ভূমিকা ঃ ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের শুরু থেকে ভারতীয়রা বিভিন্ন দাবিতে একের পর এক আন্দোলনের ডাক দেন। ব্রিটিশ সরকার ভারতবাসীকে সাময়িকভাবে দমিয়ে রাখার জন্য একের পর এক আইন পাস করেন। কিন্তু কোন আইনে ভারতীয়দের আশা-আকাঙ্ক্ষার তেমন প্রতিফলন ঘটে নি। তাই এ ধরনের অবস্থায় ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের মাধ্যমে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তা বাস্তবায়িত না হলে ভারতীয় জনসমাজের মধ্যে অসন্তোষের মাত্রা বেড়ে যায়। এ অবস্থায় মুসলিম লীগ মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র আবাসভূমি গড়ে তোলার জন্য দাবি পেশ করেন। আর এ দারি
আদায়ের ক্ষেত্রে লাহোরে ১৯৪০ সালে যে প্রস্তাব পেশ করা হয় তা 'লাহোর প্রস্তাব' নামে খ্যাত।
লাহোর প্রস্তাবের প্রেক্ষাপট : ব্রিটিশ শাসনের শুরু থেকে ভারতীয়রা স্বায়ত্তশাসনের দাবি করে আসছিলেন। ভারতীয় জনসাধারণের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবির প্রতি লক্ষ করে ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের যুক্তরাষ্ট্রীয় অংশ বাদ দিয়ে প্রাদেশিক অংশ কার্যকরী করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এজন্য ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অধীনে ১৯৩৭ সালে প্রদেশসমূহের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ উভয়ে
অংশগ্রহণ করেন ।
কংগ্রেস ৬টি প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন এবং দুটি প্রদেশে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ৭টি প্রদেশে কংগ্রেস সরকার গঠন করেন কিন্তু কোথাও মুসলিম লীগের কোন সদস্যকে মন্ত্রিসভায় গ্রহণ করা হয় নি। অবিভক্ত বাংলা প্রদেশে কৃষক প্রজা পার্টির নেতা এ.কে ফজলুল হক কংগ্রেসের সাথে কোয়ালিশন করে সরকার গঠনের প্রস্তাব দিলেও তা প্রত্যাখ্যাত হয় এবং ফজলুল হক মুসলিম লীগের সাথে কোয়ালিশন করে সরকার গঠন করেন। ১৯৩৭ সালে জুন মাসে ৮টি প্রদেশে কংগ্রেস দল এককভাবে মন্ত্রিসভা গঠন করেন। অন্যদল থেকে মন্ত্রী গ্রহণ না করায় বিশেষ করে যুক্ত প্রদেশের মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে তিক্ততার সৃষ্টি হয় ।
কংগ্রেস শাসনকার্য পরিচালনা করার ক্ষেত্রে মুসলিম লীগ স্বার্থবিরোধী সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে শাসনকার্য পরিচালনা করতে শুরু করেন। আইন আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কংগ্রেসি পতাকা উত্তোলন করা হয়। বন্দে মাতরমকে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কংগ্রেস শাসিত প্রদেশসমূহে মুসলমানদের চাকরির ক্ষেত্রেও ন্যায্য অধিকার দেওয়া হয় নি।
এরপর শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও মুসলমানদের পিছিয়ে রাখার জন্য সকল বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। চরমপন্থি কংগ্রেস নেতাদের বৈষম্যমূলক আচরণ-এর প্রেক্ষিতে মুসলমান জনগণের মধ্যে এ ধারণা দৃঢ়মূল হয় যে, কংগ্রেস একটি হিন্দু সংগঠন এবং তা ভারতে হিন্দু রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যত। এছাড়া মুসলিম লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ তাঁর দ্বিজাতিতত্ত্ব উপস্থাপন করেন।
তাঁর এ দ্বিজাতিতত্ত্বে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন যে, ভারতবর্ষ একটি বিশাল আয়তন বিশিষ্ট দেশ। বহু জাতি, বহু ভাষাভাষী জনগণ নিয়ে এ উপমহাদেশ গঠিত। তিনি বলেছেন যে, মুসলমানরা একটি পৃথক জাতি, স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে তাদের একটি আবাসভূমি থাকা দরকার এবং একটি রাষ্ট্র থাকতে হবে। এছাড়া তিনি মত প্রকাশ করেন যে, জাতির যে কোন বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ভারতের মুসলমানগণ একটি পৃথক জাতি। সুতরাং মুসলমানদের একটি পৃথক রাষ্ট্র
থাকা প্রয়োজন ।
জিন্নাহর এ ঘোষণার পর থেকে স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে মুসলমানদের স্বাধীন আবাসভূমি স্থাপনের চিন্তাধারা শুরু হয়। অবশ্য ভারত উপমহাদেশে একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছা বহু পূর্ব থেকেই আল্লামা ইকবাল, চৌধুরী রহমত আলী ও আলীগড়ের অধ্যাপকবৃন্দ পোষণ করে আসছিলেন। ১৯৩০ সালে স্যার মুহাম্মদ ইকবাল
