শিল্পায়িত সমাজ Industrial Society শিল্পায়িত সমাজের বৈশিষ্ট্য Features of Industrial Society

শিল্পায়িত সমাজ Industrial Society
সাধারণ অর্থে, শিল্প নির্ভর সমাজকেই শিল্প সমাজ বা শিল্পায়িত সমাজ বলে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক উপাদানকে মানুষের জীবনের প্রয়োজন মিটানোর জন্য ব্যবহারোপযোগী করে কাজে লাগানোকে শিল্প বলা হয়। আর শিল্পের বিকাশই হলো শিল্পায়ন। ব্যাপক অর্থে উৎপাদন, যাতায়াত, পরিবহন ও যোগাযোগসহ সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে যান্ত্রিক প্রযুক্তির ব্যবহার যে সমাজে লক্ষ করা যায় তাকে শিল্প সমাজ বলা হয়। অন্যভাবে বলা যায়, শিল্প হলো একটি প্রক্রিয়া বিশেষ, যাতে যন্ত্র ও আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বৃহদাকার শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। আর এ উৎপাদন প্রণালিকে কেন্দ্র করে যে সমাজ গড়ে ওঠে তাকেই শিল্প সমাজ বলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যান্ত্রিক প্রযুক্তি এবং বৃহদায়তন উৎপাদন পদ্ধতির উপর নির্ভরশীল সমাজ ও অর্থনৈতিক অবস্থার নামই শিল্প সমাজ ।
মূলত ১৪৫২ খ্রিষ্টাব্দে রেনেসাঁ এবং ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দে ইংল্যান্ডে তথা সমগ্র ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের পর যে নতুন যুগের সূচনা তাই হলো শিল্প সমাজ। আঠার থেকে উনিশ শতকে শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটে, শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক
পরিবর্তন সূচিত হয়। উৎপাদন ক্ষেত্রেও পুরাতন উৎপাদন পদ্ধতির পরিবর্তে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভব হয়। যন্ত্রের সাহায্যে মানুষ দ্রব্যাদি উৎপন্ন করে উৎপাদন বৃদ্ধি করে। নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে কম খরচে অধিক পণ্য সরবরাহ ও উৎপাদন সম্ভব হয় এবং সুদক্ষ শ্রমিক শ্রেণির আবির্ভাব ঘটে। সুতরাং বলা যায়, শিল্পসমাজ হলো কৃষি সমাজ অপেক্ষা প্রযুক্তিগত দিক থেকে একটি উন্নততর ব্যবস্থা।
জেমটওয়াট ১৭৬৯ সালে বাস্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন। বাষ্পীয় শক্তি আবিষ্কারের পর যন্ত্রযুগের দ্রুত বিকাশ সাধিত হয়। এ সময়ে বস্ত্রকল আবিষ্কার, কয়লা, লৌহ ইত্যাদিকে ব্যাপকভাবে উৎপাদন কাজে নিয়োজিত করা, লৌহ গলিয়ে নানাবিধ উৎপাদন কাজে ব্যবহার প্রভৃতি শিল্প উৎপাদনকে গতিশীল করে। এতে নানাবিধ শিল্পজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে আমদানি, রপ্তানিও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। শিল্পজাত পণ্যের বাজার সৃষ্টি করে বণিক শ্রেণি সমাজে একটি বিশেষ স্থান দখল করে। বৃহৎ শিল্প মালিকানা লাভের সাথে সাথে শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ পুঁজিপতিদের হাতে চলে যায়। এর ফলে ব্যাপক হারে শ্রমিক শোষণ শুরু হলেও নিরুপায় মানুষ দলবদ্ধভাবে কারখানার দিকে ছুটে যায়। এ শ্রমিক শ্রেণি সমাজে নতুন নতুন মাত্রা যোগ করে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়। শিল্পায়নের অগ্রগতির ফলে যে অর্থনৈতিক উদ্বৃত্ত দেখা দেয় তা পূর্ববর্তী যেকোনো সমাজ ব্যবস্থা থেকে উন্নত ছিল। শিল্প সমাজের সম্প্রসারণের ফলে শহরে প্রচুর শ্রমিক শ্রেণির আগমন মধ্যবিত্ত শ্রেণির সম্প্রসারণ, পেশায় বিশেষীকরণ, জমির পরিবর্তে শিল্পকারখানায় উৎপাদন, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। অর্থনৈতিক অসমতা সামান্য পরিমাণ হ্রাস পায় এবং সমাজে পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রের আগমন ঘটে। I
পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক পরিবর্তনের এক অনিবার্য ফলশ্রুতি হলো শিল্প সমাজ। প্রাচীন বন্যদশা থেকে কৃষি সমাজে এবং কৃষি সমাজ থেকে শিল্প সমাজে উত্তরণ এক দীর্ঘ পথ পরিক্রমার ফুল। শিল্প সমাজের মানুষ কৃষিপণ্য উৎপাদনের পরিবর্তে শিল্প পণ্যের দিকে অধিক ঝুঁকে পড়ে এবং এ সমাজে মানুষের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। এককথায় বলা যায়, সমাজ হলো শিল্প নির্ভর সমাজ।

শিল্পায়িত সমাজের বৈশিষ্ট্য Features of Industrial Society

শিল্প
সভ্যতার ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ছিল শিল্প বিপ্লব। তবে শিল্প বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার আগে শিল্প বলতে ক্ষুদ্রায়তন বিশিষ্ট কুটির শিল্পকেই বুঝাত। ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের অধিকাংশ শিল্প সমাজে ব্যক্তি মালিকানার ভিত্তিতে পুঁজিবাদী শিল্প সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে চীন রাশিয়া কিউবা প্রভৃতি দেশে সামাজিক তথা রাষ্ট্রীয় মালিকানার ভিত্তিতে সমাজতান্ত্রিক শিল্প সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিল্পায়িত সমাজের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচে আলোচনা করা হলো- ১. আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রের ব্যবহার : কৃষি বা অকৃষিজ উৎপাদন ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হলো শিল্পায়িত সমাজের প্রধান বৈশিষ্ট্য। প্রাক শিল্প সমাজে এটা অনুপস্থিত ছিল। এছাড়াও উৎপাদন যোগাযোগ, প্রশিক্ষণ, গবেষণা দৈনন্দিন জীবন-যাপন প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও যন্ত্রের অনিবার্য ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। হাতের ছোঁয়া ছাড়াই উৎপন্ন হচ্ছে হাজার হাজার টন সামগ্রী। তাই অনেকে শিল্প সমাজকে প্রযুক্তি বা যান্ত্রিক সমাজ বলে অভিহিত করেন।
২. শিল্প প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি : শিল্প সমাজে ক্ষুদ্রায়তন শিল্প প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতিসমূহ তেমন উন্নত ছিল না। কারণ তখন বিজ্ঞানের খুব একটা অগ্রগতি সাধিত হয়নি। শুধু শ্রম শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন করা হতো। তথাপিও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কিছু যন্ত্রপাতি মানুষের শারীরিক পরিশ্রমকে লাঘব করার জন্য কিছুটা হলেও সহায়তা প্রদান করেছিল।
৩. কলকারখানার কাজে শ্রমিক নিয়োগ : শিল্প সমাজে অধিকাংশ শ্রমিক কলকারখানার কাজে নিয়োজিত ছিল। কারণ তখনকার লোকজন গ্রামে কৃষিকাজে নিয়োজিত ছিল আর অবশিষ্ট লোকজন প্রায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাজে নিয়োজিত থাকত। তবে তারা সম্পদ আহরণ অথবা দ্রব্য উৎপাদনের চেয়ে সেবা প্রদানের কাজে অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত ছিল।
৪. ক্ষুদ্রায়তন উৎপাদন ব্যবস্থা : শিল্প সমাজের উৎপাদন ব্যবস্থা ক্ষুদ্রায়গুনে পরিচালিত হয়ে থাকে। কারণ সে সময় শিল্প স্বল্পপুঁজি ও মূলধন নিয়ে ক্ষুদ্র শিল্পকারখানা পরিচালিত হতো। তবে পরবর্তীতে শিল্প সমাজে উৎপাদন ব্যবস্থা বৃহদায়তনে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং উৎপাদন, বিনিময় কটন ও ভোগের ক্ষেত্রে নতুন ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয়।
৫. শিল্প সমাজের শ্রেণিবিভাগ : শিল্প সমাজে সামাজিক, স্থরবিন্যাস ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। যেমন- উৎপাদিত প্রতিষ্ঠানের মালিক ও সমাজের শ্রমিকদের মধ্যে শ্রমবিভাজন দেখা গেছে। এছাড়া আদিম শিল্প সমাজের সম্পত্তিতেও বিভেদ দেখা গেছে। যেমন- তৎকালীন ব্রিটেনে মাত্র ২০% লোক ৮০% সম্পদের মালিক ছিল, বাকি ৮০% লোক মাত্র ২০% সম্পদের মালিক ছিল।
৬. পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি : শিল্প সমাজে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হলেও পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সৃষ্টি হয় নানাবিধ সমস্যা। এসব সমস্যা মানব জীবনকে নানা রকম জটিল সমস্যার সম্মুখীন করে। শিল্প সমাজের উল্লেখযোগ্য সমস্যাগুলো হলো- অপরাধ, কিশোর অপরাধ, পতিতাবৃত্তি, পারিবারিক ভাঙ্গন, বেকারত্ব, আবাসন সমস্যা প্রভৃতি। ৭. শিল্প নগরীর বিকাশ : শিল্প সমাজের পূর্বে নগর সভ্যতার সৃষ্টি হলেও শিল্প সমাজে শিল্প নগরী তথা বাণিজ্যিক নগরীর ব্যাপক বিকাশ সাধিত হয়। প্রাক-শিল্প যুগের নগরগুলো ছিল প্রশাসনিক, সামাজিক ও ধর্মীয় কেন্দ্র। আর শিল্প সমাজের নগরগুলো গড়ে ওঠে শিল্প ও বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে।
৮. বুর্জোয়া শ্রেণির উদ্ভব : শিল্প সমাজে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের মাধ্যমে সমাজে বুর্জোয়া শ্রেণির আবির্ভাব ঘটে। বুর্জোয়া শ্রেণির হাতে উৎপাদন ব্যবস্থা কুক্ষিগত হয়ে পড়ে এবং অল্প কিছু লোক বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্য নিয়ন্তার আসনে অধিষ্ঠিত হয়।
৯. চাহিদা বৃদ্ধি : শিল্প সমাজে মানব জীবনের চাহিদাসমূহ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। এ সমাজে একদিকে জীবনের জন্য ব্যবহারোপযোগী অসংখ্য পণ্য দ্রব্য উৎপাদিত হয়, অন্যদিকে মানুষের উপার্জনও অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। সঙ্গত কারণেই আর পণ্যের প্রাপ্তি মানুষের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক চাহিদা বৃদ্ধি করে।
১০. মুদ্রা অর্থনীতি ও বাজার ব্যবস্থার প্রসার : শিল্প সমাজে মুদ্রা অর্থনীতি ও বাজার ব্যবস্থার ব্যাপক প্রসার ঘটে। বিপুল পরিমাণ শিল্প পণ্য বাজারজাতকরণ ভোগ-বিনিময় প্রভৃতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে মুদ্রা ও বাজারব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটে ।
১১. কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি : শিল্পভিত্তিক সমাজে শিল্প উৎপাদনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ফলে কলকারখানা শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, পরিবহন ও যাতায়াত প্রশাসন, শিক্ষা ও গবেষণা প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় ।
১২. শিল্প সমাজের সামাজিক আচার-আচরণ : শিল্প সমাজের অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিবর্গের আচার-আচরণ সমাজ জীবনের সকল ক্ষেত্রে অভিন্ন ছিল না। তাই আচার-আচরণের ধারা সেই সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকত। তবে শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের আচার-আচরণের উপর মূলত কোনো ক্ষুদ্রায়তন কলকারখানার উৎপাদিত শক্তি নির্ভর করত।
১৩. প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার : শিল্প সমাজের পূর্বে প্রাকৃতিক সম্পদকে ব্যবহারের চিন্তা মানুষের মাথায় আসেনি। শিল্প সমাজে মানুষ শক্তির উৎস খুঁজতে গিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন— তেল, কয়লা, গ্যাস, বিদ্যুৎ প্রকৃতির ব্যাপক ব্যবহার শুরু করেছিল। ১৪. শিল্প সমাজে ব্যক্তির সামাজিক বন্ধন: শিল্প সমাজে সমগ্র সমাজব্যবস্থার সাথে ব্যক্তির বন্ধন শিথিল হয়ে পড়েছিল। কারণ তখনকার সময়ে যেটুকু উদ্বৃত্ত উৎপাদন হতো তা দিয়ে কোনো রকমে শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকের লভ্যাংশ প্রাপ্তি ঘটত। কিন্তু শ্রমিকদের সে রকম উন্নতি হতো না। সুতরাং প্রকৃত প্রস্তাবে শিল্প সমাজ মানব সমাজের আকৃতি প্রকৃতিকে সুদূর প্রসারী পরিবর্তন কায়েম করেছিল।
১৫. পেশার বৈচিত্র্য : শিল্প সমাজে পেশাগত বৈচিত্র্য ব্যাপকরূপে প্রতিভাত হয়েছিল। কৃষি সমাজে মানুষের যেখানে কেবল কৃষি সম্পৃক্ত পেশায় নিয়োজিত থাকত সেখানে শিল্প সমাজে এসে মানুষ নানা প্রকার পেশায় নিজেদের নিযুক্ত করে। ফলে সমাজে গড়ে ওঠে বিভিন্ন পেশাদার শ্রেণি।
১৬. শিল্প সমাজে মানব সমাজের গতি প্রকৃতি। শিল্প সমাজে মানব সমাজের গতিপ্রকৃতি ক্ষুদ্রায়তন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের
ক্ষেত্রে বহুলাংশে প্রভাব ফেলে। তাই শিল্প সমাজে মানব জীবনের গতি প্রকৃতি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হ জীবন প্রথমত শ্লথ গতিতে সম্পন্ন হলেও পরবর্তীতে অভ্যস্ত দ্রুত গতিতে সম্পন্ন।
১৭. দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি : আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্র চাপিত কলকারখানা চাপাতে চাই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ শ্রমিক। তাই শিল্পায়িত সমাজের শ্রমিকেরা অশিল্পায়িত সমাজের তুলনায় বেশি দক্ষ। শিল্পায়িত সমাজে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাও চালু রয়েছে। শিল্পায়িত সমাজের মানুষের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে অধিক উৎপাদন করতে পারে।
১৮. প্রতিযোগতিা বৃদ্ধি : উন্নত জীবনের জন্য শিল্পায়িত সমাজে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অশিল্পায়িত সমাজের মানু
অল্পে তুষ্ট সেখানে শিল্পায়িত সমাজের মানুষ আরো অধিক কিছু পাওয়ার জন্য তথ্য আধুনিক সভ্যতার পুষ্পগুলো আসতে আনতে বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে। ফলে দেখা দিয়েছে প্রতিযোগিতা। সে সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে না পাওয়ার জন্য হতাশা। বুদ্ধি গাচ্ছে না গাওয়ার মানসিক চাপ। কেননা শিল্পায়িত সমাজে দক্ষতার বিচারে কাজ দেওয়া হয়। এ পর্যায়ে যার মতো দক্ষতা তার শ্রমের বাজার ততোই প্রশস্ত।
পরিশেষে বলা যায় যে, শিল্পায়িত সমাজ হচ্ছে আধুনিক, প্রযুক্তিগত সমাজ। শিল্পায়ন মানুষের উৎপাদন ক্ষমতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষের চলার পথকে করেছে সহজ ও উন্নত।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]