১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের লাহোর প্রস্তাব সম্পর্কে আলোচনা কর। (Discuss About the Lahore Resolution of 1940 )

১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের লাহোর প্রস্তাব
Lahore Resolution, 1940
. ভূমিকা Introduction
আধুনিক বিশ্বে রাজনৈতিক-রাষ্ট্রনীতি বিষয়ক যেকোনো সমঝোতার প্রশ্নে বা সমর্থিত কোনো প্রস্তাবনার বিষয়ে যে এলাকায় বসে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সেই এলাকার নামকে সেই বিষয়ে জড়িয়ে দেয়া একটা প্রচলিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনি প্রেক্ষাপটে তৎকালীন লাহোরে যে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছিল তাকে লাহোর প্রস্তাব নামে অভিহিত করা হয়।
লাহোর প্রস্তাব
The Lahore Resolution
ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে লাহোর প্রস্তাব একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি ব্রিটিশ শাসন অবসানকল্পে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। বিশেষ করে ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে কংগ্রেস ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় এবং ভারতবর্ষের ১১টি প্রদেশের মধ্যে ৭টিতে কংগ্রেস ক্ষমতাসীন হয়। বাকি ৪টিতে মুসলিম লীগের একক ও কোয়ালিশন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু কংগ্রেসি শাসনের ফলে উপমহাদেশের মুসলমানরা সবচেয়ে বেশি শঙ্কিত হয়ে পড়ে। কারণ তারা লক্ষ করে যে, কংগ্রেস তাদের দলীয় সংগীত 'বন্দে মাতরম' কে ভারতের জাতীয় সংগীতে পরিণত করে এবং অনেকটা জোরপূর্বক তারা এ কাজটি করে। আর হিন্দিকে তারা ভারতের রাষ্ট্রভাষায় পরিণত করে। এছাড়াও ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনের পর কংগ্রেসের সভাপতি পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু ঘোষণা করেন যে, ভারতীয় উপমহাদেশে কেবল দুটি দলের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়। একটি হচ্ছে কংগ্রেস এবং অপরটি হচ্ছে ব্রিটিশ সরকার এছাড়া অপরাপর সকল দলই কংগ্রেসের অন্তর্ভুক্ত। তার এ মন্তব্যে মুসলিম নেতৃবৃন্দ মর্মাহত ও ব্যথিত হন। এসময় যে সকল প্রদেশে কংগ্রেস সরকার গঠন করেছিল সেখানে মুসলমানরা সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত হয়েছিল। তাই কংগ্রেসি শাসনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকেরা উপলব্ধি করতে পারে যে, আর যাই হোক কোনো চুক্তি বা সমঝোতার মাধ্যমে ভারতের হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকদের পক্ষে একটি রাষ্ট্রে বসবাস করা সম্ভবপর নয় ।
তাই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে লাহোরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সাধারণ অধিবেশন আহ্বান করেন। অধিবেশনে যোগদানের জন্য বাংলার মুসলিম লীগের নেতৃত্ব দেন শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক এবং তিনি ২২ মার্চ লাহোরে পৌঁছেন। অবশেষে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মার্চ মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনে ভারতের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলসমূহকে নিয়ে একাধিক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে প্রস্তাব পেশ করেন, তাই ইতিহাসে ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব নামে পরিচিত।
লাহোর প্রস্তাব উত্থাপনের পটভূমি
Background of the Lahore Resolution
ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক অগ্রগতির ইতিহাসে ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মার্চের ঐতিহাসিক 'লাহোর প্রস্তাব' এক যুগান্তকারী ঘটনা। এ লাহোর প্রস্তাবই ভারতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য মুসলিম লীগের প্রথম গঠনমূলক প্রস্তাব। তবে লাহোর প্রস্তাব পেশের ঘটনা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে সুদীর্ঘকাল ধরে যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত পরিচালিত হয়েছিল তার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ মুসলিম লীগ কর্তৃক লাহোর প্রস্তাব পেশ করা হয় ।
যেসকল কারণ ও অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনে লাহোর প্র গৃহীত হয়েছিল সেগুলো নিম্নরূপ-
১. ব্রিটিশ সরকারের ঘোষণা : ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ব্রিটি
মুসলমানদের আলাদা জাতি হিসেবে ভাবতে থাকে। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে মর্লি-মিন্টো সংস্কার আইনে মুসলমানদের জন্য সরকার সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার দেন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের হাউস অব লর্ডস লর্ড মর্পে ঘোষণা করেন যে, ভারতীয় মুসলমানরা ' শুধুমাত্র একটি পৃথক ধর্ম অনুসরণ করে তা নয়, সামাজিক আচরণ ও জীবনযাত্রার দিক দিয়ে এরা পৃথক জাতি।
২. স্যার সৈয়দ আহমদের প্রথম বীজ বপন : ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে স্যার সৈয়দ আহমদ খান ভারতীয় রাজনীতিতে মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের বীজ বপন করেন। তিনিই প্রথম ঘোষণা করেন যে, ভারতে দুটি ভিন্ন জাতি বসবাস করে। ে কারণে তিনি হিন্দু প্রভাবিত কংগ্রেসে মুসলমানদের যোগ দিতে বারণ করেন।
৩. লক্ষ্ণৌচুক্তি ও জিন্নাহর চৌদ্দ দফার কারণ : প্রথম মহাযুদ্ধের সময় ও পরে মুসলমানরা স্বতন্ত্র নির্বাচন দাবি ক
আসছিল। লক্ষ্ণৌচুক্তি (১৯১৬) ও জিন্নাহর চৌদ্দ দফা (১৯২৯) দাবিতে এর প্রতিফলন ঘটে। প্রথম মহাযুদ্ধের পর উলামা সম্প্রদায়ের রাজনীতিতে প্রভাব মুসলমানদের বিচ্ছিন্নতাবাদকে আরও চাঙ্গা করে। ফলে মুসলমানদের একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য লাহোর প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
৪. নেহেরু রিপোর্টের প্রতিক্রিয়া : ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে কংগ্রেস নেতা মতিলাল নেহেরু ও তদীয় পুত্র জত্তহরলাল নেহেরু কর্তৃক নেহেরু রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যায় যে, এটি শুধুমাত্র হিন্দুদের দাবি-দাওয়া পূরণের লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। অপরদিকে, এ রিপোর্টে মুসলমানদের স্বার্থ ও দাবি-দাওয়া যথারীতি অস্বীকার করা হয়েছে। ফলে মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ বুঝতে পারেন যে, হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। ৫. গোল টেবিল বৈঠকের ব্যর্থতা : ভারতের শাসনতান্ত্রিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৩০-৩২ খ্রিষ্টাব্দে লন্ডনে পর পর তিনটি গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সম্প্রদায় ও দেশীয় রাজ্যের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের একগুয়েমির কারণে কংগ্রেস কর্তৃক মুসলিম লীগের ন্যূনতম দাবি মেনে না নেওয়ার কারণে কংগ্রেস সম্পর্কে মুসলিম লীগের মনোভাব পরিবর্তন হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মুসলমানরা নিজেদের জন্য স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। এর ফলশ্রুতিতে লাহোর প্রস্তাব প্রণীত হয় ।
৬. মুসলিম চিন্তাবিদদের যন্ত্র রাষ্ট্রের চিন্তাধারা : নেহেরু রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়। এর ফলে মুসলিম লীগ যেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তেমনি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রখ্যাত নেতারাও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখান। নেহেরু রিপোর্টের সমালোচনা করে ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে আগা খান উত্তর-পশ্চিম ভারতে ও পূর্ব ভারতে মুসলমানদের জন্য কয়েকটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব করেন। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে মহাকবি আল্লামা ইকবাল পাঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, সিন্ধু প্রদেশ ও বেলুচিস্তানের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব করেন। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র চৌধুরী রহমত আলী উত্তর পশ্চিম * ভারতের মুসলমানদের জন্য পাকিস্তান (Pakistan) নামক রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব করেন।
৭. ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচন : ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে কংগ্রেসের বিপুল ভোটে বিজয় ঘটে এবং মুসলিম লীগ পরাজিত হয়। কংগ্রেস এককভাবে ৭টি প্রদেশে মন্ত্রিসভা গঠন করে। শুধু বাংলা ও পাঞ্জাবে মুসলিম লীগ কোয়ালিশন মন্ত্রিসভা গঠন করে। মুসলিম লীগ বিভিন্ন প্রদেশে যুক্তভাবে মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব করলে কংগ্রেস ক্ষমতা ভাগাভাগী করতে অস্বীকার করে। কংগ্রেস শাসিত প্রদেশগুলোতে অফিস-আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কংগ্রেসি পতাকা উত্তোলন ও 'বন্দে মাতরম'কে জাতীয় সংগীত গাওয়ার ব্যবস্থা করে, কংগ্রেস রাষ্ট্রভাষা হিসেবে হিন্দি চালু করে। এতে মুসলমানেরা বুঝতে পারে যে, কংগ্রেস ভারতবর্ষে হিন্দু রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ সময় ভারতের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধে।
৮. হিন্দু ভারতীয় প্রভাব : ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনের পর কংগ্রেসের সভাপতি পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু ঘোষণা করেন যে, ভারত উপমহাদেশে কেবল দুটি দলের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়। একটি হচ্ছে কংগ্রেস এবং অপরটি হচ্ছে ব্রিটিশ - সরকার এবং অপরাপর সব দলই কংগ্রেসের অন্তর্ভুক্ত। তার এ মন্তব্যে মুসলিম নেতৃবৃন্দ মর্মাহত ও ব্যথিত হন। মুসলিম লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন যে, ভারতীয় মুসলমানগণ ভারত উপমহাদেশে তৃতীয় দল এবং তারা একটি আলাদা জাতি। এরপর জিন্নাহ ঘোষণা করেন, ভারতবর্ষে হিন্দু ও মুসলমান দুটি পৃথক জাতি। তিনি দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র দাবি করেন।
১. জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্ব ঘোষণা : লাহোরে মুসলিম লীগের অধিবেশন ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ২২-২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতের ভবিষ্যৎ শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারত সরকারের যুদ্ধনীতির প্রতি মুসলিম লীগের নীতিনির্ধারণ করা। মুসলিম লীগ সভাপতি এ সময় দ্বিজাতি তত্ত্ব ঘোষণা করেন। জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্বের ঘোষণা শুনে ভারতের মুসলমানদের চেতনায় অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়ে দেয়। পৃথক আবাসভূমি বা স্বাধীনতার স্বপ্ন তাদেরকে জাগিয়ে তোলে ।
১০. লর্ড লিনলিখগোর আগস্ট ঘোষণা : কংগ্রেস মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পর লর্ড লিনলিথগো ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে ঘোষণা করেন যে, যুদ্ধের পর ভারতীয়দের ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাস-এর দাবি স্বীকার করে নিয়ে একটি শাসনতন্ত্র রচনা করা হবে। এ ঘোষণার দ্বারা তিনি পরোক্ষভাবে জানিয়ে দেন যে, মুসলিম লীগ রাজি না হলে ব্রিটিশ সরকার কোনো সংবিধান বা শাসনতন্ত্র দিবে না। আর এটি মুসলিম লীগের দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে আরও বেশি উৎসাহিত করে।
মূলত, ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়াতে এবং ভারতীয় নেতৃবৃন্দের মতামত না নিয়ে ভারত সরকারের যুদ্ধে যোগদানের কারণে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তা আলোচনা করতে এবং ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশসমূহে মুসলিম লীগের পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণের জন্য মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে লাহোরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সাধারণ অধিবেশন আহ্বান করেন। মুসলিম লীগের কর্মীদের একটি ক্ষুদ্র দল নিয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ মার্চ লাহোরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। অধিবেশনে যোগদানের জন্য বাংলার মুসলিম লীগের নেতৃত্ব দেন এ.কে. ফজলুল হক এবং তারা ২২ মার্চ লাহোরে পৌঁছেন। বাংলার প্রতিনিধি দলকে বিপুল জয়ধ্বনি দিয়ে বরণ করা হয়। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সিকান্দার হায়াত খান লাহোর প্রস্তাবের প্রারম্ভিক খসড়া তৈরি করেন, যা আলোচনা ও সংশোধনের জন্য নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সাবজেক্ট কমিটি সমীপে পেশ করা হয়। সাবজেক্ট কমিটি এ প্রস্তাবটিতে আমূল সংশোধন আনয়নের পর ২৩ মার্চ সাধারণ অধিবেশনে ফজলুল হক সেটি উত্থাপন করেন এবং চৌধুরী খালিকুজ্জামান ও অন্যান্য মুসলিম নেতৃবৃন্দ তা সমর্থন করেন। জিন্নাহর সভাপতিত্বে সভায় প্রস্তাবটি গৃহীত হয় । এ প্রস্তাবই ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব নামে অভিহিত ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]