সিন্ধু সভ্যতা কখন, কোথায় গড়ে উঠেছিল? এ সভ্যতার স্রষ্টা কারা? সিন্ধু সভ্যতার কাল নির্ণয় কর।

ভূমিকা ঃ প্রাচীন ভারতের সভ্যতাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতা হচ্ছে সিন্ধু সভ্যতা ১৯২২ সালে স্যার জন মার্শালের ব্যবস্থাপনায় যে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ পরিচালিত হয়, তাতে সিন্ধু সভ্যতার অনেক কীর্তি ও রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। খান কাজে উদ্ধারকৃত অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শনাবলিরই অদ্যাবধি পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয় নি। এমনকি কোন মানবগোষ্ঠী এ সভ্যতার সৃষ্টি করেছিল তা নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে ।
সিন্ধু সভ্যতার আবিষ্কার ও অবস্থান : সিন্ধু নদীর তীরে প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে অনেক দিন আগে থেকে অনুসন্ধান চলছিল। রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯২২ সালে সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলার অন্ত গত মহেঞ্জোদারো (সভার ডিবি নামে পরিচিত) নামক স্থানে একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার খুঁড়তে গিয়ে কিছু প্রাগৈতিহাসিক মাটির পাত্র এবং কিছু পাথরের শিল্প দেখে অনুমান করেন যে, এ স্থানে মাটির নিচে বহু প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। ঠিক একই সময় মহেঞ্জোদারো হতে মাত্র ৬৪০ কি. মি. দূরে পাঞ্জাবের মন্টেগোমারী জেলায় হরপ্পা' নামক স্থানে পণ্ডিত দয়ারাম সাহানী একই প্রকার সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কার করেন। যদিও এর পূর্বে, অর্থাৎ ১৮৭৫ সালে ইংরেজ প্রত্নতত্ত্ববিদ আলেকজান্ডার কানিংহাম হরপ্পায় অপরিচিত লিপি খোদাই করা একখানা পাথর আবিষ্কার করেন, তবে সে সময় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিসম্মত খননকার্য হয় নি। রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও দয়ারাম সাহানীর ধারণার উপর ভিত্তি করে ভারতের জাতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের পক্ষ হতে স্যার জন মার্শালের নেতৃত্বে খননকার্য চালিয়ে উভয় স্থানে দু'টি প্রাচীন নগরের ধ্বংসস্তূপ ও বহু 'পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়। পরবর্তীতে স্যার মার্টিয়ার নেতৃত্বে পুনরায় খননকার্য চালিয়ে আরও বহু নিদর্শন, পাওয়া যায়।
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান সরকারের উদ্যোগে আরও বিভিন্ন স্থানে মাটি খুড়ে হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়। খননকার্যের ফলে দেখা যায় যে, এ সভ্যতা প্রায় ১৫৫০ কি.মি. পরিধি নিয়ে বিস্তৃত ছিল। সিন্ধু, পাঞ্জাব ও বেলুচিস্তান এ তিনটি বৃহত্তর রাজ্য নিয়ে সিন্ধু সভ্যতা গঠিত। সময়কালঃ সিন্ধু লিপির পাঠোদ্ধার না হওয়ার দরুন এ সভ্যতার কাল সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু জানা যায় না। এ সভ্যতার কালানুক্রম সম্পর্কে দু'টি দিক আছে। নিম্নতম ও অন্যটি উর্ধ্বতম সময়সীমা। নিম্নকাল নির্ণয়ের ক্ষেত্রে লৌহকে সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে ধরা হয়। সিন্ধু উপত্যকায় লৌহের নিদর্শন পাওয়া যায় নি। অথচ সকলেই স্বীকার করেন যে, খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দে পশ্চিম এশিয়ায় লৌহের প্রচলন ছিল এবং এ অঞ্চলের সাথে সিন্ধু উপত্যকার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এ কারণে হুইলার হরপ্পা সংস্কৃতির নিম্নতম কালসীমা খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে নির্দিষ্ট করেছিল। তার যুক্তি নিম্নরূপ : •
প্রথমত, পশ্চিম এশিয়ায় তাম্রযুগের সমৃদ্ধি ঘটে ১৫০০ অব্দে। দ্বিতীয়ত, ১৫০০ অব্দে সিন্ধুদেশে আর্যদের আগমন ঘটে। তৃতীয়ত, ঋগ্বেদের রচনা শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৪৫০ অব্দে।
ঊর্ধ্বতন সময়সীমা নিয়েও যথেষ্ট মতভেদ দেখা যায়। পশ্চিম এশিয়ায় হরপ্পা সিলমোহরের অনুরূপ বহু সিলমোহর আবিষ্কৃত হয়েছে। ড. সি.জে গ্যাড় খ্রিস্টপূর্ব (২৫০০-১৫০০) অব্দে নির্দিষ্ট করেছেন। অপরদিকে, ড. ফ্রাঙ্কফুট খ্রিস্টপূর্ব ২৮০০ অব্দে নির্দিষ্ট করেছেন, মহেঞ্জোদারোতে প্রাপ্ত একটি খোদাই করা সুমেরীয় শিলালিপির উপর ভিত্তি করে। ফ্রানরি হরপ্পা সংস্কৃতির সূচনা নির্দিষ্ট করে (১৮০০-২৫০০) খ্রিঃ পূর্বাব্দের মধ্যে। আবার অনেকে অনুমান করেন, খ্রিস্টপূর্ব ২৭০০ অব্দের পূর্বে হরপ্পা সংস্কৃতির আত্মপ্রকাশের পূর্বে প্রায় ৫০০ বছর ভ্রূণ অবস্থায় ছিল। সুতরাং, এ হিসাবে খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০০ অদকে সংস্কৃতির জন্মলগ্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ।
উপরিউক্ত আলোচনা হতে এটা বলা যায় যে, সভ্যতার আয়ুষ্কাল খ্রিস্টপূর্ব (২৮০০-১৫০০) অব্দের মধ্যে ছিল।
সিন্ধু সভ্যতার স্রষ্টা ঃ
একটি উন্নত নগরসভ্যতা হিসেবে হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো আবিষ্কৃত হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই সবার মনে প্রশ্ন জেগেছে কারা এ উন্নত সভ্যতা গড়ে তুলেছিল? প্রথমদিকে ধারণা করা হয়েছিল এ সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিল আর্যরা। হরপ্পা সংস্কৃতি আর্যদের দান। কোন কোন প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করেন যে মেসোপটেমিয়া ও সুমেরুর নগরগুলো থেকে এক সময় অভিবাসনকারীরা এসে সিন্ধু সভ্যতা গড়ে তুলেছিল। নিম্নে সিন্ধু সভ্যতার স্রষ্টা নিয়ে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরা হল :
ক. সুমেরীয়রা ও মেসোপটেমীয়রা সিন্ধু সভ্যতার স্রষ্টা : ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক মর্টিমার হুইলার এবং গর্ডন চাইন্ড এর মতে, মেসোপটেমীয় ও সুমেরীয়ের নগরগুলো থেকে এক সময় অভিবাসনকারীরা এসে সিন্ধু সভ্যতা গড়ে তুলেছিল। তাদের যুক্তিগুলো নিম্নরূপ :
প্রথমত, মেসোপটেমিয়া ও সুমেরীয়দের মত সিন্ধু সভ্যতার নগরগুলো নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল।
দ্বিতীয়ত, পাঠোদ্ধার না করা গেলেও মেসোপটেমিয়ার মত সিন্ধু সভ্যতার লিখন পদ্ধতি ছিল।
তৃতীয়ত, সুমেরীয়দের মত সিন্ধু সভ্যতার মানুষেরাও মূর্তিপূজা করত।
চতুর্থত, সুমেরীয়দের মত সিন্ধু সভ্যতার মধ্যে কুমোরের চাকার মাধ্যমে মসৃন মৃৎপাত্র তৈরি হতো। পঞ্চমত, মেসোপটেমিয়ার কয়েকটি নগর ও নগরদেবতাদের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। এর প্রতিফলন সিঙ্গ সভ্যতার সিলমোহরে উপস্থিত ছিল।
সরাসরি সুমেরীয়রা সিন্ধু সভ্যতা গড়ে না তুললেও মর্টিমার হুইলার প্রমুখ পণ্ডিতগণ এ সভ্যতা সুমেরীয়দের অনেকাংশ ঋণী বলে অথবা সভ্যতার মধ্যে পারস্পরিক প্রভাব বিস্তৃত হয়েছিল বলে যে মন্তব্য করেন। তার পিছনে দু'টি যুক্তি হচ্ছে-
হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোতে পাওয়া সিল সুমেরীয় এবং আশেপাশে পাওয়া সীলের মধ্যে প্রায় অভিন্ন মিল রয়েছে। ধারণা করা হয় উভয় সভ্যতার মধ্যে সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছিল। জানা যায়, সিন্ধু সভ্যতার নগরগুলো থেকে সুতিবস্ত্র রপ্তানি হতো সুমেরীয়তে ।
খ. আর্যরা সিন্ধু সভ্যতার স্রষ্টা ঃ এসব প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যুক্তি উত্থাপিত হয়েছে অনেককাল আগে। সিন্ধু সভ্যতার আবিষ্কৃত হওয়ার বেশকিছুকাল আগেই আবিষ্কৃত হয়েছিল আর্যদের গড়ে তোলা বৈদিক সভ্যতা। এ কারণে ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতা হিসেবে তখন বৈদিক সভ্যতাকে বিবেচনা করা হতো। পরে সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কৃত হওয়ার পরও অনেককাল পর্যন্ত এ সভ্যতাটি আর্যদের তৈরি মনে করা হয়েছে। যারা মনে করেন, আর্য জাতিই সিন্ধু সভ্যতার স্রষ্টা, তাদের যুক্তি হচ্ছে নিম্নরূপ ঃ
১. সিন্ধু নগরে যে মানুষের কঙ্কাল পাওয়া গেছে, তাতে আর্যজাতির কঙ্কাল আছে। এর দ্বারা সিন্ধু নগরে যে আর্যদের অস্তিত্ব ছিল তা পরিষ্কারভাবে আমরা উপলব্ধি করতে পারি। ২.
