উত্তর ভূমিকা ঃ গুপ্ত যুগ সম্পর্কে আমরা অনেক কিছু জানতে পারি Dr. Fleet এর 'Corpus Inscription Indecorum' শীর্ষক গ্রন্থে গুপ্ত যুগের ৩৬০ খ্রিঃ -৪৬৬খ্রিঃ এবং ৪৮৪খ্রিঃ-৫১০ খ্রিঃ এর মধ্যে গুপ্ত রাজগণের লিপি' একত্রিত করে প্রকাশ করার ফলে। তাছাড়াও বিশেষতঃ দামোদরপুর ও বসরা শিলালিপি, দেশীয় সাহিত্য, বিভিন্ন ভূমি পটলী, মুদ্র এবং চীন দেশীয় পরিব্রাজক বিশেষতঃ ফা-হিয়েনের বিবরণ প্রভৃতি হতে গুপ্ত শাসন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
গুপ্ত বংশের উত্থান ও রাজ্যসীমানার অবস্থান বিশেষতঃ চীনা পরিব্রাজক ই-সিং (I-Tsing) এর বর্ণনা মতে, ১৭৫৯ খ্রিঃ এর কাছাকাছি সময়ে মগধে শ্রী গুপ্ত নামে এক রাজা ক্ষুদ্র রাজ্যের শাসক ছিলেন। পণ্ডিতগণ যাকে এ বংশের স্থপতি বলে মনে করেছেন। শ্রী গুপ্তের পর তার পুত্র ঘটোৎকচ, তারপর ঘটোৎকচের পর চন্দ্র গুপ্ত এবং তার পুত্র সমুদ্র ও পৌত্র ২য় চন্দ্র গুপ্ত বিভিন্ন রাজ্য জয় করে; যে এক বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তা জানা যায়। ড. রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে, "খ্রিঃ ৪র্থ ও ৫ম শতাব্দীতে গুপ্ত বংশীয় রাজাগণ প্রায় সমগ্র উত্তর ভারতকে তাদের সাম্রাজ্যভুক্ত করেছিল যারা খ্রিঃ ৬ষ্ঠ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত রাজত্ব করেছেন।
"
গুপ্ত সাম্রাজ্যভুক্ত বাংলা : চীনা পরিব্রাজক ই-সিং (I-Tsing) এর বর্ণনা মতে, গুপ্ত রাজ শ্রী গুপ্ত বাংলার বরেন্দ্র ভূমিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য একটি বিহার বা মঠ নির্মাণ করেছিলেন; তাই মনে করা সঙ্গত যে, বাংলার সাথে গুপ্ত বংশের যোগাযোগ গোড়া থেকেই ছিল। অবশ্য এ নিয়ে ভিন্নমত আছে যেমন- পণ্ডিত আলটেকার এর মতে, বাংলা সম্ভবতঃ গুপ্তদের পৌত্রিক পর্ব হতে শাসনাধীনে আসে। যাই হোক শুশুনীয় পর্বতে উৎকীর্ণ লিপি, কলকতার কাছে চন্দ্রকেতু গড়ের নিদর্শন হতে মিঃ ৩য় ও ৪র্থ শতাব্দী পর্যন্ত বাংলাদেশে গুপ্ত আমলের উপাদানসমূহে বিভিন্ন রাজ্য যেমন সমতট, বঙ্গ, গৌড়, পুষ্করণ প্রভৃতির নাম জানতে পারি ।
শ্রী গুপ্ত প্রপৌত্র গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত চন্দ্রবর্মাকে পরাজিত করে পশ্চিম ও দক্ষিণ বাংলা দখল করেছিলেন, পরবর্তীতে সমতট ব্যতীত প্রায় সমগ্র বঙ্গদেশই তার রাজ্যভুক্ত হয়। যদিও এক সময় বাংলার পূর্বাংশ সমতট এক সময়ে সমুদ্র গুপ্তের অধীনে করদ রাজ্যে পরিণত হয়, মনে হয় বাংলার উত্তর ভাগও গুপ্ত সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল, তবে পরবর্তীতে গুপ্ত সম্রাটদের দুর্বলতার সুযোগে সমতট কোন এক সময় স্বাধীন হয়েছিল। তবে উত্তর বঙ্গে গুপ্ত আমলের আবিষ্কৃত কিছু তাম্রশাসন নিদর্শন থেকে জানা যাচ্ছে যে, ৬ষ্ঠ শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রবর্ধন ভুক্তি নামে গুপ্ত শাসনাধীন ছিল, যেখানে শাসনকর্তারা প্রদেশ পাল হিসেবে প্রণিধানযোগ্য ব্যক্তিদেরকেই নিযুক্তি দিতেন।
এ পর্যন্ত আলোচনায় আমরা বলতে পারি, ৬ষ্ঠ শতককাল পর্যন্ত বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল হয় প্রত্যক্ষ গুপ্ত সাম্রাজ্যভুক্ত হয়েছিল অথবা তাদের আনুগত্য মেনে নিয়ে করদ রাজ্য হিসেবে টিকে ছিল ।
গুপ্তামলে বাংলা শাসন : মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের পর ৪র্থ শতক পর্যন্ত উত্তর ভারতে কোন সংহত রাজশক্তি ছিল না। এরপর গুপ্ত বংশ শাসনের উত্থান থেকে উত্তর ভারতের বৃহত্তর রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ধারায় এক নবযুগের সূচনা হয়। প্রান্তে অবস্থিত বাংলাদেশ গুপ্ত রাজবংশের শাসনকালে সর্বভারতীয় এ নবধারার সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলার অভ্যন্তরীণ আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল। আমরা এখানে গুপ্ত শাসনের উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরছি কয়েকটি ভাগে যেমন ঃ
ক. রাষ্ট্রীয় কাঠামো : শাসন অবকাঠামো বিন্যাস ও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তারা যা যা করেছিলেন- রাজনভূষণ : রাজারা নিজেদেরকে ঐশ্বরিক গুণযুক্ত ঈশ্বরের অংশ দাবী করে নিজেদেরকে ‘পরম দৌলত’, দেব', ইন্দ্র বা বরুণবুকের দেবতাদের মত উচ্চ ক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজেরা উপাধি ধারণ করতেন ।
১. কেন্দ্রীয় রাজ্যক্ষমতা ও তার সীমাবদ্ধতাঃ দৃশ্যতঃ রাজা সকল ক্ষমতার কেন্দ্রস্থলে উৎস হিসেবে থাকলেও বস্তুতঃ তার ক্ষমতার কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। রাজ্য নিয়ন্ত্রণে কোন সাংবিধানিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছাড়াই সেনাবর্গকে তার নিয়োগে ও নির্দেশে রাখতেন এবং রাজ্য শাসনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হতো। তথাপি কোন যুদ্ধবিগ্রহ বা বিদ্রোহ দমনে তাকে সামন্ত সাহায্যের উপর অনেকাংশে নির্ভর করতে হতো।
২. ঐক্যভূত সাম্রাজ্যের সংহতি : মৌর্যযুগের অতিকেন্দ্রিক শাসনবাদ দিয়ে গুপ্তামল কেন্দ্র ও প্রান্তের মধ্যে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নীতি প্রয়োগ করে সাম্রাজ্যে এক সামঞ্জস্য সংহতি অভ্যন্তরীণ শান্তি ও সংহতি রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে ।
খ. প্রশাসনিক : বিশাল সাম্রাজ্য স্থাপন করেই ক্ষুন্তরা গুপ্তরা তাদের কৃতিত্বের ইতি টানেনি, সেখানে সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে জনকল্যাণমূলক আদর্শ স্থাপন করে যার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন চীনা পরিব্রাজক ফা-হিয়েন। এই উদ্দেশ্য সাধনে তারা গুরুত্বপূর্ণ যেসব প্রশাসনিক পূর্ণবিন্যাস করেছেন নীচে সংক্ষেপে তার উল্লেখ করা হল :
১. প্রদেশ বিভাজন ঃ গুপ্ত সাম্রাজ্যকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করে 'দেশ' বা 'ভুক্তি' নামকরণ করে শাসন করা হতো ।
এই দেশ বা ভুক্তিগুলোকে আবার জেলা বা বিষয় হিসেবে ভাগ করে শাসন করা হতো।
২. কেন্দ্রীয় কর্মবিভাগ : বহু বিভক্ত কেন্দ্রীয় কর্মাধ্যক্ষের মধ্যে মহা প্রতীহার ছিলেন রাজপ্রাসাদের রক্ষী বাহিনীর প্রধান, মহাবলধিকৃত ছিলেন সেনাধ্যক্ষ এবং হরিসেন ছিলেন সমুদ্রগুপ্তের সন্ধি বিগ্রহিক, এছাড়াও কেন্দ্রে ছিল অনেক নিম্নবর্গের কর্মচারী।
৩. কুমার মাত্য ও আয়ুক্ত । পরম ভঠারক স্থায়ীর কুমার মাত্যরা কেন্দ্রের বিশ্বাসভাজন কর্মচারী হিসেবে সম্রাটের কাজে নিযুক্ত হয়ে প্রাদেশিক ও জেলা বিষয়ে কাজ করত। আয়ুক্তরা করত জেলা শহরে।
৪. প্রাদেশিক কর্ম বিভাজন : গুপ্ত উপাধিকারী কর্মকর্তারা 'দেশ শাসন করত এবং জেলা বা বিষয়ের শাসনকর্তা প্রাদেশিক শাসনকর্তা যারা নির্বাচিত হতো। যদিও কখনো কখনো সম্রাট প্রত্যক্ষভাবে বিষয়ের শাসককে নিয়োগ দিতেন। পুলিশ বিভাগের কর্মচারী ছিল দণ্ডপানিক, পুষ্টপাল দলিল পত্রাদি রচনা করত। তালবর ছিল প্রাদেশিক সেনাপতি, ন্যায়নীতি রক্ষার দায়িত্ব বহন করত বিনয় স্থিতিস্থাপক। তবে প্রাদেশিক কর্মচারীরা মর্যাদা ও পদাধিকারে কেন্দ্রীয় কর্মচারী থেকে কিছুটা নেতি অর্থে পৃথক ছিল।
৫. পরিষদ গঠন : স্থানীয় প্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে বিষয়ের বা জেলার শাসনকার্য পরিচালনার জন্য অধিষ্ঠান অধিকরণ বা পরিষদ নামে একটি সভা গঠিত হতো যার ফলে গুপ্ত শাসনের ভিত বেশ শক্ত, উদার ও প্রতিনিধিত্বমূলক হয়ে উঠে ।
৬. পরী শাসন : গ্রামের প্রধান মোড়ল ছিল মহত্তর বা ভোজক, যিনি গ্রাম শাসনে গ্রমিককে সাহায্য করত। এই শ্রমিক ছিল সরকারি নিয়োগ প্রাপ্ত, যে গ্রামসভা ও মহাসভার মাধ্যমে ভূমি তদারকি ও বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ পরিচালনা করত।
গ. বিচার ব্যবস্থা : সে সময় তিন পর্যায়ে বিচার ব্যবস্থা বিন্যস্ত ছিল। যেমন, স্থানীয় বিচার কার্য সমাধা করত গ্রামসভা, বিষয় ও প্রাদেশিক বিচার কার্য সম্পাদিত হতো সরকারি আদালতে। এই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে শজার কাছে আশীল করার ব্যবস্থা ছিল। রাজদ্রোহ ছাড়া কারো মৃত্যুদণ্ড বা অঙ্গচ্ছেদ হতো না। ফা-হিয়েন ফৌজদারী ধির উদারতার কথা বলেছেন যেখানে সরকারি নিয়ন্ত্রণ মুক্ত হয়ে মানুষ স্বাধীন জীবন- যাপন করত।
ঘ. অর্থনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে নিম্নের পদক্ষেপসমূহ ফলপ্রসু হয়ে উঠে সার্বিকভাবে :
