পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রথম গণপরিষদ কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল তা আলোচনা কর।

ভূমিকা ঃ বাংলা ও বাঙালিরা ছিলেন আদিকাল থেকে বিদেশী শক্তি কর্তৃক শোষিত। বাঙালিরা যুগ যুগ ধরে শুধু শোষিত হয়েছে। শাসন করার কথা কখনও ভাবতে পারে নি। তবে এ অবস্থার সাময়িক অবসান হয় ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির মাধ্যমে। কিন্তু '৪৭ এর পরবর্তীতে বাঙালি জনসাধারণ আর এক কুচক্রী মহলের হিগ্রে ধারায় পতিত হন। পাকিস্তানের এ শ্রেণির শাসন প্রক্রিয়া পাকিস্তানের স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণের কণ্ঠরোধ করার জন্য চক্রান্ত শুরু করেন। তবে পাকিস্তানের প্রথম সমস্যা দেখা দেয় গণপরিষদ গঠন নিয়ে।
সংবিধান প্রণয়নের সমস্যার প্রেক্ষাপট : ১৯৪৭ সালে 'দ্বিজাতি তত্ত্বের' ভিত্তিতে ভারত বিভক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান ছিল একটি অদ্ভুত রাষ্ট্র। এক হাজারেরও অধিক মাইল দূরত্বে মধ্যখানে ভারতীয় ভূখণ্ড দ্বারা বিভক্ত পূর্ন ও পশ্চিম পাকিস্তান নামে দুটি অংশ নিয়ে গঠিত ছিল এ রাষ্ট্র। পাখির ডানা সদৃশ এমন একটি রাষ্ট্র পৃথিবীর মানচিত্রে আর খুঁজে পাওয়া খুব কষ্টকর। দু'অঞ্চলের জলবায়ু, সমাজকাঠামো, উৎপাদন ব্যবস্থা, জনগণের ভাষা ও সংস্কৃতি, ইতিान, ঐতিহ্য, পোশাক-পরিচ্ছদ ও খাদ্যাভাস ইত্যাদিতে ছিল স্বাতন্ত্র্য। গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি, ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন এবং সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রের দৌরাত্ম ছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রের সাধারণ বৈশিষ্ট্য। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর একটি সংবিধান প্রণয়নে নানান জটিল সমস্যা দেখা দেয়। সংবিধান প্রণয়নের জন্য ১৯৪৭ সালে এক গণপরিষদ গঠন করা হয় (বাংলাদেশ : রাজনীতি সরকার ও শাসনতান্ত্রিক উন্নয়ন, প্রথম প্রকাশ ২০০১ পৃষ্ঠা ১৯৭)। এ গণপরিষদ ১৯৫৪ সালের ২৫ অক্টোবর গভর্নর জেনারেল কর্তৃক বাতিল ঘোষিত হয়। এরপর আদালতের হস্তক্ষেপের ফলে ১৯৫৫ সালে ২৯ মে দ্বিতীয় গণপরিষদ গঠিত হয়। এরপর ১৯৫৫ সালের ৭ জুলাই পশ্চিম পাকিস্তানের মারিতে দ্বিতীয় গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব পাকিস্তান থেকে ৪০ জন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ৪০ জন সদস্য নিয়ে এ গণপরিষদের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৮০ জনে। পাকিস্তানে এ গণপরিষদের সমঝোতা বৈঠকের মাধ্যমে প্রথম শাসনতন্ত্র রচিত হয়।
শাসনতন্ত্র রচনার ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যাবলি : পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর শাসনতন্ত্র রচনা নিয়ে বিরাট সমস্যা দেখা দেয়। নিম্নে সমস্যাসমূহ আলোচনা করা হল :
১. রাষ্ট্রীয় মূলনীতি বা আদর্শগত দ্বন্দ্ব : পাকিস্তান ছিল হিন্দু ও মুসলমান দুটি পৃথক সম্প্রদায়ের আবাসভূমি। পাকিস্তানের এ ধর্মীয় বিভেদ রাষ্ট্রীয় আন্দোলনের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছিল। পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল দ্বিজাতি তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে। কিন্তু পাকিস্তান বিভক্তির পর এর নেতৃত্ব চলে যায় পাশ্চাত্য চিন্তাচেতনা মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের হাতে। রাষ্ট্রের শাসনকর্তৃত্ব এ শ্রেণির হাতে চলে যাওয়ায় রাষ্ট্রীয় মূলনীতি বা আদর্শ নির্ধারণ নিয়ে টানাপড়েন দেখা দেয়। এক পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় আদর্শ ইসলাম হবে নাকি অন্যকিছু হবে? আলেম সম্প্রদায়ের অবদান কিরূপ হবে? তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। এ বিতর্কের অবসান হতে সময় লেগেছিল ।
