সম্রাট আকবরের রাজপুত নীতি পর্যালোচনা কর । হিন্দুদের প্রতি আকবরের গৃহীত নীতি পর্যালোচনা কর।

ভূমিকা : মুঘল সম্রাট আকবর তাঁর সুদীর্ঘ ৫০ বছরের (১৫৫৬-১৬০৫), রাজত্বকালে সাম্রাজ্যের স্থায়িত্ব ও উন্নতি বিধানের লক্ষ্যে যে সব নীতি ও পদক্ষেপ বাস্তবায়িত করেছিলেন তার মধ্যে রাজপুত নীতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। একজন বিজ্ঞ শাসক ও রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ অমুসলমান, বিশেষত শৌর্য-বীর্যের প্রতীক রাজপুত জনগোষ্ঠীর সাহায্য ও সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। তাই ড. ঈশ্বরী প্রসাদ বলেন, "Akbars treatment of the Rajputs was not the outcome of thoughtless sentiment or a mere chivalrous regard for their velour and patriotism. It was the result of a deliberate policy and was based on the principles of enlightened self-interest, recognition of merit, Justice and fair play. "
রাজপুত নীতির অর্থ : ভারতে মুঘল আধিপত্য সর্বাত্মক সাহায্য ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। তাই তিনি তাদের প্রতি উদার মনোভাব পোষণ করেন এবং তাদের সাথে মিলনাত্মকনীতি অবলম্বন করে তাদেরকে কতিপয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেন । ইহাই ইতিহাসে আকবরের “রাজপুতনীতি” নামে পরিচিত।
রাজপুত নীতি প্রবর্তনের কারণ ঃ যেসব কারণে আকবর রাজপুত নীতি প্রবর্তন করেন তা হল-
১. ভারতে বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়ন : আকবর চিন্তা করেন যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়কে বশে আনতে না পারলে সমগ্র ভারতবর্ষে তাঁর বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। তাই তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের সহায়তা লাভের জন্য এ নীতি অবলম্বন করেন । ২. বিদ্রোহ দমন ও রাজ্য বিস্তার : সিংহাসনে আরোহণের পর থেকে আকবর স্বীয় আত্মীয়স্বজন ও বিশিষ্ট অনুচরদের বিদ্রোহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন। তাই তিনি স্বীয় নিরাপত্তা ও সাম্রাজ্য বিস্তারের প্রয়োজনে রাজপুতদের সহযোগিতা কামনা করেন।
৩. বংশের দুর্বলতা : আকবর উপলব্ধি করেন যে, ভারতে যেসব রাজবংশ শাসন করে আসছে তাদের মধ্যে তাঁর বংশের ভিত্তিই ছিল সবচেয়ে দুর্বল। তাই তিনি রাজপুতদের হৃদয় জয় করতে সচেষ্ট হন ।
৪. মাতা ও গৃহশিক্ষকের প্রভাব : আকবরের মাতা হামিদাবানু ও বাল্য শিক্ষক আব্দুল লতিফ তাঁর মনে উদারনীতি জাগরিত করেন।
৫. পিতৃস্মৃতি ঃ আকবরের পিতা হুমায়ুন শেরশাহের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ভারতবর্ষে পলায়ন করার সময় সিন্ধুর আমরকোটের হিন্দু রাজা রানা প্রসাদের রাজ্যে আশ্রয় থাকাকালীন আকবরের জন্ম হয়। তাই পিতৃস্মৃতি রক্ষার্থে তিনি রাজপুত নীতি গ্রহণ করেন।
৬. দমননীতির ব্যর্থতা ঃ ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকেই মুসলিম শাসকগণ রাজপুতদের কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাই আকবর তাদের প্রতি দমন নীতির পরিবর্তে মিলনাত্মক নীতি অনুসরণ করেন।
