দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব বঙ্গীয় চন্দ্রবংশীয় রাজা শ্রীচন্দ্রের সাথে গৌড় দেশ ও কামরূপ দেশের ভূরাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক আলোচনা কর।

উত্তর : ভূমিকা :
প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে দক্ষিণপূর্ব বাংলার প্রায় একশ বছরের চন্দ্র বংশীয় শাসনামল বিশেষ এক আলোচ্যবিষয়। চন্দ্র বংশের প্রতিষ্ঠাতা পুরুষ শ্রী ত্রৈলোক্যচন্দ্র হলেও তদীয় পুত্র শ্রীচন্দ্র তৎকালীন ভূরাজনৈতিক পরিমণ্ডলে গৌড় ও কামরূপ দেশের সাথে আন্দোলন সৃষ্টিকারী সাংঘর্ষিক ঘটনাবলির মাধ্যমে প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে আছেন ।
শ্রীচন্দ্রের পূর্ব পরিচয় :
প্রাপ্ত বিবিধ লিপি সাক্ষের আলোকে জানা যায়, পিতৃউত্তরাধিকারী রূপে শ্রীচন্দ্র ছিলেন চন্দ্র বংশের চতুর্থ নৃপতি। পৈতৃক সূত্রেই তিনি দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব বাংলার ব্যাপক এক এলাকার স্বাধীন ও সার্বভৌম শাসকরূপে প্রায় অর্ধশতাব্দীকাল রাজত্ব করেন। পিতার মৃত্যুর পরবর্তীকালে যোগ্যতম পুত্ররূপে শ্রীচন্দ্র সামরিক দক্ষতা বলে তদীয় আঞ্চলিক প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে তার বঙ্গীয় রাজ্যকে বহুবিস্তৃত ও উল্লেখযোগ্য এক শাসনাধীনে নিয়ে আসেন। শ্রীচন্দ্র সম্পর্কিত উৎসাবলি : শ্রীচন্দ্র সম্পর্কিত সকল তথ্যের উৎস হচ্ছে চন্দ্র বংশীয় রাজাদের লিপি সাক্ষ্য । প্রকৃতপক্ষে লিপি সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করেই দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গে চন্দ্র বংশের প্রতিষ্ঠা ও চন্দ্র রাজবংশের ইতিহাস পুন রচিত হয়েছে। এসব লিপিমালা থেকে নিজ সাম্রাজ্যে তাঁর শাসনামল ও গৌড় ও কামরূপ দেশের সাথে তাঁর ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্বসূচক ইতিহাসের কথা জানা যায়। শ্রীচন্দ্রের ছয়টি তাম্রশাসন ছাড়াও তাঁর পূর্বসূরি ও উত্তরসূরিদের বিভিন্ন তাম্রশাসন মুদ্রা, স্তম্ভলিপি ইত্যাকার প্রত্মতাত্ত্বিক উৎসাবলি থেকে শ্রীচন্দ্র সম্পর্কিত ইতিহাস পুন নবায়িত হয়েছে। কুমিল্লার লালমাই, পাহাড় ছাড়াও অন্যান্য অনেক স্থানে শ্রীচন্দ্র সংশ্লিষ্ট অনেক প্রত্মতাত্ত্বিক উৎসের সন্ধান মিলেছে। শ্রীচন্দ্রের রাজ্যকাল : শ্রীচন্দ্রের রাজ্যের পঞ্চাশ বছরেই তিনি শ্রীহট্ট তথা সিলেট এলাকা অধিহরণ করেন। পৈতৃক সূত্রে বিশাল এক সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী হলেও স্বীয় যোগ্যতা ও ক্ষমতা বলে উত্তরপূর্বে কামরূপ তথা আসাম রাজ্য দখল করে নেন। তবে স্থায়ীভাবে কামরূপ দেশের কোন অঞ্চল তার সাম্রাজ্য অধিভুক্ত ছিল, লিপিসাক্ষ্যে তার স্পষ্ট বিবরণ নেই । সম্ভবত কামরূপ দেশে তিনি পুতুল রাজা গোপালকে পুনঃনিয়োগ অথবা প্রতীকি রাজ শাসনের প্রতিনিধি রূপের নিজের স্থলাভিষিক্ত করে আসেন। শ্রীচন্দ্র গৌড় ও কম্বোজ দেশের রাজাকেও পরাজিত করেন। যতদূর জানা যায়, মানিকগঞ্জ জেলা, বৃহত্তর ঢাকা ও ফরিদপুর জেলার পদ্মা সন্নিহিত এলাকা, বৃহত্তর সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও সমতট জনপদের অধিকাংশ জনাঞ্চল তার অধিরাজ্যভুক্ত ছিল, অর্থাৎ দক্ষিণ পূর্ব বাংলার প্রায় পুরোটাই শ্রীচন্দ্রের শাসনাধীন ছিল।
