পাল রাজাগণের শাসনামলের বাংলার শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিবরণ দাও ।

ভূমিকা ঃ পাল যুগের চারশ বছরের প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি ঘটে। ড. মজুমদারের মতে, বাংলায় পাল সাম্রাজ্য বিস্তারের সাথে সাথেই বাঙালির নতুন জাতীয় জীবনের সূত্রপাত হয়। পাল বংশের বহুমুখী কৃতিত্বও অনস্বীকার্য। পাল শাসনামলে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য, আদি বাংলা ভাষার বিকাশ, বাংলায় বৌদ্ধধর্মের বিস্তারসহ নানান ক্ষেত্রে ব্যাপক বিবর্তন দেখা দেয়। পাল যুগে বাংলার সাংস্কৃতিক বিকাশ ঃ এখানে পাল আমলে বাংলার সাংস্কৃতিক বহুবিধ ক্ষেত্রে যে শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছিল, সে সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল :
১. পাল যুগে বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ ঃ পাল যুগে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের নবজন্য হয়। এর আগে লোকের মুখের ভাষা ছিল মাগধি বা মাগধি প্রাকৃতের অপভ্রংশ। পাল যুগ হতে বাংলা ভাষা তার নিজস্ব রূপ পেতে আরম্ভ করে। লোকের মুখের ভাষাকে অবলম্বন করে বাংলা ভাষার বিকাশ ঘটে। পাল আমলের বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যরা তাঁদের চর্যাপদে নতুন এক মুকুলিত ভাষা ব্যবহার করেন। অনেকের মতে, প্রকৃতির সাথে অপভ্রংশ ভাষার মিশ্রণে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়। আদি বাংলা ভাষার পদগুলো বিভিন্ন গানের আকারে বিভিন্ন রাগিণীতে রচিত। পদগুলোতে বাঙালির কাব্য প্রীতি, সংগীত প্রীতি পরিস্ফুটিত হয়েছে। পরবর্তী যুগের পদাবলি সাহিত্য ছিল এ চর্যাপদের ক্রম পরিণতি। এগুলোকে বলা হয় চর্যাপদ। পয়ার ছন্দে এ পদগুলো লিখিত। আদি বাংলা ভাষার রূপ এ চর্যাপদে দেখা যায়, বাংলা ভাষা উদ্ভবের ফলে বাঙালি জাতি ভারতবর্ষে চিরদিনের জন্য তার স্বাতন্ত্র্য খুঁজে পায়। সুতরাং পাল যুগে অর্থাৎ, অষ্টম শতাব্দী নাগাদ বাঙালি সংস্কৃতির নবজন্ম শুরু হয় ।
২. পাল যুগে বৌদ্ধ সংস্কৃত ভাষা :
পাল যুগে বাংলা তার রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যের সাথে নিজস্ব ঘরানার সংস্কৃত প্রচলন করে। সংস্কৃত সাহিত্যে বাংলায় অলংকার বহুল গৌড়ি রীতির উদ্ভব হয়। সংস্কৃত নাটকের ক্ষেত্রে 'অভ্র-মাগধি' রীতির উদ্ভব হয়। পাল যুগে বৌদ্ধরা বিশুদ্ধ সংস্কৃতের স্থলে প্রাকৃত ভাষা বহুল সংস্কৃত ব্যবহার করতেন। তাদের এ রীতিকে বৌদ্ধরীতি বলা হয়। বৌদ্ধ সিদ্ধাই বা সিদ্ধাচার্যরা ও ব্রাহ্মণ কবিরা সৌরসেনী অপভ্রংশ ব্যবহার করতেন। বৌদ্ধতন্ত্র সাহিত্যগুলো এ সংস্কৃতে রচিত। সন্ধ্যাকর নন্দীর 'রামচরিত' একটি বিখ্যাত ইতিহাসাশ্রিত শেষ কাব্য। এ যুগের বৌদ্ধ সংস্কৃত গ্রন্থগুলোর তিব্বতীয় অনুবাদ পাওয়া যায়। ৩. পাল যুগে বৌদ্ধশাস্ত্র চর্চা : পাল যুগে বৌদ্ধধর্ম ও দর্শনশাস্ত্রের প্রভূত অগ্রগতি সাধিত হয়। মহাপণ্ডিত অতীশ বা দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান ছিলেন পাল যুগের পণ্ডিত। অতীশ বাংলার ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। এখানে এখনও অতীশের ভিটা নামে একটি স্থান আছে। তাঁর পাণ্ডিত্যের খ্যাতি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। অতীশ ছিলেন দার্শনিক জেতারির ছাত্র এবং বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। অতীশ ছাড়া পাল যুগের অন্যান্য বিখ্যাত পণ্ডিতদের মধ্যে কমলশীল, রাহুলভদ্র, কল্যাণরক্ষিত প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য
৪. পাল যুগের বিশ্ববিদ্যালয় :
পাল যুগের সাংস্কৃতিক বিকাশের অঙ্গবিভায় বাংলা তথা প্রাচীন ভারতে অনেক উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র অর্থাৎ, বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা কেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। পাল যুগে বিশ্ববিদ্যালয়ের খুবই প্রসার হয়েছিল। সম্রাট ধর্মপাল তাঁর নিজ নাম বিক্রমশীলদের অনুসারে বিক্রমশীলা বিহার বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। রাজশাহী জেলায় সম্রাট ধর্মপাল সোমপুর বিহার প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া পাল রাজারা জগদ্দল, পাগুভূমি, ত্রৈবুক্ত, দেবীকোটা বিহার প্রতিষ্ঠা করেন। উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র তথা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এসব বিহারের খুব সুনাম ছিল। পাল সম্রাটেরা ভুবন বিখ্যাত নালন্দা বিহারের পৃষ্টপোষক ছিলেন। বুদ্ধজ্ঞান পাদ, অতীশ দীপঙ্কর প্রমুখ ছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
৫. পাল যুগের স্থাপত্য :
পাল যুগের স্থাপত্য শিল্পকলার কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাল যুগে যে স্থাপত্যগুলো তৈরি হয় তার অধিকাংশই ছিল ‘নিবেদক স্তুপ।' যারা বৌদ্ধ তীর্থস্থানে পূজা দিতে আসত তারা এসব স্তুপ তৈরি করত। অধিকাংশ স্তুপগুলো নিম্নমানের ও ইটের তৈরি হলেও ঢাকার আশরাফপুরে ব্রোঞ্জের স্তুপ পাওয়া গেছে। এছাড়া রাজশাহীর পাহাড়পুর, চট্টগ্রামের ঝেওয়ারীতে, পশ্চিমবঙ্গের বাকুড়া জেলা, বর্ধমানের ভরতপুরে বৌদ্ধ স্তুপের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। উদণ্ডপুর, সোমপুর বিহারের ভুবন বিখ্যাত স্থাপত্যের কথা জনশ্রুতির মধ্যে গেথে আছে। বাংলাদেশের স্তুপগুলো উঁচু করে নির্মাণ করার প্রবণতা লক্ষণীয় । ধর্মপালের আমলে রাজশাহীর পাহাড়পুরে সোমপুরি বিহারের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। কর্ণসুবর্ণে রক্ত মৃত্তিকা নামে একটি বিহারের কথা জানা যায় ৷
৩. পল পর ভাস্কর্য। শান বুশের বাংলার যে স্বাতন্ত্র্য্যতার রাষ্ট্রীয় অভ্যুত্থান, ভাষা ও সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য রীতিতে দেখা হয়, আর্যের ক্ষেত্রেও সে একই বৈশিষ্ট্য রীতি ধরা পড়ে। গুপ্ত যুগের ভাস্কর্য রীতির একঘেয়েমি যুক্ত হয়ে পাল যুগে শিল্প নিজ বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত হয়। ভাস্কর্যের ক্ষেত্রে পাল যুগের দুই শ্রেষ্ঠ ভাস্কর ছিলেন বীতপাল ও ধীমান। রেখেই চিত্র আঁকার কাজে এদের খুবই খ্যাতি ছিল। পোড়া মাটি ও কাল পাথরের উপরেই পাল যুগের ভাস্কর্য বেশি কাজ করত। প্রধানত মনুষ্য মূর্তিই ছিল পাল ভাস্কর্যের বিষয়বস্তু। মূর্তি নির্মাণে নানা 'ভঙ্গ' ও 'মুদ্রা' ব্যবহার করা ।
মহীপালের রাজত্বকালে তৈরি বাঘাউরার বিষ্ণুমূর্তি, তৃতীয় গোপালের সদাশিব মূর্তি পাল ভাস্কর্যের উৎকর্ষের পরিচয় দেয়। সমকালীন যুগে মাটির তৈরি মূর্তির দ্বারা লোকশিল্পের বিকাশ ঘটেছিল। পাহাড়পুর ও ময়নামতির মৃৎশিল্পে জনজীবনের সাধারণ চিত্রকে ভাস্কর্যে রূপায়িত করা হতো। মাটি ও পাথরের মূর্তিগুলোর সজীবতা ও সূক্ষ্ম কাজ পাল যুগের ভাস্কর্য শিল্পের উৎকর্ষতার পরিচয় দেয়। পাহাড়পুরে প্রধান মন্দিরের ভিত্তির গায়ে পাথরের ফলকে ভাস্কর্য সজ্জা বিস্ময়কর এ ভাস্কর্যে অনেক ক্ষেত্রে মৌলিক কাজ দেখা যায় ।
৭. পাল যুগের চিত্রকলা ।
পাল যুগের চিত্রকলার নিদর্শন রুরাল এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল, কেমব্রিজ সংগ্রহশালায় দেখতে পাওয়া যায়। বজ্রযান ও তন্ত্রযানের ধর্মমতকে বিষয়বস্তু করে অধিকাংশ চিত্র আঁকা হয়েছিল। বৌদ্ধ পাণ্ডুলিপিগুলোকে অলংকরণের জন্য খুব সম্ভবত এ চিত্রগুলো অঙ্কিত হয়। রাজশাহীর বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি, অক্সফোর্ডের বোডেলিয়ান গ্রন্থগারেও পাল যুগের চিত্রকলার নিদর্শন রক্ষিত আছে। অনেকের মতে, এসব চিত্রগুলো বাংলাদেশে অঙ্কিত হয় নি বরং সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে তা চিত্রিত হয় ।
৮. পাল যুগের জনশ্রেণী ও গণসংস্কৃতি :
পাল যুগের সমাজে বর্ণভেদ প্রথার তীব্রতা ছিল না এবং এর কারণ ছিল বৌদ্ধধর্মের প্রভাব, বৌদ্ধধর্মের সর্বসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি, পাল রাজাদের বৌদ্ধধর্মের পতি অনুরক্তি। এছাড়া পাল রাজারা নিজেরা উচ্চ বংশজাত ছিল না । এজন্য তাঁরা বর্ণভেদকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন না। তথাপি সমাজের শীর্ষে ব্রাহ্মণরা অধিষ্ঠিত ছিল ভূমি গ্রহীতা ছিলেন ব্রাহ্মণ শ্রেণী। তাছাড়া পাল যুগে কায়স্থরা বিশেষ প্রাধান্য ভোগ করতেন। ব্রাহ্মণরাও অনেক সময় করণিকের বৃত্তি নিতেন। বাণিজ্য হ্রাস পাওয়ায় বৈশ্যদের প্রভাব পাল অঞ্চলে কমে যায়। বৈদ্যরা এ সময়ে উপবর্ণ রূপে গড়ে উঠেছিল। সমাজের নিম্নতম স্তরে ছিল চণ্ডাল, শবর, মেদ, ডোম প্রভৃতি সম্প্রদায়।
পাল যুগে বৌদ্ধগৃহীরা মনুর শাসন মেনে চলত। একমাত্র বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তা মেনে চলত। বর্ণভেদ ও স্মৃতি ব্যবস্থার প্রধান প্রচারক ভবদেব ভট্ট পাল যুগের শেষের দিকে জীবিত ছিলেন। এজন্য তাঁর প্রভাব পাল যুগে প্রখর ছিল না।
পাল যুগের সাহিত্য, ভাস্কর্য, স্মৃতিকথা, প্রবাদ প্রবচন, লিপিমালা ইত্যাকার উৎস থেকে পাল আমলের দৈনন্দিন জনজীবনের চিত্র খুঁজে পাওয়া যায়। মাছ, ভাত ছিল বাঙালির প্রধান খাদ্য। মৌরলা মাছের তরকারি, নতুন সুগন্ধি চালের ভাত, নলিতা শাকের ঝোল ছিল তখনকার দিনে উৎকৃষ্ট খাদ্য। তাছাড়া তখনকার দিনে ডাল ও মাংসেও বাঙালির অরুচি ছিল না। বাংলায় কলের গুড় ও চিনির সুখ্যাতি ছিল। বাঙালিদের মধ্যে ব্রাহ্মণ ছাড়া সকল সম্প্রদায় বেশ সুরা পান করত । পাশা, দাবা খেলা, নাচ, গানে তৎকালীন বাঙালি চিত্তবিনোদন করত। লোকে পায়ে হেটে, পালকি বা ঘোড়া বা হাতিতে চড়ে যাতায়াত করত। জলপথে নৌকায় যাতায়াত করত। সাধারণ বাড়িঘর মাটি, কাট, বাঁশ ও সন বা গোলপাতা দিয়ে তৈরি হতো। রাজপ্রাসাদ ইট ও কাঠ দিয়ে তৈরি হতো। সাধারণ জনতা খাটো বহরের ধুতি পরত ও গায়ে চাদর চাপাত। মেয়েরা শাড়ি পরত, ধনী গৃহের মেয়েরা শাড়ির সাথে চেলি ও ওড়না ব্যবহার করত। পুরুষেরা সাধারণত মাথায় সিঁথি রেখে টেরি বানাত, পাগড়ি বা টুপি পরত না। মেয়েরা সিঁদুর পরত, এলো খোঁপা বাধত, কর্পূর ও রং দিয়ে প্রসাধন করত, ধনী মেয়েরা সোনা-রূপার অলংকার পরত। তবে দরিদ্র নারী ও পল্লি রমণীদের ভাগ্যে এসব বিলাসিতা অকল্পনীয় ছিল। কবি উমাপতি ধরের মতে, “তারা সোনা ও কুষ্মাও পুষ্পের মধ্যে পার্থক্য করতে জানত না।” তবে পাল আমলে সাধারণ লোকেরা এতই গরিব ছিল যে, তাদের পক্ষে বিলাসিতা ও ইন্দ্রিয় শক্তির জন্য ব্যয়বাহুল্য সাধ্যের অতীত ব্যাপার ছিল । সাধারণ জনগণ বার, ব্রত, পূজা পাঠনের দ্বারাই আনন্দ লাভ করত।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনা পরিশেষে বলা যায় যে, পাল যুগের পূর্বে প্রাচীন বাংলায় যে আবহমান হিন্দুধর্মের পটভূমি ছিল, তার উপরেই গুপ্ত যুগের জীবন সংস্কৃতি প্রবহমান ছিল। গুপ্ত যুগের পরে পাল আমলের সুদীর্ঘ চারশ বছর একটানা শাসনে ঐ সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের রং বেশ কিছুটা বদলে যায়, বিশেষত বৌদ্ধধর্মের কারণে। পাল শাসকেরা বংশগতভাবে বৌদ্ধধর্মাবলম্বী হওয়ার সূত্রেই এমনটি ঘটেছিল। সবশেষে, পাল আমলে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতি তথা শিল্প, সাহিত্য ও জীবনাচরণে এক প্রবৃদ্ধিমূলক সংবৃদ্ধি ঘটেছিল, ইতিহাসে যা ইতিবাচক অর্থে অমর হয়ে আছে।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]