সিন্ধু অধিবাসীরা যেরূপ পোশাক পরিধান করত ও খাদ্য আহার করত, তার সাথে আর্যজাতির পোশাক ও খাদ্য আহারের মিল পরিলক্ষিত হয়। ৩. সিন্ধুলিপিকে ব্রাহ্মীলিপির আদিরূপ মনে করা হয়। এ মতের সমর্থকরা বলেছেন যে, আর্য জাতি ভারতের আগাগোড়ায় বাস করত। তারা বাইরে থেকে আসে নি, তাহলে বলা যায়, হরপ্পা সভ্যতা আর্যদের অবদান।
৪. বৈদিক যুগের নারীদের অলংকার ও খোঁপা বাঁধার সাথে সিন্ধু সভ্যতার নারীদের অলংকার ও খোঁপার মিল রয়েছে। ৫. সিন্ধু সভ্যতায় প্রাপ্ত সিলে এবং টেরাকোঠার যেসব পশুর চিত্র বা পশুমূর্তি আছে, অনুরূপ আর্যসভ্যতায়ও আছে।
স্যার জন মার্শাল : সিন্ধু সভ্যতার উপর বিস্তৃত গবেষণার পর সর্বপ্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক স্যার জন মার্শাল উপরের মতগুলোর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেছেন যে, সিন্ধু সভ্যতা ও বৈদিক সভ্যতা একেবারেই পৃথক। তিনি এ সম্পর্কে যুক্তি দেখিয়েছেন যে, প্রথমত, আর্য সভ্যতা ছিল গ্রামভিত্তিক। তাদের অর্থনীতির প্রধান শক্তি ছিল কৃষিকাজ ও পশুপালন। সিন্ধুবাসীরা গড়ে তুলেছিল উন্নত নগর সভ্যতা। বৈদিক সাহিত্যের সূত্রে আর্যদের বলা হতো নগর ধ্বংসকারী ।
দ্বিতীয়ত, নগর সভ্যতার চূড়ান্ত বিকাশের শেষ পর্বে লোহার আবিষ্কার হয়েছিল। তাই সিন্ধু সভ্যতার প্রত্নবস্তুর মধ্যে তামা পাওয়া গেলেও লোহা পাওয়া যায় নি। কিন্তু পরবর্তী সময়ের সভ্যতা বলেই বৈদিক সংস্কৃতিতে তামা ও লোহা উভয় ধাতুর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
তৃতীয়ত, নগর সভ্যতার ধারক সিন্ধুবাসীরা ইটের তৈরি বহুতল বাড়ি তৈরি করেছিল। অপরপক্ষে, বৈদিক যুগে আর্যরা বাড়ি বানাত মাটি, বাঁশ ও খড় দিয়ে।
চতুর্থত, সিন্ধু সভ্যতায় যেসব পশুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে, তাতে অনুমান করা হয়, ঘোড়ার সাথে সিন্ধুবাসীদের পরিচয় ছিল না। অন্যদিকে, আর্যদের যুদ্ধের প্রধান বাহন ছিল ঘোড়া। বৈদিক সভ্যতায় ঘোড়া টানা রথের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয় ।
পঞ্চমত, নগরসভ্যতা গড়ে তোলার কারণ অনুমান করা সহজ হয়েছে যে, সিন্ধুবাসীরা স্থায়ী জীবন গড়েছিল। কিন্তু পশুপালক আর্যরা অনেকাংশ ছিল যাযাবর।
ষষ্ঠত, সিন্ধু লিপি প্রমাণ করে সিন্ধুবাসীরা লিখতে জানত। কিন্তু আর্য জাতি লিখতে জানত না । সপ্তমত, কাল নির্ণয় করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, আর্যরা ভারত আগমন করেছিল ১৫০০ থেকে ২০০০ খ্রিঃ পূর্বাব্দে। সিন্ধুসভ্যতার উদ্ভব ঘটেছিল ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। দ্রাবিড় জাতির স্রষ্টা : অধিকাংশ ইতিহাসবিদদের সিদ্ধান্ত, সিন্ধু সভ্যতা ছিল দ্রাবিড় জাতির সৃষ্টি। এ মতের সমর্থনে যুক্তি হল ঃ
আর্য জাতি ভারতে আসার আগেই দ্রাবিড় সভ্যতার বিকাশ সাধিত হয়। প্রাক আর্য সভ্যতা, অর্থাৎ সিন্ধু সভ্যতার সাথে দ্রাবিড় সভ্যতা কালক্রমে মিলে যায়। কারণ আর্য সভ্যতাও ছিল সিন্ধু সভ্যতার মত প্রাক আর্য সভ্যতা। দক্ষিণের দ্রাবিড় জাতির ধর্ম বিশ্বাসে এখনও শিবলিঙ্গের প্রধান্য দেখা যায়। সিন্ধু অধিবাসীদের ধর্ম বিশ্বাসে শিবলিঙ্গের প্রাধান্য ছিল।
৩. ফ্রাদার হেরাসের মতে, "সিন্ধুলিপির সাথে প্রাচীন দ্রাবিড় বা তামিল লিপির সাদৃশ্য বা সম্পর্ক আছে।"
৪. দ্রাবিড় জাতি আদিতে উত্তর ভারতে বসবাস করত। বেলুচিস্তানের অনেক উপজাতি দ্রাবিড় ভাষায় কথা বলে। এ
থেকে প্রমাণ হয় যে, একদা উত্তর ভারতে দ্রাবিড়দের বসবাস ছিল, তারাই সিন্ধু সভ্যতার সৃজন করে।
৫. সিন্ধু সভ্যতার নগরে যে নরকঙ্কাল পাওয়া গেছে, তার মধ্যে ভূমধ্যসাগরীয় বা দ্রাবিড় জাতির কঙ্কাল পাওয়া গেছে ।
বেশিরভাগ ঐতিহাসিক হরপ্পা সভ্যতার স্রষ্টা হিসেবে দ্রাবিড় জাতির দাবিকে স্বীকৃতি দেন। নৃতাত্ত্বিকদের মতামত ঃ নৃতাত্ত্বিকগণ নৃতাত্ত্বিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণের সাহায্যে সিন্ধু সভ্যতার স্রষ্টাদের সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করেছেন। মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পায় যে নরকঙ্কালগুলো পাওয়া গেছে, সেগুলোর মাথার খুলি ও চোয়াল পরীক্ষা করে নৃতাত্ত্বিকগণ চারটি মানবগোষ্ঠীর পরিচয় পেয়েছেন। এ চারটি গোষ্ঠী হল : ক. প্রোটো অস্ট্রালয়েড।
খ. ভূমধ্যসাগরীয় বা দ্রাবিড় জাতি ।
গ. ঘ. আলপাইন ও মঙ্গোলীয়।
প্রকৃতপক্ষে, এ গোষ্ঠীর কারা এ সভ্যতা সৃষ্টি করেছিল তা জানা যায় নি। সিন্ধু অঞ্চলে বিভিন্ন জাতির লোক বসবাস করত। এ কারণে পণ্ডিতেরা মনে করেন যে, সিন্ধু সভ্যতা কোন বিশেষ জাতির গোষ্ঠীর দ্বারা সৃষ্টি হয় নি। বিভিন্ন জাতির যৌথ প্রচেষ্টায় এ সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, কোন একটি বিশেষ জাতি দ্বারা সিন্ধু সভ্যতা সৃষ্টি হয় নি। নানা জাতির সমবেত চেষ্টায় এ সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। আর্য ও অনার্যদের সভ্যতার সংমিশ্রণেই সিন্ধু সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। এরূপ মনে করা আমাদের অনুচিত হবে না ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]