গ্রিক নগর রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ Features of City State in Greek

গ্রিক নগর রাষ্ট্র City State of Greek
প্রাচীন গ্রিক সভ্যতা মূলত নগরকেন্দ্রিক রাষ্ট্রের সমাহার। আসলে গ্রিস নামে কোনো একক রাষ্ট্র ছিল না, ছিল অসংখ্য ক্ষুদ্রায়তনের নগর রাষ্ট্র। খাড়া পাহাড় পর্বতের বেষ্টনির অভ্যন্তরে নগর রাষ্ট্রগুলো গড়ে তোলা হয়েছিল। নগর রাষ্ট্রের নাম ছিল এ্যাক্রোপলিস (Acropolis)। যেহেতু প্রতিটি নগর রাষ্ট্র ছিল স্বাধীন, তাই প্রতিটি নগর রাষ্ট্র পরিচালিত হতো নিজস্ব সরকার, নিজস্ব প্রশাসন, নিজস্ব দেব-দেবী এবং জনসাধারণের সভার জন্য নির্দিষ্ট ছিল। জনগণের দ্বারা সরকারের জন প্রশাসনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হতো। গ্রিসের নগর রাষ্ট্রের বহিঃশত্রুর দ্বারা আক্রমণ হতো এবং এই আক্রমণের হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রতিটি নগর রাষ্ট্র নিরাপত্তা প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত ছিল। যদিও গ্রিসের নগর রাষ্ট্রসমূহে রাজতন্ত্র বিদ্যমান থাকলেও জনপ্রশাসনের কাউন্সিলরা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হতো। নগর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় ছিল স্পার্টা ও এথেন্স।
গ্রিক নগর রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ Features of City State in Greek
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগররাষ্ট্রের সমাহার ছিল প্রাচীন গ্রিস। প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগর রাষ্ট্র স্বাতন্ত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিল। এর জন্যই একটি নগর রাষ্ট্র থেকে আরেকটি নগর রাষ্ট্রকে পৃথক করা সম্ভব হতো। নগর রাষ্ট্রসমূহের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচে আলোচনা করা হলো- ১. প্রাচীন গ্রিসের প্রত্যেকটি নগর রাষ্ট্রের একটি মাত্র কেন্দ্রস্থল থাকত এবং নগর রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নাগরিকেরা
তাদের বিভিন্ন কর্তব্য নির্বাহের জন্য সেখানে সমবেত হতো।
২. আধুনিক রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আয়তন ও জনসংখ্যার বিচারে, গ্রিক নগর রাষ্ট্রের তুলনা চলে না। কেননা প্রাচীন গ্রিসের নগর রাষ্ট্রগুলো আয়তনে খুবই ছোট ছিল এবং সেই অনুপাতে জনসংখ্যার পরিমাণও ছিল কম। এ নগরবাসীর জীবনযাত্রার শিক্ষা মাত্রাও ছিল অভিন্ন প্রকৃতির। আধুনিক নগর রাষ্ট্রগুলোতে দেখা যায় কোনো কোনো অধিবাসী তার তৃতীয় প্রতিবেশীদের চিনেন না। কিন্তু গ্রিক নগর রাষ্ট্র এবং ভিন্নরূপ দেখা যায়। এখানে সকলে একই উদ্দেশ্য ও সাধারণ জীবন যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে সমাজ তাদের একই রূপে গণ্য করত।
৩. এরূপ নগর রাষ্ট্রে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ভূমির অভাব দেখা দিলে এরা নতুন নতুন উপনিবেশ স্থাপন করে থাকে।
৪. সুখী ও সমৃদ্ধশালী জীবন নির্বাহের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার সব কিছুরই যোগান নিশ্চিত ছিল নগর রাষ্ট্রে। তাই নগর রাষ্ট্রসমূহ ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ ।
৫. গ্রিক রাষ্ট্র ও সরকার, আবার রাষ্ট্র ও সমাজ এবং নগররাষ্ট্র ও গীর্জার মধ্যে কোনোরূপ পার্থক্য ছিল না। কেননা এখানে
ধর্মীয় সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনের মধ্যে কোনোরূপ সীমাবদ্ধতা ছিল না ।
