারপদ্ধতির প্রবর্তন করেন এবং রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন (২৫.১.১৯৭৫)। ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ ঢাকায় নিজ বাসভবনে সামরিক বাহিনীর একটি দলের হাতে সপরিবারে নিহত হন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার এবং বাঙালি জাতির জনক ।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম (১৯২৫-১৯৭৫)
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, থেকে ইতিহাসে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের (১৯৪৮) অন্যতম সদস্য। তিনি ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান সেন্ট্রাল সুপরিয়র সার্ভিসে যোগ দিয়ে কর বিভাগে চাকরি লাভ করেন ৷
পরিশিষ্ট
১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে ইতিহাসের অধ্যাপক হিসেবে চাকরি গ্রহণ করেন। অতঃপর ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে ল পাস করে ময়মনসিংহ আদালতে আইন ব্যবসায় শুরু করেন এবং সেই সাথে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ময়মনিসংহ আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি ৮.৫.১৯৬৬–২১.২.১৯৬৯ (বঙ্গবন্ধু জেলে আটক থাকায়)। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন । তিনি ১২.১.৭২-২৪.১.৭৫ সময়কালে বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্যের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন (৩.১১.৭৫)। তিনি জাতীয় ৪ নেতার অন্যতম। ৭. তাজউদ্দিন আহমদ (১৯২৫-১৯৭৫)
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দিন আহমদের নেতৃত্ব বিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে। তিনি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে স্নাতক (১৯৪৬) ছাত্র ছিলেন। ১৯৪৭-'৫২ সময়কালে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বদান করেন। পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (১৯৫১-'৫৩) ছিলেন। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগদান এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন। তিনি যুক্তফ্রন্ট থেকে ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে।
তিনি আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক ও সমাজসেবা সম্পাদক, ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে পুনর্গঠিত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। শেখ মুজিবের সঙ্গে ৬-দফার
৩৩
আন্দোলন পরিচালনা করায় ১৯৬৬-'৬৯ সময়কালে বন্দী জীবনযাপন করেন। ১৯৭১-এর অসহযোগ আন্দোলন পরিচালনা করেন। মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদান করেন। ১৯৭২-'৭৪ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধু সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে জেলখানায় বন্দী থাকা অবস্থায় সেবাবাহিনীর কতিপয় সদস্যের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন (৩.১১.৭৫)।
৮. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (১৯২৬-১৯৭৫)
উত্তর বঙ্গের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর এ এইচ এম কামরুজ্জামানের জন্ম রাজশাহী শহরে। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল. বি ডিগ্রি লাভ (১৯৫৬) করেন। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের রাজশাহী জেলা শাখার সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৪৩-'৪৫ খ্রিষ্টাব্দে নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী আদালতে আইন পেশা শুরু এবং আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৫৬-'৬৪ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক হন। ১৯৬২ ও ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। অতঃপর ১৯৬৭-'৭০ খ্রিষ্টাব্দে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক,
১৯৭০-'৭১ খ্রিষ্টাব্দে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী; ২৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ স্বাধীন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসান মন্ত্রী; ১৯৭২-'৭৩-এ ত্রাণ ও পুর্নবাসন মন্ত্রী; ১৯৭৩-'৭৪-খ্রিষ্টাব্দে বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে জানুয়ারি,’ ৭৪–ফেব্রুয়ারি,' ৭৫ সময়কালে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জানুয়ারি, ১৯৭৫ বাণিজ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন। বাকশাল কার্যনির্বাহি কমিটির সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় সশস্ত্রবাহিনীর কতিপয় ব্যক্তির হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী (১৯১৯-১৯৭৫)
