ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের উন্নয়নে নওয়াব আব্দুল লতিফের ভূমিকার মূল্যায়ন কর।

ভূমিকা : পলাশীর প্রহসন যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বেনিয়াদের হাতে চলে যায়। এ বেনিয়ারা কৌশলে ভারতের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নিজ হাতে রেখে ভারতীয়দের উপর চালাতে থাকে শোষণ ও নির্যাতন। ব্রিটিশ শাসনে দেখা যায় ভারতের মধ্যে দুটো সম্প্রদায়গত বিভেদ। কারণ, ব্রিটিশ শাসনকে ভারতীয় হিন্দু সম্প্রদায় নিজ স্বার্থ হাসিলের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করার জন্য স্বাগত জানায়। ফলে হিন্দুরা সবদিক থেকে উন্নতি করে এবং অন্যদিকে মুসলমানরা সবদিক থেকে পিছিয়ে পড়ে। এভাবে সম্প্রদায়গত বিভেদ এর কারণে মুসলমানরা যখন পিছিয়ে পড়ে এবং ব্রিটিশ বেনিয়া শক্তির ছোবলে শোষিত, বঞ্চিত, দক্ষতা ও যোগ্যতার অভাবে ন্যায্য অধিকার ও সুশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হন। ঠিক সে সময় বাংলার মুসলমান জাতিকে যুগোপযোগী চিন্তাধারার সাথে পরিচিত করে তুলতে ত্রাণকর্তা হিসেবে যিনি আবির্ভূত হন, তিনি হলেন বাংলার মুসলিম সমাজে ইংরেজি শিক্ষার অগ্রদূত, প্রিয় নেতা ও বাংলার কৃতিসন্তান নওয়াব আব্দুল লতিফ।
নওয়াব আব্দুল লতিফের প্রাথমিক পরিচিতি : নওয়াব আব্দুল লতিফ ফরিদপুর জেলার রাজাপুরে এক সম্ভ্রান্ত কাজি পরিবারে ১৮২৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদের বংশধর। তাঁর পূর্বপুরুষরা প্রথমে বাগদাদ থেকে দিল্লি এবং পরে দিল্লি থেকে বাংলায় আগমন করেন। বাংলায় আগমনকারী তাঁর পূর্বপুরুষ আব্দুর রসুল এক রাজকীয় ফরমান বলে ভূষণার কাজি নিযুক্ত হন। তাঁর বংশধররা পাঁচ পুরুষ ধরে কাজি পদে বহাল থাকেন। কিন্তু আব্দুল লতিফের পিতা কাজি ফকির মুহাম্মদ সর্বপ্রথম পারিবারিক পেশা ত্যাগ করে ব্রিটিশ আমলে ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হন এবং তাঁর চাচা শ্বশুর মুন্সি বকাউল্লাহর সহকারী হিসেবে কাজে যোগ দেন। এভাবে দেখা যায়, নওয়াব আব্দুল লতিফ তাঁর জীবনের প্রারম্ভিক পর্যায়ে কলকাতাকে বেছে নেন। তিনি কলকাতা মাদ্রাসা থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি ও আরবি অধ্যাপকের পদে নিযুক্ত হন। ১৮৪৯ সালে তিনি চব্বিশ পরগণার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিযুক্ত হন। ১৮৫৩ সালের শুরুতে বাংলার গভর্নর লর্ড ডালহৌসি তাঁকে নবগঠিত কলারোয়া মহকুমায় বদলি করেন। ১৮৫৯ সালে তিনি আলিপুরে বদলি হন । ১৮৭৭ সালে তিনি অস্থায়ীভাবে কলকাতার উত্তর বিভাগে প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত হন। দুমাস পর স্থায়ী ম্যাজিস্ট্রেট পি.ডি, ডিকেন্স ফিরে আসলে মৌলবি আব্দুল লতিফকে শেয়ালদার শহরতলী পুলিশ কোর্টে নিয়োগ করা হয়। ১৮৮৪ সালে অবসর গ্রহণ করার পূর্ব পর্যন্ত তিনি সাত বছর শেয়ালদায় কাটান। ভারত ত্যাগের প্রাক্কালে ১৮৮০ সালে বড়লাট লর্ড রিপন তাঁকে 'নবাব বাহাদুর' উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৮৬২ সালে তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদের সর্বপ্রথম মুসলমান সদস্য নিযুক্ত হন এবং দুবার পুনর্নিয়োগ লাভ করে একাধিক্রমে দশ বছর ঐ পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। ১৮৬০ সালে জে. পি গ্র্যান্ট তাঁকে পরীক্ষক বোর্ডের সদস্য করেন। ১৮৬১ সালে কলকাতা ও শহরতলীতে আয়কর আইন কার্যকরী করার জন্য তাঁকে কমিশনার বোর্ডের সদস্য করা হয়। : ৬৩ সালে তাকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। শেষ জীবনে তিনি ভূপালের বেগমের মন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন। ১৮৯৩ সালের ১০ জুলাই তিনি মারা যান ।
বাংলার মুসলমানদের উন্নয়নে তাঁর অবদান : বাংলার মুসলমানদের অবস্থার উন্নয়নে তার অবদান পর্যালোচনা করা হল :
বাংলার কৃষকদের মুক্তির প্রচেষ্টায় : নওয়াব আব্দুল লতিফ ১৮৫৩ সালে যখন নবগঠিত কলারোয়া মহকুমায় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন তখন নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের কথা জনসমক্ষে তুলে ধরেন। তিনি এবং পরে স্যার ইশলে ইডেন গ্রামবাংলার জনগণকে নীলসাহেবদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন। ফলে নীল চাষিদের ক্ষেত্রে অসন্তোষ দেখা দিলে পরে বাংলার ছোট লাট স্যার জে.পি গ্যান্ট প্রসিদ্ধ নীলকমিশন গঠন ও নিয়োগ করেন। মুসলিম স্বার্থ সংরক্ষণে আব্দুল লতিফের অবদান : নওয়াব আব্দুল লতিফ অনগ্রসর অজ্ঞ বাংলার মুসলমানদের সঠিক পথে পরিচালিত করার গুরুত্ব উপলব্ধি করে দ্বিবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেন। যেমন-
ক. মুসলমানদেরকে ব্রিটিশ শাসনের প্রতি অনুগত করা : তিনি রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা দ্বারা উপলব্ধি করেন যে, যতদিন মুসলমানদের উপর ইংরেজদের আক্রোশ থাকবে ততদিন মুসলমানদের উন্নতির কোন সম্ভাবনা নেই। এজন্য তিনি মুসলমানদের স্বার্থে সরকারের সাথে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের উপর গুরুত্ব দেন। নওয়াব আব্দুল লতিফ নিজে খুব রাজভক্ত ছিলেন। তিনি কখনো ইংরেজদের বিরোধী কার্যকলাপ সমর্থন করতেন না। জেহাদ আন্দোলনের প্রধান বক্তব্য ছিল, যতদিন দেশ ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থাকবে ততদিন এটা মুসলমানদের কাছে 'দার উল হরব' বলে গণ্য হবে। আব্দুল লতিফ এ বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন। তাঁর মতে, ইংরেজ সরকারের শাসনাধীন মুসলিম সমাজের আত্মবিকাশ কোনভাবেই ব্যাহত হয় নি। তিনি এমনকি জৌনপুরে মাওলানা কেরামত আলীর ফতোয়াকে তুলে ধরেন। এ ফতোয়াতে ব্রিটিশ শাসিত ভারতকে 'দার উল ইসলাম' বলা হয়েছে। এভাবে নওয়াব আব্দুল লতিফ প্রচার করেন যে, * মুসলমানদের স্বার্থেই জেহাদ আন্দোলন পরিত্যাগ করা উচিত।
খ. মুসলমানদের উন্নয়নে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান : নওয়াব আব্দুল লতিফ উপলব্ধি করেন যে, ইংরেজি শিক্ষা ছাড়া মুসলমানদের অবস্থার উন্নতি হবে না। তিনি বিশ্বাস করতেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার যতই প্রসার ঘটবে ততই তারা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে উপকৃত হবে এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের পথও প্রশস্ত হবে। ইংরেজি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, যদি ভারতে কোন ভাষা শিক্ষার্থীর জীবনকে উন্নত করতে পারে, তবে তা হল ইংরেজি ভাষা। ১৮৫২ সালে আব্দুল লতিফ নিখিল ভারত প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আহ্বান করেন এবং সর্বোৎকৃষ্ট প্রবন্ধের জন্য একশত টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। এ রচনা প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল, “ইংরেজি শিক্ষায় মুসলিম ছাত্রদের সুবিধা।” এই রচনা প্রতিযোগিতা মুসলিম ছাত্রদের মধ্যে দারুণ উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল। তিনি কলকাতা মাদ্রাসায় ইংরেজি শিক্ষার প্রচলন করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় হিন্দু কলেজ প্রেসিডেন্সি কলেজে রূপান্তরিত হয়। প্রেসিডেন্সি কলেজে মুসলমান ছাত্ররা পড়ার সুবিধা পায়। শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে নওয়াব আব্দুল লতিফের বড় অবদান হল, তিনি মহসিন ফান্ডের টাকা মুসলমান ছাত্রদের জন্য ব্যয়ের নিয়মের প্রবর্তক। তিনি মহসিন ফান্ডের টাকায় হুগলি কলেজ ও স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর চেষ্টায় মহসিন ফান্ডের টাকায় হুগলি, কলকাতা মাদ্রাসার উন্নতি, ঢাকা, চট্টগ্রাম - ও রাজশাহীতে মাদ্রাসা স্থাপন এবং মুসলমান ছাত্রদের বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়। ফলে মহসিন ফান্ডের টাকা সম্পর্কে মুসলমানদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের সমাপ্তি হয় ।
Muhammedan Literary Society প্রতিষ্ঠা :
নওয়াব আব্দুল লতিফের সবচেয়ে বড় কীর্তি হল ১৮৬৩ সালে কলকাতা Muhammedan Literary Society প্রতিষ্ঠা। এ সমিতি ছিল ভারতীয় মুসলমানদের প্রথম সমিতি । নওয়াব আব্দুল লতিফ ভারতীয় মুসলমানদের সাহিত্য চর্চা এবং সমাজ সেবায় উৎসাহিত করার জন্য এ সমিতি গঠন করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ‘মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটি' বাংলার মুসলমানদের একমাত্র মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন সময়ে ধর্মভীরু মুসলমানদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আইন প্রণয়নে মতামত দান করার জন্য সরকার সোসাইটিকে আমন্ত্রণ জানায়। উদাহরণস্বরূপ ওছিয়ত সম্পর্কিত আইন ও খোজা সম্প্রদায়ের ওছিয়তবিহীন আইন সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব কেন্দ্রীয় আইন পরিষদে উত্থাপ্তি হলে সরকার এ প্রস্তাবটির ব্যাপারে মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটির মতামত গ্রহণ করেন। লর্ড রিপন শিক্ষাসংস্কারের জন্য কমিশন নিয়োগ করলে সোসাইটি এ কমিশনের কাছে মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষার চাহিদা তুলে ধরে। মাঝে মাঝে সোসাইটি মুসলমানদের প্রতি অন্যায়, আচরণমূলক আইনগুলোর প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
৪. বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে মৈত্রী প্রতিষ্ঠা : নওয়াব আব্দুল লতিফ স্বদেশের রাজনৈতিক স্বার্থে বিভিন্ন সম্প্রদায়কে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করতে আগ্রহী ছিলেন। এজন্য শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সকল সম্প্রদায়ের সমঅধিকারের সপক্ষে তিনি মত প্রকাশ করেন। বিশেষ করে ইউরোপীয়দের সাথে মুসলমানদের মেলামেশার সুযোগ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন যাতে করে মুসলমানগণ পাশ্চাত্য ভাবধারার সাথে পরিচিত হতে পারেন।
৫. মুসলমানদের মৌলিক অধিকার : মৌলিক অধিকার বিষয়ে আব্দুল লতিফের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি জীবন ও সম্পত্তির অধিকারকে মানুষের মৌলিক অধিকার বলে স্বীকার করেন। তিনি বাংলার মুসলমানদের মৌলিক অধিকার আদায়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন।
৬. মুসলিম বাংলার নবজাগরণের পথ নির্দেশ : নওয়াব আব্দুল লতিফের একান্ত প্রয়াসের ফলে মুসলিম বাংলার পুনরুজ্জীবন ঘটেছিল। তিনি মুসলিম বাংলার আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেন এবং তাঁরই প্রয়াসের ফলে মুসলিম সহ জে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী গড়ে উঠেছিল । কাজেই নওয়াব আব্দুল লতিফকে আধুনিক মুসলিম বাংলার নবজাগরণের পথ নির্দেশক বলা যায় । মূল্যায়ন : নওয়াব আব্দুল লতিফ বাংলার মুসলমানদের উন্নয়নে আজীবন কাজ করে গেছেন। ভাইস চ্যান্সেলর স্যার দেব প্রসাদ সর্বাধিকারী নওয়াব আব্দুল লতিফের কর্মময় জীবনের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তাঁর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। স্যার সৈয়দ আহমদ খানের আবির্ভাবের পূর্বে স্বজাতিকে যাতে অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সাথে প্রতিযোগিতায় পরাজয়বরণ করতে না হয়, সেজন্য নওয়াব আব্দুল লতিফ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালান। তাই ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানদের নবজাগরণে তিনি তুলনাহীন ব্যক্তিত্ব ।
উপসংহার ঃ উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে মুসলমানদের চরম দুর্দিনে নওয়াব আব্দুল লতিফ ছিলেন একজন যোগ্য ব্যক্তি। স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সম্পর্কে বলেছেন যে, আব্দুল লতিফ ছিলেন মুসলমানদের পথপ্রদর্শক, অনুপ্রেরণা দানকারী এবং বন্ধু। তাঁর জীবনী আলোচনা করলে দেখা যায়, তিনি আমৃত্যু মুসলমানদের কল্যাণ সাধন ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তাই তাঁর মূল্যায়নে বলা হয় যে, যদি সেসময় আব্দুল লতিফের ন্যায় যোগ্য মুসলিম ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব না হতো তাহলে ইতিহাস অন্যভাবে প্রবাহিত হতো।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]