৬. গ্রিক নগর রাষ্ট্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো— ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের মাধ্যমে প্রথমে বাজার দখল, পরবর্তীতে দেশ দখল করে উপনিবেশ স্থাপিত হয়েছিল ।
৭. এরূপ নগর রাষ্ট্রে একই চেতনার নাগরিক বসবাস করলেও তাদের জীবন ও জীবিকার ক্ষেত্রে এমনকি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পালনের ক্ষেত্রেও বিধি নিষেধ ছিল। এখানে নগর রাষ্ট্রের নাগরিকদেরই কেবলমাত্র অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হতো। অপরদিকে বহিরাগত কারিগর, বণিক বা ব্যবসায়ী শ্রেণির লোকদের কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হতো না। এছাড়াও গ্রিক নগর রাষ্ট্রের সর্বজনীন স্বীকৃত ছিল দাস প্রথা ।
৮. গ্রিক নগরবাসীরা ভিন্ন ভিন্ন নগর রাষ্ট্রে বসবাস করলেও তারা তাদের ঐক্য ও অখণ্ডতা সম্পর্কে সচেতন ছিল। তারা মনে > করত তাদের মধ্যে একই রক্তধারা প্রবাহমান এবং তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি ছিল এক ও অভিন্ন ।
৯. ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের মধ্যে নগররাষ্ট্রে সংঘাত ছিল না। এখানে সকল নাগরিকগণ রাষ্ট্রীয় কার্যে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা তাদের নাগরিকত্ব বজায় রাখত। তাই বলা যায় যে, প্রাচীন গ্রিসে ব্যক্তি সত্তা ও রাষ্ট্রীয় সত্তা পরস্পর অভিন্ন সূত্রে আবদ্ধ ছিল। সুতরাং বলা যায় যে, গ্রিক নগর রাষ্ট্রে রাজতান্ত্রিক শাসনের পরেই আসে অভিজাততান্ত্রিক শাসন। তারপর এসেছিল এক নায়কতান্ত্রিক বা শ্বৈরাচারী শাসন। সর্বশেষ পর্যায়ে গ্রিক নগররাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার উত্থান ঘটেছিল।

গ্রিক নগর রাষ্ট্রের উত্থান Origin of City State of Greek

পর্বতময় ও ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র হিসেবে গ্রিস দেশটি মাত্র পঁচিশ হাজার বর্গমাইলের মতো এলাকা জুড়ে ছিল। গ্রিসের ইতিহাসে, এর ভৌগোলিক অবস্থান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীন গ্রিসে শীতকালে সামান্য বৃষ্টিপাত হলেও বছরের অবশিষ্ট সময় আকাশ ছিল মেঘমুক্ত। সমস্ত গ্রিস ছিল ছোট বড় পাহাড়ে পূর্ণ। উভয় দিকের সীমানা অনেকটা কেম্বুনিয়ান পাহাড়ের দখলে। এ থেকে পিন্ডাস পর্বতমালার মধ্যে গ্রিসের দিকে ছড়ানো ।
হেমালির উত্তরে ছিল অলিমপাস পর্বত। অনেক গ্রিকরাই একে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত বলে মনে করত। গ্রিকরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে, পবর্তমালায় কুয়াশাচ্ছন্ন চূড়া ছিল দেবতাদের আবাসস্থল। পর্বত ও দ্বীপময় গ্রিকগণ আঞ্চলিক বোধে গভীরভাবে আচ্ছন্ন ছিলেন। তাদের মধ্যে স্বাতন্ত্র চেতনা ছিল প্রবল। স্বাতন্ত্রবোধ ও আঞ্চলিক বোধ থেকেই স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার স্পৃহা জন্মে এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলকে কেন্দ্র করেই নগররাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নগর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সর্বপ্রধান হচ্ছে স্পার্টা ও এথেন্স। এছাড়াও থিবিস ও মেসিডোনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এখানকার প্রতিটি নগর রাষ্ট্রই ছিল স্বাধীন। প্রাচীন গ্রিসে ও এসব নগর রাষ্ট্রগুলোর পত্তন হয়েছিল মূলত দেশের ভূ-প্রকৃতি ও জাতিগত বৈশিষ্ট্যের কারণে। নগর রাষ্ট্রসমূহের উত্থানের অসংখ্য কারণ থাকলেও গ্রিক নগর রাষ্ট্র উদ্ভবের কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ নিচে আলোচনা করা হলো-
১. কলোনি স্থাপন : গ্রীক জাতির উদ্ভব হয়েছে মূলত ব্রোঞ্জযুগের স্থানীয় অধিবাসীদের সাথে নবাগত বিভিন্ন জাতির সংমিশ্রণের ফলে । যেহেতু প্রাচীন গ্রীকরা ছিল নবাগত। যতদূর জানা যায়, গ্রিক জাতির গ্রিসের মূল সীমানায় তাদের জাতি উৎস খুঁজে পেতে কখনো সক্ষম হবে না। কেননা গ্রিকরা পূর্বে ছিল বিভিন্ন জনমানবের সংমিশ্রণের একটি সংকর জাতি। প্রাচীন গ্রিকরা এশিয়া মাইনরে বসতি স্থাপন করেছিল। তাই উপকূলবর্তী এবং তৎসংলগ্ন কয়েকটি দ্বিপ আয়োনিয়া নামে সকলের কাছে পরিচিত ছিল। এখানেই সর্বপ্রথম গ্রিক সভ্যতা বিকশিত হয়েছিল। অয়োনীয়ার সর্বাপেক্ষা সমৃদ্ধ নগর ছিল মাইলেটাস। খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীর প্রথমার্ধে মাইলেটাসবাসীদের অনুগামী হয়ে অয়োনীয় গ্রিকরা দাদানেলিস ও বসফোরাস প্রণালী অতিক্রম করে সমগ্র কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে বসতি স্থাপন করে। কালের ধারাবাহিকতায় ইজিয়ান উপসাগরের উত্তর উপকূলীয় অঞ্চলেও বসতি গড়ে ওঠে। জেরিয়ান রাষ্ট্রগুলোও পরবর্তীকালে এ বিষয়ে গভীর উদ্যোগী হয়েছিল। এভাবেই খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী পর্যন্ত কলোনী বিস্তারে কাজ চলে। ভূমধ্যসাগরের উত্তর তীরে, কৃষ্ণ-সাগরের সমগ্র উপকূলে মিশর থেকে কার্থেজ পর্যন্ত আফ্রিকার উপকূলে এবং ভূমধ্য সাগরীয় দ্বীপগুলোতে শতাধিক গ্রিক কলোনী গড়ে ওঠেছিল। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন নগররাষ্ট্র ছিল প্রাচীন গ্রীসের কলোনীসমূহ। এগুলো ছিল উপনিবেশ স্থাপনকারী মূল নগর রাষ্ট্রের এক একটি অবিকল প্রতিরূপ; কিন্তু কোনোরূপ পরাধীন নয় বরং সর্বক্ষেত্রে স্বাধীন। তাই এ সকল কলোনীর স্থাপন প্রক্রিয়া ছিল অত্যন্ত চমকপ্রদ। পঞ্চাশ দাঁড়ির নৌকায় চড়ে অভিযানকারীরা এক একজন নেতার অধিনস্ত হয়ে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে যাত্রা করত। তারা যুদ্ধের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পূর্বে ডেলফির মন্দিরে দৈবাদেশের জন্য ধর্ণা দিত। মূলত এসব অভিযানকারীর সাথে থাকত পূজারি, বণিক জরিপকারী প্রভৃতি।
মাতৃভূমির সঙ্গে আত্মীক বন্ধনের প্রতীক হিসেবে গ্রিকরা যাবার সময় সঙ্গে করে কিছু মাটি আর পবিত্র আগুন নিয়ে যেত মাতৃভূমির সঙ্গে আত্মীক বন্ধনের প্রতীক হিসেবে। সকলে মিলে তারা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছে একটা সুবিধাজনক পরিবেশে দুর্গ নির্মাণ করত এবং উন্নত ধরনের অস্ত্র এবং যুদ্ধকৌশলের মাধ্যমে স্থানীয় অধিবাসীদের পরাজিত করে প্রয়াজনীয় জমি দখল করত। এ প্রক্রিয়ায় নগর রাষ্ট্রে বিভিন্ন জটিল অনুষ্ঠান এবং নিয়মনীতি, ভাষা, পালা পার্বণ, বর্ণমালা প্রভৃতি সাগর পারের অজস্র নগর রাষ্ট্রসমূহে পরিবর্তিত হতে লাগল ।
এ্যাক্রোপলিস : সাধারণত প্রাচীন গ্রিকরা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বিশেষ করে প্রাচীর ঘেরা উঁচু স্থানে নগর গড়ে তুলত এ্যাক্রোপলিস নামে পরিচিত। তারা মূলত এই নগরের অভিজাত প্রাসাদে বসবাস করত। প্রাসাদের পাশেই ছিল মন্দির। এছাড়া সেখানে থাকত চতুষ্কোণ ফাঁকা সর্বজনীন চত্বর, যা এ্যাগোরা নামে পরিচিত। আর এই এ্যাগোরা ছিল মূলত ব্যবসা-বাণিজ্য ও আর্থিক লেনদেনের স্থান। এছাড়াও এখানে সর্বসাধারণের সভাসমিতি সেই সাথে আলোচনা সভাও অনুমিত হতো। এখানকার বাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল নগর রাষ্ট্রের কারিগর শ্রেণির লোকদের বসতি । ছোট ছোট নগর রাষ্ট্র গঠিত হতো নগর ও তার চার পাশের জমি নিয়ে। এছাড়াও এখানকার দ্বীপগুলোও একাধিক নগর রাষ্ট্রে বিভক্ত হতো। এসকল নগর রাষ্ট্রের আয়তন সাধারণত একশো বর্গমাইলের চেয়ে অধিক হতো না এবং এই নগরের লোকসংখ্যা হতো দশ থেকে পনেরো হাজার ।
অর্থনৈতিক ভিত্তি : মূল ভূখণ্ডের অধিকাংশই পাবর্ত্য অঞ্চল ছিল গ্রিক নগর রাষ্ট্রের। ফলে সেখানে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল খুবই স্বল্প। তাই গ্রিকরা জমির সন্ধানে প্রথম থেকেই বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন কলোনি স্থাপন করেছিল। নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মেটাতো সর্ব প্রথম কলোনিবাসীরাই। কিন্তু কালের ধারাবাহিকতায় এসব কলোনি বা নগর রাষ্ট্রসমূহে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে। আর বাণিজ্যকে আর বেশি সমৃদ্ধ করে তুলেছিল জলপথের যোগাযোগ ব্যবস্থা। আবার নগর রাষ্ট্রের অনেকেই নিজেদের প্রয়োজনীয় শস্য উৎপাদন না করে জলপাই, আঙ্গুর প্রভৃতি অর্থকরি ফসল উৎপাদনের জন্য বিশেষ ধরনের চাষাবাদ আরম্ভ করে। আর এভাবেই বিদেশে রপ্তানির জন্য অধিক হারে বাগিচা চাষাবাদ শুরু হয়।
৪. নগর রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিকাশ : খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ ও পঞ্চম শতাব্দীতে গ্রিকরা টায়রান্টদের উৎখাত করে নগর রাষ্ট্রসমূহে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। এ সময় সমগ্র গ্রিসের মধ্যে এথেন্সেই গণতন্ত্র সর্বাধিক বিকাশ লাভ করে। ধারণা করা হয় যে, গ্রিক গণতন্ত্র ছিল দাস মালিকদের গণতন্ত্র। স্বাধীনতা প্রাপ্ত দাস, সাধারণ দাস ও বহিরাগতরা নগর রাষ্ট্রে তারা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল।
এখানে স্ত্রী বা মেয়ে লোকদের কোনোরকম রাজনৈতিক অধিকার ছিল না। মনে রাখা প্রয়োজন যে, এই নগর রাষ্ট্রের হাজার ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম এখানেই সাধারণ মানুষের ইচ্ছানুযায়ী শাসনব্যবস্থা রচিত হয়েছিল। স্বল্পকাল স্থায়ী হলেও গ্রিক গণতন্ত্র পৃথিবীর নিকট এটা প্রমাণ করেছে যে, যদি মানুষ শ্রেণি নামক শোষণ থেকে মুক্ত হয় তবে মানুষের সৃষ্টি ক্ষমতায় অপূর্ব বিকাশ ঘটা সম্ভব ।
৫. গণতান্ত্রিক অধিকার : নগর রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ গ্রিক সভ্যতার ইতিহাসে, যে সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করত প্রাচ্যের কোনো সাম্রাজ্যতে তার কোনোরূপ অস্তিত্ব ছিল না। সার্বজনীন চত্বর, সরকারি অফিস আদালত প্রভৃতি স্থান থেকে শুরু করে গ্রিক নগর রাষ্ট্রসমূহ সকল ক্ষেত্রেই জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের স্বীকৃত ছিল ।
সুতরাং বলা যায় যে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগর রাষ্ট্রের সমাহারে ছিল প্রাচীন গ্রিস। এসকল নগর রাষ্ট্রসমূহ সে দেশের ভূ-প্রকৃতি ও জাতিগত বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে উৎপত্তি লাভ করেছিল। বস্তুত জনকল্যাণের সুষ্পষ্ট ধারণা, রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের সক্রিয় আনুগত্য, জনগণের স্বার্থেই সরকারের দায়িত্ব প্রভৃতি উন্নয়নমূলক কার্য সম্পাদিত হয়েছিল।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]