এলাহাবাদ অধিবেশনে তাঁর সভাপতির অভিভাষণে পাঞ্জাবের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, সিন্ধু ও বেলুচিস্তান নিয়ে একটি সার্বভৌম মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব করেছিলেন। এ সময় বিলেতে প্রবাসী পাঞ্জাবি ছাত্র চৌধুরী রহমত আলী উত্তর ভারতের মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করেন। তিনি এ রাষ্ট্রের নাম দেন পাকিস্তান। এ পাকিস্ত ান, পাঞ্জাব, আফগানিস্তান, কাশ্মীর, ইরান, সিন্ধু, তথারিস্তান ও বেলুচিস্তান নিয়ে গঠিত হবে বলা হয়। তিনি এ নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে পাকিস্তান নাম রচনা করেন।
১৯৪০ সালের মার্চ মাসে লাহোরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য দলীয় অধিবেশন আহ্বান করা হয়। ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত এ অধিবেশনেই লাহোর প্রস্তাব বা পাকিস্তান প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের এ অধিবেশনে সুচিন্তিত মত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত করা যাচ্ছে যে, কোন শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হলে লাহোর প্রস্তাবে বর্ণিত শর্তাবলির ভিত্তিতে করতে হবে। তা না হলে তা বাস্তবায়িত হবে না।
লাহোর প্রস্তাবের বৈশিষ্ট্য : ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবে বলা হয় যে, ভারতে কোন শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে না বা মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না, যদি তা নিম্নলিখিত মূলনীতির উপর ভিত্তি করে রচিত না
হয় । যথা ঃ
১. ভৌগোলিক সীমানা নির্ধারণ : লাহোর প্রস্তাবে বলা হয় যে, ভৌগোলিক এলাকা সংলগ্ন প্রদেশগুলোর সীমানা নির্ধারণ করে এদেরকে নিয়ে একাধিক অঞ্চল গঠন করতে হবে। যাতে উত্তর-পশ্চিম ও পূর্ব ভারতে অবস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোকে গোষ্ঠীবদ্ধ করে একাধিক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করা যায় এবং এ স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রদেশগুলো স্বায়ত্তশাসিত ও সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হয়।
২. ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় বিষয়ে গ্যারান্টি ঃ লাহোর প্রস্তাবে বলা হয় যে, সকল অঙ্গরাজ্যে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, শাসনসংক্রান্ত অধিকার রক্ষা করার নিমিত্তে ভারতের ভবিষ্যৎ সংবিধানে বিভিন্ন রক্ষাকবচের সুনির্দিষ্ট পন্থাসমূহের উল্লেখ থাকতে হবে ।
৩. মুসলমানদের স্বার্থরক্ষা : ভারতের যেসব অংশে মুসলমানরা সংখ্যালঘু তাদের এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শাসন সংক্রান্ত যাবতীয় অধিকারসমূহের সংরক্ষণের নির্দিষ্ট ব্যবস্থাসমূহের কথা শাসনতন্ত্রে উল্লেখ থাকতে হবে।
এছাড়াও এ, কে ফজলুল হক কর্তৃক উত্থাপিত এবং চৌধুরী খালেকুজ্জামান কর্তৃক সমর্থিত প্রস্তাবটি বিশ্লেষণ করলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো পাওয়া যায়। যথা :
ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী পাশাপাশি অবস্থিত এলাকাসমূহকে পৃথক অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। উত্তর-পশ্চিম ও পূর্ব ভারতের যেসব এলাকায় মুসলমানগণ সংখ্যাগরিষ্ঠ তাদের সমন্বয়ে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন
করতে হবে।
এ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলো সম্পূর্ণরূপে স্বায়ত্তশাসিত হবে।
সংখ্যালঘুদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত শাসনতান্ত্রিক গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে।
এছাড়া প্রস্তাবের আলোচনায় বলা যায় যে, ১৯৪০ সালের এ প্রস্তাবে ভারতের উত্তর-পশ্চিম, পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চলসমূহ এক রাষ্ট্র হবে নাকি একাধিক রাষ্ট্র হবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কিছু উল্লেখ ছিল না। তবে ভাষাগত বিশ্লেষণে বুঝা যায় যে, লাহোর প্রস্তাবে দুটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি করা হয়েছে- একটি উত্তর-পশ্চিম ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল এবং আরেকটি পূর্ব ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল।
লাহোর প্রস্তাবকে কি পাকিস্তান প্রস্তাব বলা যুক্তিযুক্ত : ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবকে পাকিস্তান প্রস্তাব বলা যায় কি না তা আলোচনার পূর্বে জানা দরকার এ প্রস্তাব কোন প্রস্তাবের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছিল। এতে দেখা যায়, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রথম দ্বিজাতিতত্ত্ব উত্থাপন করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন যে, মুসলমানরা একটি স্বতন্ত্র জাতি। তাই স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে একটি পৃথক আবাসভূমি থাকা দরকার। এ ধরনের ঘোষণা বা দাবিকে অনেকে গ্রহণ করতে পারেন নি।
তবে এর ফলে মুসলমানরা ভারতে একটি পৃথক জাতি হিসেবে ভাবতে শুরু করেন। লাহোর প্রস্তাব গ্রহণের পর মুসলিম লীগ তার অবস্থানকে সুদৃঢ় করার জন্য সচেষ্ট হন। ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগের সাফল্য এর প্রমাণ। এছাড়া দেখা যায়, ১৯৪৩ সালের পূর্ব পর্যন্ত জানা যায় যে, জিন্নাহ লাহোর প্রস্তাব বলতে একাধিক রাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করেছেন।
কিন্তু ১৯৪৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জিন্নাহ গান্ধীজির সাথে এক পত্রালাপে প্রথম প্রকাশ করেন যে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলো নিয়ে একটি মাত্র মুসলিম রাষ্ট্র গঠিত হবে। যা হোক ১৯৪৬ সালের ৯ এপ্রিল মুসলিম লীগ আইন প্রণেতাদের এক সম্মেলনে লাহোর প্রস্তাবকে চূড়ান্তভাবে সংশোধন করে এক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয় যে, উত্তর-পূর্ব বাংলা ও আসাম এবং উত্তর-পশ্চিমে পাঞ্জাব, সিন্ধু, উত্তর সীমান্ত প্রদেশ ও বেলুচিস্তানসহ যেখানে মুসলমানরা বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সেসব ভূখণ্ড নিয়ে একটি সার্বভৌম স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।
লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে এ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর মুসলমানদের চিন্তাধারায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয় । এটা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবে পরিণত হয়। তবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলমানদেরকে অনেক বাধাবিপত্তি
অতিক্রম করতে হয় ।
কারণ, ভারতীয় কংগ্রেস এর বিরোধিতা করেন। জহরলাল নেহেরু এ প্রস্তাবকে রাজনৈতিক দিক থেকে অসম্ভব এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে পাগলামি বলে বর্ণনা করেন। যা হোক মুসলিম লীগ দ্রুত লাহোর প্রস্তাবের পক্ষে ভারতীয় মুসলমানদের সমর্থন লাভ করে ভারত বিভক্তির মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হয়। অবশেষে অনেক বাধা অতিক্রম করে ১৯৪৭ সালে ১৪ আগস্ট পাকিস্তান সৃষ্টির মধ্য দিয়ে এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়। সুতরাং একে পাকিস্তান প্রস্তাব বলা যায় ।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগ নেতাদের প্রচেষ্টায় মুসলমানদের স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে স্বতন্ত্র আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার জন্য যে প্রস্তাব তা ছিল লাহোর প্রস্তাব। এ লাহোর প্রস্তাবের পূর্বের ভিত্তি বলা হয় জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বকে। যা হোক দ্বিজাতিতত্ত্বের আলোকে ব্রিটিশ সরকার ভারত বিভক্তি ঘটান। যদিও কংগ্রেস এর বিরোধিতা করেন। তবে বলা যায়, এ প্রস্তাব ছিল ভারত বিভক্তির মূল ভিত্তি। সন্দেহ করা হয় যে, যদি লাহোর প্রস্তাব পাস না হতো তাহলে হয়তো ইতিহাসের ধারা অন্যদিকে প্রবাহিত হতো।
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত