১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থী পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে। (Mention the Refugees Situation in Liberation War in 1971.)

Refugees Situation in Libera বাংলাদেশের তিনদিকে ভারত সীমান্ত মোট সীমান্তের প্রায় ৯৪ ভাগ, অন্যদিকে মিয়ানমার সীমান্ত বাকি ৬ ভাগ। শরণার্থীদের স্রোত এপ্রিল থেকে প্রবল হয়ে ওঠে। কত শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তার সঠিক হিসাব না পেলেও ক্যাম্পের হিসাব অনুযায়ী সে সংখ্যা ছিল a. hh, ৩০৫ জন। শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, বিহার, মধ্যপ্রদেশ মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে। কলেরা ও অন্যান্য ও উত্তর প্রদেশে। ১ কোটি শরণার্থীকে স্বাভাবিকভাবেই। রোগে মারা গেছেন অনেকেই। এ শরণার্থী সমস্যাকে প্রধান করে তুলে ভারত আবার বিশ্বজনমত তার পক্ষে আনতে পেরেছিল, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেও।
ক. ভারতে বাঙালি শরণার্থী পরিস্থিতি (Situation of Bengali Refugees in India)
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের নৃশংসতার হাত থেকে বাঁচার আশায় প্রায় ১ কোটি শরণার্থী ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিচালিত শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় গ্রহণ করেন। জাতিসংঘকে প্রদত্ত ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের শেষে মোট শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি। ভারত সরকার ঘোষণা দেয় যে, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চের পর যারা ভারতে প্রবেশ করেছে তাদেরকে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে। ফেব্রুয়ারি ১৯৭২-এর মধ্যে প্রায় ৯ মিলিয়ন বা ৯০ লক্ষেরও অধিক শরণার্থী বাংলদেশে ফিরে আসে যারা দেশে ফিরে আসতে উৎসুক ছিল। ভারতের সরকারি হিসাব মতে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ তারিখে ভারত থেকে প্রত্যাবর্তন মাত্র ৬০ হাজার শরণার্থী বাকি ছিল। প্রত্যাবর্তনকারী শরণার্থীদের বাংলাদেশে স্থাপিত ২৭১টি আশ্রয় শিবিরের কোনো না কোনোটিতে হলেও ফিরতে হয়। আবার অনেক শরণার্থী ভারতের বা বাংলাদেশের শিবিরে দেখা না করে ফিরে যান নিজ নিজ বাড়িতে।
ভারত আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বোঝাতে সক্ষম হয় যে, যুদ্ধের কারণে প্রাণভয়ে বাঙালি শরণার্থীরা ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। প্রাণভয়ের কারণ নিরসন হলে তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবে। এমনি অবস্থায় ২৫ মে, ১৯৭১ লোকসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শরণার্থীর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিশ্বের বৃহৎ শক্তির প্রতি সহায়তাদানের আহ্বান জানান। ২৬ মার্চ লোকসভায় অধ্যাপক সমর গুহ (এমপি) বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনা ও বাংলাদেশের প্রচারণায় আকাশবাণীকে ব্যবহারের দাবি জানায়। ফলে আকাশবাণীর প্রচারণায় বিবিসি ভয়েস অব আমেরিকাসহ ঢাকা থেকে বিস্তারিত বিদেশি সাংবাদিকদের প্রতিবেদন সারা বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এভাবেই ভারত-বাংলাদেশ বাঙালি শরণার্থী পরিস্থিতির সম্মানজনক সমাধান হয় ।
খ. মিয়ানমারে বাঙালি শরণার্থী পরিস্থিতি (Situation of Bengali Refugees in Myanmar)
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের নৃশংসতার হাত থেকে রক্ষা পাবার আশায় বহু শরণার্থী বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমার শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় লাভ করেন। মিয়ানমার সরকার মুক্তিযুদ্ধের সময় মিয়ানমার সীমান্তে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান এবং মুক্তিযুদ্ধ সমাপ্তির পর বাংলাদেশে ফিরে আসার ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তবে মিয়ানমারের এ ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তেমন একটা প্রচার প্রশস্ত হয় নি বলে তার তেমন উল্লেখযোগ্য তথ্য-দলিলে ওঠে আসেনি ।
অন্যদিকে বাংলাদেশ মিয়ানমার রাষ্ট্র সীমানায় মিয়ানমার থেকে আগত বাঙালি শরণার্থী যারা বাংলাদেশে এসেছে তাদের বিষয়টি অধিকতর জটিলতা সৃষ্টি করায় মুক্তিযুদ্ধে মিয়ানমারে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের বাঙালি শরণার্থীর পরিস্থিতিটি অনেকটাই নিরবে থেকে যায় ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]