মুসলমান সম্প্রদায়ের জাগরণে স্যার সৈয়দ আহমদ খানের অবদান আলোচনা কর ।

ভূমিকা : ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা চলে যায় বেনিয়া শ্রেণীর হাতে। ফলে বণিকের মানদণ্ড রাজদণ্ডে পরিণত হয়। আর সুদীর্ঘ কাল স্থায়ী ব্রিটিশ শাসনে ভারতীয় হিন্দুসমাজের অবস্থার অনেক উন্নতি হয়। কিন্তু মুসলমানরা সকল সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। আর বঞ্চিত হওয়ার কারণে সবদিক থেকে পিছিয়ে পড়েন। মুসলমানরা এভাবে যখন অমানিশার অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছিল তখন আল্লাহর আশীর্বাদ হিসেবে আবির্ভাব হয় স্যার সৈয়দ আহমদ খানের। তিনি বাংলার মুসলমানদের ভাগ্যাকাশে অমাবশ্যার চাঁদের ন্যায় আবির্ভূত হন এবং মুসলমান সমাজের মধ্যে আলো ছড়িয়ে দেন।
সৈয়দ আহমদ খানের পরিচয় : সৈয়দ আহমদ খান ১৮১৭ সালে (১৭ অক্টোবর) নিল্লির এক প্রখ্যাত সৈয়দ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ মুহম্মদ তকী। তিনি একজন দরবেশ প্রকৃতির লোক ছিলেন। সৈয়দ হাদী তাঁর প্র-প্র-পিতামহ হিরাতের অধিবাসী ছিলেন এবং পরে ভারতে চলে আসেন। সম্রাট দ্বিতীয় আলমগীর তাঁকে এক হাজারি মনসবদার নিযুক্ত করেন। সৈয়দ আহমদের মাতামহ খাজা ফরিদ উদ্দিন আহমদ প্রথম ১৭৯৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে চাকরি করেন। এভাবে উত্তরাধিকার সূত্র থেকে তিনি ১৮৩৭ সালে পড়াশুনা ত্যাগ করে আত্মীয়স্বজনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোম্পানির চাকরি গ্রহণ করেন। প্রথমে তিনি দিল্লির সদর আমীনের দপ্তরে ফৌজদারি বিভাগে সেরেস্তাদারের চাকরি গ্রহণ করেন। ১৮৩৯ সালে আগ্রার কমিশনারের নায়েব মুনশি হিসেবে তাঁকে বদলি করা হয়। ১৮৪১ সালে তাঁকে ফতেহপুর সিক্রির মুন্সেফ বা সাব জজ নিয়োগ করা হয়। ১৮৪ সালে তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার মৃত্যুর পর তিনি দিল্লিতে বদলি হন ও ১৮৫৪ সাল পর্যন্ত দিল্লিতে থাকেন। তিনি তাঁর কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৮৮৮ সালে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক 'নাইন কমান্ডার অব দি স্টার অব ইন্ডিয়া' উপাধিতে ভূষিত হন। তখন থেকেই তিনি স্যার সৈয়দ বলে খ্যাত হন। তিনি ১৮৯৮ সালে ২৭ মার্চ মারা যান।
ভারতীয় মুসলমানদের পুনর্জাগরণে সৈয়দ আহমদ খানের অবদান : নিম্নে ভারতীয় মুসলমান সমাজের পুনর্জাগরণে সৈয়দ আহমদ খানের অবদানের বিবরণ দেওয়া হল : মুসলিম পুনরুজ্জীবন : স্যার সৈয়দ আহমদ খান মুসলিমদের পুনরুজ্জীবনের জন্য যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এর তিনটি ক্ষেত্র হল- শিক্ষাগত, ধর্মগত এবং রাজনৈতিক। স্যার সৈয়দ আহমদ ব্যক্তিগতভাবে একজন ধর্মভীরু মুসলমান ছিলেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর সংস্কারবাদী আন্দোলনের প্রভাবে তিনি মুসলিমদের জন্য শিক্ষার প্রসারে ধর্মকে মাধ্যম হিসেবে `ব্যবহার করেন। অন্যভাবে বলা যেতে পারে যে, তাঁর শিক্ষাসংস্কার কর্মসূচির পূর্বশর্ত ছিল ধর্মসংস্কার। এ কারণে সৈয়দ আমহদ পশ্চিমি জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে ইসলামি ধর্মবিশ্বাসের একটা আপস রফা করতে উদ্যোগী হন। তিনি মুসলিমদের বুঝাতে চেষ্টা করেন যে, পশ্চিমি আধুনিক সভ্যতার সাথে ইসলামি ধর্মবিশ্বাসের কোন বিরোধ নেই ।
· রাজনৈতিক লক্ষ্য : সৈয়দ আহমদ খান তাঁর নীতি আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য গাজীপুরে একটি Scientific Society গঠন করেন। উর্দু ও হিন্দি ভাষায় ইউরোপীয় গ্রন্থের অনুবাদ করাই ছিল এ সমিতির প্রধান কাজ। পরবর্তীতে এ সমিতির দপ্তর আলীগড়ে স্থানান্তরিত করা হয়। তখন স্যার সৈয়দ আহমদ সরকারি কর্মসূত্রে আলীগড়ে বদলি হন। রাজনীতির প্রশ্নে সৈয়দ আহমদ খান ইংরেজ শাসকদের প্রতি মুসলিম সমাজের আনুগত্য সৃষ্টি করতে চান। এ প্রসঙ্গে ১৮৬৬ সালে তাঁর প্রতিষ্ঠিত উত্তরপশ্চিম প্রদেশের "British India Association of North Western Provinces বিশেষ উল্লেখযোগ্য। কেবল সম্মানি ও ভদ্রলোকেরা এর সদস্য হতে পারত; সাধারণ মানুষ নয়। ইংল্যান্ডে ভ্রমণ : স্যার সৈয়দ আহমদের কর্মজীবনের সূচনা হতে আলীগড় আন্দোলনের ধারাবাহিকতা লক্ষ করা গেলেও তাঁর নিজস্ব জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে চিন্তাধারায় পরিবর্তন এসেছিল। ১৮৬৯/৭০ সালে তিনি ইংল্যান্ডে ভ্রমণে যান এবং এ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। এর ফলে তাঁর চিন্তাধারার পরিবর্তন হয়েছিল। ইংরেজদের শিক্ষাদীক্ষা, আচার ব্যবহার এবং স্পষ্টবাদিতার পাশাপাশি ভারতীয় স্যার সৈয়দ আহমদের কাছে নোংরা বস্তুর মত মনে হয়েছিল। মুনশি সিরাজ উদ্দিন এর মতে, ইউরোপ ভ্রমণের ফলে স্যার সৈয়দ আহমদের চিন্তাভাবনায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছিল। তিনি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন যে, ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়কে যদি এদেশে যথাযোগ্য মর্যাদা ও অধিকার লাভ করতে হয় তাহলে মুসলিমদের সর্বাঙ্গীন জীবনে সংস্কারের মাধ্যমে পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
আলীগড় আন্দোলন কি : স্যার সৈয়দ আহমদ খান মুসলিম সমাজে যে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করেন তা একটি সর্বাত্মক আন্দোলন ছাড়া সম্ভব ছিল না। মুসলমানদের পুনরুজ্জীবনের জন্য এ যে আন্দোলন তাই আলীগড় আন্দোলন নামে অভিহিত। আলীগড় নামকরণ হয় এ কারণে যে, স্যার সৈয়দ আহমদ ইতোমধ্যেই আলীগড়ে Scientific Society গঠন করেছিলেন। আলীগড় ইনস্টিটিউট গেজেট পত্রিকা আলীগড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এছাড়া আলীগড় ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল। আবার আলীগড় আন্দোলনের যে সামাজিক ভিত্তি মুসলিম উচ্চ শ্রেণীর জমিদার এবং প্রাক্তন মুঘল রাজকর্মচারীদের পরিবার। এটা সংখ্যাগতভাবে জোরদার ছিল আলীগড়েই। আলীগড় আন্দোলন স্যার সৈয়দ আহমদ খানের ব্যক্তিত্বকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছিল।
ইংরেজদের সাথে আপস : ভারতীয় মুসলিমদের প্রতি ইংরেজ শাসকবর্গের যে অনাস্থা ও অবিশ্বাস জন্মেছিল স্যার সৈয়দ আহমদ সে বিষয়ে অবহিত ছিলেন। তিনি উপলব্ধি করেন যে, এ অবিশ্বাস দূর করে উভয়ের মধ্যে যদি মধুর সম্পর্ক গড়ে তোলা না যায় তাহলে ভারতীয় মুসলিমদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। কিন্তু ইংরেজ মুসলিম আপস এবং উভয়ের মধ্যে মেলামেশার পূর্বশর্ত ছিল মুসলিমদের সার্বিক উন্নতি সাধন। আর সে উন্নতি শিক্ষাদীক্ষার মাধ্যমে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ ছাড়া সম্ভবপর ছিল না। সে কারণে স্যার সৈয়দ আহমদ খান, মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তারে আগ্রহী হন।
শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান : স্যার সৈয়দ আহমদ খানের সর্বাধিক সাফল্য হল শিক্ষা ক্ষেত্রে। তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে সমগ্র ভারতে মুসলিম জাতীয় জাগরণ ঘটেছিল। তিনি ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে পাশ্চাত্য শিক্ষাকে প্রগতির যথার্থ ভিত্তি বলে মনে করতেন। ইংরেজি শিক্ষার প্রতি মুসলমানদের গোঁড়ামির তিনি নিন্দা করেন। তিনি ঘোষণা করেন যে, কুরআন আধুনিক বিজ্ঞানের চর্চা নিষিদ্ধ করে নি অথবা তা ইসলামের জন্য বিপজ্জনক নয়। সুতরাং, তিনি মুসলমান সমাজের মধ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষা বা পাশ্চাত্য ভাবধারা প্রসারে উদ্যোগী হন। এ উদ্দেশ্যে ১৮৬৪ সালে তিনি গাজীপুরে একটি ইংরেজি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। পাশ্চাত্য জ্ঞানের প্রসারকল্পে পাশ্চাত্য গ্রন্থাদি উর্দুতে অনুবাদ করার জন্য গাজীপুরে একটি অনুবাদ সমিতিও প্রতিষ্ঠা করেন। এটি পরবর্তীতে আলীগড় বিজ্ঞান সমিতিতে পরিণত হয়। পরে তিনি ইংল্যান্ড থেকে ফিরে এসে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকরণে ভারতেও শিক্ষা পদ্ধতি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন এবং ১৮৭০ সালে 'তাহজীব আল আখলাক' নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। মুসলমানদের মানসিকতার পরিবর্তন ও বুদ্ধির বিকাশ সাধনে এবং ইউরোপীয় আধুনিকতা আনয়নে এ প্রত্রিকার অবদান ছিল অসামান্য। প্রকৃতপক্ষে 'তাহজীব' আলীগড় আন্দোলনের প্রধান ভিত্তি ছিল।
মোহামেডান এ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা : স্যার সৈয়দ আহমদ খানের কর্মকাণ্ডের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অবদান হল ‘মোহামেডান এ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ' প্রতিষ্ঠা। সৈয়দ আহমদের ইচ্ছা ছিল অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজের অনুকরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। কিন্তু সরকার সম্মত না হওয়ায় তিনি কলেজ প্রতিষ্ঠার মনস্থ করেন। ১৯২১ সালে কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। ইংরেজ অধ্যক্ষদের তত্ত্বাবধানে এখানে কলা ও বিজ্ঞান সম্বন্ধীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এ কলেজ প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে আলীগড় মুসলমানদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। এ কলেজকে কেন্দ্র করেই পরবর্তীতে মুসলমানদের মধ্যে রাজনৈতিক চিন্তাধারা আবর্তিত হয়। এ কলেজে আরো এমন কয়েকজন জাতীয় নেতার সৃষ্টি করা হয় যারা পরবর্তীকালে আলীগড় আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এঁরা হলেন মওলানা মোহাম্মদ আলী, লিয়াকত আলী খান প্রমুখ । মোহামেডান এডুকেশনাল কনফারেন্স প্রতিষ্ঠা : সৈয়দ আহমদ খান মুসলমানদের মধ্যে পাশ্চাত্য উদারনৈতিক ভাবধারা প্রসারের উদ্দেশ্যে ১৮৮৬ সালে ২৭ ডিসেম্বর অল ইন্ডিয়া মোহামেডান এডুকেশন্যাল কনফারেন্স নামে একটি সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। এ সমিতি দেশের সর্বত্র সভাসমিতি করে আলীগড় আন্দোলনের বার্তা পৌঁছে দেয়। শেষ পর্যন্ত এ সমিতি মুসলমানদের বুদ্ধিবৃত্তির একটি হাতিয়ারে পরিণত হয়। মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পূর্বে এ সমিতি মুসলমানদের রাজনৈতিক মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান : মুসলমানদের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনাবোধ সৃষ্টিতে সৈয়দ আহমদ মূল্যবান অবদান রাখেন। তিনি ১৮৮৫ সালে কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের উপর জোর দেন। ইলবার্ট বিল সম্পর্কে সুরেন্দ্রনাথের সাথে একই সভাসমিতিতে বক্তৃতা করেন। সিভিল সার্ভিস সম্পর্কে তিনি ইংল্যান্ডের ন্যায় ভারতে পরীক্ষা গ্রহণের পক্ষপাতি ছিলেন। হিন্দু-মুসলিম ঐক্য সম্পর্কে সৈয়দা আহমদ বলেছেন, "Do you not inhabit the same land? Are you not burned and buried on the same soil? Remember that the words- Hindas and Mohammedan are only meant for religious distinction otherwise all persons, whether Hindu or Mohammedan. Even the Christions, who resides in this Country are all in this particulars respect belonging to one and the same nation. Then all these different sects can be described as one nation. They must each and all unite for the good of the country which is Common to all." তিনি ১৮৮৫ সালে কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হলে মুসলমানদেরকে এটা থেকে দূরে থাকতে বলেন। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন যে, ভারতে কোন ধরনের প্রতিনিধিত্বশীল ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে তা শেষ পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের শাসনে পর্যবসিত হবে। তিনি ১৮৮৮ সালে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক দেশ সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ 'নাইট কমান্ডার অব দি স্টার অব ইন্ডিয়া' উপাধিতে ভূষিত হন। তখন থেকে তিনি স্যার সৈয়দ বলে অভিহিত হন।
সমাজসংস্কার ক্ষেত্রে অবদান : সমাজসংস্কারের ক্ষেত্রে সৈয়দ আহমদ খান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি আধুনিক বিজ্ঞান ও চিন্তাধারার সাথে ইসলামের সামঞ্জস্য বিধানের চেষ্টা করেন। তিনি মুসলমানদেরকে মধ্যযুগীয় চিন্ত ধারা বর্জন করার পরামর্শ দেন। তিনি মুসলিম নারীদের পর্দাপ্রথা এবং তাদের অবরোধবাসের বিরোধিতা করেন। তিনি নারী শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেন। অনিয়ন্ত্রিত বিবাহ ও ইচ্ছামাফিক বিবাহবিচ্ছেদ ইত্যাদির সমালোচনা করেন। তিনি মুসলমানদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, ইসলামের ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত। তিনি দাসপ্রথার বিরোধিতা করেন।
মৃত্যু : ১৮৯৮ সালের ২৭ মার্চ আধুনিক মুসলিম ভারতের অন্যতম জনক এবং মুসলিম জাগরণের পুরোধা স্যার সৈয়দ আহমদ খান পরলোক গমন করেন। ১৮৯৮ সালে ২৮ মার্চ আলীগড় কলেজ এলাকায় তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
উপসংহার : অতএব বলা যায় যে, সৈয়দ আহমদ খান ছিলেন ভারতে মুসলমান জাগরণের অগ্রদূত। কারণ, যখন ব্রিটিশ শাসন শোষণের চক্রান্তে পড়ে মুসলমানরা ঘোর বিপদের সম্মুখীন তখন আশার বাণী নিয়ে আসেন স্যার সৈয়দ আহমদ খান। তাঁর আবির্ভাবের ফলে বাংলার পিছিয়ে পড়া মুসলমানরা আলো দেখতে পায়। তাই সৈয়দ আহমদ খান এর অবদান ছিল স্মরণীয়। কারণ, ইতিহাসে দেখা যায় যে, সমাজ উন্নয়ন বা জাতির অবস্থার উন্নয়নে কারো না কারো অবদানের প্রয়োজন । তেমনি ভারতীয় মুসলমানদের অবস্থার উন্নয়নে আহমদ খান অনন্য সাধারণ ছিলেন ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]