সভ্যতার পত্তন বা সৃষ্টি সম্বন্ধীয় সর্বশেষ ও সাম্প্রতিক তত্ত্বটি হলো প্রখ্যাত ব্রিটিশ ঐতিহাসিক আর্নল্ড জে. টয়েনবি (Arnold J. Toynbee)-এর প্রতিকূলতা ও মোকাবেলা মতবাদ। প্রতিকূল পরিবেশের কঠোরতাই বড় বড় সভ্যতার জন্ম দিয়েছে। মানুষ কোনো প্রতিকূল পরিবেশে পড়লেই প্রতিকূল পরিবেশ জয় করার কৌশল আবিষ্কার করে, যা মানুষকে নতুন কিছু করার শক্তির জন্ম দেয় এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে সহযোগিতা করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রকাশিত এবং ছয় খণ্ডে সমাপ্ত A Study of History' নামক গ্রন্থে তিনি সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনার মাধ্যমে ব্যাপক প্রসিদ্ধি লাভ করেন। তাঁর এ বিখ্যাত ও সুদীর্ঘ গ্রন্থে টয়েনবি সভ্যতার উত্থান সম্পর্কে Adversity Theory' বা Theory of Challenge and Response' তত্ত্বটি উপস্থাপন করেন। এ প্রসঙ্গে টয়েনবি উক্ত গ্রন্থে বলেছেন, 'Man achieves civilization not only result of superior geographical enrolment but also response to a challenge in a situation."
টয়েনবি দাবি করেন, ভৌগোলিক পরিবেশের কারণে সভ্যতার সৃষ্টি হয়নি। মানুষ তার প্রতিকূল অবস্থার মোকাবেলা করেই সফলতা অর্জনের মাধ্যমে টিকে থাকে এবং সভ্যতার জন্য দেয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি মিশরীয় সভ্যতা, আমেরিকার মায়া সভ্যতা ও ইজিয়ান সভ্যতার কথা উল্লেখ করেছেন। টয়েনবি দৃঢ়ভাবে বলেন যে, প্রতিকূলতা মানুষকে শুধুমাত্র চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করার দুঃসাহসই যোগায় না বরং তা স্থবির সংস্কৃতিতে নব্য জীবন স্রোতের প্লাবন বইয়ে দেয়। পৃথিবীর প্রতিকূল পরিবেশের কঠোরতা বা চ্যালেঞ্জ বা প্রতিবন্ধকতা এবং সৃষ্ট যাবতীয় বাধা-বিপত্তি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্দীপনা সৃষ্টির মধ্যেই সভ্যতা উন্মেষের মূল কারণটি বা প্রকৃত সত্য নিহিত।
টয়েনবি তাঁর 'Challenge and Response' তত্ত্বের সমর্থনে দেখিয়েছেন যে, কঠিন সমস্যা ও প্রতিকূল পরিবেশের বিরুদ্ধে মানুষ ব্যাপক সাড়া দান করে, যা স্বাভাবিক পরিবেশে করে না।
উদাহরণ হিসেবে তিনি দেখিয়েছেন যে, গীত বা হোয়াংহো নদের উপত্যকা অঞ্চলে পরিবেশ, ইয়াংসা উপত্যাকার চেয়ে দুর্গম ও প্রতিকূল পরিবেশেই সভ্যতার প্রথম আত্মপ্রকাশ করেছে ।
টয়েনবির মতে, পৃথিবীতে এসেছে চারটি বরফ যুগ। বরফ, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, তীব্র শীত, অত্যধিক উষ্ণতা ও ঝড়ঝঞ্ঝা সংগ্রাম করতে হয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানুষকে হতে হয়েছে গর্তবাসী, গুহাবাসী, অরণ্যচারী, পাথরের হাতিয়ার ব্যবহারকারী, পশু পালক, যাযাবর ও কৃষিজীবী ।
টয়েনবি বলেন যে, মানুষের রয়েছে বিশাল সৃজনী ক্ষমতা বা সৃষ্টির প্রতিভা এবং প্রতিকূল অবস্থায় পতিত হলেই প্রতিকূলতা উত্তরণে এ সৃষ্টিশীল সুপ্ত প্রতিভার প্রকৃত বিকাশ ঘটে ।
যাবতীয় বাধা-বিপত্তি ও বিপদ-আপদে মানুষ হতাশ বা নিরাশ না হয়ে বরং শক্ত হাতে হাল ধরে অকুতোভয় সৈনিকের মতো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে এবং বিজয়ী হয়েছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার আয়োজনে সৃষ্টি হয়েছে নানা বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতি এবং এসবের সম্মিলনে মানুষ গড়ে তুলেছে সভ্যতা। টয়েনবি বিশ্বাস করেন যে, আদিম সমাজে প্রতিকূল পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করেই মানুষ প্রকৃতিকে বশে এনে সভ্যতার উন্মেষ ঘটিয়েছে। একদিকে খাদ্যের অন্বেষণে ব্যস্ততা অপরদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তারা দিশেহারা হয়ে যেত। ফলশ্রুতিতে কঠিন বাধা থেকে উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে, যা নতুন পরিস্থিতি দুর্বিপাক থেকে রক্ষা ও প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল এনে দিয়েছে। এভাবেই সভ্যতার উন্মেষ হয়েছে বলে টয়েনবি মনে করেন।
টয়েনবি মনে করেন যে, সভ্যতাগুলো কঠোর সাধনার ফলে গড়ে উঠেছে। তিনি ৬টি সভ্যতা নিয়ে আলোচনা করেই সভ্যতার উৎপত্তির প্রতিবন্ধকতা ও মোকাবিলা তত্ত্ব প্রদান করেছেন। টয়েনবি তাঁর তত্ত্বকে সমর্থন করার জন্য পৃথিবীতে ২৬টি সভ্যতাকে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
তিনি প্রতিকূলতা ও মোকাবিলায় কয়েকটি কারণের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন-
১. শৈত্য প্রবাহ, ঝড়-বৃষ্টি,
২. নদী-নালা, খাল-বিল, ঝিল,
৩. গভীর অরণ্য,
৪. ভূমিকম্প,
৫. মালভূমি মরুভূমি, ৬. চারণভূমি,
৭. বন্যা, খরা এবং
৮. প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
এসকল কারণগুলো মানুষের মনে উদ্দীপনার সৃষ্টি করে, যা সভ্যতার বিকাশকে ত্বরান্বিত করেছে বলে টয়েনবি মনে করেন। টয়ো পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের এবং ধর্মের কাহিনিগুলো বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন যে, প্রতিটি কাহিনির পাত্র-পাত্রীরা নানাবিধ চ্যালেঞ্জ বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছে। শুভ-অশুভ কিংবা ঈশ্বর শক্তি ও শয়তান শক্তির মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছে এবং সৃষ্ট দ্বন্দ্বে শুভ শক্তির বিজয় লাভ ঘটেছে। তাঁর মতে এ সকল দৃষ্টান্তই যেন প্রতিকূলতা ও মোকাবেলা মতবাদ সম্পর্কিত ধারণাকে সমর্থন দেয়।
টয়েনবি যথার্থই বলেছেন যে, সভ্যতা গড়ে ওঠার পিছনে ভৌগোলিক অবস্থান, জলবায়ু, নদ-নদী, উপকূল ক্রান্তীয় অরণ্য, উচ্চ- নিম্নভূমি, মরুভূমি, সমুদ্র প্রভৃতি সৃষ্ট প্রতিকূলতা এবং এসব প্রতিকূলতা অতিক্রম করার প্রবণতার মধ্যে একটা গভীর যোগসূত্র রয়েছে। অধ্যাপক টয়েনবি তাঁর 'A Study of History' গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে সংক্ষেপিত গ্রন্থের সপ্তম অধ্যায়ে প্রতিকূল পরিবেশে সভ্যতা সৃষ্টি ক্ষেত্রে পাঁচটি উদ্দীপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন। এসব উদ্দীপনাগুলো নিয়ে অতি সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-- ১. কঠিন ধরনের বাধা থেকে উদ্দীপনা (Stimulus of hard countries) : টয়েনবি বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশের চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে গিয়ে মানুষকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। এ পরিশ্রমের ফসলই হচ্ছে সভ্যতা। তাঁর মতে, যেখানে জীবনযাত্রা কঠিন সেখানেই প্রতিবন্ধকতাকে মোকাবেলা করে সভ্যতা গড়ে উঠেছে। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেছেন যে, চৈনিক সভ্যতা গড়ে ওঠেছে হোয়াংহো নদীর চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে। পুরোনো চীনে হোয়াংহো নদী ছাপিয়ে ওঠে সব কিছু বন্যায় ভাসিয়ে দিত বলে এই নদীর নাম ছিল চীনের দুঃখ। উর্বর ভূমির অভাব, লেবানন পর্বতমালার দুর্ভেদ্য বৈশিষ্ট্য সামুদ্রিক শক্তি হিসেবে ফিনিশীয় সভ্যতার বিকাশ ঘটে। প্রাচীন সভ্যতায় বর্ণমালা, ধর্ম ও উপনিবেশ সম্পর্কিত জ্ঞানোন্নয়নের ক্ষেত্রে ফিনিশীয় সভ্যতার অবদান অপরিসীম।
নতুন ভূমির উদ্দীপনা (Stimulus of new ground) : নতুন ভূমি বলতে টয়েনবি পূর্ব স্থান পরিত্যাগ পূর্বক (Migration) নতুন স্থানে আগমনকে বুঝিয়েছেন। তাঁর মতে পুরাতন ভূমি অপেক্ষা নতুন ভূমির উদ্দীপনা সভ্যতা বিকাশে ভূমিকা রাখে। ভারত, সিরিয়া, রাশিয়ার কিছু অঞ্চল, গ্রিস, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি স্থানে এ উদ্দীপনার ইতিহাস টয়েনবির তত্ত্বের সপক্ষে সাক্ষ্য দেয়। টয়েনবি আরও দেখিয়েছেন যে, বিভিন্ন সভ্যতার পৌরাণিক কাহিনি, ধর্মীয় আচার-বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ডের বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে, মানুষের কাছে নতুন ভূমির উদ্দীপনা সভ্যতা বিকাশে ভূমিকা রাখে। তিনি ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম ধর্মের প্রবর্তকদের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, নিজ মাতৃভূমিতে ধর্ম প্রচারে এবং প্রসারে যতটা সফলতা অর্জন করেছেন এর চেয়ে অনেক বেশি সফলতা অর্জিত হয়েছে নতুন স্থানে আগমনের ফলে। ফলশ্রুতিতে দেখা যায়, মহানবি হজরত মুহাম্মদ (স.) নিজ জন্মভূমি মক্কা ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করলে মদিনাতেই ইসলাম ধর্মের অভূতপূর্ব প্রসার ঘটে। বৌদ্ধধর্ম গৌতম বুদ্ধের মূল ভূখণ্ডে প্রাধান্য বিস্তারে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে নতুন ভূখণ্ডে শ্রীলংকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। হিন্দু ধর্মের বিকাশ ঘটে নতুন ভূমি দক্ষিণ ভারতে। জরথুস্ট্রবাদের প্রতিষ্ঠাতা জরথুস্ট্রকেও ধর্ম প্রচারে সফলতা অর্জনে তাঁর জন্মস্থান আজারবাইজান (ইয়ান) থেকে খোরসানে চলে আসতে হয়। সভ্যতার উৎকর্ষতার সামনে নতুন ভূমির এ শক্তিশালী উদ্দীপকতার আরেকটি সফল নমুনা হলো খ্রিষ্ট ধর্মের ইতিহাস। কেননা খ্রিষ্টধর্মের উৎপত্তি স্থল পশ্চিম এশিয়া পেরিয়ে ইউরোপে এ ধর্মটি সুপ্রতিষ্ঠিত হয় ।
আঘাত থেকে পরিত্রাণের উদ্দীপনা (Stimulus of blows) : টয়েনবির মতে, মানুষ আঘাত প্রাপ্ত হলে ঘুরে দাঁড়ায় এভং ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থা থেকে উত্তরণে তার সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটে বা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার স্পৃহা সৃষ্টি হয়। টয়েনবি তিনটি ক্ষেত্রে এ উদ্দীপনাকে দেখেছেন বহিঃশত্রুর হঠাৎ আক্রমণ, বহিঃশত্রুর ক্রমাগত আক্রমণের আশংকার চাপ এবং দণ্ডিত অবস্থা থেকে মুক্তির উদ্দীপনা ।
টয়েনবি বলেন যে, বহিঃশত্রুর হঠাৎ বা নিয়ত আক্রমণের সম্ভাবনা চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করে এবং আক্রমণ হতে পরিত্রাণের জন্য গৃহীত পরিকল্পনা ও বাস্তব ব্যবস্থাদি সভ্যতা সৃষ্টির সহায়ক হয়। এক্ষেত্রে বহু উদাহরণ পৃথিবীর বুকে রয়েছে। যেমন— রোমের ভাগ্যাকাশে Clades Alliensis কী প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল তা আমাদের অজানা নয়। রোমের রাজ্য জয়ের বিজয় রথ একবারে ছিন্নভিন্ন করে দেয় গল জাতি ৩৯০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে। রোমানরা হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে ওঠে এবং আক্রান্তের মাত্র ৫০ বছরের মাথায় পরাক্রমশালী জাতিতে পরিণত হয়ে ইতালি দখল করে নেয় । আক্রান্ত হয়ে ধ্বংসের পরিবর্তে অধিক শক্তিশালী হয়ে ওঠার উদাহরণ (মঙ্গল আক্রমণের বিরুদ্ধে), কার্নেজ (রোমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে), অস্ট্রিয়া (নেপোলিয়ানের বিরুদ্ধে), গ্রিস (পারসিকদের বিরুদ্ধে) প্রভৃতি জাতির ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে ।
৪. চাপ হতে মুক্তির উদ্দীপনা (Stimulus of Pressures) : টয়েনবি বলেন যে, বহিঃশক কর্তৃক ক্রমাগত আক্রান্তের ভীতি, চাপ বা আশঙ্কা সভ্যতা সৃষ্টিতে উদ্দীপনা যোগায়। তিনি মিশরের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, যাযাবর হিসদের বিরুদ্ধে এরূপ আশংকা থেকেই ১৫৮০ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে প্রাচীন মিশরীয়রা হিকাদের আদিপত্য ধ্বংস করে এবং প্রথমে আহযোজ এর নেতৃত্বে মিশরের ইতিহাসে সাম্রাজ্যের যুগ প্রতিষ্ঠা করেন। টয়েনবি আরও বলেন, ভীতি, চাপ বা হুমকির মধ্যে থাকা জনগোষ্ঠীর নিরাপদে চাপযুক্ত থাকা জনগোষ্ঠী অপেক্ষা অনেক বেশি উন্নত হবার নজির রয়েছে।
দণ্ডিত অবস্থা হতে মুক্তির উদ্দীপনা (Stimulus of Penalizations ) : দণ্ডিত অবস্থা বা পরাধীনতা এবং প্রতিবন্ধিত্ব মানুষকে মুক্তির উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। আর এভাবেও সভ্যতার বিকাশ ঘটতে পারে। উদাহরণ হিসেবে তিনি আরও বলেন যে, অন্ধ বা অন্য ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধী বেঁচে থাকার জন্য বিকল্প শারীরিক যোগ্যতা অর্জন করে।
প্রসঙ্গত টয়েনবি বলেন যে, প্রাচীনকালে প্রতিবন্ধী যুদ্ধ ক্ষেত্রে যেতে না পারলেও যুদ্ধাস্ত্র তৈরির মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছিল। দাস প্রথার যুগে দাসরা দাসত্ব বা শৃঙ্খলিত অবস্থার মধ্যেই মুক্তির স্বপ্ন দেখে এবং পরবর্তীতে শক্তিশালী ও স্বাধীন নাগরিকে পরিণত হয়। হেলনিক সভ্যতার চর্চা, ধর্ম চর্চা ইত্যাদির মাধ্যমে তারা নতুন ধর্মমত খ্রিষ্টধর্মের প্রসার ঘটায়। প্যালেস্টাইন ও সিরিয়ায় হিব্রুদের এক শক্তিশালী ভূ-খণ্ড ও সভ্যতা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রেও একই ধারা লক্ষণীয়। পরিশেষে টয়েনবি যথার্থই বলেছেন যে, সৃজনশীল সম্প্রদায় ও সমাজের মধ্যে সৃজনশীল শক্তির অভাববোধ দেখা দিলেই সভ্যতার পতন সূচিত হয়। এর ফলে সমাজকে নতুন নতুন জীনব ধারণসহ উদ্দীপনা দিতে ব্যর্থ হয় এবং সমাজে বিচ্ছিন্নতা ও বিদ্রোহ দেখা দেয়। এভাবেই সমাজের সামগ্রিক সংহতির অভাব দেখা দেয়। সমাজের কর্মপন্থা বা জীবনধারা নির্ধারণ করার
সম্ভাবনা না থাকায় সভ্যতার পতন হয় ।
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত