১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের শিক্ষা কমিশন (The Education Commission of 1962)

ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার ও ১৯৬২-এর শিক্ষা কমিশন Political Use of Religion and Education Commission of 1962
ক. ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার (Politicization of Religion)
আইয়ুব খানের সামরিক স্বৈরাচারের সময়কালে ধর্মকে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যথেচ্ছা ব্যবহারের প্রচেষ্টা চালানো হয়। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে ক্ষমতা দখলের পর ৩১ ডিসেম্বর আইয়ুব খান পাকিস্তানের সব ভাষাগুলোর জন্য রোমান হরফ এবং একটি অভিন্ন ভাষা সৃষ্টির প্রস্তাব করেন। জেনারেল আইয়ুব খান এক ধর্ম, এক ভাষা, এক সংস্কৃতি ও অভিন্ন ঐতিহ্য গড়ে তোলার প্রয়াস চালানোর মাধ্যমে ধর্ম ও সংস্কৃতির ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করতে চেয়েছিলেন। এ লক্ষ্যে তিনি একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। বাংলা একাডেমিকেও এ কাজে ব্যবহার করা হয়। আইয়ুবের দর্শনকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে 'শিক্ষা কমিশন' এবং 'বাংলা একাডেমি' রোমান হরফের প্রবর্তন, বাংলা বর্ণমালা সংস্কার, বিভিন্ন প্রদেশে উর্দু বাধ্যতামূলক শিক্ষা ইত্যাদি তুঘলকি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। আইয়ুব আমলে ভাষা সাহিত্যের ধর্মীয়করণের প্রচেষ্টাও অব্যাহত থাকে। আইয়ুবের অনুসারী কবি সাহিত্যিকরা এসময় মৌলিক সাহিত্যকর্মেরও সংস্কার শুরু করেন। কবি-নজরুলের বিখ্যাত কবিতা 'চল চল চল'এর 'নব নবীনের গাহিয়া গান, সজীব করিব মহাশ্মশান' চরণটি আংশিক সংশোধন করে তারা লিখেন ‘সজীব করিব গোরস্থান।"
এ সময় জনপ্রিয় ছড়া-
'সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি।'
এটিকে ইসলামি রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হয়। চরণ দুটি পরিবর্তিত করে লেখা হয়—
‘ফজরে উঠিয়া আমি দিলে দিলে বলি
সারা দিন আমি যেন নেক হয়ে চলি ।'
এ সময় ছাত্রছাত্রীদের পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রেও তথাকথিত মুসলমানিত্ব আনার চেষ্টা করা হয়। যে সব ছাত্রী কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কপালে টিপ দিয়ে যেত তাদের বহিষ্কার করা হতো।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীরা পাকিস্তানের জাতীয় সংহতি এবং ইসলামি আদর্শকে সর্বদা অভিন্ন জ্ঞান করতেন। আইয়ুবও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না। ভাষা ও সংস্কৃতির ইসলামিকরণের মাধ্যমে পাকিস্তানের জাতীয় ঐক্য ও সংহতি রক্ষায় ব্যর্থ প্রচেষ্টা আইয়ুব আমলে সর্বাধিক গৃহীত হয়। পাকিস্তান লেখক সংঘের প্রতিষ্ঠা ছিল এরূপ উদ্যোগের ফসল। ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বরে কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে। এ সময় বিভিন্ন লেখক ও শিল্পীগোষ্ঠী তাদের সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে 'জিহাদি চেতনা' জাগিয়ে তোলার প্রয়াস পায়। রেডিও পাকিস্তানও এসময় সাম্প্রদায়িক চেতনা জাগিয়ে তুলতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করে। আইয়ুবের সামরিক সরকার এরূপ কর্মকাণ্ডকে ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করে এবং যুদ্ধের পরও তা টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। তার উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা। এ লক্ষ্যে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাস থেকে রেডিও পাকিস্তানের নতুন দিকনির্দেশিকা গৃহীত হয় এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি আদর্শ প্রতিফলনের নির্দেশ দেয়া হয়। এ সময় রেডিও পাকিস্তান ইসলামকে শক্তি এবং কুরআন সুন্নাহকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তিজীবনের দিশারি হিসেবে উল্লেখ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করে। যুদ্ধের সময় রবীন্দ্র সংগীত প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয় এবং এ নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকে । তবে রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে সবচেয়ে বড় বিতর্ক দেখা দেয় ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে। এ সময় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে- পূর্ব বাংলার সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গ নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ক্রমান্বয়ে এ বিতর্ক রাজপথে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জুন সরকারি দলের নেতা খান এ সবুর প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। তাঁর বক্তব্যের সারকথা ছিল, রবীন্দ্র জয়ন্তী উদ্‌যাপনের দেশ বিভাগপূর্ব সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার অশুভ তৎপরতা চলছে এবং ইসলামি আদর্শের ওপর প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানের ভিত্তিমূলে আঘাত হানা হচ্ছে। ২২ জুন একজন সদস্যের প্রশ্নের উত্তরে তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী খাজা শাহাবুদ্দীন রবীন্দ্র সংগীত প্রচারের সময় কমিয়ে দেয়া এবং পাকিস্তানের আদর্শ বিরোধী কবির গ্রন্থসমূহ নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেন। এ নিয়ে জাতীয় পরিষদে তুমুল বিতর্ক হয়। খাজা শাহাবুদ্দীনের এ ঘোষণাকে বিরোধী বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। এসময় সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের কেন্দ্র করে সাহিত্য সংস্কৃতি অঙ্গন প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। এমনকি এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পাকিস্তানে সরকার আন্দোলনের মুখে ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জুলাই তথ্যমন্ত্রী তাঁর পূর্ববর্তী ঘোষণা প্রত্যাহার করে নেয়। এভাবেই আইয়ুব সরকারের আমলে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিভিন্নভাবে ধর্মের অপব্যবহার করা হয়। কিন্তু কোনো স্বৈরশাসকই শেষপর্যন্ত কোনো কৌশলে যীয় ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে পারে না। আইয়ুব সরকারও পারেনি। অবশেষে
১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে এক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আইয়ুবের স্বৈরশাসনের অবসান হয়। পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে ঐ কাবার মাধ্যম হিসেবে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার শুরু করেন। আইয়ুব খান রাজনৈতিক দলে বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি এর পেছনে যুক্তি হিসেবে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা) এর আমলের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, 'তিনি ছিলেন সফল শাসক, অথচ তাঁর কোনো দল ছিল না, ছিল উপদেষ্টা পরিষদ। দলীয় অবস্থান থাকলে জনকল্যাণ নিঃস্বার্থভাবে করা যায় না বলে তিনি বিশ্বাস করতেন।' ইসলামের নির্বাচন পদ্ধতি তুলে ধরে বলেন,
'সেখানে দলীয় টিকেট নয়, জনগণের প্রয়োজনে খলিফা নির্বাচিত হতেন।' ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ জুন লাহোরে প্রদত্ত এক বক্তৃতায় তিনি 'মৌলিক গণআ'-কে ইসলাম সম্মত উল্লেখ করে বলেন, This is the real Islamic Method of Election' তিনি আরও বলেন, 'মৌলিক গণতন্ত্রের পেছনে তার প্রেরণা হচ্ছে ইসলাম' ।
আইয়ুব খান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও তাঁর মুসলিম লীগের সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা ও হঠকারিতার উত্তরাধিকার পুরোপুরিই ধারণ করতেন। বাংলা ভাষাকে হিন্দুর ভাষা ও পাকিস্তানের জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করেন। তিনি মনে করেন দুটো জাতীয় ভাষা থাকলে পাকিস্তানিরা কখনো এক জাতিতে পরিণত হবে না। সুতরাং জাতীয় ঐক্য ও সংহতির প্রয়োজনে পাকিস্তানে একটি সাধারণ ভাষা থাকতে হবে। ফলে বাংলা ও উর্দুর মিশ্রণে একটি নতুন ভাষা তৈরি করতে হবে যা লিখতে হবে রোমান বর্ণমালায়। কিন্তু বাঙালিদের তীব্র প্রতিরোধে তা করতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে করাচিতে তিনদিনব্যাপি বিভিন্ন ভাষার সাহিত্যসেবীদের এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে আইয়ুব খান পাকিস্তানের সংহতি ও ইসলামের আদর্শকে সাহিত্যের বিষয়বস্তু করতে লেখকদের উপদেশ দেন ।
খ. ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের শিক্ষা কমিশন (The Education Commission of 1962)
শিক্ষা কমিশন গঠন (Formulation of Education Commission)
একটি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ৫ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান শিক্ষা সচিব ও আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক এস.এম. শরিফকে চেয়ারম্যান করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিশন গঠন করেন। এটি ‘শরিফ শিক্ষা কমিশন' নামে খ্যাত। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে শরিফ কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ পায় এবং সরকার- এর সুপারিশ বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করে। চলমান আইয়ুব বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একটি নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংযোজিত হয়।
শিক্ষা কমিশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য (Aims and Objectives of Education Commission)
শিক্ষা হচ্ছে মানব মনের আশানুরূপ পরিবর্তন। যদি Education is the desirable change in human mind হয় তাহলে অবশ্য মানুষ, সমাজ আর রাষ্ট্রের কল্যাণেই-এর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হওয়া উচিত। দেশের মানুষের কল্যাণে, সমাজের কল্যাণে আর কল্যাণমুখী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উন্নয়নেই শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে তোলা প্রয়োজন। যে কোনো শিক্ষা কমিশনের মৌলিক ধারণাই হচ্ছে ব্যক্তিক, সামাজিক আর রাষ্ট্রীয় কল্যাণের অনুকূলে শিক্ষা কাঠামো আর কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ প্রদানকারী একটি বিশেষ কমিটি এবং-এর প্রণীত সুপারিশ মালা। সেই অর্থে ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ৫ জানুয়ারিতে গঠিত কমিশনের সুপারিশ প্রণীত হলেই ব্যক্তিগত, সামাজিক আর রাষ্ট্রীয় কল্যাণ হতো। আসলে ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ আগষ্ট দাখিলকৃত শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টটি ছিল পাকিস্তানি সামরিক শাসক আর পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণকে খুশি করার অপচেষ্টা মাত্র। এ রিপোর্টটির মর্মকথা বাঙালি জাতি, বাঙালি সংস্কৃতি আর বাংলা ভাষাকে কোণঠাসা করার আমলাতান্ত্রিক চক্রান্ত। আর এ কারণেই সূচিত হয়েছিল বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন।
কমিশনের সুপারিশ (Recommendation of the Commission)
শরিফ কমিশন রিপোর্টে যা বলা হয় সংক্ষেপে তা হচ্ছে এরূপ :

৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত ইংরেজি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা।
ইংরেজির পাশাপাশি উর্দুকে জনগণের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
0
জাতীয় ভাষার জন্য আরবি বর্ণমালা প্রবর্তন করা হবে।
8
শিক্ষার ৮০ শতাংশ ব্যয় বহন করবে ছাত্র আর ২০ শতাংশ ব্যয় বহন করবে সরকার।

প্রতি সেশন বা বছর সমাপ্তির পর কেন্দ্রীয়ভাবে একটি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।

পাস কোর্স ও অনার্স কোর্সের সময়কাল একই অর্থাৎ ৩ বছর করা হবে।
৭. মাস্টার্স কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে সে বিষয়ে ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।
শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন (Student Movement against Education commission)
অনেকগুলো কারণের মধ্যে প্রধানত শরিফ শিক্ষা কমিশন রিপোর্টকে কেন্দ্র করে ১৯৬২ আইয়ুব শাসন বিরোধী ছাত্র আন্দোলন গড়ে ওঠে যা বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন নামে অভিহিত হয়ে আছে। সর্বপ্রথম ঢাকা কলেজের ছাত্ররা এ কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। তারা 'ডিগ্রি স্টুডেন্ট ফোরাম' নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতৃবৃন্দ এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হলে ডিগ্রি স্টুডেন্ট ফোরাম 'ইস্ট পাকিস্তান স্টুডেন্ট ফোরামে' রূপান্তরিত হয়। পরবর্তীতে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ নেতৃত্বের হাতে আন্দোলনের নেতৃত্ব চলে যায়। ১০ আগস্ট ঢাকা কলেজের ক্যান্টিনে স্নাতক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্ররা সমাবেশে মিলিত হয়ে ১৫ আগস্ট সারাদেশে ধর্মঘট এবং ১০ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দেয়। কর্মসূচি অনুযায়ী ১৫ আগস্ট দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট এবং ঐ দিন থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্ররা হরতাল আহ্বান করে। ঐ দিন ছাত্রজনতার মিছিলে পুলিশের গুলিতে ঢাকায় কয়েকজন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জন আহত হয়। ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ফলশ্রুতিতে আন্দোলন চট্টগ্রাম, যশোর, ফরিদপুর, খুলনা প্রভৃতি জেলা শহরে ছড়িয়ে পড়ে। ১৭ সেপ্টেম্বরের ঘটনা ছাত্র আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তোলে। ৩ দিন ব্যাপী শোকের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর পল্টন ময়দানে এক সর্বদলীয় ছাত্র জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর সেপ্টেম্বর মাসেই সরকার ‘শরিফ শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট' বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। একই সাথে সরকার ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দের জন্য যেসব ছাত্র স্নাতক পাস পরীক্ষার্থী ছিল তাদের পরীক্ষা ছাড়া ডিগ্রি প্রদানের ঘোষণা দেয়। উল্লিখিত সরকারি ঘোষণার পর ছাত্র আন্দোলন ক্রমান্বয়ে স্তিমিত হয়ে পড়ে ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]