বাঙালি জাতীয়তাবাদের উৎপত্তি ও বিকাশধারা আলোচনা কর। (Discuss the Origin and Evolution of Bangali Nationalism.)

সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও বাঙালি সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবন
Resistance Against Cultural Aggression and Resurgence of Bengali Culture
ভূমিকা Introduction
পাকিস্তানি শাসকশ্রেণি চেয়েছিল বাঙালি জাতির ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার মাধ্যমে বাঙালিদের মূর্খ রেখে এ অঞ্চলে তাদের ঔপনিবেশিক শাসনকে পাকাপোক্ত করতে। তাই সূচনা থেকেই তারা বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। কিন্তু যখনই ক্ষমতাসীন দল এ ধরনের হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তখনই বাঙালি জাতি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলেছে। আর-এর ফলে একদিকে বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতি তার স্বাধীন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে। অপরদিকে, এরই মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতি একটি সুদৃঢ় ভিত্তি লাভ করেছে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মধ্যে উর্দুকেই রাষ্ট্রভাষারূপে প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভাষাগত সংস্কার তথা বাংলা বর্ণমালা সংস্কারের উদ্যোগ, পূর্ববাংলার শিক্ষার সংকোচন নীতি, প্রকাশনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি, রবীন্দ্র বিদ্বেষী তৎপরতা, পহেলা বৈশাখ উৎসব পালন নিষিদ্ধকরণসহ নানাবিধ ষড়যন্ত্র শুরু করে। পাশাপাশি বাঙালিরা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর এ অন্যায় সিদ্ধান্ত ও নীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
জাতীয়তাবাদের ধারণা ও বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদের বিকাশ
Concept of Nationalism and Development of Nationalism in Bangladesh
ক. জাতীয়তাবাদের ধারণা (Concept of Nationalism)
জাতীয়তাবাদ -এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Nationalism. উনিশ শতকে মতাদর্শগত রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সক্রিয় শক্তি হিসেবে গড়ে উঠেছে জাতীয়তাবাদ। প্রতিটি অঞ্চলের মানুষেরই নিজ জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাবধারা, সংস্কৃতি, ভৌগোলিক অবস্থান ইত্যাদি নিয়ে একটা আবেগ থাকে । একটি জাতির অন্তর্ভুক্ত জনসমষ্টির মধ্যে এরূপ আবেগ থাকতে পারে । জাতীয়তাবাদ এরূপ আবেগেরই বহিঃপ্রকাশ মাত্র । < এ থেকে জাতীয়তাবাদের দুটি মূল বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া যায়। যথা-
১. নিজেদের মধ্যে গভীর ঐক্যবোধ ও
২. পৃথিবীর অন্যান্য জনসমাজ থেকে স্বাতন্ত্র্যবোধ ।
সুতরাং কোনো জাতি যখন নিজেদের মধ্যে গভীর ঐক্যবোধ ও স্বকীয়তার ফলে নিজেদের অন্য জাতি থেকে পৃথক বলে মনে করে এবং স্বকীয়তাকে কেন্দ্র করে একটি আবেগপূর্ণ আত্মীক ধ্যান-ধারণার সৃষ্টি করে, সেই মানসিক অবস্থা ও চেতনাকেই জাতীয়তাবাদ বলে। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র জন্মের পশ্চাতে যে জাতীয়তাবাদ কাজ করেছে, তা হলো ভাষাগত জাতীয়তাবাদ।
বিভিন্ন মনীষীর অভিমত : জাতীয়তাবাদের সুনির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা প্রদান করা অত্যন্ত দুরূহ। বিভিন্ন মনীষী বিভিন্নভাবে জাতীয়তাবাদকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। যেমন- রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জে. এইচ হ্যাইস বলেন, “জাতীয়তবাদ জাতীয়তা এবং দেশপ্রেম এ দুটি আধুনিক অনাসক্ত বিষয়ের এক আবেগপূর্ণ-সমন্বয় ও অতিরঞ্জিতকরণ।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হ্যান্স -এর মতে, “জাতীয়তাবাদ মূলত মনন ও চেতনার বহিঃপ্রকাশের সাথে সম্পর্কিত।”
অধ্যাপক লাস্কির মতে, “জাতীয়তাবাদ একটি মানসিক বিষয়, যে মানসিকতা একদল মানুষকে মানবসমাজের অপরদল
• থেকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করে। "
অধ্যাপক হ্যান্স কোন যথার্থই বলেছেন, “জাতীয়তাবাদ প্রথমত এবং চূড়ান্তভাবে একটি মানসিক অবস্থা ও একটি চেতনাবিশেষ।" সরদার ফজলুল করিম লিখেছেন, "জাতীয়তাবাদ বলতে প্রধানত পুঁজিবাদী বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের স্বাতন্ত্র্য আদর্শ বোঝায়। এ পুঁজিবাদ যখন সাম্রাজ্যবাদী যুগে পদাপর্ণ করে তখন জাতীয়তাবাদের দুটি রূপ প্রকাশ পায়।” যেমন- প্রকাশকে
১. আগ্রাসী জাতীয়তাবাদ : আগ্রাসী জাতীয়তাবাদ অপর জাতি ও রাষ্ট্রের উপর আক্রমণ, দখল বা জাতিগত নিপীড়নের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির জাতীয়তাবাদ হচ্ছে আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের উদাহরণ। উগ্র বা আগ্রাসী জাতীয়তাবাদ বিশ্বশান্তি এবং সৌভ্রাতৃত্বের পরিপন্থী। কারণ উগ্র বা আগ্রাসী জাতীয়তাবাদ এবং যুদ্ধ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
মুক্তিকামী জাতীয়তাবাদ : সাম্রাজ্যবাদী, আধিপত্যবাদী, জালিম শাসক-শোষক রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে মুক্তির চেষ্টাকারী জাতীয়তাবাদই হলো মুক্তিকামী জাতীয়তাবাদ। যেমন- ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে এদেশবাসী জাতীয়তাবাদী চেতনায় বলিয়ন হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা লাভ করে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, জাতীয়তাবাদ একটি চেতনাগত ব্যাপার যার সাথে জড়িয়ে থাকে অনেকগুলো বিষয়। জাতীয়তাবাদ কোনো জনগোষ্ঠীকে জাতিতে পরিণত করে।
খ. বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদের বিকাশ (Development of Nationalism in Bangladesh) বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদের বিকাশের প্রেক্ষাপটে একথা আলোচনার দাবি রাখে যে, জাতীয়তাবাদের বোধটা এদেশের মানুষের মধ্যে স্বভাবজাত ছিল কি-না অথবা না হয়ে থাকলে এটা কীভাবে হয়েছিল। জাতীয়তাবাদের বোধ জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো প্রভাব ফেলেছিল এবং সেটা হয়েছিল অখ্য ভৌগোলিক অঞ্চলে বসবাস করার অভিজ্ঞতা থেকে। কেউ বলতে পারে যে, কমপক্ষে জাতীয়তাবাদের উন্মেষের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে মিলিত হওয়ার পর-এর ফল হিসেবে দেখা দিয়েছে অথবা একটি সংকটকালের পরিণতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ দেখা দিয়েছে।
পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) শত শত বছর ধরেই একটি সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। আঠার শতকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লোভী দৃষ্টি পড়ল বাংলাদেশের সম্পদ ও এর উর্বর ভূমির ওপর এবং ১৯০ বছর ধরে (১৮৫৭- ১৯৪৭) ব্রিটিশরা দু'হাতে শোষণ করল আমাদের এ দেশটাকে । ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর পূর্ববাংলা (এখন বাংলাদেশ) পাকিস্তানের একটি অংশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ব্রিটিশ ভারত বিভক্ত হওয়ার পর পূর্ববাংলার জনগণ প্রত্যাশা করেছিল তারা স্বাধীনতার ফল এবার ভোগ করতে পারবে। অবশেষে তারা হতাশ হয়ে পড়ে তাদের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানি নেতাদের বৈরী আচরণের কারণে। যদিও পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ববাংলার জনগণের দুঃখ-দুর্দশার দিকে খানিকটা মনোযোগ দিয়েছিল কিন্তু সেগুলো দূর করার বাস্তব পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে তারা অবহেলা করে। তাদের দমননীতি, প্রভাব বিস্তারের নেশা, শোষণ ইত্যাদি কারণে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে তাদের অধিকার সম্পর্কে একটি রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টি হয় এবং ওটাই ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের আন্দোলন জেগে ওঠার মূল শক্তি।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে মতাদর্শগত রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সক্রিয় শক্তি হিসেবে গড়ে উঠেছে জাতীয়তাবাদ। বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ বিভিন্ন পর্যায়ে ঘটেছে। পাকিস্তানি শাসকশ্রেণি বাঙালি জাতির ভাষা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার মাধ্যমে বাঙালিদের মূর্খ রেখে এ অঞ্চলে তাদের ঔপনিবেশিক শাসনকে পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাঙালি জাতি তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়। ফলে পাকিস্তানিদের পরাজয় ঘটে এবং বাঙালিরা তাদের নিজস্ব জাতীয়তাবাদ বিকাশের সুযোগ পায় ।
জাতীয়তাবাদ বিকাশের ধারা বা পর্যায়সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলন : ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তানের ৫৬.৪০ ভাগ মানুখের মাতৃভাষা বাংলাকে উপেক্ষা করে মাত্র ৭.২০ শতাংশ মানুষের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করলে দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে বাংলার সর্ব স্তরের মানুষের ঐক্যকর আন্দোলন বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। এ আন্দোলনে অনেকে শহিদ হন। এ আন্দোলনের ফলে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠে।
১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের প্রাদেশিক নির্বাচন : ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ৮ মার্চ পূর্ব বাংলায় সর্বপ্রথম প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগকে চরম শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে কয়েকটি সমমনা দলের সমন্বয়ে যুক্তফ্রন্ট নামে একটি বিরোধী জোট গঠিত হয়। এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ মাত্র ৯টি আসন লাভ করে এবং যুক্তফ্রন্ট ২২৩ আসনে বিজয়ী হয়। এ নির্বাচনে বিজয়ের ফলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ক্রমশ বিকাশ ঘটে।
১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ছাত্র আন্দোলন : পূর্ব বাংলার ছাত্রসমাজ আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখলেও ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে তারা ৩টি ইস্যুতে ৩ বার আন্দোলনে নামে।
প্রথমবার ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জানুয়ারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ছাত্ররা তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে।
দ্বিতীয়বার : প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ১ মার্চ পাকিস্তানের দ্বিতীয় সংবিধান ঘোষণা করলে ছাত্ররা সংবিধান বিরোধী আন্দোলনে অবতীর্ণ হয় ।
তৃতীয়বার : ছাত্রসমাজ শরীফ শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে আন্দোলন জাগিয়ে তোলে। ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্র বিক্ষোভকালে পুলিশের গুলিতে কয়েকজন ছাত্র নিহত ও বহু ছাত্র আহত হয়। ছাত্র আন্দোলনে ভীত হয়ে পাকিস্তান সরকার শরীফ শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাস্তবায়ন স্থগিত করে। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ছাত্র আন্দোলন পরবর্তীতে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চিন্তাচেতনা প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দের ৬ দফা আন্দোলন : বাঙালি জাতির স্বাধিকার আদায়ের ইতিহাসে ৬ দফা আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক কথায় ৬ দফা দাবি ছিল পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় মুক্তির সনদ। ড. মোহাম্মদ হান্নান তার রচিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গ্রন্থে বলেন “প্রকৃতপক্ষে ৬ দফা হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্মারক, যেখানে বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম নতুনভাবে গতি লাভ করেছিল”। ৬ দফা আন্দোলন বাঙালি জাতীয়তাবাদকে আরও জোরদার করে।
১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান : আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবুরসহ ৩৫ জনকে আসামি করে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে। সে মামলা প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষ যে আন্দোলন গড়ে তোলে তা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এটি বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচন : পাকিস্তানের দীর্ঘ ২৪ বছরের আমলে মাত্র একবার ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে সমগ্র পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে বিপুল সংখ্যক আসনে বিজয়ী করে। এ নির্বাচন প্রমাণ করে বাঙালি জনগণ পাকিস্তানি শাসন ছিন্ন করে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে নিজেদের দেশ নিজেরা গড়তে চায়। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনের মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদ পূর্ণতা পায় ।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের স্বাধীনতা সংগ্রাম : ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও তৎকালীন সামরিক শাসক আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে টালবাহানা শুরু করে। তাই বাঙালি জাতি স্বাধীন রাষ্ট্র কায়েমের জন্য ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাস্তব রূপলাভ করে। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশের সংবিধানে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে অন্যতম রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]