২. রাষ্ট্র ও সরকারের প্রকৃতি নিয়ে বিতর্ক : পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর রাষ্ট্রের গঠন ও প্রকৃতি নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। রাষ্ট্রীয় ধন এককেন্দ্রিক হবে নাকি যুক্তরাষ্ট্রীয় হবে তা নিয়ে মতানৈক্য দেখা দেয়। তবে ১৯৫৬ সালের সংবিধানে যুক্তরাষ্ট্রীয় কারের প্রবর্তন করা হয়েছিল।
৩. সংবিধানের প্রকৃতি নিয়ে বিতর্ক : পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর কেন্দ্র ও প্রদেশের সাংবিধানিক কাঠামো কি হবে তা নিয়েও মতভেদ দেখা দেয়। পাকিস্তানে কেন্দ্রে কি এককক্ষবিশিষ্ট সরকার ব্যবস্থা প্রচলিত হবে না দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হবে তা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। এ ধরনের প্রশ্ন পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের গতিকে বাধাগ্রস্ত করেছিল।
৪. কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে ক্ষমতার বণ্টনে দ্বন্দ্ব : পাঞ্জাব, সিন্ধু, বেলুচিস্তান, উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ এবং পূর্ববাংলা এ পাঁচটি প্রদেশ নিয়ে পাকিস্তান গঠিত। পাকিস্তানের এ বিরাট ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যকে মেনে নিয়ে যদি যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয় তাহলেও সমস্যা থেকে যায়। কেন্দ্রে কি ধরনের সরকার কাঠামো থাকবে আর প্রদেশে কি ধরনের সরকার কাঠামো থাকবে এ নিয়ে দ্বন্দ্ব। এছাড়া সকল যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা যেহেতু এক ধরনের নয় সেহেতু কেন্দ্রে ও প্রদেশে সরকারের ক্ষমতার বিষয় নিয়েও সাংবিধানিক জটিলতা দেখা দেয়।
৫. কেন্দ্রীয় আইনসভায় প্রতিনিধি কটন নিয়ে বিতর্ক : পাকিস্তানে একাধিক প্রদেশের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আইনসভায় বিভিন্ন প্রদেশের প্রতিনিধিত্ব বণ্টন নিয়ে বড় রকমের বিতর্ক দেখা দেয়। এ ধরনের বিতর্ক সংবিধান প্রণয়নে বিতর্কের সূত্রপাত করেছিল ।
৬. নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক : পাকিস্তান সৃষ্টির পর নির্বাচন ব্যবস্থার রূপ নিয়েও বিতর্ক দেখা দেয়। নির্বাচন ব্যবস্থার রূপ কি হবে যুক্ত না পৃথক, সে বিষয়ে দীর্ঘ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। একপক্ষ মনে করেন, পাকিস্তানে মুসলমানরা যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার আর কোন আবশ্যকতা নেই। তাই তারা যুক্ত নির্বাচন ব্যবস্থার পক্ষে মতামত দেন। অন্যদিকে অপরপক্ষ দ্বিজাতিতত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রে আদর্শিক কারণে হলেও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন । ৭. সংখ্যালঘুদের অধিকার সংক্রান্ত বিষয় : পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর সংখ্যালঘুদের অধিকার সংক্রান্ত বিষয়েও মতভেদ লক্ষ্য করা যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্রে শতকরা প্রায় ১৫% সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ছিল। রাষ্ট্রে তাদের অধিকার ও ভূমিকা সম্পর্কেও গোলযোগ দেখা দেয় । ৮. রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে বিতর্ক : পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে বিতর্কের প্রথম সূত্রপাত হয়। পশ্চিমী কায়েমী চক্র প্রথম রাষ্ট্র ভাষা উর্দুর স্বপক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হবে এ ঘোষণা বাঙালির মর্মমূলে আঘাত হানে। তাই রাষ্ট্র ভাষা নিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যে মতভেদ ও দ্বন্দ্ব তা সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়ার উপর মারাত্মক আঘাত করেছিল।
৯. আমলাতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র : পাকিস্তানে সামরিক বেসামরিক আমলাতন্ত্র ছিল শক্তিশালী ও সংগঠিত । অন্যদিকে রাজনৈতিক দলসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান কাঠামো ছিল খুবই দুর্বল। এ ধরনের অবস্থায় আমলাতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন দলগুলোর মধ্যে মতভেদ দেখা দেয়। এ দ্বন্দ্ব সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করেছিল।