জাতীয় ৪ নেতার অন্যতম এম. মনসুর আলীর জন্ম সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ. এবং ল পাস (১৯৪৫) করে তিনি পাবনা আদালতে আইন ব্যবসায় শুরু করেন। ১৯৪৬-'৫০ খ্রিষ্টাব্দে পাবনা জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি হন। সে সময় লীগের গার্ড বাহিনীর পাবনা জেলা শাখার ক্যাপ্টেন ছিলেন বিধায় তিনি ক্যাপ্টেন মনসুর আলী নামে পরিচিত হন। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৫৪ পূর্ববঙ্গ আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। আতাউর রহমান খানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভায় পর্যায়ক্রমে আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী, খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী, বাণিজ্য, শ্রম ও শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সরকারের পর্যায়ক্রমে অর্থ, শিল্প, প্রাকৃতিক সম্পদ ও বাণিজ্য দফতরের মন্ত্রী। শেষে
যোগাযোগ মন্ত্রী (১৯৭২-'৭৪) এবং স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রী (১৯৭৪-৭৫) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ৩ নভেম্বর, ১৯৭৬ জেলে বন্দী অবস্থায় সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
১০. তফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া) (১৯১১-১৯৬৯)
বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে উজ্জল নক্ষত্র তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জন্ম পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়ায়। তিনি বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে বি.এ. পাস করে পিরোজপুর সিভিল কোর্টে চাকরি গ্রহণ করেন। অতঃপর সোহরাওয়ার্দীর সহায়তায় বাংলা সরকারের জেলা জনসংযোগ অফিসার পদে চাকরি লাভ করেন । পরবর্তীকালে প্রাদেশিক মুসলিম লীগের অফিস সেক্রেটারির চাকরি এবং সোহরাওয়ার্দীর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন (১৯৪৬-১৯৪৮)। তিনি ৬-দফা দাবির সমর্থনে ইত্তেফাকে লেখালেখি শুরু করলে ১৬.৬.৬৬ তারিখে ইত্তেফাকের প্রকাশনা নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনের চাপে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে তিনি মুক্তি লাভ করেন। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি রাওয়ালপিন্ডিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন নির্ভীক সাংবাদিক । মানিক মিয়া নামেই অধিক পরিচিত।
১১. মনি সিংহ (১৯০১-১৯৮৪)
মনি সিং ছিলেন বাংলার কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। তিনি ময়মনসিংহের সুসং এ জন্মগ্রহণ করেন। জমিদার পরিবারের সদস্য হয়েও তিনি ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে মার্কসবাদে দীক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯১৪-'২৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুশীলন দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৩০-'৩৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত জেলে বন্দী ছিলেন। দেশভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে কমিউনিস্ট আন্দোলনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে টংক আন্দোলন করতে গিয়ে সরকারি রোষানলে পড়েন এবং একটানা ১৬ বছর আত্মগোপন থেকে কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালনা করেন। ১৯৬৭- তে গ্রেফতার হন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে অসহযোগ আন্দোলনের সময় সকল কয়েদি জেলখানা থেকে বেরিয়ে এলে তিনিও বেরিয়ে আসেন এবং ভারতে চলে যান ও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। অতঃপর তিনি মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা নিযুক্ত হন।
১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে বাকশালে যোগ দেন। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে কমিউনিস্ট পার্টি পুনরুজ্জীবিত করেন এবং আমৃত্যু এর নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান অসামান্য। ১২. মুজফ্ফর আহমদ (১৮৮৯-১৯৭৩)
রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও লেখক মুজফ্ফর আহমদের জন্ম সন্দ্বীপের মুসাপুর গ্রামে এক দরিদ্র অথচ অভিজাত মুসলিম পরিবারে। সন্দ্বীপ আদালতের মোক্তার মনসুর আলী তাঁর পিতা। গৃহশিক্ষকতা করে তিনি পড়ালেখার খরচ জোগাড় করেছিলেন। খ)
পরিশিষ্ট
পিতার মৃত্যুর (১৯০৬) পর মাদ্রাসার পাঠ ত্যাগ করে বরিশাল জেলার বুড়িরচর গ্রামে জনৈক কৃষকের বাড়িতে কিছুদিন গৃহশিক্ষকতা করেন। অতঃপর ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে নোয়াখালী জেলা স্কুলে ভর্তি হন। এ স্কুল থেকে ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে ম্যাট্রিক পাস। এরপর হুগলী মহসিন কলেজে আই. এ. ক্লাসে ভর্তি হন। কিছুকাল পর এ কলেজের পাঠ আগ করে কলকাতায় গমন করেন। বঙ্গবাসী কলেজ থেকে আই.এ. পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে চাকরি ত্যাগ করে কলকাতায় রাজনীতি, সাহিত্যচর্চা ও সাংবাদিকতায় আত্মনিয়োগ। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি 'বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির' সহকারী সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে কানপুর বলশেভিক ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি হিসেবে বিচারে ৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যভঙ্গের কারণে জেল থেকে মুক্তিলাভ করেন ।
৩৫
তিনি কিছুকাল গণবাণী (১৯২৫-১৯২৮) পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ঐতিহাসিক মীরাট কমিউনিস্ট ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার (২০ মার্চ, ১৯২৯)।
১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জুন গৃহবন্দীদশা থেকে মুক্তি লাভ করে সাপ্তাহিক গণশক্তি পুনঃপ্রকাশে (১৯৩৬) বিশেষ ভূমিকা পালন। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটিশরাজ কর্তৃক তাঁর ওপর কলকাতা ত্যাগের ওয়ারেন্ট জারি। এরপর আত্মাগোপন অবস্থায় প্রায় ২ বছর কলকাতায় কমিনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব প্রদান (১৯৪০-১৯৪২) করেন। ময়মনসিংহের নেত্রকোণায় অনুষ্ঠিত কমিউনিস্ট পার্টির নিখিল ভারত কৃষক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারত সরকার কর্তৃক নিবর্তনমূলক আইনে গ্রেফতার। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ এপ্রিল কারাগার থেকে মুক্তি লাভ। চিন-ভারত সীমান্ত যুদ্ধের সময়ে (১৬৬২) ভারত রক্ষা আইনে গ্রেফতার। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ ডিসেম্বর তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন ।
১৩. আতাউর রহমান খান (১.৭.১৯০৭-৭.১২.১৯৯১)
আতাউর রহমান খান ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বি.এ. অনার্স ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে বি.এল. ডিগ্রি লাভ করার পর তিনি ১৯৩৭ থেকে ঢাকা জেলা আদালতে আইন ব্যবসায় শুরু করেন। ১৯৪২-'৪৪ সময়কালে মুন্সেফের চাকরি করেন। ১৯৪৪ থেকে পুনরায় আইন ব্যবসায় যোগদেন। ১৯৩৪-৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা জেলা প্রজাসমিতির সম্পাদক। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম লীগে যোগদান এবং মানিকগঞ্জ মহকুমা মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন।
১৯৪৯-'৫৮ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে মূলনীতি কমিটির রিপোর্ট বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদান করেন। তিনি 'সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের' আহ্বায়ক ছিলেন। ১৯৫৩-'৫৫ খ্রিষ্টাব্দে
যুক্তফ্রন্টের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী (১৫.৫.৫৪–২৯.৫.৫৪) মুখ্যমন্ত্রী (৬.৯.৫৬–৩১.৩.৫৮,১.৪.৫৮–১৮.৬.৫৮ ও ২৫.৮.৫৮–৭.১০.৫৮)।
সামরিক শাসনামলে এবডো আইন সাজাপ্রাপ্ত হন। তিনি NDF এবং PDM -এর শীর্ষস্থানীয় নেতা ছিলেন। ২০ জুলাই, ১৯৬৯ জাতীয় লীগ গঠন এবং এর সভাপতি নিযুক্ত হন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচন বয়কট করেন এবং ১৯৭১- এ বন্দীজীবনযাপন করেন। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে বাকশালে যোগদান করেন। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় লীগের পুনঃপ্রতিষ্ঠা। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৩০.৩,১৯৮৪–১.১.১৯৮৫ এরশাদের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন । ১৪. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯)
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ পশ্চিম বঙ্গের চব্বিশ পরগনার পেয়ারা গ্রামে ১০ জুলাই, ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ। তিনি ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে হাওড়া জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস এবং
৩৬
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস
১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফ.এ. পাস করেন। ১৯০৮- ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে যশোর জেলা স্কুলে শিক্ষকতা করেছিলেন। ১৯০৯-১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা সিটি কলেজে অধ্যয়ন ও সংস্কৃতে অনার্সসহ বি.এ. পাস করেন।
১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বে এম. এ পাস করেন। ১৯১১-১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির (৪ সেপ্টেম্বর, ১৯১১) সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে স্যার আশুতোষ মুখাপাধ্যয়ের সহায়তায় জর্মানিতে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ভারত সরকারের বৃত্তি লাভ করেন। কিন্তু স্বস্থ্য সম্পর্কিত ছাড়পত্রের অভাবে বিদেশ যেতে ব্যর্থ হন। ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে বি.এল পাস করেন। ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাস পর্যন্ত সীতাকুণ্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং একই বছর আল এসলাম পত্রিকার সহ-সম্পাদক হন।
১৯২২-১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন। ১৯২৬-১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্যারিসের সরবন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈদিক ভাষা, প্রাচীন পার্টি, তিব্বতি বিভিন্ন আধুনিক ভারতীয় ভাষা অধ্যয়ন ও পি. এইচ.ডি.ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগ পৃথক হলে বাংলা বিভাগের অধ্যক্ষ ও রিডার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪০-১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে হায়দারাবাদে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত প্রাচ্যবিদ্যা সম্মেলনে ভাষাতত্ত্ব শাখার সভাপতি এবং Philology and indian Linguistics নামক প্রবন্ধ পাঠ
১৯৫৩-১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ফরাসি ভাষায় খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন ।
জাতীয় ও ধর্মীয় চেতনা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য ‘আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি। এটি কোনো আদর্শের কথা নয় এটি বাস্তব কথা। মা প্রকৃতি নিজের হাতে আমাদের চেহারায় ও ভাষায় বাঙালিত্বের এমন ছাপ রেখে দিয়েছেন যে মালা-তিলক-টিকিতে কিংবা টুপি-লুঙ্গি-দাড়িতে ঢাকবার জো-টি নেই। মুহম্মদ শহীদুল্লাহর এ দুঃসাহসিক উক্তি বাঙালির জাতীয়চেতনা শাণিতকরণে মাইলফলকের ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার (১৯৪৭) পরপরই দেশের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হবে না বাংলা হবে এ বিতর্ক সৃষ্টি হলে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তাঁর এ ভূমিকার ফলে পূর্ববাংলায় রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের পথ প্রশস্ত হয় । মৃত্যু ঢাকায় ১৩.৭.১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে।
১৫. ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৮৬-২৭.৩.১৯৭১)
পাকিস্তান গণপরিষদে রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রস্তাবক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ত্রিপুরায় জন্মগ্রহণ করে। রিপন কলেজ থেকে বি.এ. পাস করেন। অতঃপর আইন পাসের পর কুমিল্লায় আইন ব্যবসায় শুরু করেন। ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে কংগ্রেসে যোগ দেন, ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে কংগ্রেস দল থেকে বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪৭-'৫৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। গণপরিষদে বিরোধীদলের মুখপাত্র। যুগ্ম নির্বাচনের প্রবক্তা। গণপরিষদে প্রথম বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। আবু হোসেন সরকার ও আতাউর রহমান খানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় কুমিল্লায় অবস্থানকালে পাকিস্তান হানাদার গুলিতে নিহত হন (২৭.৩.৭১)।
১৬. জহুরুল হক, সার্জেন্ট (১৯৩৫-১৯৬৯)
জহুরুল হকের জন্ম নোয়াখালী জেলায়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট থাকা অবস্থায় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি হয়ে গ্রেফতার বরণ করেন। বন্দী অবস্থায় তাঁকে ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ কুর্মিটোলায় গুলি করে হত্যা। তাঁর হত্যাকাণ্ড আইয়ুব-বিরোধী আন্দোলনে গতি সঞ্চায় করে ।
পরিশিষ্ট
৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১ বৃহস্পতিবার
ঢাকার উপর ভারতীয় বিমান বাহিনীর (মিগ-২১) ১০- দফা আক্রমণ। ২০
১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ শুক্রবার
যৌথবাহিনীর বিমান হামলায় ঢাকা বেতার কেন্দ্রের সম্প্রচার কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও হলিফ্যামিলি হাসপাতালকে নিরপেক্ষ জোন ঘোষণা। কূটনীতিক ও বিদেশি নাগরিকদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আশ্রয় গ্রহণ। ২০৮
সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেন ও সৈয়দ নাজমুল হককে আলবদর বাহিনী কর্তৃক অপহরণ।
- ১১ ডিসেম্বর, ১৯৭১ শনিবার
O
বিকাল ৩টা থেকে ঢাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সান্ধ্য আইন জারি। ক্র্যাক প্লাটুন গেরিলাদের দ্বারা সকাল ১০টায় তোপখানাস্থ মার্কিন তথ্য কেন্দ্রে (ইউসিস) প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানে ব্রিটিশ ও অন্য বিদেশি নাগরিকদের অপসারণ। ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের ভাষ্য, যদিও পূর্বাঞ্চলের যুদ্ধাবস্থা খুব ভালো নয় তথাপি আমাদের আত্মসমর্পণের কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
১২ ডিসেম্বর, ১৯৭১ রবিবার
ঢাকায় সামরিক স্থাপনার উপর বিমান হামলা অব্যাহত। এ দিন কোনো সংবাদপত্র প্রকাশিত হয় নি।
রাতে ঢাকা সেনানিবাসে প্রাদেশিক সরকারের সামরিক উপদেষ্টা লে. জে. রাও ফরমান আলীর সভাপতিত্বে আলবদর, আলশামস কেন্দ্রীয় অধিনায়কদের বৈঠকে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা প্রণয়ন করা হয়। রাতে আলবদররা সাংবাদিক নিজামউদ্দিন আহমদকে অপহরণ করে।
১৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সোমবার
ঢাকার পতন আসন্ন। সকাল ৮টায় কয়েক ঘণ্টার জন্য সান্ধ্য আইন শিথিল করা হলে দলে দলে লোকজন নগরী ত্যাগ করে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জেনারেল নিয়াজি বলেন, 'ঢাকা রক্ষার জন্য আমৃত্যু যুদ্ধ চালিয়ে যাব । → ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ মঙ্গলবার
ঢাকা শহরে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, শিল্পীসহ প্রায় ১৫০ জন বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন পেশার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি হত্যার শিকার হন ।
নদী পথের প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে যৌথ বাহিনীর ঢাকার চারদিকে বেষ্টনী তৈরি ।
বেলা ১১টায় গভর্নর হাউজে (বঙ্গভবনে) গভর্নর ডা. মালিকের নেতৃত্বে মিটিং চলাকালে সেখানে রকেট হামলা । গভর্নরের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ এবং পদত্যাগের কথা ঘোষণা ।
বেতার মারফতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মানেকশ-এর পাকিস্তানি কমান্ডারদের প্রতি আত্মসমপর্ণের নির্দেশ। ঢাকার অদূরে সাভারে মিত্রবাহিনীর সাথে পাকবাহিনীর যুদ্ধ।
- ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১ বুধবার
জেনারেল নিয়াজির যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভোর ৫টা থেকে ঢাকার উপর বিমান হামলা বন্ধ রাখার ঘোষণা। তবে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টার মধ্যে শর্তহীন আত্মসমর্পণ না করলে আবার বিমান হামলা শুরু হবে বলে জানানো হয়। ঢাকার বিভিন্ন দিক দিয়ে যৌথ বাহিনীর প্রবেশ শুরু।
- ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ বৃহস্পতিবার
সকালের দিকেই জেনারেল আমির আবদুল্লাহ নিয়াজি তার বাহিনীর যুদ্ধবিরতি ও অস্ত্র সংরক্ষণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকারকে জানিয়ে দেয়ার জন্য ঢাকাস্থ মার্কিন সামরিক অ্যাটাচিকে অনুরোধ করেন। সকাল ৮টার দিকে নিয়াজি ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধানের কাছে আত্মসমর্পণের মেয়াদ ৬ ঘণ্টা বাড়ানোর অনুরোধ করেন। বেতারে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের খবর প্রচারের সাথে সাথে অবরুদ্ধ ঢাকা নগরীর লাখো মানুষ আসন্ন মুক্তির উল্লাসে ফেটে পড়ে।
২০৭ । দৈনিক পাকিস্তান (১০.১২.৭১) ২০৮ । দৈনিক পাকিস্তান (১১,১২,৭১)
পরিশিके 41191-44-00
আলোচিত ব্যারবর্গের সংক্ষিপ্ত জীবনী (সংকলিত)
onetam non fergle C56 Swix)
pre 1-pp16ilder of ad
warailer av 1er of ontsieg wargain Swag fyebies wipewter de1c4
zid grabatza Gilda 94 44
Sabo tabios para
MIM CUMM
moony del Walk Brewhole buyers play thems
Man lain sia di ajang siagona dhas decretal
1-11 16ca
goat gated fiesta argiefs fudify a tal
48 eaten Choo Shyo)
4 ava stace freca
PIENTAR DHOULD Slot Confers 6HRS WOW GRM
Eudy line a queig helle Busiekparola ishgelej base | Hen Halk Cum
Imo bio kolle relojiefe wolseley ARC
tatu weux arrend ofhalleged grijeg 4644 | 4914101, 220 $140 444en dut
কলকাতার যেয়র তিনি তখন ডেটি মেয়র ছিলেন।
wter fexsword afgeron
PBS BR Ruble 121
DOMINICHE 6ente aliye taratur
64 aigarstar Cowen Bo)
Chase
a facet
HOW 1 p 300.
দেশভাগের পরত ভরতীয় सार्याরিক# नदान রাখাD৯By বिচাদে গণপরিষদের
HF Mielente
Sowa 195109 211-4200H 0091 216204
engenal gefear 19 $1264
Stelle busleak lelalte molgdej 5090 aku lenk Bublebybelle wolf Dog
Meloak Milk Radios bus suteble & glo wolseley Hout May I MOD ISRA
Tweet Show 'ga feption carnia 22 64 (Ministry of Talents-44)
Máffore on she's fytim mot barn fyrsta mig mifanolanla guIHPĒL
দায়িত্ব পালন করেন। সামরিক আইনের আওতায় EBDO তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধান জারির পূর্বমুহূর্তে আতর সরকার তাঁকে করে। কিন্তু মাত্র ২০দিন পর তিনি মুক্তি লাভ করেন। NDF গঠনে বন্দী
I got raffe Big logolas a proßes moldea) 6G90 | Meble Lenja glj
শের ই বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক (১৮৭৩-১৯৬২) ব্রিটিশ শাসনের শেষের দিকে বাংলার অন্যতম শক্তিশালী নেতা ছিলেন আবুল কাশেম ফজলুল হক। তিনি বরিশালের চাগারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে গণিত, রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
পরিশিষ্ট
৩৭
১৭. শহিদ মুহাম্মদ শামসুজ্জোহা (১৯৩৪-১৯৬৯)
বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রথম শহিদ শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা পশ্চিম বঙ্গের বাঁকুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে বাঁকুড়া জেলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি, ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে একই স্কুল থেকে প্রবেশিকা এবং ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে বাঁকুড়া ত্যাগ করে ঢাকায় আগমন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে বি.এস.সি অনার্স এবং ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে এম. এস. সি. (রসায়ন) পাস করেন ।
তিনি ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ থেকে বি.এস.সি. অনার্স এবং ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে পি.এইচ. ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে যোগদান করেন এবং একই মাসে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের লেকচারার পদ লাভ করেন। ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে রিডার পদে উন্নতি হন ।
১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের শেষে দিকে থেকে আইয়ুব সরকারের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন দানা বাধে।
১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে আন্দোলনে ঢাকায় যে হত্যাকাণ্ড হয় তাতে রাজশাহীও উত্তাল হয়ে ওঠে। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গেটের সামনে ছাত্রদের বিক্ষোভমিছিলে সেনাবাহিনী বাধা দিলে তিনি ছাত্রদের সাহায্যে ছুটে যান। বিক্ষোভকারীদের উপর আক্রমণ না চালাবার জন্য তিনি সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। তাঁর আহ্বান উপেক্ষা করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী মিছিলের উপর গুলি চালায় এবং ড. জোহা গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। সে অবস্থায় জনৈক মিলিটারি অফিসার তাঁকে বেয়োনেট দিয়ে আঘাত করলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। গুলিবিদ্ধ হবার কিছুক্ষণ আগে তিনি বলেছিলেন, 'যদি গুলিবর্ষণ হয় তবে কোনো ছেলের গায়ে লাগার পূর্বে তা আমার গায়ে লাগবে।' তাঁর মৃত্যু আইয়ুব বিরোধী গণ-আন্দোলনের প্রচণ্ড গতির সঞ্চার করে।
১৮. জিয়াউর রহমান (১৯.১.১৯৩৬-৩০.০৫.১৯৮১)
মুক্তিযোদ্ধা বীর উত্তম জিয়াউর রহমান বগুড়া জেলার বাগবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। করাচি একাডেমি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস (১৯৫২) করে কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৫৫-৫৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পাঞ্জাব রেজিমেন্টে চাকরি গ্রহণ করেন। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বদলি হন। ১৯৫৯-'৬৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সামরিক গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন।
১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম অষ্টম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের বদলি হন। এখানে অবস্থানকালে ২৭ মার্চ, ১৯৭১ কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করার দুর্লভ সুযোগ লাভ করেন। অতঃপর তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুজিবনগর সরকার কর্তৃক সেক্টর কমান্ডার
নিযুক্ত (১৭.৪.৭১) হন। জেড ফোর্স গঠন (আগস্ট, ১৯৭১) করে এর অধিনায়ক হন। স্বাধীনতার পর কুমিল্লা বিগ্রেডে কমান্ডার নিযুক্ত (১৬.১২.৭১)। বাংলাদেশ সেবানাহিনীর ডেপুটি চীপ অব স্টাফ নিযুক্ত হন ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে পর্যায়ক্রমে এবং দ্রুত কর্নেল (১৯৭২), ব্রিগেডিয়ার (১৯৭৩) এবং মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি । বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ২৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর চীপ অব স্টাফ নিযুক্ত হন। ৮ নভেম্বর, ১৯৭৫ উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত হন। ২৬ নভেম্বর, ১৯৭৫ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং ২১ এপ্রিল, ১৯৭৬ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট-এর দায়িত্বভার গ্রহণ । ৩০ মে, ১৯৭৭ গণভোটে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন । তিনি সংবিধান সংশোধন করেন । ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার সুযোগ দেন। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের জাগদল গঠন করেন। ৩ জুন, ১৯৭৮ সাধারণ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২৮ আগস্ট, ১৯৭৮ জাগদলে যোগদান। ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বি.এন.পি) গঠন এবং এর চেয়ারম্যানের পদ গ্রহণ। ৩০ মে, ১৯৮১ চট্টগ্রামে সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন।
১৯. খাজা নাজিমউদ্দিন (১৮৯৪-১৯৬৪)
খাজা নাজিমউদ্দিন ছিলেন ঢাকার নবাব পরিবারের সন্তান। তিনি আলীগড়, লন্ডন এবং কেমব্রিজে পড়াশোনা করেন। অতঃপর তিনি ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯২২-২৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৩৭ থেকে ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়ে ফজলুল হক মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
বঙ্গীয় আইন পরিষদে মুসলিম লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির (তখন বিরোধীদল) নেতৃত্বদান করেছিলেন। তিনি নিখিল বঙ্গ মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন। দেশভাগের পর ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ববাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ( ১৯৪৭-'৪৮); এরপর পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল (১৯৪৮-'৫১); তারপর প্রধানমন্ত্রী (১৯৫১- '৫৩)। পূর্ববাংলার ভাষা আন্দোলনে তিনি বিতর্কিত ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ কর্তৃক পদচ্যুত হওয়ার পর থেকে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজনীতি থেকে বিরত থাকেন। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে নবগঠিত কাউন্সিল মুসলিম লীগের সভাপতি হন এবং মৃত্যু পর্যন্ত (১৯৬৪) ঐ পদে আসীন
ছিলেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত আইয়ুব-বিরোধী আন্দোলন করেন। COP (Combined Opposition Party) গঠনে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল।
২০. নুরুল আমিন (১৮৯৩-১৯৭৪)
নূরুল আমিন ছিলেন ময়মনসিংহ নিবাসী। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এল. ডিগ্রি অর্জন করে ময়মনসিংহ জজকোর্টে আইন পেশা শুরু করেন। ১৯৩৭- '৪৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৩৭- '৪৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলাবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪২-৪৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য এবং ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের বঙ্গীয় আইনসভায় নির্বাচিত হন। পূর্ববাংলা আইনসভার সদস্য (১৯৪৭- '৫৪)। দেশভাগের পর পূর্ববাংলা সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮ থেকে ৩ এপ্রিল, ১৯৫৪ পর্যন্ত পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৪৭-'৫৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য। তাঁর মুখ্যমন্ত্রীত্বের আমলেই ভাষা আন্দোলন হয় এবং তিনি জনপ্রিয়তা হারান ও ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে পরাজিত হন।
১৯৬৫-'৬৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় নেতা। NDF, PDM গঠন করে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলেও ৬-দফার বিরোধীতা করেন। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি (PDP) নামক রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং এর সভাপতি হন। ১৯৭০-এর নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে যে দুটি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পরাজিত হয়েছিল তার একটিতে নির্বাচিত হন নূরুল আমিন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তিনি পাকিস্তানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭২-'৭৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। মৃত্যু ২.১০.৭৪ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তানে ।
২১. আবদুল মোনায়েম খান (১৮৯৯-১৯৭১)
আবদুল মোনায়েম খানের জন্ম কিশোরগঞ্জে। তিনি ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতক (১৯২০) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ল'পাস (১৯২৪) করে ময়মনসিংহ জেলা আদালতে আইন পেশা শুরু করেন। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ১৯৪৭-'৫৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলা মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন ।
ভাষা আন্দোলনের বিরোধিতা করেন। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে মৌলিক গণতন্ত্রীদের ভোটে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। জুন, ১৯৬২-তে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি ২৮ অক্টোবর, ১৯৬২ থেকে ২২ মার্চ, ১৯৬৯
পরিশিষ্ট
৩৯
তানের গভর্নর ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হয়েও তিনি বাঙালিদের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে ন। ১৯৭১-এর স্বাধীনতার যুদ্ধের বিরোধিতা করেন এবং ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর এলাদের গুলিতে নিজ বাসভবনে নিহত হন।
ন (১৯০৮-১৯৮২)
ন এর জন্ম খুলনায়। যেসব বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেন ্যতম । তিনি ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা সিটি কলেজ থেকে বি. এ. নে। অতঃপর ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম লীগে যোগদান করেন।
খুলনা থেকে বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। র পরেও মুসলিম লীগে অবস্থান করেন। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় ন্য নির্বাচিত হন। ১৯৬২ (জুন) থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত আইয়ুব-
■াযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯-'৭১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কাইয়ুম গ্রুপ)-এর সাধারণ সম্পাদক হন। বাঙালির স্বায়ত্তশাসন বং মুক্তিযুদ্ধে বিরোধী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে তীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ।
খান (১৮৯৫-১৯৫১)
ী খান পূর্ব পাঞ্জাবের করনলে এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ বাল্যজীবন ও শৈশবকাল কাটে উত্তর প্রদেশে। তিনি আলীগড়, ং লন্ডনে পড়াশোনা করেন। অতঃপর ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে ওকালতি শুরু ~ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম লীগে যোগদান করেন ।
সময়কালে উত্তর প্রদেশ ব্যবস্থাপক পরিষদের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ৬-'৪৭ সময়কালে নিখিল-ভারত মুসলিম লীগের জেনারেল সেক্রেটারির করেন। ১৯৩৭ থেকে ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত উত্তর প্রদেশ ব্যবস্থাপক দস্য এবং ১৯৪০ থেকে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ভারতীয় ব্যবস্থাপক দস্য ছিলেন। ১৯৩৩-৪৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মুসলিম লীগ সংসদীয় দলের র-এর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫-'৪৬ খ্রিষ্টাব্দে শিমলা এবং লন্ডনে
ণ ডেলিগেশন-এর সদস্য ছিলেন। ১৯৪৬-'৪৭ খ্রিষ্টাব্দে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অর্থমন্ত্রী হন। প্রথম প্রধানমন্ত্রী (১৯৪৭–'৫১) হিসেবে ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে ১৬ অক্টোবর আততায়ীর গুলিতে নিহত হন । মর্জা (১৮৯৯-১৯৬৯)
মির্জা ছিলেন মুর্শিদাবাদের নবাব পরিবারের অধস্তন পুরুষ। তিনি ন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানে ও ইংল্যান্ডে লেখাপড়া করেন । তিনি ১৯১৯ ্যান্ডহার্স্ট রয়েল মিলিটারি কলেজ থেকে কশিমন প্রাপ্ত হন। অতঃপর ষ্টাব্দে ইণ্ডিয়ান পলিটিক্যাল সার্ভিসে যোগদান করেন। ১৯৪৬-'৪৭ ারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি হন । তিনি ১৯৪৭ থেকে ষ্টাব্দ পর্যন্ত পাকিস্তানের ডিফেন্স সেক্রেটারি ছিলেন। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে গভর্নর; ১৯৫৪-'৫৫ খ্রিষ্টাব্দে Ministry of Talents-এর অন্যতম ৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য; ১৯৫৫-৫৬ খ্রিষ্টাব্দে নর গভর্নর জেনারেল; ১৯৫৬-'৫৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রথম
। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ৭ অক্টোবর পাকিস্তানে প্রথম সামরিক আইন জারি করেন। ২৭ অক্টোবর, ১৯৫৮ ান কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত হন এবং বিদেশে নির্বাসিত হন। নির্বাসন অবস্থায় ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
: ড. মোঃ মাহবুবর রহমান রচিত বাংলাদেশের ইতিহাস ১৯৪৭-৭১, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং বাংলা " প্রকাশিত চরিতাভিধান গ্রন্থদ্বয় হতে সংকলিত।)

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]