ভারতীয় উপমহাদেশে পুঁজিবাদ বিকাশের অন্তরায়/ প্রতিবন্ধকতাসমূহ Factors/ obstables to the Development of Capitalism in Indian Subcontinent

পুঁজিবাদ একটি বিশেষ আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার নাম, যেখানে ব্যক্তিমালিকানা ও মুনাফার নিশ্চয়তা থাকে। এ সমাজব্যবস্থা চিরন্তন ও শাশ্বত নয়। এটা বিকাশ লাভ করে বা গড়ে ওঠে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে ইংল্যান্ডে এর পূর্ণ বিকাশ লক্ষ করা যায়। এরপর ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে এর বিস্তৃতি ঘটে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে উপনিবেশাকারে তা বিশ্বকেই প্রায় গ্রাস করে ফেলে ।
পাশ্চাত্যে ব্যাপকভাবে ধনতন্ত্রের বিকাশ ঘটেছিল। পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদ বিকাশের যেসব উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে তার অধিকাংশ উপাদান ভারতীয় সমাজে অনুপস্থিত ছিল, যার কারণে ভারতীয় সমাজে পুঁজিবাদের বিকাশ ঘটেনি। নিম্নে ভারতীয় সমাজে পুঁজিবাদ বিকাশ না হওয়ার বিভিন্ন কারণ অর্থাৎ ভারতে পুঁজিবাদ বিকাশের প্রতিবন্ধকতা বা অন্তরায়সমূহ আলোচনা করা হলো-
১. সামন্ততন্ত্রের অপূর্ণ বিকাশ (Incomplete development of feudalism) : পাশ্চাত্যে সামন্তপ্রথা পূর্ণভাবে বিকশিত হয় এবং সামন্ত প্রথার গর্ভেই জন্ম হয় পুঁজিবাদের। কিন্তু ভারতে সামন্ত প্রভুদের ভূমির উপর মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়নি এদেশের সামন্ত প্রভুদের আয় অনিশ্চিত হওয়ায় তারা পুঁজি গঠন করতে পারেনি। বস্তুত ভারতীয় সামন্ততন্ত্র পাশ্চাত্যের ন্যায় একটি উৎপাদন পদ্ধতিতেও পরিণত হতে পারেনি। ইউরোপীয় সামন্ততন্ত্রের উৎপাদন সম্পর্ক ও ভারতের সামন্ততন্ত্রের উৎপাদন সম্পর্ক ছিল ভিন্ন। তাই ভারতে পুঁজিবাদ বিকাশ লাভ করেনি। এসব বিষয় লক্ষ করে ড. নাজমুল করিম বলেন, “European feudaluism gave birth to capitalism, while Indian feaudalism of its own accourd failed to do so."
২. স্বয়ং সম্পূর্ণ গ্রামীণ অর্থনীতি (Self-sufficient village economy) : ভারতীয় সমাজে পুঁজিবাদী বিকাশ আর একটি
গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বাধা ছিল এখানকার স্বনির্ভর গ্রামীণ অর্থনীতি। এখানকার স্বনির্ভর গ্রামগুলা নিজেদের প্রয়োজন মিটানোর জন্যই কেবল উৎপাদন করত। প্রয়োজনের অতিরিক্ত উৎপাদন করে যে বাড়তি আয় সম্ভব তা পুঁজি গঠনের সহায়ক সেদিকে তারা দৃষ্টি দেয়নি ।
ভারতে বিভিন্ন রাজার পরিবর্তন হয়েছে, বহু যুদ্ধ-বিগ্রহ সংঘটিত হয়েছে কিন্তু এসব পরিবর্তনের ছোঁয়া ভারতবর্ষের অসংখ্য ক্ষুদ ক্ষুদ্র গ্রামগুলোকে মোটেও স্পর্শ করতে পারেনি। এ অপরিবর্তনীয় রূপ দেখে বিখ্যাত ব্রিটিশ মনীষী Sir Charles Metacaffe ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রামগুলোকে “Little Republic" বলে আখ্যায়িত করেছেন। স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্থবির ও নিশ্চল ভারতীয় গ্রাম অর্থনীতি পুঁজিবাদ উদ্ভবের পথে ছিল বিরাট অন্তরায়।
কঠোর জাতিভেদ প্রথা (Rigid caste system) : ভারতীয় উপমহাদেশ বরাবরই ছিল হিন্দু প্রধান অঞ্চল। ভারতীয় হিন্দু সমাজ ব্যবস্থার একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো কঠোর জাতিভেদ প্রথা। জাতিভেদ প্রথা অনুযায়ী ব্যক্তির পেশা জন্মসূত্রে নির্ধারিত হয়ে যায় । তাছাড়া এটি একটি বদ্ধ, গতিশীল এবং বিভিন্ন বিধি নিষেধে ভরপুর সমাজ হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক কাজ-কর্মে কোনো গতি সঞ্চারিত হয়নি। কাজেই ভারতীয় সমাজে কঠোর জাতিভেদ প্রথা পুঁজিবাদ বিকাশের পথে গড়ে তুলেছিল এক কঠিন বাধার প্রাচীর।
৪. ব্যক্তিগত সম্পত্তির অনুপস্থিতি (Absence of private property) : ভারতীয় উপমহাদেশে পুঁজিবাদ বিকশিত না হওয়ার মূল কারণ হলো ভূমিতে ব্যক্তিগত মালিকানায় অনুপস্থিতি। ভূমিতে ব্যক্তিগত মালিকানার অভাবে এখানে জমিদার, ইজারাদার, কৃষক কেউই উৎপাদন বা পুঁজি সংগ্রহের ব্যাপারে উৎসাহ বোধ করত না। ফলে পাশ্চাত্যের ন্যায় এখানে ব্যক্তিগতভাবে কেউ পুঁজি গঠনের অনুপ্রেরণা বা সুযোগ পায়নি। তাই এখানে পুঁজিবাদ বিকাশ লাভ করেনি।
জীবন দর্শন (Philosophy of Life) : ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ ছিল অল্পে তুষ্ট। কোনো রূপ খেয়েপরে জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারাটাই ছিল তাদের জীবনের একমাত্র চাওয়া পাওয়া। জীবন দর্শনের এহেন অবস্থা ছিল পুঁজি গঠনের অন্তরায়। রাজনৈতিক অস্থিতিশীল (Unstable political condition) : প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্র ছিল অস্থিতিশীল। এদেশের শাসকরা তাদের স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময় সন্দিহান থাকত। এর মূল কারণ হলো এ অঞ্চলের ইতিহাস ছিল অহরহ যুদ্ধ ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ঘটনায় ভরপুর। এ ধরনের একটি অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশে পুঁজিবাদ বিকশিত হওয়া সম্ভব ছিল না ।
৭. ধর্মীয় অবস্থা (Religious condition) : প্রাচ্য বা ভারতীয় সমাজে আবহমানকাল ধরে যেসব ধর্ম চর্চা হয়ে আসছে তাতে তেমন কোনো সংস্কার সাধিত হয়নি। পার্থিব জগতকে এসব ধর্ম তেমন গুরুত্ব দেয়নি। পাশ্চাত্যের ন্যায় ধর্মীয় কোনো বিপ্লব না হওয়ায় এখানে পুঁজি গঠনে ধর্মীয় চিত্তা বৈপ্লবিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করেনি। ম্যাক্সওয়েবার তাওবাদ, হিন্দুধর্ম ও বৌদ্ধ ধর্মের আর্থিক নীতিসমূহ পর্যালোচনা করে বলেন, এসব দেশে পুঁজির বিকাশ না হওয়ার কারণ তাদের বিশেষ ধর্মীয় ঐতিহ্য। ৮. বুর্জোয়া শ্রেণির ব্যর্থতা (Futility of bourgeoisie) : পাশ্চাত্যের বণিক শ্রেণির একটি দল বৈপ্লবিক শক্তিতে পরিণত হয় । তারাই কালক্রমে ভূস্বামীদের শাসন ও শোষণের অবসান ঘটায়। স্বাধীন শ্রমজীবী শ্রেণির জন্ম দেয় এবং নগর সভ্যতার বিকাশ ঘটায়। কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশের বুর্জোয়া শ্রেণি পাশ্চাত্যে বুর্জোয়া শ্রেণির অনুরূপ কোনো ঐতিহাসিক ভূমিকাই পালন করতে পারেনি। এমনকি তারা কৃষিক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যারও সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়। বুর্জোয়া শ্রেণির এ ব্যর্থতা ভারতীয় উপমহাদেশে পুঁজিবাদ বিকাশের পথে ছিল বড় অন্তরায়।
৯. ভৌগোলিক অবস্থা (Geographical Condition) : ভারতীয় উপমহাদেশে ভৌগোলিক পরিবেশে পুঁজিবাদ বিকাশে বাঁধা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ ভৌগোলিক পরিবেশের কারণে এখানে গড়ে ওঠে জলসেচ অর্থনীতি এবং স্বৈরাচারতন্ত্র। কার্ল মার্কস এবং কার্ল উইট ফোগেল ভারতীয় উপমহাদেশের বিশেষ ভৌগোলিক পরিবেশ ও জলসেচ অর্থনীতিকে পুঁজি বিকাশের অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
১০. অনুন্নত যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা (Undeveloped Transport and Communication) : ব্যবসা-বাণিজ্যে
উন্নয়নের অপরিহার্য পূর্বশর্ত হলো উন্নত যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু ভারত তথ্য সমগ্র প্রাচ্য এক্ষেত্রে খুবই পশ্চাতপদ অবস্থায় ছিল। ইহা উপমহাদেশে ধনতন্ত্র উদ্ভব না হওয়ায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ ।
১১. বহিঃশোষণ (External Exploitation) : সুদীর্ঘকাল ব্যাপী ভারতীয় সমাজে ছিল বহিঃশোষণ এবং শাসকচক্র ছিল বহিরাগত পরগাছা বিশেষ। তাই এদেশটির সাথে তাদের একাত্ম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। মুঘল আমলে বাংলায় প্রচুর সম্পদ ও ঐশ্বর্যে পরিপূর্ণ থাকলেও তা বিলাস ব্যসন ও উপহার উপঢৌকনে ব্যয় করা হয় এবং বাইরে পাচার করা হয়। এ সময়ে সম্পদ কোনো উৎপাদনমুখী খাতে ব্যয় করা হয়নি। তাই ভারতীয় সমাজে পুঁজিবাদ বিকাশে এ অবস্থা এক বিরাট অন্তরায় হিসেবে কাজ করে।
১২. ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন (British colonial rule) : পাশ্চাত্যে যখন পুঁজিবাদ বা ধনতন্ত্রের উদ্ভব হয়, তখন ভারতীয় সমাজ ছিল একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ। এ উপনিবেশ একদিকে যেমন পাশ্চাত্যের পুঁজিগঠনে কাঁচামাল সরবরাহ করে, অন্যদিকে তেমনি ব্রিটিশ উৎপাদিত পণ্য ক্রয় করে ব্রিটিশদের জন্য অনুকূল বাজার সৃষ্টি করে সেখানে পুঁজি বিকাশে সহায়তা করে। ১৭৫৭-১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ভারতীয় সমাজ ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করে। অথচ ঐ সময়টাতে পাশ্চাত্যে কৃষি ও শিল্প বিপ্লব তথা গণতান্ত্রিক চেতনার উন্মেষ ঘটে। ভারতীয় সমাজ ঐ সময়ে বরং ব্রিটেনকে পুঁজি গঠনে সহায়তা করে। কিন্তু নিজে পুঁজি গঠন করতে পারেনি।
১৩. পরাধীন ব্যবসায়ী শ্রেণি (Dependent business class) : স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রামীণ সমাজ, কঠোর জাতিভেদ প্রথা, প্রভৃতি কারণেই এমনিতেই ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটার সুযোগ ছিল সীমিত। তদুপরি যারা ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে জড়িত ছিল তারা ছিল সামপ্রভু ও জমিদারদের নিয়ন্ত্রণাধীন। তারা ব্যবসায়ী শ্রেণির উপর প্রচুর কর-খাজনা ধার্য করত। তাছাড়া এদেশে আবহমানকাল ধরেই ব্যবসায়ী শ্রেণি সামাজিকভাবে মর্যাদা পায়নি। এ বিষয়গুলো পুঁজি সঞ্চয় ও পুঁজিবাদের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করেছে। ১৪. অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় (Unproductive expenditure) : ভারতীয় উপমহাদেশের রাজা বা সম্রাটরা অধিকাংশই ছিলেন বিলাস প্রিয় এবং আনন্দ ফুর্তিতে তারা বিপুল অর্থ ব্যয় করতেন। যেমন- মুঘল সম্রাটরা প্রচুর ঐশ্বর্যের অধিকারী হলেও বিলাসব্যসন, উপহার-উপঢৌকন, ব্যয়বহুল ইমারত ও সিংহাসন নির্মাণ, অনর্থক যুদ্ধ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিপুল অর্থ অপচয় করেন। তাছাড়া এদেশের সাধারণ মানুষও ধর্মীয় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদিতে অবিবেচকের মতো ব্যয় করেছে। ভারতে পুঁজিবাদ বিকাশে অন্তরায় সৃষ্টি করে।
১৫. জনসংখ্যার আধিক্য (Over population) : আবহাওয়া, আনুকূল্য, কৃষি অর্থনীতি এবং যৌথ পরিবার ব্যবস্থা ভারতীয় উপমহাদেশে
জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়ক ছিল। ফলে এ বাড়তি জনসংখ্যা কৃষি কাজে নিয়োজিত হওয়ায় ব্যাপক সুযোগ পেলেও কৃষিতে তেমন কোনো বৈপ্লবিক উন্নতি বা উদ্বৃত্ত সৃষ্টি হয়নি। ফলে কৃষি পুঁজি সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি।
১৬. নগরের প্রকৃতি (Nature of city) : ইউরোপীয় নগরগুলো ছিল মূলত উৎপাদনমুখী ও বাণিজ্যিক। কিন্তু ভারতীয় শহর ও নারগুলোর অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য ছিল প্রায় সম্পূর্ণই এর বিপরীত। এখানকার শহরগুলো ছিল প্রশাসনিক কেন্দ্র, ধর্মীয় পবিত্র স্থান, উৎসব কেন্দ্র, জলসেচ কেন্দ্র ও সীমিত অর্থে ছোটখাটো ব্যবসা কেন্দ্র। আর মুক্ত ও উৎপাদনশীল নগরের অভাবে ভারতে পুঁজিবাদের বিকাশ ঘটেনি।
১৭. বিনিয়োগের অভাব (Lack of Investment) : ভারতীয় সমাজে বিভিন্ন সামাজিক উৎসসমূহ ও বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান ব্যয় করার রেওয়াজ থাকলেও উৎপাদনশীল খাতে অর্থ বিনিয়োগের তেমন উৎসাহ দেখা যায়নি। ফলে পুঁজিবাদ বিকশিত হয়নি । ১৮. সামন্ত সম্পর্কের অভাব (Lack of feudal relation) : এদেশে ইউরোপীয় সামন্তবাদের ন্যয় কৃষকদের বা সামন্ত প্রভুদের জমির মালিকানায় দায়িত্ব না থাকার দরুন কৃষকরা নির্দিষ্ট আয়ের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করত। ফলে এদের কৃষকদের হাতে যে টাকা পয়সা উপার্জিত হতো তা দিয়ে পুঁজিপতি হওয়ার সুযোগ ছিল না ।
পরিশেষে বলা য়ায় যে, উপর্যুক্ত কারণ বা উপাদানগুলো (Factors) ভারতীয় উপমহাদেশে পুঁজিবাদ বিকশিত না হবার জন্য কমবেশি দায়ী। পাশ্চাত্যে ধনতন্ত্র বা পুঁজিবাদ বিকাশের জন্য আমরা যেসব উপাদানসমূহকে সাধারণভাবে দায়ী করে থাকি তার অধিকাংশ উপাদানই ভারতীয় সমাজে ছিল অনুপস্থিত। কাজেই ভারতীয় উপমহাদেশে পুঁজিবাদের বিকাশ না হওয়াটাই ছিল বাস্তব সম্মত ও স্বাভাবিক।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]