চীনা সভ্যতার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা কর । Discuss the major features of chines civilization.

বিশ্বের সর্বাপেক্ষা জনবহুল, পঞ্চশক্তির অন্যতম শক্তি ও বিশাল আয়তন বিশিষ্ট দেশ হলো সমাজতান্ত্রিক চীন। বর্তমানে পৃথিবীতে চীন যেমন নানা ক্ষেত্রে জগৎবাসীর দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে তেমনি আবার চীনের রয়েছে দীর্ঘ সমৃদ্ধ অতীত, প্রাচীন ঐতিহ্য সভ্যতা ও সংস্কৃতি। পৃথিবীতে বেশ কিছু প্রাচীন সভ্যতা বিকশিত হলেও কালের করাল গ্রাস থেকে তা রক্ষা পায়নি। চৈনিক সভ্যতাই পৃথিবীর একমাত্র সভ্যতা যেটি খ্রিষ্ট পূর্ব ২০০০ অব্দ থেকে অদ্যবধি সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই বলা যায়, চীনা সভ্যতা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা। চীনের মোট আয়তন ৩৬,০০,০০০ বর্গমাইল, শুধু আয়তন ও প্রাচীনত্বের দিক থেকেই নয় চীন সভ্যতার বহুমুখী অবদানের দ্বারা বিশ্বসভ্যতার ইতিহাসে একটি স্থায়ী ও উল্লেখযোগ্য আসন দখল করেছে এ সভ্যতা ।
হোয়াংহো নদীকে চৈনিক সভ্যতার সুতিকাগার বলা হয়। হাজার বছর ধরে হোয়াংহো ও ইয়াংজী নদীর অববাহিকায় গড়ে eঠা অনেক আঞ্চলিক সংস্কৃতি চীনের সভ্যতাকে বিভিন্নভাবে সমৃদ্ধ করেছে। তাই বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে চৈনিক সভ্যতা পৃথিবীর সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ জন্যই চৈনিক সভ্যতাকে মানব সভ্যতার অন্যতম সুতিকাগার বলা হয়।

চীনের নামকরণ Naming of China

চীনের নামকরণ নিয়ে পণ্ডিতেরা কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি। পৌরাণিক কাহিনি ও কিংবদন্তী অনুসারে খ্রিষ্টের জন্মের অনেক পরে চীনের নাম ছিল 'চুংহোয়া' বা 'চুনকোয়া'। চুং অর্থ মধ্যবর্তী, হোয়া অর্থ ফুল। আর কোয়া অর্থ দেশ। বিভিন্ন পণ্ডিত ও গবেষকরা একমত যে, 'চিন' শব্দ থেকে 'চীন' নামকরণ করা হয়েছে। চৌ রাজবংশের সময় চিন ছিল একটা করদ রাজ্য। খ্রিষ্টপূর্ব ২২১ অব্দে চিন পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলো জয় করে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। এই 'চিন' রাজ্যের নামানুসারেই দেশটির নাম হয়ে যায় চীন।

চৈনিক জাতির উৎপত্তি Origin of Chinese Nation

চৈনিক জাতির জন্মগত পরিচয় নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ওয়েলস উইলিয়াম, তাঁর 'দি মিডল কিংডম' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, চৈনিক জাতির উৎপত্তি বিশেষ করে তাদের সৃষ্টি নিয়ে একটি জনপ্রিয় কিংবদন্তী প্রচলিত আছে, আদিতে চীনাদের মধ্যে সবসময় গোলমাল ও বিশৃঙ্খলা লেগেই থাকত। এই অবস্থায় ‘ইয়াং ও ইন' নামক দুটি শক্তির উদ্ভব ঘটে। পরবর্তীতে এই দুই শক্তি পানকু নামক পৌরাণিক মানব জন্ম দেয়। পানকুর মৃত্যুর পর তার মাথা পর্বতমালা, তার নিঃশ্বাস বায়ু ও মেঘ তার কণ্ঠস্বর বজ্র, তার শিরা নদী, গায়ের চামড়া ও চুল বড় বড় গাছ আর দাঁত এবং অস্তি হলো মাটির নিচের খনিজ সম্পদ। এসব কিছুর মধ্যে যারা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে তারাই চীনের আদি পুরুষ। ১৯৬৭ সালে বেইজিং থেকে মাত্র ১৮ মাইল দূরে চুকুতিয়েন নামক গ্রামে খনন কাজের সময় আবিষ্কৃত Itomo Erectus Pekinensis বা পিকিং মানবের ৪৫ জন নারী পুরুষ ও শিশুর দেহাবশেষ আবিষ্কৃত হয়। এ আবিষ্কারটি চীনা জাতির উৎস অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। পিকিং মানবের হাড়, মাথার খুলি ও অন্যান্য দেহাবশেষ প্রমাণ করে যে, মানব জাতির এ প্রজাতিটি কমপক্ষে ৫ লক্ষ বছর পূর্বে পৃথিবীতে বসবাস করত। এদের দৈহিক বৈশিষ্ট্য আধুনিক মঙ্গোলীয়দের সাথে অভিন্ন। অন্য একদল পণ্ডিত মনে করেন মধ্য এশিয়ার টারিস উপত্যকা থেকে একদল মানুষ পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর চীনের সমতল ভূমিতে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীই চীনের পূর্ব পুরুষ।
আবার আরেক দল পণ্ডিত মনে করেন, তুর্কিস্তানের যাযাবর সম্প্রদায় উত্তর থেকে এসে হোয়াংহো এলাকায় সভ্যতা গড়ে তোলে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছে। তারাই মূলত চৈনিক জাতিতে পরিণত হয়েছে।

প্রাগৈতিহাসিক যুগে চীন Pre-Historic Age of China

বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ J.G. Anderson কর্তৃক উত্তর চীনে পরিচালিত প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কার্যের ফলে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ থেকে প্রমাণিত হয় যে, প্রস্তর যুগেই এখানে বসতি গড়ে উঠেছিল এবং ব্রোঞ্জ যুগে তা পূর্ণভাবে বিকশিত হয়। ঐতিহাসিক‍ প্রাগৈতিহাসিক যুগে চীনকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন। যথা-
ক. প্রাক প্রস্তর যুগ বা পুরাতন প্রস্তর যুগ : দশ লাখ বছর পূর্বে প্রাগৈতিহাসিককালে চীনে 'হোমো ইরেকটাস' নামে মানুষের একটি প্রজাতি বাস করত। গবেষণায় দেখা যায় যে, জিয়ারচাং লিয়ানে প্রাপ্ত হাতিয়ার ১.৩৬ মিলিয়ন বছরের পুরানো। সাধ প্রদেশে হোমাইরেকটাসদের আগুনের ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যা ১.২৭ মিলিয়ন বছর পুরনো। ১৯২৩-২৭ সালে প্রাপ্ত প্রাচীন মানুষের টর্সলাইট 'পিকিং মানব' নামে পরিচিত। Human প্রদেশের Fuyan গুহা এবং Dao কাউন্টিতে প্রাপ্ত মানুষের দাঁতের বয়স ১,২৫,০০০ থেকে ৮০,০০০ খ্রিঃপূঃ বলে অনুমান করা হয়।
খ. নব্য প্রস্তর যুগ বা পুরাতন প্রস্তর যুগ : ১৯৫০ সালের পর দক্ষিণ চীনের কোয়াংশি প্রদেশ ও দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তের যুনান প্রদেশে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কার্যের মাধ্যমে নব্য প্রস্তর যুগের বহু নিদর্শনাদি আবিষ্কৃত হয়। এগুলোর মধ্যে উন্নত হাতিয়ার, কারুকার্য খচিত মৃৎপাত্র। কৃষিভিত্তিক গ্রাম, পশু গৃহে পশু পালনের প্রমাণাদি, কুমোরের চাকা ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। খ্রিঃপূঃ ১০,০০০ হাজার বছরের আগের সময়কে নব্য প্রস্তর যুগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। নব্য প্রস্তর যুগে আরও প্রমাণ পাওয়া যায় যে, ইয়াংজি নদীর তীরে রোপণ করা ধান ৮০০০ বছরের পুরনো। এ যুগের আবিষ্কৃত বিস্তৃত এলাকা দুটি, ইয়াংশা ও সংস্কৃতি এবং লুংশান সংস্কৃতি নামে পরিচিত ।
পণ্ডিতগণ আরও অভিমত ব্যক্ত করেন যে, খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ থেকে ১৬০০ অব্দ পর্যন্ত চীনে নব্য প্রস্তর যুগের সময়কাল ছিল। নব্য প্রস্তর যুগের চৈনিক সভ্যতার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সাথে মেসোপটেমিয়া, সিন্ধু ও মিশরীয় সভ্যতার অনেক সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। গ. ব্রোঞ্জযুগ : Majiayao সংস্কৃতির প্রত্নস্থানে ৩১০০ থেকে ২৭০০-এর মধ্যবর্তী সময়ের পুরাকীর্তি পাওয়া গেছে। চীনের সর্ব উত্তর অঞ্চলের নিম্ন Xiajiadian সংস্কৃতিতেও ব্রোঞ্জ যুগের আরও অনেক নিদর্শন পাওয়া গেছে ।
চীনের রাজনৈতিক ইতিহাস Political History of China
চীনের রাজনৈতিক ইতিহাস জানতে হলে লিখিত উপাদানের ওপর নির্ভর করতে হয়। যেসব লিখিত উপাদান থেকে চীনের ইতিহাস জানা যায় তার বেশির ভাগই মাঞ্চু যুগের প্রথম দিকে লিখিত। চৈনিক সভ্যতার মাধ্যমে প্রাপ্ত প্রাচীন উৎসগুলোতে খ্রিঃপূঃ ২২০০ অব্দের পূর্বে কোনো শাসক বা রাজার নাম উল্লেখ নেই। তবে, পৌরাণিক কাহিনি মতে ৪০০০ হাজার বছর পূর্বে চীনের বিভিন্ন জাতি মিলে হুয়াংতি (Huangti )-কে তাদের নেতা নির্বাচিত করে। বিভিন্ন উৎস থেকে জানা যায় যে, খ্রিঃপূঃ ২২০৫ অব্দে “সিয়া” নামক একটা রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়। সিয়া রাজবংশের শাসনের পূর্বে "পঙ্ক" শাসকের রাজত্ব সম্পর্কে কিংবদন্তী রয়েছে। তাদের প্রথম সভ্য শাসক হিসেবে ফুসি (Fuhsi)-এর নাম পাওয়া যায়। তাঁর উত্তরাধিকারী হলেন রাজা সেননাঙ, ইয়াংতি ইয়াত্ত ও সুন। মূলত ফুসি মোট ১৪ বছর রাজত্ব করেছিলেন। এই ১৪ বছরে তার সভ্যতা বিকাশের ক্ষেত্রে অবদানগুলোর মধ্যে চিত্র লিখন, পঞ্জিকা প্রণয়নসহ ৩৫টি তন্ত্রী বীণার আবিষ্কার উল্লেখযোগ্য ।
চীনের রাজনৈতিক ইতিহাস : চীনের প্রাচীন ইতিহাস অতীতকাল পর্যন্ত বিস্তৃত। চৈনিক সভ্যতার রাজ বংশগুলোর দীর্ঘ ধারাবাহিক ইতিহাস রয়েছে। নিম্নে চীনের রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো-
১. সিয়া রাজ বংশ (খ্রিঃপূঃ ২২০৫-১৭৬৬ অব্দ) : খুব সম্ভবত সিয়া রাজ বংশই চীনের প্রথম রাজ বংশ। “ইউ" (U) এ রাজ বংশের প্রতিষ্ঠাতা। সিয়া রাজবংশের মোট সাত জন রাজা রাজত্ব করেন। সিয়া রাজবংশের সর্বশেষ রাজা চীয়েকে পরাজিত করে তাং নামক একজন নেতা শাং রাজ বংশ প্রতিষ্ঠা করেন। উল্লেখ্য, শিয়া বংশের রাজনৈতিক অস্তিত্বের সমর্থনে এখন পর্যন্ত কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া যায় নি ।
সাহিত্য ও দর্শন : সাহিত্য ও দর্শনের ক্ষেত্রে চৌ যুগের অবদান ছিল সর্বাধিক। চীনা রাজ্য, সামন্ত প্রভু ও অভিজাতগণ তাদের পারিবারিক বিভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ করে রাখতেন। এ সভ্যতার প্রধান গ্রন্থসমূহ হচ্ছে। 'Book of Change'. Document Classic', 'Book of Eliquette', 'Book of Poetry' ইত্যাদি ।
. চিকিৎসা বিজ্ঞান : চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রাচীন চীনারা যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করে। চৌ যুগে The Canon of Medicine সংকলন করা হয়। এতে বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কার্যাবলীসহ বেশকিছু রোগের নাম এবং এগুলোর ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়। চীনা চিকিৎসকরা বিভিন্ন রোগ ব্যাধির সাথে ঋতুর সম্পর্ক নির্ণয়ের চেষ্টা করেন। সুং রাজ বংশের রাজত্বকালে প্রণীত ঔষধ প্রস্তুত প্রণালি বিষয়ে ৮৯৩টি বনৌষধি ও তাদের গুণাগুণ সম্পর্কে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ।
:
সিভিল সার্ভিস : মেধাভিত্তিক পরীক্ষার উদ্ভাবন চৈনিক সভ্যতার একটি অনন্য কৃতিত্ব। চীনারাই প্রথম আমলাতান্ত্রিক শাসনের সূত্রপাত করেন। সম্রাট তার শাসনকর্তাদের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে যোগ্য ও চরিত্রবান লোকদের বাছাই করার নির্দেশ দিতেন। তাদের মধ্য থেকে সম্রাট নিজেই সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে উপযুক্ত ব্যক্তিদের সরকারি পদে নিয়োগদান করতেন। ১৫. দর্শন : প্রাচীন চীনা সভ্যতার এক অনবদ্য কৃতিত্ব তার দর্শন শাস্ত্র। খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ অব্দ থেকে তৃতীয় অব্দ পর্যন্ত চীনে দর্শনের বিকাশ ঘটে। চৌ যুগের শেষের দিকে সামাজিক অস্তিরতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে তা নিরসনের লক্ষ্যে একদল দার্শনিক তাদের নীতিমালা প্রণয়নে সচেষ্ট হন। কনফুসিয়াস, লাওসে মেনাসিয়াস, চুয়াংগুসি, মোতি প্রমুখ সেই সময়ের উল্লেখযোগ্য দার্শনিক। তবে দার্শনিক মতবাদের মধ্যে যে দুটি মতবাদ সবচেয়ে প্রাধান্য পায় তা হলো 'কনফুসিয়াস মতবাদ এবং লাওসে প্রচারিত 'তাওবাদ'। প্রত্যেক দার্শনিকই সমাজ ও জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিভিন্ন নীতিবিধি তুলে ধরেন। পরিশেষে বলা যায় যে, মিশরীয়, মেসোপটেমীয় ও সিন্ধু সভ্যতার পরেই প্রাচীন চীনা সভ্যতা ছিল অন্যতম। আর্থ- সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তাদের অবদান ছিল যথেষ্ট। তবে এ কথা ঠিক যে, প্রাচীনকালে প্রাকৃতিক বাধার কারণে মূল চীন ভূ-খণ্ড চার পাশের অঞ্চলগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। বাধাগুলো হচ্ছে উত্তরে গোত্রি মরুভূমি, পশ্চিমে তীব্বতের পার্বত্য মালভূমি এবং পূর্ব দক্ষিণে প্রশান্ত মহাসাগর। এরূপ প্রাকৃতিক বিচ্ছিন্নতার জন্যই চীনা সভ্যতা/ চৈনিক সভ্যতা ছিল স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]