শ্রীচন্দ্রের সাথে গৌড় ও কামরূপ দেশের সম্পর্ক : লিপি সাক্ষ্যমালার আলোকে জানা যায় যে, শ্রীচন্দ্রের শাসনামলে শ্রীচন্দ্রের সাথে গৌড় ও কামরূপের সম্পর্ক ছিল বহুমুখি ও বৈচিত্র্যময়। শ্রীচন্দ্রের তাম্রশাসনে দেখা যায় যে, তিনি নিজ দক্ষতা, যোগ্যতা ও মেধা বলেই ক্ষমতা সীমার চরম শিখরে আরোহণ করেন। যদিও তার ক্ষমতার প্রাথমিক মৌলিক উৎস ভূমি ছিল পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত বিশাল এক সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারি। তবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনেও শ্রীচন্দ্র অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দেন। শ্রীচন্দ্রের ভূরাজনৈতিক কূটনীতি ও সমরনীতি একজন সার্থক ও সফল প্রয়োগকারীর প্রমাণ মেলে গৌড় ও কামরূপ দেশের সাথে বহুমুখী কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খতিয়ে দেখলে ।
বস্তুত বঙ্গদেশ ও গৌড় দেশের স্বার্থে দক্ষিণ পূর্ব বাংলার রাজ্যাধিপতি শ্রীচন্দ্রের সম্পর্ক ছিল একাধারে বিরোধাত্মক, গোলযোগপূর্ণ অন্যদিকে আবার একই সাথে ঐক্য সংহতিসূচক বন্ধুত্বপূর্ণ। আসলে এসবই ছিল শ্রীচন্দ্রের সমরকূটনীতির কূটচাল মাত্র ।
শ্রীচন্দ্রের উত্তরাধিকারদের তাম্রশাসন থেকে জানা যায় যে, তিন গৌড় ও কামরূপ দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিযান প্রেরণ করে বিজয়ী হন এবং কম্বোজ বংশীয় রাজাকে পরাজিত করে শ্রীচন্দ্র রাজা দ্বিতীয় গোপালকে গৌড় দেশের রাজক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করান। এরপর থেকে গৌড় দেশের সাথে শ্রীচন্দ্রের সম্পর্ক ছিল সমঝোতামূলক, তবে গৌড় দেশের সাথে শ্রীচন্দ্র মিত্রসুলভ বন্ধুত্ব বজায় রেখেছিলেন নাকি গোপালকে প্রভাবহীন বা অধীন্যস্ত? রাজারূপে সিংহাসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এখানে শ্রীচন্দ্রের সাথে গৌড়দেশ ও বঙ্গদেশের সাথে তার সম্পর্কের কথা সংক্ষেপে তুলে ধরা হল : ক. শ্রীচন্দ্রের সাথে কামরূপের সম্পর্ক ঃ পঞ্চম রাজ্যদের তাম্রশাসন থেকে জানা যায় যে, শ্রীচন্দ্র তার রাজ্যের উত্তর-পূর্ব দিকে সামরিক অভিযান প্রেরণ করেছিলেন এবং শ্রীহট্ট বা বর্তমানের সিলেট অঞ্চল তার সাম্রাজ্যভুক্ত করেছিলেন। এর সপক্ষে উক্ত তাম্রশাসনে এভাবে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তিনি অর্থাৎ শ্রীচন্দ্র শ্রীহট্ট অঞ্চলে ভূমিদান করেছিলেন। কিন্তু শ্রীহট্ট পর্যন্তই শ্রীচন্দ্রের বিজয়াডিয়ান সীমাবদ্ধ ছিল না, তিনি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে সামরিক অভিযান প্রেরণ করেন। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে শ্রীচন্দ্রের রাজ্যাভিযানের কাহিনী এখানে সংক্ষেপে বর্ণিত হল ?
১. শ্রীচন্দ্রের কামরূপ সমরাভিযান
: শ্রীচন্দ্র শ্রীহট্ট বিজয়াভিযান শেষে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে কামরূপ বা বর্তমান আসাম প্রদেশেও যুদ্ধাভিযান প্রেরণ করেছিলেন। শ্রীচন্দ্রের উত্তরাধিকারী লড়হ চন্দ্রের দুটি তাম্রশাসনে এ বিজয়াভিযানের কাহিনীর উল্লেখ প্রমাণ পাওয়া যায়। অনুমান করা খুবই স্বাভাবিক যে, শ্রীহট্টের পরে শ্রীচন্দ্র পার্শ্ববর্তী কামরূপ রাজ্য আক্রমণ করেছিল। তাম্রশাসনের প্রশস্তিনামায় বলা হয়েছে যে, কামরূপ বিজয়াভিযানে শ্রীচন্দ্রের সৈন্যদলের অগ্রভাগ লৌহিত্য বা বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদী অতিক্রম করে গৌহাটির নিকটবর্তী পর্বতসংকুল এলাকা অবধি এগিয়ে গিয়েছিলেন। ওদিকে কামরূপ রাজ বলশর্মার পরবর্তী শাসকগণের অযোগ্যতা হেতু কামরূপরাজ্যের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়লেও লড়হ চন্দ্রের তাম্রশাসনে প্রাপ্ত প্রশস্তিনামার সত্যতা প্রতিপাদিত হচ্ছে না। এ সুযোগই শ্রীচন্দ্র খুব সম্ভবত কামরূপ বিজয়াভিযানে সফলকাম হন। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে D. R. C. Majumdar বলেছেন, “শ্রীচন্দ্রের সৈন্যদল ব্রহ্মপুত্র নদের নদী-উপত্যকা বরাবর কামরূপ দেশের অভ্যন্তর ভাগে বিজয়াভিযানে প্রবেশ করে।”
২. বিজয়াভিযান পরবর্তী শ্রীচন্দ্র- কামরূপ সম্পর্ক :
শ্রীচন্দ্র ও তার উত্তরাধিকারীদের তাম্রশাসন ও লিপিমালা থেকে কামরূপ দেশে শ্রীচন্দ্রের বিজয়াভিযানের কথা জানা গেলেও, অভিযান পরবর্তী সময়কালে কামরূপদেশের সাথে শ্রীচন্দ্রের কিরূপ সম্পর্ক দাঁড়িয়েছিল, সে সম্পর্কে প্রশস্তিনামায় নির্দিষ্ট কোন ইঙ্গিত নির্দেশ না থাকায় স্বভাবতই এক্ষেত্রে যৌক্তিক অনুমানের উপরেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
দক্ষিণ-পূর্ব বাংলা থেকে দুর্গম খরস্রোতা ব্রহ্মপুত্র নদ অতিক্রম করে কামরূপ দেশের পাহাড়ী এলাকা পর্যন্ত শ্রীচন্দ্রের বিজয়াভিযান সফলকাম হলেও কামরূপদেশ কখনোই শ্রীচন্দ্রের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ শাসনাধীনে আসে নি। কেননা যে দুর্বলতার সুযোগে শ্রীচন্দ্র কামরূপ আক্রমণ করেছিল, পরবর্তীকালে কামরূপদেশের হৃত শক্তি ফিরে পাওয়াতে শ্রীচন্দ্র হয়তো কামরূপদেশকে একটি করদ রাজ্যেও পরিণত করতে পারে নি। ওদিকে কামরূপ দেশের অন্তঃত শ্রীচন্দ্রের শাসনামলে এমন শক্তি অর্জন করতে পারে নি, যাতে করে তারা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে বঙ্গদেশ আক্রমণ করতে পারতো। সেক্ষেত্রে শ্রীচন্দ্রের সাথে কামরূপ দেশের বিজয়াভিযান পরবর্তী সম্পর্ক প্রমাণিত শক্তিমানের প্রতি স্বাভাবিক শ্রদ্ধা ও সম্মান ভিত্তিক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
খ. শ্রীচন্দ্রের সাথে গৌড়দেশের সম্পর্ক :
শ্রীচন্দ্রের উত্তরাধিকারী লডহচন্দ্র ও কল্যাণচন্দ্রের প্রাপ্ত ময়নামতি তাম্রশাসন থেকে শ্রীচন্দ্রের সাথে গৌড়দেশের সম্পর্ক মোটামুটি জানা যায়। বঙ্গাধিপতি শ্রীচন্দ্রের সাথে গৌড়দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছিল বেশ বিচিত্রমুখী, যার মধ্যে সম্প্রীতি ও সংঘর্ষ দুটোই অবস্থান করছিল।
১. শ্রীচন্দ্র সমসাময়িক গৌড়দেশের বাস্তবতা :
বঙ্গদেশে শ্রীচন্দ্রের শাসনামলে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা হেতু গৌড়দেশের রাজনৈতিক অবস্থা খুবই অস্থিতিশীল ছিল। কেননা এসময় উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় শক্তি কম্বোজদের বিস্তৃতির সময়কাল চলছিল এবং শ্রীচন্দ্রের আমলে গৌড়দেশ কম্বোজদের শাসনাধীনে ছিল এবং গৌড়রাজ দ্বিতীয় গোপালের শাসনামলেই কম্বোজগণ উত্তর-পশ্চিমবাংলার শাসন ক্ষমতা অধিহরণ করেছিল।
২. কম্বোজদের বিরুদ্ধে অভিযান :
কম্বোজদের বিরুদ্ধে অভিযান ও গৌড়রাজ দ্বিতীয় গোপালের সাথে বঙ্গরাজ শ্রীচন্দ্রের সম্পর্ক এখনো অবধি কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে অনুমানের আলোকে বলা যায় যে, গোপাল ও শ্রীচন্দ্র দুজনেই বৌদ্ধ ধবলম্বী প্রতিবেশি রাজ্যাধিকারী ছিলেন। শ্রীচন্দ্র কম্বোজদের আক্রমণ প্রতিহত করার পূর্বে গৌড়রাজের সাথে শ্রীচন্দ্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুব সম্ভবত স্বাভাবিক অর্থে ইতিবাচক ছিল না; ওদিকে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে কম্বোজ শক্তির গতিশক্তির কাছে দ্বিতীয় গোপাল শূন্য শক্তি বিবেচিত হওয়াতে বঙ্গরাজ শ্রীচন্দ্র কম্বোজদের আক্রমণ প্রতিহত করতে সাময়িকভাবে গৌড়দেশের শাসনভার গ্রহণ করে খুব সম্ভবত গৌড়দেশ ও শ্রীচন্দ্রের যৌথ শক্তি বলে কম্বোজদের অগ্রাভিযান প্রতিহত করেন। অনেকে এমন মনে করেন যে, শ্রীচন্দ্র দ্বিতীয় গোপালকে ক্ষমতাচ্যুত করে পুনরায় তাকে গৌড়দেশের রাজক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছিল, এরকম প্রতীতির কারণ এ যে, শ্রীচন্দ্র গোপালের ক্ষমতাকে চ্যুত করেন নি বরং কম্বোজদের অপ্রতিহত অগ্রাভিযানকে প্রতিহত করতে সাময়িক কালের জন্য গৌড়দেশের এক্তিয়ার শ্রীচন্দ্র রাজা দ্বিতীয় গোপালের হাত থেকে নিজের আয়ত্ত্বে নিয়ে আসেন।
অভিযান পরবর্তী সম্পর্ক ঃ কামরূপের মত গৌড়দেশে সকল অভিযানের পর শ্রীচন্দ্রের সাথে গৌড়দেশের কি সম্পর্ক বহিঃশক্তির দাঁড়ায় স্পষ্ট করে জানা যায় না। তবে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনাটাই বেশি। কেননা, আক্রমণকে যদি কখনো দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিও তাদের জন্য হুমকিস্বরূপ মনে করে তাহলে ঐ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ঐক্যসূত্র দেখা দেয়। সেহেতু বলা যায়, কম্বোজ অভিজানের পূর্বে শ্রীচন্দ্রের সাথে গৌড়ের সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন; অভিযানের পর শ্রীচন্দ্র ও গৌড়ের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়াটাই স্বাভাবিক। শ্রীচন্দ্রের বিদেশ নীতির মূল্যায়ন : বঙ্গীয় রাজ্যাঞ্চলের একজন প্রভাব প্রতিপত্তিশালী রাজা হিসেবে শ্রীচন্দ্রের প্রতিবেশী রাজ্য ছিল কামরূপ ও গৌড় দেশ। শ্রীচন্দ্রের সমসাময়িককালে ঐ উভয়দেশই আভ্যন্তরীণ অরাজকতা হেতু রাষ্ট্রীয় শক্তি হিসেবে দুর্বল হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে একজন প্রতি শক্তিশালী রাজারূপে শ্রীচন্দ্র তাদের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঐসব সুযোগ সদ্ব্যবহার করেন।
উপসংহার ঃ
উপরের আলোচনা থেকে আমরা এ সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, নিঃসন্দেহে শ্রীচন্দ্রের রাজ্যাভিযান প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়। পিতৃসূত্রে প্রাপ্ত সাম্রাজ্যের মর্যাদা বৃদ্ধিতে তিনি স্বীয় যোগ্যতা প্রদর্শন করেন এবং পরবর্তী রাজাগণ কামরূপ ও গৌড়দেশের সাথে কেন্দ্রীয় শক্তির ভূমিকা পালনের পারঙ্গমতা প্রদর্শনের কৃতিত্ব প্রদর্শন করে বাংলার ইতিহাসে অজয়কার স্বাক্ষর রেখেছেন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]