ভূমিকা : অষ্টাদশ শতকে বাংলার ইতিহাসে মুর্শিদকুলী খানের আবির্ভাব বাংলার সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সংযোজন। শাসনব্যবস্থার পর্যায়ক্রমে মুঘল সাম্রাজ্যের অর্থনীতি চরম দুর্দশায় পৌঁছিলে সম্রাট আওরঙ্গজেব মুর্শিদকুলীর কর্মকুশলতায় সন্তুষ্ট হয়ে ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে দিওয়ান নিযুক্ত হয়ে আসেন তখন বাংলার রাজস্ব সম্পর্কে কোন সুষ্ঠু নিয়ম ছিল না। ফলে সরকার এ খাত থেকে রাজস্ব পেত না। কারণ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীদের বেতনের পরিবর্তে জায়গির দেওয়া হতো এবং জমি বণ্টন করে দেওয়া হতো। এর ফলে সরকারের আয়ের উৎস ছিল একমাত্র বাণিজ্য শুল্ক। এ পরিস্থিতির মুখে তিনি অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে মুঘল শাসনকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার জন্য প্রদেশের কর্তৃত্ব নিজ হাতে তুলে নেন ও সুশৃঙ্খল রাজস্বব্যবস্থার প্রবর্তন করেন।
প্রাথমিক পরিচিতি : তথ্যগত সীমাবদ্ধতার কারণে মুর্শিদকুলী খান ও তাঁর রাজস্বব্যবস্থা সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান খুবই সীমিত। তাঁর মধ্যে আমাদের নির্ভর করতে হচ্ছে সীমিত তথ্য যথাঃ সলিমুল্লাহর 'তারিখ-ই-বাঙ্গালা', এনায়েত উল্লাহর 'আহকাম-ই-আলমগীরী', জেমস আন্ট-এর 'এনালাইসিস-অব-দ্য-ফিনান্সেস অব বেঙ্গল' (৪র্থ রিপোর্ট) রাজকীয় ফারসি পত্রাবলি বা 'আখাবারাত-ই-দরবার-ই-মুআলা'।
আর এ ঐতিহাসিক বিবরণ থেকে জানা যায় যে, মুর্শিদকুলী খান দাক্ষিণাত্যের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে হাজি শফী ইস্পাহানী নামে একজন মুসলমান তাকে ক্রয় করে পারস্যে নিয়ে যান ও নতুন নামকরণ করেন মুহাম্মদ হাদী। পারস্যে অবস্থানকালে মুহাম্মদ হাদী পারস্যের শিক্ষা-সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হন। শফী ইস্পাহানী কিছুকাল দিল্লির 'দিওয়ান ই-তান' নিযুক্ত থাকেন। হাদী এ থেকে দেওয়ানি সম্পর্কে কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এরপর শফী ইস্পাহানীর মৃত্যু হলে মুহাম্মদ হাদী খোরাসানীর অধীনে চাকরি করে খ্যাতি অর্জন করেন। পরবর্তীতে আওরঙ্গজেব মুহাম্মদ হাদীকে প্রথম হায়দারাবাদের (১৬৯৬) ও পরে বাংলার (১৭০০) দিওয়ান নিযুক্ত করেন। এরপর তাঁকে মকসুদাবাদের ফৌজদার ও অন্যান্য অতিরিক্ত দায়িত্ব দেন এবং মুর্শিদকুলী খান উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি এক প্রদেশের সুবাদার, তিন প্রদেশের দিওয়ান ও পাঁচটি জেলার ফৌজদারের দায়িত্ব পান। ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট মুর্শিদকুলীর কাছে এক পত্রে লেখেন একই ব্যক্তি বাংলা-বিহারের দিওয়ান, উড়িষ্যার সুবাদার ও দিওয়ান তাকে তার দায়িত্ব পালনে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তাঁর নিজের এত বেশি দায়িত্বের কাজ করার ক্ষমতা নেই। কেবল আল্লাহর মনোনীত ব্যক্তিরাই এ দায়িত্ব পালন করতে পারে। আজিমুদ্দীন নামমাত্র সুবাদার ছিলেন। প্রকৃত ক্ষমতা ছিল মুর্শিদকুলীর হাতে। কিন্তু পরবর্তীতে আজিমুদ্দীনের সাথে বিরোধ বাঁধে। প্রথম বাহাদুর শাহের আমলে তিনি দাক্ষিণাত্যে বদলি হন ও ১৭১০ সালে পুনরায় বাংলার দিওয়ান নিযুক্ত হন। প্রথম বাহাদুর শাহের মৃত্যুর পর তিনি ফররুখ শিয়ারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করলে সম্রাট তাকে দিওয়ান ছাড়াও নায়েব সুবাদার ও উড়িষ্যার সুবাদার পদে নিযুক্ত করেন এবং জাফর খান উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন ও আমৃত্যু পদে বহাল ছিলেন।
১. রাজস্বব্যবস্থা : মুর্শিদকুলী খান রাজস্বব্যবস্থার অনিয়ম দূর করার জন্য দুটি ব্যবস্থা অবলম্বন করেন। যথা ঃ
তিনি কর্মচারীদের জায়গিরগুলোকে খাসজমিতে পরিণত করেন এবং তাদের জন্য উড়িষ্যার অনুন্নত জঙ্গলাবৃত অঞ্চলের জায়গির প্রদান করেন।
রাজস্ব আদায়ের ভার জমিদারদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে ইজারাদারদের হাতে ন্যস্ত করেন। অতঃপর রাজস্বব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য তিনি যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা নিম্নরূপ ঃ
২. মালজামিনী প্রথার প্রবর্তন : রাজস্ব আদায় সুনিশ্চিত করার জন্য তিনি সমগ্র বাংলাকে ১৩টি চাকলায় বিভক্ত করে প্রতিটি চাকলায় একজন আমিল বা ইজারাদার নিযুক্ত করেন। পুরাতন ও পরবর্তী জমিদারদের বিলাসিতা ও অমিতব্যয়িতার দরুন তিনি সময়মত নির্দিষ্ট খাজনা দিতে পারেন নি। তাই তিনি সর্বোচ্চ ডাককারী ইজারাদারকে ইজারা দেন। ইজারাদাররা আবাদি অনাবাদি জমির তালিকা প্রস্তুত করে পূর্ববর্তী বছরের সাথে তুলনামূলক বর্তমান বছরের রাজস্ব আয়ের তালিকা প্রণয়ন করবেন বলে তিনি নির্দেশ দেন। তাঁর এ নব প্রবর্তিত ব্যবস্থা মালজামিনী প্রথা নামে পরিচিত
৩. জায়গির প্রথার প্রবর্তন : মুর্শিদকুলী খান সমস্ত মুঘল কর্মচারীদের জায়গিরগুলো সরকারি সম্পত্তিতে পরিণত করেন। এ রাজস্ব আদায়ের জন্য অভিজ্ঞ বিশ্ববাসী ও পরিচিত বাঙালিদের মধ্য থেকে যাচাই করে আমিল বা ইজারাদার নিযুক্ত করেন। এ ব্যবস্থার ফলে যে সমস্ত ব্যক্তি জায়গির হতে বঞ্চিত হয় মুর্শিদকুলী খান তাদেরকে নতুন জায়গির স্বরূপ উড়িষ্যার অনুন্নত ও ল্প মূল্যের ভূমি প্রদান করেন ।
৪. ভূমি জরি ও রাজস্ব নির্ধারণ : মুর্শিদকুলী খান আবাদি অনাবাদি নির্বিশেষে প্রদেশের সমুদয় জমি জরিপ করেন। টডোরমলের রাজস্বব্যবস্থার মত তিনি ভূমির উৎপাদন শক্তির কয়েক বছরের উৎপন্ন শস্যের বাৎসরিক গড় ইত্যাদি বিবেচনা করে এক-তৃতীয়াংশ শস্য ভূমিকর নির্ধারণ করেন। এভাবে কয়েক বছরের শস্যের মূল্যের বাৎসরিক গড় হিসাব করে টাকায় বিঘা প্রতি খাজনা নির্ণয় করা হয়। প্রজারা ইচ্ছামত শস্যে বা টাকায় খাজনা দিতে পারত।
৫. রাজস্ব আদায় গৃহীত নীতি : রাজস্ব আদায়ের জন্য মুর্শিদকুলী খান অত্যন্ত কঠোরতা অবলম্বন করতেন। ইজারাদাররা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাজনা আদায়ে অসমর্থ হলে বা শৈথিল্য প্রদর্শন করলে তিনি অনেক সময়ে এদের উপর অমানসিক নির্যাতন করতেন। রাজস্ব আদায়কারীগণ ফসল কাটার পরেই কৃষকদের কাছে রাজস্ব আদায় করতেন। চৈত্র মাসে রাজস্ব আদায় শেষ হতো। এভাবে রাজস্ব সংস্কারের দ্বারা ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকারি কর প্রতি বছর দিল্লিতে পাঠাতে সক্ষম হন।
৬. রাজস্ব বিভাগে হিন্দুদের প্রাধান্য : মুর্শিদকুলী খান ইজারাদার পদে সাধারণত হিন্দুদের নিয়োগ করতেন। সলিমুল্লাহ বলেন, “মুর্শিদকুলী খান বাঙালি হিন্দু ছাড়া কাকেও রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব দিতেন না। কারণ, তাদের নিকট রাজস্ব আদায় করা সহজ ছিল।” এভাবে তিনি বাংলার এক নতুন জমিদার শ্রেণি সৃষ্টি করেন।
৭. স্বহস্তে রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব গ্রহণ। মুর্শিদকুলী খান কেবলমাত্র রাজস্বব্যবস্থার সংস্কার সাধন করে নিশ্চুপ ছিলেন না। বরং রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব স্বহস্তে গ্রহণ করেন। এছাড়া সকল ব্যাপারে তাঁর সজাগ দৃষ্টি, আন্তরিকভাবে অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ, খেলাপকারীর প্রতি কঠোর ব্যবস্থা ইত্যাদি তার রাজস্বব্যবস্থার মূলে কাজ করেছিল। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি তিনি রাজস্ব আদায় করতেন না।
৮. হিসাব নিরীক্ষণ ও হিসাব রক্ষণ । রিয়াজ-উস-সালাতিনের মতে, “হিসাব সংরক্ষণ ও নিরীক্ষণের ব্যাপারে দুটি স্বাধীন পদ্ধতি রক্ষা করা হতো। গ্রান পাটোয়ারীগণ একদফা হিসাব ও বিতর্কসি আরেকদফা হিসাব করতেন। পাটোয়ারীগণ একদফা হিসাব তোলা কানুনগোর কাছে দাখিল করলে তিনি তা সংক্ষিপ্তকারে প্রাদেশিক কানুনগোর নিকট দাখিল করতেন। বিতর্কসি তাদের হিসাব জেলা কালেক্টর ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট যুগপতভাবে দাখিল করতেন। অতঃপর প্রাদেশিক দিওয়ান ও প্রাদেশিক কানুনগো উভয়ে বিশদভাবে হিসাব মিলিয়ে যৌথ সহি প্রদান করতেন।"
৯. ব্যয় সংকোচন নীতি। রাজস্ব বৃদ্ধিালাভিনের মতে, “হিসাব সংরক্ষণ ও নিরীক্ষণের ব্যাপারে দুটি স্বাধীন পদ্ধতি রক্ষা করা হতো। গ্রাম পাটোয়ারীগণ একদফা হিসাব ও বিতর্কসি আরেকদফা হিসাব করতেন। পাটোয়ারীগণ একদফা হিসাব জেলা কানুনগোর কাছে দাখিল করলে তিনি তা সংক্ষিপ্তাকারে প্রাদেশিক কানুনগোর নিকট দাখিল করতেন। বিতর্কনি তাদের হিসাব জেলা কালেক্টর ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট যুগপতভাবে দাখিল করতেন। অতঃপর প্রাদেশিক দিওয়ান ও প্রাদেশিক কানুনগো উভয়ে বিশদভাবে হিসাব মিলিয়ে যৌথ সহি প্রদান করতেন।"র সাথে সাথে মুর্শিদকুলী খান ব্যয় সংকোচন নীতিও চালু করেন। তিনি রাজস্ব খরচ ও অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পদাতিক অশ্বারোহী সৈন্যের সংখ্যা কমিয়ে দেন। ফলে রাজকোষের আয় বহুগুণে বৃদ্ধি পায় ।
১০. দত্তক প্রথা উচ্ছেদ মুর্শিদকুলী খানের দেওয়ানি লাভের পূর্বে ইংরেজগণ মুঘল সম্রাটের এক ফরমান অনুসারে বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার অধিকার পায়। তিনি ১৭১৩ খ্রিস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দত্তক প্রথা বা ছাড়পত্র উঠিয়ে দিয়ে তাদের কাছে প্রচলিত হারে রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা করেন ।
১১. নান করের প্রবর্তন ও মুর্শিদকুলীর রাজস্বব্যবস্থা অনেক প্রচীন জমিদার তাদের জমিদারি হারায়। আর তিনি এ জমিদারদের ভরণপোষণের জন্য একধরনের কর ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন যা 'নানকর' নামে পরিচিত।
ফলাফল : মুর্শিদকুলী খানের একনিষ্ঠতা, কর্মদক্ষতা ও আন্তরিকতার ফলে তার রাজস্বব্যবস্থা সফল হয়েছিল। নিম্নে এর ফলাফল আলোচনা করা হল :