১০. গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা ও পদমর্যাদা নিয়ে বিরোধ : ১৯৪৭ সালের দেশ বিভক্তির পর গভর্নর জেনারেল পদের মর্যাদা কমে গেলেও পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল নিজেকে শাসনতান্ত্রিক প্রধান ও নামেমাত্র শাসক মনে না করে প্রকৃত শাসনকর্তার মর্যাদা দাবি করেন। ফলে শাসনতান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতার প্রশ্ন শাসনতান্ত্রিক জটিলতায় রূপ নেয়। তবে প্রথম গণপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা সীমিত করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় গণপরিষদে এটা বাতিল করা হয়।
১১. আইনসভা ও শাসন বিভাগের মধ্যে বিরোধ : পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর প্রথমে সংসদীয় শাসনব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। কিন্তু সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় আইনসভার কাছে শাসন বিভাগের জবাবদিহিতার ক্ষেত্র পরিষ্কার ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শাসনকার্যে আইনসভাকে এড়িয়ে চলে গভর্নর জেনারেলের সাথে বেশি যোগাযোগ রক্ষা করতেন। গভর্নর জেনারেল সবসময় আইন ও শাসন বিভাগকে পাশ কাটিয়ে চলতে পছন্দ করতেন। এর ফলে পাকিস্তানে আইন ও শাসন বিভাগের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
১২. সাংস্কৃতিক অমিল : পাকিস্তানের দু'অংশের জনসাধারণের মধ্যে সাংস্কৃতিক চর্চাগত পার্থক্য ছিল। কারণ, ধর্মীয় ভিন্নতা ও গোষ্ঠীগত ভিন্নতার জন্য সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা ছিল। এ সমস্যা সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে অনুভূত হয় । এছাড়া দু'অঞ্চলের জনসাধারণের জীবনযাত্রা ও আচার আচরণেও ভিন্নতা ছিল ।
১৩. নৈতিকতার অমিল : পাকিস্তানের জনসাধারণের মধ্যে নীতিগত পার্থক্যও পরিলক্ষিত হয়। পশ্চিমা জনসাধারণের নৈতিকতা, উদারতা ও পূর্বাংশের জনসাধারণের সাথে কোন অংশে মিল ছিল না। পশ্চিমারা ছিলেন রক্ষণশীল, সংকীর্ণমনা ও ধর্মান্ধ। অন্যদিকে বাঙালি জনগণ ছিল পাকিস্তানিদের তুলনায় উদার ও প্রগতিশীল। এ উভয় অঞ্চলের জনগণের নৈতিকতার বিরোধ সংবিধান প্রণয়নে সমস্যার সৃষ্টি করেছিল। ১৪. উদ্বাস্তু সমস্যা : পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর হাজার হাজার মুহাজির মুসলমান পাকিস্তা েআগমন করেন। এ মুসলমানদের পাকিস্তানে হিজরতের ফলে উদ্বাস্তু সমস্যা দেখা দেয়। এ উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে সংবিধান প্রণেতাদের অনেকটা মাথা ঘামাতে হয় ।
১৫. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর অকালমৃত্যু : পাকিস্তানের রাজনীতিতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর অকালমৃত্যু পাকিস্তানে সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করেছিল। তাঁর অকালমৃত্যুতে সংবিধান প্রণেতারা অনেকটা সমস্যায় পড়ে যায় ।
১৬. শাসনতান্ত্রিক জটিলতা : পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর উভয় অঞ্চলের জনসাধারণের জন্য শিক্ষাদীক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে কি ধরনের ব্যবধান হবে তা নিয়েও সংবিধান প্রণেতাদের সময় ব্যয় করতে হয়। তবে তখন সংখ্যানুপাতে সরকারি চাকরিতে পূর্ব পাকিস্তানিদের অবস্থান ছিল খুবই কম ।
উপসংহার : অতএব, পাকিস্তান রাষ্ট্র মূলত দ্বিজাতি তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে বিভক্ত হয়েছিল। আর পাকিস্তান বিভক্তির পর এ জাতিগত ভিন্নতা সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করেছিল। তবে পাকিস্তানের ১৯৪৭ থেকে প্রথম '৫৬ এর সংবিধান প্রণয়নের পূর্বাবধি একাধিক বিষয় সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করেছিল। কারণ, পাকিস্তান তখন নতুন একটি রাষ্ট্র হিসেবে এ সমস্যায় পতিত হয়। তবে এ সমস্যা অস্বাভাবিক ছিল না। সাধারণ নিয়মের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]