ইতিহাসের সংজ্ঞা দাও । Define history. ইতিহাসের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্যাবলি উল্লেখ কর। Mention the essential characteristics of history.

ইতিহাস হচ্ছে মানব জীবনের দর্পণস্বরূপ। এটা মানব সভ্যতার বিবর্তনের নির্ভরযোগ্য দলিল ও প্রতিচ্ছবি। ইতিহাসের মাধ্যমে মানুষ তার আত্মপরিচয় ও অতীত কার্যাবলি সম্পর্কে অবগত হতে পারে। ফলে মানুষ অতীতের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা হতে বর্তমান ও ভবিষ্যতের পথ চলার দিক-নির্দেশনা পায়- যা জাতীয় জীবনে অত্যন্ত অপরিহার্য। মানুষের সমাজ জীবনের প্রতিচ্ছবি নিয়েই সৃষ্টি হয় সামাজিক ইতিহাস ।
উচ্চতর জাতিগঠন, আলোকিত মানুষ ও বিকশিত মানবিক চিন্তা গড়ে তুলতে ইতিহাস বিষয়ক জ্ঞান আবশ্যক। প্রত্যেকটি দেশ বা জাতির জন্য ইতিহাস চেতনার জ্ঞান একান্ত অপরিহার্য।
সমাজে বাস করতে গিয়ে মানুষ যে সকল প্রথা, আচার-আচরণ, অনুষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান ও জীবন প্রণালি গড়ে তোলে তার সমন্বিত রূপই হলো সামাজিক ইতিহাস ।
পরিবর্তনশীল সামাজিক সম্পর্ক, সামাজিক অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের বিকাশ এবং সামাজিক মূল্যবোধের ধারাকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে সামাজিক ইতিহাস। সামাজিক ইতিহাস হলো মানুষ কর্তৃক বিনির্মিত যাবতীয় সাংস্কৃতিক
ইতিহাস শব্দের উৎপত্তি
Origin of the Word History
ইংরেজি হিস্ট্রি (Ilistory) শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে এসেছে ইতিহাস শব্দটি। আর ইংরেজি History শব্দটি এসেছে গ্রিক ও ল্যাটিন শব্দ Historia শব্দ থেকে। যার অর্থ হচ্ছে সত্যানুসন্ধান বা গবেষণা। অপরদিকে ইতিহাস শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- পুরাবৃত্ত, ইতিবৃত্ত ও প্রাচীন বৃত্তান্ত। গ্রিক চিন্তাবিদ ও পর্যটক হিরোডোটাস সর্বপ্রথম Historia শব্দ ব্যবহার করেন যা থেকে History শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। তাই, তাঁকে ইতিহাসের জনক বলা হয়। হেরোডোটাস তাঁর গ্রিক ও পারসিকদের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষের ঘটনা সম্বলিত গ্রন্থের নামকরণ করেন Historia (যার ইংরেজি অনুবাদ করা হয়েছে Histories)। ঘটনার অনুসন্ধান অর্থেই হেরোডোটাস Historia/ History শব্দটি ব্যবহার করেন।
হেরোডোটাসের পূর্বেও গ্রিক কবি হোমার তাঁর Iliod গ্রন্থে Historia শব্দটি ব্যবহার করেছেন যার দ্বারা আইন-কানুন ও আচার-আচরণে অভিজ্ঞ জ্ঞানী ব্যক্তিদেরকে Histor হিসেবে বোঝানো হয়েছে। বাংলা ইতিহাস শব্দটি এসেছে ‘ইতিহ' শব্দ থেকে— যার অর্থ ঐতিহ্য। আর ইতিহাস শব্দটির প্রত্যয় ও বিভক্তিতে দাঁড়ায় ইতিহ + আস = যার অর্থ দাঁড়ায় এমনটাই ছিল বা এমনটাই ঘটেছিল ।
,
'আবার ইতিহ + আস শব্দ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ‘ইতিহ' শব্দের অর্থ হচ্ছে— পূর্বের সমাচার বা বিষয় এবং 'আস' শব্দের অর্থ— আলোচনা বা বিন্যাস।
ঊনিশ শতকে জার্মান ঐতিহাসিক লিওপোল্ড ফণ র‍্যাংকে বলেন, প্রকৃতপক্ষে যা ঘটেছিল তার অনুসন্ধান ও বিবরণই হচ্ছে ইতিহাস।
ইতিহাসের সংজ্ঞা
Definition of History
ইতিহাস হলো কালের ধারায় সংঘটিত পুরাতন ঘটনা যা মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছিল। অর্থাৎ ইতিহাস হলো সমাজবদ্ধ মানুষের অতীত সামাজিক জীবন যাত্রার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ ।
বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও পণ্ডিতগণ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ইতিহাসের সংজ্ঞা নিরূপণের চেষ্টা করেছেন । হেরোডোটাস বলেন, “ইতিহাস হলো সত্যিকার অর্থে যা ছিল বা সংঘটিত হয়েছিল তার অনুসন্ধান করা ও লেখা।” ঐতিহাসিক ব্যাপসনের মতে, “ঘটনার কালক্রমিক ও বৈজ্ঞানিক বিবরণই ইতিহাস।"
GJ. Renier এর মতে, 'History is the story of the experience of men living in civilized societes.” অর্থাৎ সভ্য সমাজে বসবাসকারী মানুষদের অভিজ্ঞতায় কাহিনিই হলো ইতিহাস ।
ঐতিহাসিক জে.বি. বারি (J. B. Burry) উল্লেখ করেন, "History is a science, nothing more nothings less." ইতিহাস হচ্ছে একটি বিজ্ঞান, এর বেশি কিছু নয় আবার কমও নয়।”
অর্থাৎ ঐতিহাসিক জনসন উল্লেখ করেছেন, “যা কিছু ঘটে তাই ইতিহাস। অর্থাৎ অতীতের ঘটনা মাত্রই ইতিহাস।"
1..B. Namier এর মতে, The subject matter of history is human affairs, men in action, concrete, events and their grounding in the thoughts and feeling of men.” অর্থাৎ ইতিহাসের বিষয়বস্তু হলো, মানবিক বিষয়াদি, কর্মে নিয়োজিত মানুষ, বাস্তব ঘটনাবলি এবং সেসব ক্ষেত্র যা মানুষের নিজস্ব চিন্তা ও অনুভূতিতে সক্রিয়। য়াদি এবং পরিবর্তনশীল সমাজ কাঠামোর বিজ্ঞানভিত্তিক অধ্যয়ন বা পাঠ।

১.৩ ইতিহাসের প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য
Nature or Characteristics of History
ইতিহাস শব্দটি উচ্চারিত হলেই তার বিশালত্বের ব্যাপারটিও স্বয়ংক্রিয়ভাবেই মনের মধ্যে ফুটে ওঠে। তাই ইতিহাস হচ্ছে মানবজাতির দর্পণস্বরূপ। ভৌগোলিক অবস্থান, সময় ও পরিবেশভেদে নানা দেশে নানা জাতির বিচিত্র কাহিনিই ইতিহাসে স্থান করে নেয়। আজ যা ভবিষ্যৎ আগামী দিনে তা বর্তমান এবং তার পরে তা অতীতের গহীন গহ্বরে তলিয়ে যায়।
ইতিহাসের মূল বৈশিষ্ট্য হলো সমাজব্যবস্থায় রাজনীতি, "আইন-কানুন, অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের ক্রিয়ার দ্বারা নির্দিষ্ট সমাজের বাস্তব রূপ বিশ্লেষণ করা ।
মানব সমাজের যুদ্ধ-বিগ্রহ, আচার-আচরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাবার-দাবার, আনন্দ-বিনোদন সব কিছুই ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে ।
উদিত সূর্য যেমনভাবে অন্ধকারকে দূর করে আলোর সঞ্চার করে, ঠিক তেমনি অতীতের ঘটনাবলি হারানো দিনের স্মৃতিকথা নিয়ে হাজির হয় ইতিহাস হিসেবে। দেশ, কাল, জাতি-বর্ণ ভেদে সকল ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য কিন্তু এক নয়। ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এর বিভিন্ন রূপ রয়েছে।
বিভিন্ন ঐতিহাসিকের মতামত বিশ্লেষণ পূর্বক ইতিহাসের যেসকল প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো— ১. মানুষের অতীত কর্মকাণ্ডের আলোচনা : মানুষের অতীত কার্যাবলির ওপর ব্যাপক প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করে ইতিহাস। তাই ইতিহাস মানুষের অতীতের সকল কার্যাবলির অখণ্ড রূপ। ঐতিহাসিক রেসজেস্টাল (Resgestal) মানুষের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেছেন।
২. উৎস ও তথ্যভিত্তিক : ইতিহাসের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের বিবরণ তুলে ধরা। সঠিক তথ্য ও প্রামাণ্য উৎস, ইতিহাস রচনার জন্য অপরিহার্য। বিশ্বের যেকোনো কালের, যেকোনো স্থানের, যেকোনো বিষয়ের ইতিহাস রচনা করতে অবশ্যই ঐতিহাসিক উৎসের ওপর নির্ভর করতে হয়। যেমন- লিপি, রোজেটা পাথর, হায়ারো গ্লিফিক প্রভৃতি প্রাচীন মিশরীয় ও রোমান সভ্যতার উৎস।
৩. অবিচ্ছিন্নতা : ইতিহাস এক ও অবিচ্ছিন্ন। ইতিহাস ঘটনাবহুল মানবজাতির অতীত ও বৈচিত্র্যময় কার্যকলাপ সম্পর্কে আলোচনা করে। সতত প্রবহমান ধারায় ইতিহাসের ঘটনাস্রোতও নিরন্তর প্রবহমান।
অতীত জীবনযাত্রার চিত্রায়ণ : মানুষের জীবনযাত্রা ও অতীত সমাজের চিত্র তুলে ধরে ইতিহাস। মানুষের অতীত জীবনযাত্রা প্রণালি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা, খাদ্য ও পোশাক-পরিচ্ছদ, আচার-আচরণ, ধর্মীয় বিধি-নিষেধ ইত্যাদির উপাদান চয়ন করা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দিক ।
৫. সর্বজনীনতা : মানব জীবন পরস্পর নির্ভরশীল। এক জাতিকে বাদ দিয়ে অন্য জাতি চলতে পারে না। ইতিহাস জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সমানভাবে সকলের খতিয়ান। যেকোনো ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের লোক ইতিহাস রচনা করুন না কেন, তাকে অবশ্যই সর্বজনীন গ্রহণযোগ্য ইতিহাস লিখতে হবে। নিকটবর্তী, মধ্যবর্তী ও দূরবর্তী প্রভৃতি সকল জাতির উত্থান-পতনের ইতিহাস সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
৬. দেশপ্রেম জাগ্রত করা : ইতিহাস মানুষকে তার নিজ দেশ, জাতি, সমাজ, কৃষ্টি ও রাষ্ট্রীয় জীবন সম্পর্কে অবহিত করে । যা মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে দেশের অতীত গৌরব সম্পর্কে গৌরববোধ করতে শেখায়, দেশের জন্য আত্মত্যাগের প্রেরণা যোগায় ।
৭. নিরপেক্ষতা : ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নিরপেক্ষতা। গণতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক, রাজা, প্রজা, সকল প্রকার ব্যক্তি ও রাজনৈতিক প্রশাসকের প্রতি নিরপেক্ষভাবে ইতিহাস দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। ইতিহাস সকল প্রকার শাসক ও ব্যক্তির মূল্যায়ন করে থাকে একেবারে নিরপেক্ষভাবে।
৮. সঠিকতা : ইতিহাস সঠিক ও প্রামাণিক তথ্য গ্রহণ করে। আজকের বিষয়টি ইতিহাসে সঠিক ও গ্রহণযোগ্য বলে স্বীকৃত। আগামীতে নতুন এবং অধিকতর যুক্তিনির্ভর তথ্য আবিষ্কৃত হলে ইতিহাস আজকের স্বীকৃত তথ্যকে পরিবর্তন, সংশোধন, সংযোজন এবং বর্জন করে নতুন ও সঠিক তথ্যকে গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।
৯. ধারাবাহিকতা : ইতিহাস, সর্বদাই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলে। যেকোনো ব্যক্তি, জাতি বা দেশের বর্ণনা অবশ্যই ধারাবাহিক হতে হবে। অর্থাৎ জন্ম, বিকাশ, উৎকর্ষ, পতন-এর বিবরণ ইতিহাস ধারাবাহিকভাবে ধারণ করে থাকে ।
১০. প্রগতির ধারণা : মানুষ উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। এরূপ প্রত্যয় ও বিশ্বাস ইতিহাসের একটি স্থায়ী বৈশিষ্ট্য। সর্বপ্রথম রেনেসাঁ যুগে মানুষের মনে অনুরূপ চিন্তা-ভাবনার উন্মেষ ঘটে। সতেরো থেকে বিশ শতকের শেষ দশক পর্যন্ত বিজ্ঞানের নিরবচ্ছিন্ন জয়যাত্রা মানুষের মনে এ ভাব প্রবণতাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে।
১১. অনুসন্ধানমূলক : বিগত মানব সমাজ কী করেছে, কেন করেছে, কোন কাজটি করার ফলে কী ঘটেছে প্রভৃতি বিষয়ের ওপর অনুসন্ধানী কার্যক্রম পরিচালনা করে ইতিহাস। মানুষের কর্মের ওপর অনুসন্ধান পরিচালনা করে অর্থ সংগ্রহ করে ইতিহাস। ইতিহাসের অনুসন্ধানমূলক বৈশিষ্ট্য থাকার কারণেই হাজার হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাস সঠিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। ১২. বিশেষ চিন্তাধারা : ইতিহাসের প্রকৃতি কী? এ প্রসঙ্গে আর. জি. কলিং উডের মতাদর্শটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। চিন্তাধারা ব্যতীত ইতিহাসের জ্ঞান আহরণ অসম্ভব।
মানবিকতা : অতীত কার্যাবলির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করে ইতিহাস। এটি মানুষের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে পরীক্ষণ, পর্যবেক্ষণ ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে। ইতিহাসের বিষয়বস্তু অবশ্যই মানবিক হতে হবে। কখনই দানবীয় নয় ।
১৪. মহানুভবতায় উদ্বুদ্ধকরণ : ইতিহাসের মাধ্যমে মানুষ সুমহান ব্যক্তিদের জীবনাদর্শ ও কর্মের সাথে পরিচিত হতে পারে। হজরত মুহাম্মদ (স.) কর্তৃক বংশগত মর্যাদা ও কৌলিন্য প্রথার বিনাশ সাধন, সাম্য ও শান্তির বাণী প্রচার, দাস প্রথার উচ্ছেদ, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের অনাসক্ততা ও মহানুভবতা, মুঘল সম্রাট আকবরের জন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি উদারতা প্রভৃতির সাথে ইতিহাস প্রজন্মের পর প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। এ বিষয়গুলোই মানুষকে উদার ও মহানুভব করে তোলে।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]