১. রাজস্বের উন্নতি সাধিত : মুর্শিদকুলী খানের মালজামিনী ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে বাংলার রাজস্বের উন্নতি হয়। এর ফলে ঘাটতি পূরণ হয়েও ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা উদ্বৃত্ত হয়। আর এ উদ্বৃত্ত রাজস্ব থেকে প্রতিবছর ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রদান করতেন।
২. দ্বৈতশাসনের অবসান : তাঁর নব প্রবর্তিত রাজস্বব্যবস্থার ফলে প্রজাদের উপকার হয়। কারণ, ইতঃপূর্বে জমিদারগণ রাজস্ব আদায়ের জন্য প্রজা উৎপীড়ন করত। কিন্তু এ ব্যবস্থায় অতিরিক্ত কর নিষিদ্ধ থাকায় জমিদারগণ প্রজাপীড়ন করতে পারেন নি। ফলে বাংলার প্রজারা দ্বৈতশাসনের মত অত্যাচার থেকে রক্ষা পায় ।
৩. ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রসার : বাণিজ্য শুল্ক নির্দিষ্ট থাকায় মুর্শিদকুলী খানের সময় ব্যবসায় বাণিজ্যের যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হয়। এর পরও মুর্শিদকুলী খান সকল বে-আইনি কর রহিত করেন।
৪. নতুন জমিদারের সৃষ্টি : মুর্শিদকুলী খানের রাজস্ব নীতির ফলে অনেক পুরাতন জমিদার বিশেষত মুসলমান জমিদার ধ্বংস হয়ে যায়। অন্যদিকে, আমিল বা ইজারাদার সৃষ্টি করে তিনি এক নতুন শ্রেণির জমিদার সৃষ্টি করেন।
৫. হিন্দু মধ্যবিত্ত শ্রেণির উদ্ভব : তিনি বাঙালি হিন্দুদেরকে রাজস্ব বিভাগের বিভিন্ন উচ্চপদে অধিষ্ঠিত করার ফলে তাদের মধ্য হতে এক সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত শ্রেণির উদ্ভব হয়। এ মধ্যবিত্ত শ্রেণি নবাবের অনুগত রাজা মহারাজা প্রস্তুত খেতাব লাভ করেন।
বিবিধ ঃ মালজামিনী প্রথায় উৎপীড়নমূলক কর নিষিদ্ধ থাকায় প্রজাদের রাজস্ব প্রদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতি সাধিত হয়। ফলে সরকারের আয় বৃদ্ধি পায় ।
সমালোচনা : মুর্শিদকুলী খানের রাজস্বব্যবস্থার ফলে বিরাট পরিবর্তনের ঢেউ লাগলেও এটির ত্রুটিও ছিল। যদুনাথ সরকার এ ব্যবস্থার সমালোচনা করেন। এ ব্যবস্থায় বহু জমিদার জমিদারি হারায়। নতুন ইজারাদারদের অত্যাচারে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়। সলিমুল্লাহ বলেন, রাজস্ব অনাদায়ে নব্য হিন্দু জমিদারগণকে মুসলমান বানানো হয়। তবে মুর্শিদকুলীর সময় জমিদারি ধ্বংস হয়ে যায় একথা ঠিক নয়। আর প্রজাপীড়নের তো প্রশ্নই উঠে না। কারণ, যদি কেউ প্রজাউৎপীড়ন করত তাহলে তিনি তাদের কঠোর শাস্তি দিতেন।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, মুর্শিদকুলী খানের রাজস্বব্যবস্থা মুঘলবংশের অন্তিমলগ্নে ধসে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা রূপদান করতে অনেক প্রেরণার উৎস ছিল। কারণ, মুঘল আমলের রাজস্বব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করে প্রগতিশীল করতে তাঁর অবদান অন্যতম ছিল। তাঁর এ রাজস্ব নীতি পরবর্তীকালে ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়। গ্লাডউইন বলেন, “মুর্শিদকুলী খানের নতুন রাজস্ব পদ্ধতি এবং তাঁর দক্ষ কর্মচারী নিয়োগ বাংলাকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই বাংলার রাজস্ব সংস্কারের ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন। তাঁর রাজস্বব্যবস্থাকে কর্নওয়ালিসের রাজস্বব্যবস্থার রূপকার বলা হয়।”
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত