অর্থনীতি, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, চিত্রকলা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সিন্ধু সভ্যতার অবদান আলোচনা কর ।

ভূমিকা ঃ ১৯২২ সালে রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও দয়ারাম সাহানীর মাধ্যমে হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোতে যে সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়, তা সিন্ধু সভ্যতা নামে পরিচিত। পৃথিবীর অন্যান্য সভ্যতার অধিবাসীরা যেমন স্থাপত্য ও শিল্প কলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল, ঠিক তেমনি সিন্ধু সভ্যতার জাতিরাও তাদের অর্থনীতি স্থাপত্য, ভাস্কর্য, চিত্রকলা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। নিম্নে সিন্ধু সভ্যতার অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা কর । অর্থনৈতিক অবস্থা : সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিম্নে উল্লেখ করা হল :
১. কৃষি ও পশুপালন : কৃষি ও পশুপালন ছিল সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের প্রধান উপজীবিকা। তবে তাদের প্রধান জীবিকা ছিল কৃষিকাজ তাদের উৎপন্ন দ্রব্যের মধ্যে গম, বার্লি, তুলা ও ধান ছিল অন্যতম। কৃষিকাজে সার ব্যবহার করা হতো। উর্বর উপত্যকায় উৎপাদিত অতিরিক্ত ফসল অবকাশ শ্রেণীদের চাহিদা পূরণ করত। অর্থাৎ, এ সভ্যতার জনগণ কৃষির উপর ব্যাপক গুরুত্ব আরোপ করেছিল। তারা গরু, মহিষ, টিয়াপাখি ইত্যাদি পালন করত ।
২. কারিগরি শিল্প : সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত নানা ধরনের কারুপণ্য ও চারুশিল্প তৈরি করত। তারা বিভিন্ন দ্রব্য প্রস্তুত করত। ধাতব শিল্প হিসেবে তামা ও ব্রোঞ্জের বিভিন্ন অস্ত্র ও ব্যবহার্য জিনিস তৈরি করত। তবে এখানে লোহা ব্যবহারের কোন অস্তিত্ব মেলে না ।
৩. বয়ন শিল্প : সিন্ধু সভ্যতায় বয়ন শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল । তারা তুলা ও পশম দিয়ে কাপড় বুনতে পারত।
৪. শিল্পদ্রব্য : সিন্ধুর অধিবাসীরা কিছু কিছু শিল্পপণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার করত। শিল্প দ্রব্যের মধ্যে মৃৎপাত্র, বস্ত্র, সোনা, রুপার অলংকার, হাতির দাঁতের অলংকার, ধাতু নির্মিত দ্রব্য উল্লেখযোগ্য ।
৫. ব্যবসায় বাণিজ্য : সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন এলাকা, আফগানিস্তান, অধ্য এশিয়া, মেসোপটেমিয়া, মিশর ও ক্রীট দ্বীপের অধিবাসীদের সাথে ব্যবসায় বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল।
৬. পরিবহণ ব্যবস্থা : স্থল পথে কাঠের গাড়ি এবং নৌপথে নৌকা ছিল সিন্ধু অধিবাসীদের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম। এতে মালপত্র আনা নেওয়া করা হতো। উট ও গাধা ছিল স্থলপথের অন্য দু'টি পরিবাহক।
সাংস্কৃতিক অবস্থা : নিম্নে সিন্ধু সভ্যতার সাংস্কৃতিক পরিচয় তুলে ধরা হল : ক. স্থাপত্য : অন্যান্য প্রাচীন সভ্যতার মত সিন্ধু সভ্যতার স্থাপত্যসমূহেও বিশেষত্ব ছিল। নগরবাসীদের বিভিন্ন প্রয়োজনকে সামনে রেখে স্থাপত্য তৈরি হয়েছে। নিম্নে তার একটা বিবরণ দেওয়া হল ঃ
১. সাধারণ ঘরবাড়ি সিন্ধু সভ্যতায় বিভিন্ন আকৃতির বসতবাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। কোথাও দু'কক্ষবিশিষ্ট ঘরবাড়ির নিদর্শন পাওয়া গেছে আবার কোথাও পঁচিশ কক্ষবিশিষ্ট ঘরবাড়ির নিদর্শনও পাওয়া গেছে। সাধারণত বাড়ির প্রবেশ দরজা সড়কমুখী হতো। বাড়িগুলোতে বিভিন্ন কক্ষ, কুয়া এবং স্নানাগার থাকত। এছাড়াও শয়ন কক্ষ, রান্নাঘর, প্রক্ষালন কক্ষ ও গুদাম ঘর দ্বারা বড় বড় বাড়িগুলো সজ্জিত থাকত। কক্ষগুলোতে আলো বাতাস আসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল। রান্নাঘর ও গোসলখানার ধার ঘেঁষে ড্রেন তৈরি করা হতো। নগর দুটোতে একাধিক তলার ঘরবাড়িও দেখা গেছে। সিন্ধু সভ্যতার ঘরবাড়ি দেখে ধারণা করা যায় যে, নগরবাসীরা বিলাসবহুল, পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করত।
২. বৃহৎ প্রাসাদসমূহ : বেশ কয়েকটি চমৎকার প্রাসাদের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে সিন্ধু সভ্যতায়। এগুলোর মধ্যে মহেঞ্জোদারোতে অবিষ্কৃত বৃহৎ হলঘরটি অন্যতম। এ হলটি ৮০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছিল। হল ঘরের ভিতরে সারি সারি বেঞ্চ পাতা ছিল। বেঞ্চগুলোর সামনে ছিল প্লাটফরম। হলঘরের চারপাশে ছিল বারান্দা। ঐতিহাসিকগণ মনে করতেন, হয়ত সভাগৃহ হিসেবে এটিকে ব্যবহার করা হতো। মহেন্তোদারোতে ২ X ৭৮ ফুটের প্রকাণ্ড প্রাসাদ আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রাসাদের চারপাশে ছিল পুরু দেওয়াল। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ছিল শাসকদের বাসগৃহ।
৩. বৃহৎ স্নানাগার : মহেঞ্জোদারোর আরেকটি স্থাপত্য তাদের 'বৃহৎ স্নানাগার'। প্রকাণ্ড এ ঘরটি দৈর্ঘ্য x প্রস্থ = ১৮০ x ১৮ ফুট । স্নান করার জলধারাটি ছিল ৩৯ × ২৩ ফুট এবং গভীরতা ৮ ফুট। স্নানাগারের চারপাশে ছিল ঘুরানো বারান্দা, গোসল করতে আসা লোকজনের জন্য ছিল কক্ষ ও গ্যালারি। স্নানাগারের মূল কক্ষটি ছিল দোতালা । একে 'গ্রেট বাথ' বলা হয়।
৪. দুর্গ ঃ একই পরিকল্পনায় হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো নগরীতে প্রতিরক্ষার জন্য দুর্গ তৈরি করা হয়েছিল। দুর্গ দু'টো ১২০০ ফুট দীর্ঘ এবং ৬০০ ফুট প্রশস্ত ছিল। দুর্গের চারদিকে ৪০ ফুট উচ্চ শক্ত প্রতিরক্ষা দেওয়াল ছিল। কাদামাটি এবং কাঁচা ইট দিয়ে পুরু করে দুর্গের দেওয়াল তৈরি করা হয়েছিল। দুর্গের বাইরের অংশে চার ফুট পুরু পোড়ানো ইটের আরেকটি অতিরিক্ত দেওয়াল ছিল। চারপাশে নজর রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছিল সুউচ্চ পর্যবেক্ষণ ঘর।
৫. শস্যাগার : সিন্ধু সভ্যতায় ১৬৯ ফুট দীর্ঘ ও ১৩৫ ফুট প্রশস্ত শস্যাগার পাওয়া গিয়েছে। শস্য জমা রাখার জন্য সম্পূর্ণ শস্যাগারটি ৫০ ফুট দীর্ঘ ও ২০ ফুট প্রশস্ত অনেকগুলো কক্ষে বিভক্ত করা হয়েছিল। শস্য যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য কক্ষগুলোতে প্রয়োজনীয় বাতাস প্রবাহের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। মনে করা হয়, রাজস্ব হিসেবে জনসাধারণের কাছ থেকে শসা আদায় করে এখানে জমা রাখা হতো । •
খ. ভাস্কর্য : সিন্ধু সভ্যতায় পাথর ও ব্রোঞ্জের তৈরি প্রচুর ভাস্কর্য পাওয়া গেছে। তাদের পাথুরে ভাস্কর্যের কয়েকটি উদাহরণ এখানে সংযোজিত হল । এতে তাদের ভাস্কর্য শিল্পে দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায় ।
১. চুনাপাথরের মূর্তি : সাত ইঞ্চি উচ্চতাবিশিষ্ট এটি ছিল একটি মাথা ও মুখমণ্ডল । পাথর থেকেই চমৎকারভাবে ঢেউ খেলানো চুল তৈরি করা হয়েছিল। চমৎকার দক্ষতা প্রস্ফুটিত হয়েছে ঠোঁট তৈরিতে। কানের প্রতিটি খাঁজ কাটা হয়েছে নিখুঁতভাবে। কোঠরাগত চোখ দেখে ধারণা করা হয় যে, এখানে কোন পাথর খচিত করে সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছিল।
২. শ্মশ্রুমণ্ডিত আবক্ষমূর্তি : এ মূর্তিটি মহেঞ্জোদারোতে পাওয়া গেছে। মূর্তিটি ছিল নরম পাথরের তৈরি। দাড়ি, চোখ, নাক, কান প্রভৃতি নির্মাণে ভাস্করগণ বিশেষ দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন।
৩. নৃত্যরত নারীমূর্তি : নৃত্যরত এ ব্রোঞ্জ মূর্তিটি ছিল সিন্ধু সভ্যতার শিল্প সৌন্দর্যের একটি বড় প্রমাণ । মূর্তিটি মেয়ের ডান হাত কোমরের উপর রাখা ছিল, বামহাতের পুরোটাতেই বালা পরানো ছিল। হাতটি ছিল আলতোভাবে পায়ের উপর রাখা । মূর্তিটির চোখ, থ্যাবড়া নাক, কোঁকড়ানো চুলের গঠন, সিন্ধু সভ্যতার ভাস্কর্যদের দক্ষতার পরিচয় বহন করে।
৪. পশুমূর্তি : মহেঞ্জোদারোতে বেশকিছু ব্রোঞ্জের পশুমূর্তি পাওয়া গিয়েছে। এগুলোর মধ্যে শিল্পমানের দিক থেকে যথেষ্ট উৎকর্ষ লাভ করেছিল ষাঁড় ও ছাগলের মূর্তি। হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোতে প্রাপ্ত পোড়ামাটির ভাস্কর্য ও সিন্ধু সভ্যতার শিল্প উৎকর্ষের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। পোড়ামাটির উপর ক্ষুদ্রাকৃতির মানুষ ও জীবজন্তুর মূর্তি, অত্যন্ত নৈপুণ্যের সাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল।
৫. মানুষের মূর্তি : সিন্ধু সভ্যতায় প্রাপ্ত পোড়ামাটির মূর্তিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে একটি পুরুষ মূর্তি, যার নাক ছিল লম্বা, চিবুক ছিল মাংসল এবং মুখমণ্ডল ছিল দাড়ি গোঁফ বিহীন। এছাড়া বাদবাকি মূর্তি ছিল মেয়েদের প্রতিকৃতি। মূর্তির পরনে ছিল অলংকার এবং ভাস্করগণ মুখমণ্ডলের কমনীয়তা ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন ।
৬. জীবজন্তুর মূর্তি : হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোতে প্রাপ্ত পোড়ামাটিতে যেসব জীবজন্তুর দেহ খোদাই করা হতো তার মধ্যে গরু, ষাঁড়, মহিষ, কুকুর, শুকর, হাতি, বানর ও পাখি উল্লেখযোগ্য। এসব শিল্পমানের দিক থেকে অত্যন্ত উন্নত ছিল ।
৭. সীলমোহর : সিন্ধু সভ্যতার প্রায় ২৫০০ সীল আবিষ্কৃত হয়েছে। এ সীলগুলো পাথরের তৈরি ছিল। অধিকাংশ সীল ছিল আকৃতিগতভাবে চতুষ্কোণ । কিছু গোলাকার ও নলাকার। সীলগুলোতে বিভিন্ন চিহ্ন এবং ষাঁড়, মহিষ প্রভৃতি পশুর প্রতিকৃতি ছিল ।
গ. চিত্রকলা : সিন্ধু সভ্যতার চিত্রকর্মের মধ্যে ছিল বিভিন্ন আকৃতির মৃৎপাত্র তৈরি। অলংকরণ শোভিত এসব মৃৎপাত্রে ব্যবহার করা হতো পানি, শস্য, লবণ প্রভৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে। লাল, কালো প্রভৃতি রঙ ব্যবহার করে মৎপাত্রগুলোকে ঔজ্জ্বল্য প্রদান করা হতো। সিন্ধু সভ্যতার কারিগরগণ রুপা, তামা ও ব্রোঞ্জের গামলা, পাতিল, গ্লাস প্রভৃতি তৈরি করত। এসব দ্রব্যাদি চমৎকারভাবে মসৃণ করা হতো এবং এসবের গায়ে চমৎকার চিত্র কর্ম আঁকা হতো।
ঘ. বিজ্ঞান ঃ প্রমাণের অভাবে সিন্ধু সভ্যতার বিজ্ঞানের উন্নতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ নেই । নিম্নলিখিত কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছুটা আলোকপাত করা চলে।
১. পাটিগণিত : হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো নগরীতে প্রাপ্ত বিভিন্ন ওজনের বাটখারা প্রমাণ দিচ্ছে যে, সিন্ধু সভ্যতার জনসাধারণ পাটিগণিতে জ্ঞানার্জন করেছিল ।
২. জ্যামিতি : হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো নগরীর নগর পরিকল্পনা, রাস্তা, নর্দমা, দালানকোঠা তৈরি সিন্ধু সভ্যতার জনগণের মাঝে জ্যামিতিক জ্ঞানের পরিচয় বহন করে ।
৩. ধাতুবিদ্যা ঃ তামা ও টিন মিশ্রিত ব্রোঞ্জ এবং স্বর্ণ ও রৌপ্য মিশ্রিত কার ইলেকট্রাম তৈরির মধ্যদিয়ে সিন্ধু সভ্যতার বিজ্ঞানীগণ ধাতুবিদ্যার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রগতির কথা স্মরণ করে দিচ্ছেন।
৪. রসায়নবিদ্যা : চৌবাচ্চার দেওয়াল পানি নিরোধক করার জন্য বিটুমিনের প্রলেপ এবং স্বর্ণ রৌপ্যের নকল পুঁতি তৈরির যোগ্যতা সিন্ধু সভ্যতাবাসীদের মধ্যে রসায়নশাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি অর্জনের স্মরণ করে দেয়।
উপসংহার ঃ উপরিউক্ত আলোচনার শেষে বলা যায় যে, সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীগণ অর্থনীতি, শিল্পকলা ও স্থাপত্যের ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছিল। বিশেষ করে তাদের স্থাপত্য ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করতে দেখা যায় যা, আধুনিক যুগের সাথে তুলনীয়। তাই প্রাচীন অন্যান্য সভ্যতার ন্যায় সিন্ধু সভ্যতার জনগণ অর্থনীতি স্থাপত্য, শিল্পকলা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যে অবদান রেখেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় ও অতুলনীয়।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]