পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ইতিহাস সংক্ষেপে বর্ণনা কর। (Describe Briefly the History of the Establishment of Pakistan.)

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান সৃষ্টি
The Creation of Pakistan in 1947
ভূমিকা Introduction
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় যেসব রাজনৈতিক দলের সমৃদ্ধ কার্যক্রম পূর্ববাংলায় চালু ছিল সেগুলো হচ্ছে মুসলিম লীগ, জাতীয় কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি ইত্যাদি। স্বাধীনতা লাভের পূর্বে অখণ্ড বাংলায় ক্ষমতায় মুসলমান অধিষ্ঠিত ছিল বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগ। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে এ দলটি ১১৯টি আসনের মধ্যে ১১৪টি আসনে জয়লাভ করে। বাকি ৫টি আসনে জয়লাভ করে ফজলুল হকের কৃষক-প্রজা পার্টি। ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনের পর অবিভক্ত বাংলার সরকার গঠন করেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। সোহরাওয়ার্দী মন্ত্রিপরিষদ গঠন করলে খাজা নাজিমুদ্দিন রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হন। ফলশ্রুতিতে সোহরাওয়ার্দী-আবুল হাশিমের অখন্ড বাংলা গঠনের এ প্রশ্নে ৫ আগস্ট ১৯৪৭ বঙ্গীয় মুসলিম লীগ পার্লামেন্টারি পার্টিতে যে ভোটাভুটি হয় তাতে খাজা নাজিমুদ্দিন পূর্ববাংলা প্রদেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন। মুসলিম লীগের সরকার বিরোধী অংশের নেতাকর্মীরা দেশভাগের পূর্বে এবং পরে কয়েকটি নতুন দল গঠন করে।
১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠিত এরূপ একটি সংগঠনটির নাম ছিল গণআজাদী লীগ (People's Feedom League)। এর আহ্বায়ক নিযুক্ত হয়েছিলেন কমরুদ্দিন আহমদ। কিন্তু এ দলটি তৎকালীন রাজনীতিতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করতে পারে নি। এর কারণ—
প্রথমত, আহ্বায়ক কমরুদ্দিন আহমদের কর্মবিমুখ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা, কারাগার-ভীতি ও ত্যাগী মনোভাবের অভাব;
দ্বিতীয়ত, সমগ্র দেশে উৎকট সাম্প্রদায়িক বিষাক্ত আবহাওয়া,
তৃতীয়ত, তদানীন্তন মুসলিম লীগ সরকারের কঠোর দমননীতি।
প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক সভ্যতা পর্যন্ত গোটা বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক-রাষ্ট্রনৈতিক পদক্ষেপ যা গৃহীত হয়ে আসছে তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাষা-সংস্কৃতি অথবা উৎপাদন-অর্থনৈতিক বিষয় বিচারে। অথচ পাকিস্তান সৃষ্টির পিছনে কাজ করেছে হিন্দু-মুসলিম নামক দ্বিজাতি তত্ত্ব। তাই এ রাষ্ট্র গঠনের সুফল থেকে বঞ্চিত হয় উৎপাদন অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি প্রত্যাশী জনগণ ।
১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের সম্মতিতেই উপমহাদেশ বিভক্ত হয়, যার প্রক্রিয়া আগেই শুরু হয়েছিল। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আপাতত দ্বিজাতি তত্ত্ব জয়ী হয়, যা ছিল ঐতিহাসিকভাবেই ভুল সিদ্ধান্ত।
পাকিস্তান সৃষ্টির পটভূমি
Background of Creation of Pakistan
ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসন অবসানের ফলে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ আগস্ট একটি মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয় । গোটা ঔপনিবেশিক শাসনের কালপর্বে বিশেষ আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির দরুন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বে ভারতের মুসলমানেরা একটি নিজস্ব রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তার কথা ভাবতে শুরু করে। কিন্তু কংগ্রেস দেশ বিভাগের সকল প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এবং একটি শক্তিশালী কেন্দ্র ও দায়িত্বশীল সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার প্রতি সমর্থন জানায়। তবে ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ক্রমেই জোরদার হয়ে উঠেছিল।
কখনো বলা হয় যে, পাকিস্তানের সূচনা হয়েছে ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে। এ সময় মুসলিম নেতৃবৃন্দ মুসলমানদের পৃথক নির্বাচনের দাবি তোলেন। এ দাবি ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে মর্লি-মিন্টো সংস্কার আইনে স্বীকার করে নেয়া হয়েছিল। ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দের লক্ষ্ণৌ চুক্তির মাধ্যমে কংগ্রেসও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং পরবর্তী নির্বাচনগুলো এ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। তবে উপমহাদেশের সর্বপ্রাচীন রাজনৈতিক দল যা পরবর্তীতে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দলে পরিণত হয় সেই কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা (১৮৮৫) এবং উপমহাদেশের মুসলমানদের স্বার্থ সংবলিত প্রথম রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা (১৯০৬), তাদের রাজনৈতিক আন্দোলন, ঔপনিবেশিক শাসনামলে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের অসম বিকাশ, ক্রমে দুটি রাজনৈতিক দলের বিপরীতমুখী অবস্থান, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্ব (১৯৪০), ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের লাহোর প্রস্তাব, ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ক্রিপস মিশন প্রস্তাবের ব্যর্থতা, ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিজয়, ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনার ব্যর্থতা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকারের উপমহাদেশ থেকে ঔপনিবেশিক শাসন গুটিয়ে নেয়ার ইচ্ছা, ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের অখণ্ড স্বাধীন বাংলার আন্দোলন, চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ জুলাই ব্রিটিশ সরকারের 'ভারত স্বাধীনতা আইন' পাসের মধ্য দিয়ে ভারত উপমহাদেশের বিভক্তি ত্বরান্বিত হয়। অবশেষে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান ও ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। আর এ পাকিস্তান প্রস্তাবটি করেছিলেন চৌধুরী রহমত আলী ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে ।
ক. শরৎচন্দ্র বসুর নীতিমালা (Policy of Sharatchandra Basu)
প্রাদেশিক মুসলিম লীগের উদ্যোগের প্রতি বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের প্রধান সুরেন্দ্রমোহন ঘোষ, কংগ্রেস পার্লামেন্টারি দলের কিরণ শঙ্কর রায় এবং ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা শরৎচন্দ্র বসু আশানুরূপ সাড়া দেন। ২৮ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত বাংলার হিন্দু-মসলমান নেতৃবৃন্দ যুক্তবাংলা প্রশ্নে বিভিন্ন বৈঠকে মিলিত হন। সে সময় গান্ধীজী কলকাতায় অবস্থান করেছিলেন। যুক্তবাংলার বিষয় নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে ৯ মে শরত্বসু একাই, ১০ মে শরত্বসু ও আবুল হাশিম, ১১ মে সোহরাওয়ার্দী ও ফজলুর রহমান এবং ১২ মে সোহরাওয়ার্দী, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী এবং আবুল হাশিম গান্ধীজীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধীজী তখন এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাই বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী নেতৃবর্গ তাঁর কাছে এসেছিলেন তাঁর সমর্থন আদায়ের উদ্দেশ্য। তিনি রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে স্বাধীন বাংলার বিষয়টি সুচতুরভাবে এড়িয়ে যান। তবে শরত্বসুকে একটি চিঠি লিখে আশ্বাস দেন যে, তিনি কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটিতে তাঁদের প্রস্তাব পৌঁছে দেবেন ।
গান্ধীজীর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাস না পেয়ে শরৎচন্দ্র বসু ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১২ মে একটি ছয় দফা নীতিমালা ঘোষণা করেন । নীতিমালায় উল্লিখিত হয় যে :
S. বাংলা হবে একটি সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী:
২. সংবিধান প্রণয়নের পর বাংলার আইন পরিষদ গঠিত হবে প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটে যৌথ নির্বাচনের মাধ্যমে;
এভাবে নির্বাচিত আইন পরিষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে যে, অবশিষ্ট ভারতবর্ষের সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক কী হবে; ৪. বর্তমান মুসলিম লীগ মন্ত্রিপরিষদ বিলুপ্ত করা হবে এবং তদস্থলে একটি সর্বদলীয় মধ্যবর্তী মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হবে;
বাংলার পাবলিক সার্ভিস বাঙালি দ্বারা গঠিত হবে এবং সেখানে হিন্দু-মুসলমানের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে;
৬. সংবিধান প্রণয়নের জন্য একটি অস্থায়ী গণপরিষদ গঠন করা হবে যার সদস্য সংখ্যা হবে ৬১ (৩১ জন মুসলমান
এবং ৩০ জন অমুসলামান)।
খ. শাসনতান্ত্রিক চুক্তির শর্তাবলি (Conditions of Administrative Agreement)
শরত্বসুর এ নীতিমালার অনুরূপ আরেকটি ঘোষণা সোহরাওয়ার্দী কর্তৃক ঘোষিত হয়েছিল। ১২ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী ও শরত্বসুর প্রস্তাবসমূহ নিয়ে বাঙালি হিন্দু-মুসলমান নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলতে থাকে। এসব আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী, মুসলিম লীগের প্রাদেশিক সেক্রেটারি আবুল হাশিম, বগুড়ার মোহাম্মদ
আলী (মন্ত্রী), ঢাকার ফজলুর রহমান (মন্ত্রী), বঙ্গীয় কংগ্রেস নেতা কিরণ শঙ্কর রায়, সত্যরঞ্জন বখশী ও ফরওয়ার্ড নেতা শরৎচন্দ্র বসু। নেতৃবৃন্দ ২০ মে শরত্চন্দ্র বসুর বাসায় এক সম্মেলনে বসে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলার শাস কাঠামোর খসড়া রচনা করেন।
এসব খসড়া চুক্তির শর্তসমূহ ছিল নিম্নরূপ :
বাংলা হবে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র। ভারতের অন্য অংশের সঙ্গে তার সম্পর্ক কী হবে তা এ স্বাধীন রাষ্ট্রে স্থির করবে:
২. হিন্দু ও মুসলমান জনসংখ্যার অনুপাতে আসন সংখ্যা বন্টন করে প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটে যৌথ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলা আইন পরিষদ গঠিত হবে। জনসংখ্যার অনুপাতে হিন্দু ও তফসিলি সম্প্রদায়ের মধ্যে স जय কान न হবে; অথবা তারা যেভাবে মেনে নেন সেভাবে আসন সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
স্বাধীন বাংলার এরূপ পরিকল্পনা ব্রিটিশ সরকার মেনে নিলে বা বাংলা ভাগ করা হবে না এরূপ ঘোষণা দিলে, বাংলার বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেজো দেয়া হবে এবং সে স্থলে একটি অন্তবর্তীকালীন गा হবে অন্তবর্তীকালীন মন্ত্রিসভার মুখ্যমন্ত্রীর পদ বাদে বাকি সদস্যপদ হিন্দু (তফসিলসহ) ও মুসলমান সম্প্রাদারের মধে সমান বণ্টন হবে। এ মন্ত্রিসভার মুখ্যমন্ত্রী হবেন একজন মুসলমান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন একজন হিন্দু
নতুন সংবিধান অনুযায়ী আইন পরিষদ ও মন্ত্রিসভা গঠন না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ বাঙালিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে এবং চাকরিতে সমানসংখ্যক বাঙালি হিন্দু ও মুসলমান নিয়োগ করা হবে।
বাংলার ভবিষ্যৎ সংবিধান রচনার জন্য যে গরু গঠিত হবে, সেই গণপরিষদে মোট ৩০
হবেন। তন্মধ্যে ১৬ জন মুসলমান ও ১৪ জন হিন্দু সদস্য হবেন। বর্তমান আইনসভার হিন্দু ও মুসলমান নেই উক্ত গণপরিষদের সদস্য নির্বাচন করবেন। গণপরিষদের সদস্য নির্বাচনকালে বর্তমান আইনসভার ইউরোপীয় সদস্যগণের কোনো ভোটাধিকার থাকবে না। এ দলিল প্রচারিত হবার পর বাঙালি-মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় বঙ্গীয় মুসলিম লীগের একটি গ্রুপ প্রকাশ্যে স্বাধীন অখণ্ড বাংলা প্রস্তাবের বিরোধিতা শুরু করে। এ গ্রুপে ছিলে মওলানা আকরম খাঁ, নূরুল আমিন, হামিদুল হক চৌধুরী প্রমুখ। তারা দিল্লি যাতায়াত শুরু করেন। লাহের
প্রস্তাবের দোহাই দিয়ে পত্রিকায় সোহরাওয়ার্দী ও হাশিম গ্রুপের বিরুদ্ধে নানারকম অপ্রচার শুরু করা হয় বাংলা কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তিনি যুক্তবাংলার বিরোধিতা করেন তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন যে, যেহেতু বিভাগ পরিকল্পনায় কলকাতাসহ পশ্চিমবাংলা ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া নিশ্চিত নয়, অতএব যুক্তবাংলার খপ্পরে পড়া হিন্দু-নেতৃবর্গের উচিত হবে না। ফলে শেষ পর্যন্ত যুক্তবাংলা পরিকল্পনার প্রতি শরৎচন্দ্র বসু এবং কিরণ শঙ্কর রায় ব্যতীত কোনো হিন্দু নেতার সমর্থন রইল না। অমৃতবাজার পত্রিকা প্রকাশ্যে যুক্তবাংলার বিরোধিত শুরু করে। হিন্দু মহাসভা বাংলা বিভাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
এমতাবস্থায় কেবল মুসলিম লীগ আন্দোলন করে বাংলা বিভাগ রোধ করতে পারত। কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগ হাইকমান্ড বাংলা প্রশ্নে এক নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করতে থাকে। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলার ভবিষ্যৎ বিষয়ে সোহরাওয়াদী-হাশিম গ্রুপের পরিকল্পনার প্রতি মৌন সমর্থন দিলেও কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগের একটি গ্রুপ বাংলা লীগের মওলানা আকরম- নাজিমুদি গ্রুপকে স্বাধীনবাংলা পরিকল্পনা বানচাল করার প্ররোচনা দিতে থাকে।
কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের এমন নীতির কথা বুঝতে পেরে চতুর মাউন্টব্যাটেন তাঁর ৩ জুন পরিকল্পনায় ঘোষণা করেন যে, কেবল কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে ঐকমত্য স্থাপিত হলেই তিনি বক্তাভজা রোধ করবেন, অন্যথায় নয়।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]