আইয়ুব খানের শাসনামলের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর । (Discuss the Characteristics of Military Rule of Ayub Khan.)

আইয়ুব খানের ক্ষমতা দখল ও শাসনের বৈশিষ্ট্য (রাজনৈতিক নিপীড়ন, মৌলিক গণতন্ত্র, ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার) Ayub Khan's Rise to Power and Characteristics of His Rule ( Political Repression, Basic Democracy, Islamisation)
ভূমিকা Introduction
১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ৭ অক্টোবর রাত ১০.৩০ মিনিটে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা সামরিক বাহিনীর সহায়তায় মালিক ফিরোজ খান নুন-এর সংসদীয় সরকারকে উৎখাত করে পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করেন। তিনি উক্ত ৭ অক্টোবরের ফরমান বলে পাকিস্তান সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আইয়ুব খানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করেন ।
২৭ অক্টোবর জেনারেল আইয়ুব খান প্রেসিডেন্ট মির্জাকে উৎখাত করে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেন। ২৮ অক্টোবর আইয়ুব খান এক সরকারি আদেশ জারির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন এবং নিজে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করা হয়। এভাবে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটে। আইয়ুব খান ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের সামরিক আইন জারি করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ও সংসদীয় শাসনব্যবস্থার বিলোপ সাধন করেন। তিনি নিজের হাতে সকল নির্বাহী ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতা গ্রহণ করেন । এমনকি প্রাদেশিক সরকারের উপরও তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সামরিক শাসনামলে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ থাকে। দুর্নীতি দমনের নামে দেশের অনেক জনপ্রিয় ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতার ওপর উৎপীড়নমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় । মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে আইয়ুব খান নিজস্ব অনুগত বাহিনী গঠন করেন-যা দেশের কোনো কল্যাণ সাধন করতে পারেনি
আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলের ৪৪ মাসে তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো আন্দোলন সংঘটিত হয়নি, কিংবা কোনো বক্তব্য-বিবৃতি উচ্চারিত হয়নি। তবে পরোক্ষভাবে ছাত্র, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং কিছু রাজনীতিবিদ নানান কৌশলে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।
আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বৈশিষ্ট্য
Characteristics of Ayub Khan's Martial Law
যেকোনো দেশে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া বাতিল করে। নিম্নে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো-
১. সমর্থনের ভিত্তি তৈরি (Creating the Basement for Support) : রাজনীতিবিদ এবং সংসদীয় প্রক্রিয়াকে ঘৃণা করতে অভ্যস্ত আইয়ুব খান বেসামরিক আবরণের অন্তরালে সামরিক বাহিনীর সমন্বয়ে তাঁর শাসনের লৌহকাঠামো গঠন করে । অদক্ষতা এবং দুর্নীতি নির্মূল করার জন্য তিনি কিছু লোকদেখানো পদক্ষেপ নেন ।
সংস্কারক হিসেবে নিজেকে প্রমাণিত করার চেষ্টা (Try to Proof Himself as a Reformist) : আইয়ুব নিজেকে একজন সংস্কারক হিসেবে তুলে ধরেন এবং স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অজুহাত দেখান। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস, আইনগত ও সাংবিধানিক সংস্কার এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্গঠনের জন্য তিনি কিছু নির্বাচিত কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
৩. জাতি গঠনের কাজে মনোনিবেশ (Attention to the Work of Nation Building) : ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই আইয়ুব খান পূর্ব পাকিস্তানে আসেন এবং নতুনভাবে জাতি গঠনের কাজ শুরু করবেন বলে ওয়াদা করেন। আইয়ূব
খানের মতে, জাতি গঠনের কাজ ছিল দু'ধরনের—
ক. আঞ্চলিক দূরত্ব কমিয়ে আনা (To Reduce the Gap of Regional Separation) এবং অভিজাত শ্রেণি ও জনগণের মধ্যকার দূরত্ব হ্রাস করা (To Reduce the Elite Mass Division)।
৪. বাঙালি সামরিক সদস্য বৃদ্ধি (Increasing Military Member from Bengali) : ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতের সাথে যুদ্ধের পর অধিক সংখ্যক বাঙালি আকর্ষণে পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর দৃশ্যমান প্রয়াসের অংশ হিসেবে উচ্চ
৬ মাপকাঠি ন্যূনতম ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি থেকে হ্রাস করে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চিতে নামানো হয়।
৫. সামরিক প্রতিষ্ঠানের বিকাশ (Development of Military Institution) : পাক-ভারত যুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্ত অপর্যান্ত প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ব্যাপারে বর্ধিত ক্ষোভের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষ গণচীনের সহায়তায় ঢাকার অদূরে একটি সমরাস্ত্র কারখানা নির্মাণ ছাড়াও (যা ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে আংশিক উৎপাদনে যায়) দুটি ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করে। পোডো এবং এবডো (PODO and EBDO) : রাজনীতিবিদদের কোণঠাসা করে রাখতে আইয়ুব খান কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ৭ অক্টোবর জারিকৃত 'দি পাবলিক অফিস ডিসকোয়ালিফিকেশন অর্ডার' (পোডো) এবং ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ৭ অক্টোবর জারিকৃত 'দি ইলেকটিভ বডিস ডিসকোয়ালিফিকেশন অর্ডিন্যান্স' (এবডো) অনুযায়ী পর পাকিস্তানের প্রায় ৩,৯৭৮ জন এবং পশ্চিম পাকিস্তানের ৩,০০০ ব্যক্তিকে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে অপসারণ করা হয়। তাছাড়া এর মাধ্যমে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের ৮৭ জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে অভিযুক্ত করা হয়।
৭ পাকিস্তানি ভাষা তৈরির চেষ্টা (Try to Create Pakistani Language) : ১৯৬৮ এর ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার নজরুল একাডেমির এক অনুষ্ঠানে এবং পরে অক্টোবর মাসে অপর এক অনুষ্ঠানে আইয়ুব খান আশা প্রকাশ করেন যে, ইসলামের ভিত্তিতে তাঁর দেশবাসী একটি ‘মহান পাকিস্তানি ভাষা' তৈরি করতে পারবে।
৮. হেবিয়াস কর্পাস রীট (Writ of Habeas Corpus) : ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে রাজনৈতিক বন্দীদের নামে হেবিয়াস ক
বন্দী প্রদর্শন রীট মামলা দায়ের করা হয় এবং ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দীতে গ্রেফতার করা হয় ৷
প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স অধ্যাদেশ সংশোধন (Amendment of Press and Publications Ordinance) : আমরা ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স অধ্যাদেশ সংশোধন করা হয়, যাতে কী কী অবস্থায় সংবাদপত্র ও অন্যান্য প্রকাশনা বন্ধ অথবা বাজেয়াপ্ত করা যাবে তা সুনির্দিষ্ট করা হয়।
১০. শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর আঘাত (Threat to Education System) : আইয়ুব খানের সামরিক শাসন জারির সঙ্গে সঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা সচিব মোহাম্মদ শরীফের নেতৃত্বে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়। কমিশন দুটি সুস্পষ্ট সুপারিশ করেছিল। (১) সব রকমের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ এবং (২) শিক্ষা সংকোচন ।
১১. বিরোধীদের কণ্ঠরোধ (Suppress the Voice of Opposition) : একদিকে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা এবং অন্যদিকে আইয়ুব খান বাস্তবেই প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রদানের ব্যাপারে আগ্রহী এ ধারণা দেওয়ার দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করে। স্পষ্টতই এসব লোকদেখানো পদক্ষেপের লক্ষ্য ছিল বিরোধীদের মনে আস্থার মনোভাব সৃষ্টি করা, যাতে শাসকগোষ্ঠীকে প্রদেশগুলোর প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন মনে হয়। ১৯৬৪-'৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ৫০০-এর অধিক বিরোধী রাজনীতিককে গ্রেপ্তার করা হয় ।
১২. সংবিধান প্রণয়ন (Creation of Constitution) : লাগামহীন ক্ষমতার মঞ্চে অধিষ্ঠিত থেকে ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ১ মার্চ আইয়ুব খান একটি সংবিধান প্রণয়ন করেন, যা ঐ বছরের ৮ জুন কার্যকর হয়। ঐ সংবিধান ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকে।
১৩. কমিউনিস্টদের বিরোধিতা (Opposition to Communists) : কংগ্রেস পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিরোধী ছিল, কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর শাসক মুসলিম লীগ কংগ্রেসকে প্রধান শত্রু মনে করে-নি। পাকিস্তানে কংগ্রেস কখনোই নিষিদ্ধ হয় নি। ছেষট্টিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ছয়দফা দাবি উত্থাপন করে। তবে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান ম্যানচেস্টারে গৃহীত একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারের ছয়দফা আন্দোলনকে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্টদের ইঙ্গিতে পরিচালিত বৃহত্তর বাংলা গঠনের আন্দোলন বলে চিহ্নিত করেন।
১৪. ভোটাধিকার হরণ (Robbing of Voting Rights) : একটি ১৫৬ সদস্যবিশিষ্ট ক্ষুদ্রাকৃতির জাতীয় কাউন্সিল, যা
উত্তর প্রদেশের মধ্যে সমানভাবে বিভক্ত ছিল। এ খর্বাকৃতির আইনসভাটি সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হতো না।
১৫. মৌলিক গণতন্ত্ৰ প্ৰবৰ্ত্তন (Inauguration of Basic Democracy) : ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের 'দি বেসিক ডেমোক্রেসিস অডার মোতাবেক পাঁচ বিশিষ্ট একটি কাঠামো নির্মাণ করা হয়। এর নিম্নতম স্তর ইউনিয়ন কাউন্সিল ছিল ১০ জান প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সদস্য দ্বারা গঠিত, আর উচ্চতর ধাপের প্রতিষ্ঠান থানা, জেলা এবং বিভাগীয় কাউন্সিল গঠনের জন্য নির্বাচকমণ্ডলী হিসেবে কাজ করতো।
১৬. রাজনৈতিক দলবিধি জারি (Political Parties Ordnance) : নির্বাচন শেষে ৮ জুন ১৯৬২ প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান সামরিক শাসন প্রত্যাহার করে নেন। সামরিক শাসন প্রত্যাহার করার পর ছাত্র আন্দোলনের গতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর গণআন্দোলন আরও ত্বরান্বিত হবে ভেবে সরকার রাজনৈতিক দলবিধি (Political Parties Ordinance) জারি করেন। ফলে রাজনীতিবিদরা তাদের ইচ্ছামতো কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়া থেকে বঞ্চিত হন। ১৭. বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন খর্ব (Reducing Autonomy of University ) : আইয়ুব খান ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে কয়েকটি আইন এবং অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন খর্ব করেন। যখন সংবিধানের একজন প্রণেতা মনজুর কাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সফরে আসেন, তখন জঙ্গি ছাত্রদের হাতে প্রহৃত হওয়ার উপক্রম হলে তিনি পালিয়ে যান।
নির্বাচন (Election) : নতুন সংবিধানের অধীনে পাকিস্তানে ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিলের শেষে জাতীয় কাউন্সিল এবং ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ মে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ কর্তৃক সংবিধানের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচন সাধারণভাবে বর্জন করা হয়নি।
১৯. মুসলিম লীগের ভাঙন (Breaking of Muslim League) : ৬ মাসের অধিককাল আটক রাখার পর ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ আগস্ট সোহরাওয়ার্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাঁর মুক্তির পর ৬ সপ্তাহের মধ্যেই লাহোরে বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে সোহরাওয়ার্দী জাতীয় 'গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট' গঠনের ঘোষণা দেয়। আইয়ুব খান ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে তাঁর নিজের নির্বাচন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে তিনি মুসলিম লীগকে বিভক্ত করার ব্যবস্থা করেন এবং এর এক অংশের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মুসলিম লীগের এ অংশটি কনভেনশন মুসলিম লীগ নামে পরিচিত হয় ।
২০. রাজনীতি থেকে সোহরাওয়ার্দীকে নির্বাসন (Exile of Sohrawardi from Politics) : সোহরাওয়ার্দীকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে আইয়ুব খান ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জানুয়ারি এক অধ্যাদেশ জারি করেন, যাতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে বারণ করা হয়। এ কড়াকড়ি আরোপের পেরিপ্রেক্ষিতে সোহরাওয়ার্দী স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে যান।
২১. আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা (Agortola Conspiracy Case) : একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক চিন্তাবিদ বা তাত্ত্বিক না হয়েও শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন শক্তিশালী বক্তা যিনি জনগণের আবেগকে আন্দোলিত করতে পারতেন এবং তাঁর সাংগঠনিক গুণাবলি ছিল অসাধারণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ ধরনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করেন । ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের গণঅভ্যুত্থানই আইয়ুব খানের পতন ঘটায়। পূর্ব বাংলার মানুষই ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে 'মৌলিক গণতন্ত্র'-এর কবর রচনা করে ।
উপসংহারে বলা যায় যে, আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলে অত্যাচার, নির্যাতন ও মানবাধিকার লংঘন এত বেশি ছিল যার ফলে তাঁর শাসনামলকে সবাই ঘৃণার চোখে দেখত। কারণ, তাঁর শাসনামলে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি নির্যাতনের মাত্রা চরম আকার ধারণ করে। অবশেষে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁর শাসনের অবসান ঘটে।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]