উপরিউক্ত কারণগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আকবর রাজপুত নীতি গ্রহণ করেন। আকবরের রাজপুত নীতি : সম্রাট আকবরের রাজপুত নীতি দুটি পর্যায়ে বিভক্ত। যথা-
ক. মিলনাত্মক,
খ. যুদ্ধাংদেহী বা অস্ত্রের নীতি।
ক. মিলনাত্মক নীতি ঃ আকবর তাঁর যুগের ধর্মীয় বিদ্বেষের উর্দ্ধে উঠে কতিপয় পদ্ধতিতে তাঁর মিলনাত্মক নীতি বাস্ত বায়িত করার প্রয়াস পেয়েছিলেন । তিনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেন ঃ
১. · বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন : রাজপুত জাতির মাঝে বিশ্বাস ও বন্ধুত্ব গড়ে তোলার জন্য আকবর তাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সম্রাট নিজে ১৫৬২ খ্রিঃ জয়পুরের রাজা বিহারীমলের কন্যা যোধাবাঈ এর পানি গ্রহণ করেন। বিহারীমল হলেন ঐতিহাসিক ব্যক্তি মানসিংহ ও ভগবান দাসের পিতা এবং যুবরাজ সেলিম ওরফে জাহাঙ্গীরের নানা। ১৫৭০ খ্রিঃ আকবর বিকানীর রাজকন্যাকে বিবাহ করেন। ১৫৮৪ খ্রিঃ জয়পুরের ভগবানদাসের কন্যার সাথে পুত্র সেলিমের বিয়ে দেন। তার গর্ভেই জন্মগ্রহণ করেছেন সম্রাট শাহজাহান। এ সব বৈবাহিক সম্পর্কের মাধম্যে আকবর রাজপুতদের আনুগত্য লাভ করতে সমর্থ হন। এ সম্পর্কে ঐতিহাসিক ড. বেনী প্রসাদ বলেন- "This marriage symbolised the dawn of a new era in Indian politics, it gave the country a line of remarkable sovereigns, it secured to four generations of Mugal emperors the services of some of the greatest captins and diplomats that mediaeval India produced." এ নীতির ফলে হিন্দুদের মধ্যে সবচেয়ে সাহসী, ঐক্যবদ্ধ জাতিকে নিজের অনুকূলে আনতে আকবর সমর্থ হন।
২. রাজপুতদের উচ্চ পদে নিয়োগ : বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়াও আকবর সামরিক, বেসামরিক বিভিন্ন উচ্চপদে যোগ্য রাজপুতদের নিয়োগ করেন। বিহারীমলকে তিনি ৫ সহস্রাধিক সৈন্যের কর্তৃত্ব দেন। এ ছাড়া ভগবান দাস, মানসিংহকে মুঘল সেনাবাহিনীর উচ্চপদে নিয়োগ করেন। এদের আনুগত্য ও সেবা নিয়ে আকবর তাঁর সাম্রাজ্যকে শত্রুমুক্ত ও বিস্ত ারলাভ ঘটাতে পেরেছিলেন। বীরবল ছিল আকবরের অন্যতম সভাসদ। রাজা টোডরমল ছিলেন আকবরের অর্থমন্ত্রী। টোডরমল আরো গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল ছিলেন। আবুল ফজলের “আইনে আকবরীতে” বর্ণিত আকবরের ২১ জন সভা পণ্ডিতদের মধ্যে ৯ জনই ছিল হিন্দু। বিখ্যাত কবি তুলসী দাস, গায়ক যুবদাস ও রাজবাহাদুর আকবরের উদার পৃষ্ঠপোষকতা লাভে ধন্য হয়েছিলেন। এ সব নিয়োগ ও পৃষ্ঠপোষকতা রাজপুতদের মধ্যে আকবরের, জনপ্রিয়তা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছিল।
৩. কতিপয় সংস্কার : আকবর সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কতিপয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রগতিশীল হিন্দুদের প্রীতি ভোজন হন। যথা :
i. তিনি বলপূর্বক হিন্দুদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন ।
ii. হিন্দু যুদ্ধবন্দীদের ক্রীতদাসে পরিণত করাকে রহিত করেন ।
iii. তিনি হিন্দুদের মন্দির নির্মাণে উৎসাহ ও অর্থ সাহায্য দেন, এমনকি হিন্দুদের বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক মেলা প্রভৃতি
উৎসবে আকবর স্বয়ং উপস্থিত থাকতেন। এতে হিন্দুরা আকবরকে হৃদয়ের মধ্যে স্থান দেয় । iv. ১৫৬৩ ও ১৫৫৪ খ্রিঃ আকবর হিন্দুদের উপর হতে যথাক্রমে তীর্থ ও জিজিয়া কর তুলে দেন। এর ফলে হিন্দুদের মধ্যে আকবরের জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায় ।
V. আকবর হিন্দু ধর্মগ্রন্থ রামায়ন; মহাভারত ইত্যাদি গ্রন্থের ফারসি অনুবাদ করেন। এসব সংস্কারের ফলে হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষা পায়। ফলে আকবরকে তারা বিধর্মীর শাসক হিসেবে জ্ঞান না করে নিজেদের মানুষই ভাবতে শেখে ।
vi. আকবর হিন্দুদেরকে প্রকাশ্যে ও স্বাধীনভাবে ধর্ম-কর্ম ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান করার সুযোগ দেন ।

vii. আকবর রাজপুত ও হিন্দুদের কিছু প্রথা স্বয়ং গ্রহণ করেন। viii. হিন্দু ও রাজপুত জাতির মন জয় করার জন্য তৎকালীন হিন্দু সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার যেমন- শিশু হত্যা, বাল্যবিবাহ, জঘন্য সতীদাহ প্রথা, বর্ণবৈষম্যের ব্যাপকতা রোধ করার জন্য আকবর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। উল্লেখ্য তিনি বিধবা বিবাহের পক্ষেও মতামত ঘোষণা করেন। এসবের ফলে তিনি হিন্দুদের মনে বন্ধুর আসন গ্রহণ করতে সক্ষম হন।
খ. যুদ্ধংদেহী / অস্ত্রের নীতি। আকবর রাজপুত ও হিন্দুদের জন্যে এতসব উদার ও মিলনাত্মক নীতি গ্রহণ করলেও তাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে কোনমতেই স্বীকার করেন নি। এ বিষয়ে তিনি সতর্ক ছিলেন। তিনি তাদের অধীনতামূলক মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ করতে চেয়েছেন। তাই রাজপুত ও হিন্দুদের মধ্যে যারা তার বশ্যতা ও আনুগত্য স্বীকার না করে বিদ্রোহ করেছে তাদেরকে তিনি কঠোর হস্তে দমনে দ্বিধা করেন নি। মেবারের রানা উদয় সিংহে বিদ্রোহ ঘোষণা করলে তিনি তাকে দমন ও পরাজিত করে চিতোর দখল করেন। একইভাবে উদয় সিংহের পুত্র রানা প্রতাপ ও অমর সিংহের দর্প চূর্ণ করেন। এ ছাড়া মালব, কালিজন, বর্ণখণ্ডোর প্রভৃতি অঞ্চলের রাজপুত্রগণের বিদ্রোহকে ও কঠোরতার মাধ্যমে সম
ফলাফল : আকবরের রাজপুত নীতি ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাসে এক मব যুগের সূচনা করে। ভি.ডি. মহাজন বলেন, "Thus by a policy of conciliation, Akbar was able to win over the affection of the Rajputs and there by solidify the foundations of the Mughal Empire in the country,"
সাথে সুসম্পর্কের ফলে আকবর সমগ্র ভারতবর্ষে তাদের সার্বিক সহযোগিতায় একটি বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। তাছাড়া তাদের সহযোগিতার ফলে তাঁর পক্ষে বিদ্রোহী আমীর-ওমরাহদের দমন করা সহজ হয়। ঐতিহাসিক মুরল্যান্ড বলেন, As the result of this policy the great bulk of Razuputra became difinitely loyal to the emperor who could thus command the services of something like 50,000 of the best horsemen in India. সম্রাট আকবরের মৃত্যুর পর রাজপুতনীতি অব্যাহত ছিল না : সম্রাট আকবরের মৃত্যুর পর পরবর্তী মুঘল সম্রাটদের আমলে রাজপুতদের প্রতি উদারনীতি মোটামুটিভাবে অব্যাহত ছিল। তাদের শাসনকালেও বহু রাজপুত রাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তবে তাঁরা আকবরের ন্যায় ব্রাহ্মণবাদী হিন্দু সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করেন নি। তারা বৈবাহিক বন্ধন স্থাপন করে অথবা দ্বীন ইসলামকে পরিত্যাগ করে হিন্দুবাদকে উৎসাহ প্রদান করেন নি। আওরঙ্গজেব এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তাঁর শাসনকালের প্রথম ১২ বছর রাজপুতদের প্রতি উদারনীতি সন্দেহাতীতভাবে অব্যাহত ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে রাজপুতগণ উপমহাদেশে মুসলিম শাসন বিরোধী তৎপরতায় দিও হন। ফলে রাজপুত তথা হিন্দুদের প্রতি নীতির পরিবর্তনের প্রয়োজন অনুভূত হয়। তথাপি তিনি পূর্বেকার নীতি মূলত পরিবর্তন করেন নি
রাজত্বের ১৭তম বর্ষে আওরঙ্গজেব আকবর কর্তৃক জিজিয়া কর পুনঃপ্রবর্তন করেন। এ কর হিন্দুদের উপর অতিরিক্ত ভারস্বরূপ ছিল না। মুসলিম শাসনাধীনে অমুসলিমদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তার জন্য এবং সামরিক দায়িত্ব হতে অব্যাহতি লাভের বিপরীতে জিজিয়া আদায়ের নীতি বহু পূর্ব হতেই প্রচলিত ছিল। আওরঙ্গজেব কিছুতেই হিন্দুদের প্রতি অবিচার করেন নি। তাছাড়া আওরঙ্গজেবের শাসনামলে প্রাদেশিক শাসনকর্তা ও সেনাবাহিনীর অধিনায়কের ন্যায় উচ্চপদে ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে বহু হিন্দু রাজপুত নিয়োজিত ছিল। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ থাকা সত্ত্বেও আওরঙ্গজেব রাজা যশোবন্ত সিংহকে মার্জনা করে তাকে স্বপদে বহাল রেখেছিলেন এবং তার মৃত্যুর পর পুত্র অজিত সিংহকে মারওয়ারের রাজা বলে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। এসব পদক্ষেপ হতে প্রতীয়মান হয় যে, আওরঙ্গজেব রাজপুতদের সহযোগিতার প্রত্যাশী ছিলেন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সম্রাট আকবর তাঁর সুদীর্ঘ ৫০ বছরের (১৫৫৬-১৬০৫) রাজত্বকালে মহাপ্রতাপের সাথে ভারত শাসন করেন। এর মূলে ছিল রাজপুতনীতি। রাজপুতদের প্রভাব প্রতিপত্তিকে তিনি কূটনৈতিক প্রজ্ঞার মাধ্যমে নিজের আয়ত্বে আনেন। ঐতিহাসিক ভি. এ. স্মিথ বলেন, The Empire of Akbar was in fact the outcome of the co-ordination of Mughal prowess and diplomacy and Rajput valour and Service. (আকবরের সাম্রাজ্য মুঘলদের শক্তি ও কূটনীতির সাথে রাজপুতদের বীরত্ব ও নিষ্ঠাবান সেবার সমন্বয়ের ফলশ্রুতি।)

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]