১. করনীতি ঃ ড. ঘোষাল বলেছেন যে, কৃষক জমি চাষ করলেও জমির প্রকৃত মালিক ছিলেন রাজা। ভাগকর নামে দের থেকে ভূমি রাজস্ব, ভোগ কর নামে কর্মচারীদের থেকে আয় কর, বাণিজ্য থেকে আবগারী কর এবং বাজার ঘাট,
ঙ্গল এবং অন্যান্য স্থাপনা থেকে রাজস্ব আদায় করা হতো।
- মুদ্রানীতি ঃ গুপ্ত শাসনামলে বাংলাদেশে স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রার ব্যাপক প্রচলন ছিল, যা তৎকালীন বাংলার সমৃদ্ধির
বাণিজ্য ঃ গুপ্ত শাসনামলের সমসাময়িক লেখনিতে তখনকার আন্তঃদেশীয়, ও বহিঃদেশীয় বাণিজ্যের সমৃদ্ধির
য়া যায়।
গেকে সুবর্ণ যুগ বলা হয় কেন ঃ মৌর্য শাসনামলের শেষে ছিন্ন-ভিন্ন ভারতবর্ষে পুনরায় রাজনৈতিক ঐক্য ও ফরিয়ে এনেছিলেন গুপ্ত বংশীয় শাসকগণ। রাজ্য সীমানা বাড়িয়েই তারা ক্ষান্ত হননি, বিকেন্দ্রীকরণ ও ক প্রশাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে কেন্দ্রের সাথে প্রান্তের সংযোগ ঘটিয়ে এক উদারপন্থি শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন জনগণ শান্তি, স্বাধীনতা, শৃঙ্খলা- স্বাচ্ছন্দের মধ্যে দিন কাটাত ।
শিল্প উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে তুলেছিল যার বিবরণ দিয়েছেন ফা- ভ্রমণ সমাচারে । যদিও গুপ্ত রাজাগণ ব্রাহ্মণ ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন, তবুও অন্যান্য ধর্মের প্রতি তারা সহিষ্ণু ছিলেন ।
দিকে যেমন বৈষ্ণব, শৈব ও বৌদ্ধ ধর্ম বিস্তার লাভ করেছিল তেমনি হিন্দুধর্মের পুনরুজ্জীবন ঘটেছিল, তা তাদের উন্নত সভ্যতা ও সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরে। গুপ্ত সম্রাটগণ বহিঃশত্রুর থেকে যেমন া করেছিল তেমনি অভ্যন্তরীণ পুনঃগঠনে পারঙ্গমতা দেখিয়েছিল ।
লন কৃতিত্বের প্রভাবে সে যুগে সভ্যতা ও সংস্কৃতির ব্যাপক বিকাশ ঘটেছিল। ওই সময় ছিল সাহিত্য সমুদ্র গুপ্ত নিজেই অনেক কবিতা রচনা করে 'কবি রাজ' উপাধি লাভ করেছিলেন। অবশ্য গুপ্ত কতার ফলেই তখন কাব্য, দর্শন, সংগীত চর্চা, শিল্পকলা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, নাট্যকার, প্রবন্ধকার, বহু মূল্যবান অবদানে গুপ্ত যুগের জ্ঞান ভাস্কর্য প্রভূত সমৃদ্ধি লাভ করেছিল। আর্যভট্ট ছিলেন এ যিনি সর্বপ্রথম পৃথিবীর আহ্নিক ও বার্ষিক গতি নির্ণয় এবং বীজগণিত ও আর্যসিদ্ধান্ত নামক রচনা করেন। এসব সমৃদ্ধির কারণেই ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসে গুপ্ত শাসনকে 'সুবর্ণ
আলোচিত শান্তি, সমৃদ্ধি ও উদারপন্থি শাসন ব্যবস্থার নিরিখে বার্নেট নামের একজন নামলকে প্রাচীন গ্রিসের পেরিক্লীয় যুগের সাথে তুলনা করেছেন। ভাস্কর্য ও চিত্রশিল্পের বস্থাকে ব্যাপক অমরতা দান করেছে ।
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত