রোমান সভ্যতার ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য The Geographical Characteristics of Roman Civilization

রোমান সভ্যতা Roman Civilization
গ্রিসের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত প্রাচীন রোম নগরী। বর্তমান ইতালীর এ রোম নগরীকে ঘিরেই উদ্ভব ঘটেছিল রোমান সভ্যতার। তবে এ সভ্যতা গ্রিক সভ্যতার আগে উদয় হয়নি। ঐতিহাসিকদের মতে গ্রিক সভ্যতার চরম উৎকর্ষের পরই এ সভ্যতা গড়ে ওঠে ছয়শো বছর যাবৎ নিজ অস্তিত্ব অক্ষুণ্ণ রেখেছিল। লোক শ্রুতি অনুসারে নির্বাসিত দুই রাজপুত্র রোমুলাস এবং রেমাস সিংহাসন পুনরাধিকার করে রোম নগরী নির্মাণ করেন। রোমুলাসের নামানুসারে রোম নগরীর নামকরণ করা হয়।
রোমান সভ্যতার ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য The Geographical Characteristics of Roman Civilization
গ্রিক সভ্যতার স্বর্ণ যুগের সমসাময়িক সময়ে ভূমধ্য সাগরের মধ্যাঞ্চল তথা ইতালির টাইবার নদীর তীরে বিকশিত সভ্যতাটি রোমান সভ্যতা নামে খ্যাত। বলকান উপদ্বীপের পশ্চিমে আপেনাইন উপদ্বীপ নামে একটা বিশাল উপদ্বীপ রয়েছে। উপদ্বীপ জুড়ে আদিগন্ত মেরুদণ্ডের ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে আল্পস পর্বতমালা। পর্বতের উভয় পার্শ্বে রয়েছে উর্বর কৃষি ও গোচারণ উপত্যকা। উত্তর দিকের গগণচুম্বী আল্পস পর্বতমালা দেশটিকে রক্ষা করেছে উত্তরের শীতল বায়ু থেকে। রোমের জলবায়ু কিছুটা উষ্ণ এবং বৃষ্টিপাত গ্রিসের তুলনায় অধিক। পাবর্ত্য অঞ্চল থেকে উদ্ভূত টাইবার নদী মালভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাগরে গিয়ে পতিত হয়েছে ।
অতএব বলা যায় যে, ভৌগোলিক দিক থেকে রোমান সভ্যতা এক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছিল। ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যগত কারণেই রোমান সভ্যতা গড়ে উঠেছিল এবং একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছিল।

রোমান সভ্যতার রাজনৈতিক ইতিহাস Political History of Roman Civilization

রোমান সভ্যতার ইতিহাসে প্রাচীন রোম বৃহত্তর সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল। সাম্রাজ্য বিস্তারের সাথে রাজনৈতিক বিষয়াদি অতিমাত্রায় সম্পৃক্ত ছিল। রোমের রাজনৈতিক ব্যবস্থা তিন ধাপে বিকাশ লাভ করেছিল। যথা- রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র ও গণতন্ত্র ।
রাজতন্ত্র : প্রথম পর্যায়ে রোমে রাজতন্ত্র প্রচলিত ছিল। খ্রিঃপূঃ ৫০৮ অব্দ পর্যন্ত হলো রাজতন্ত্রের যুগ। রোমিউলাস-এর পর ছয়জন রাজা রাজত্ব করেন যাদের মধ্যে শেষ তিনজন ছিলেন এটুস্কান বংশীয়। প্রাচীন রোমান সমাজে এটুস্কানদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। খ্রিঃপূঃ ৭ম ও ৬ষ্ঠ শতকে এটুস্কানরা সমগ্র ইতালীতে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন।
রোমান রাজতন্ত্র অবশ্য নিরঙ্কুশ ছিল না। এর মূল কারণ হলো রোমান রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় গণসভা ও সিনেটের সবল উপস্থিতি। রাজ্যের সকল প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের নিয়ে গণতন্ত্র গঠিত হতো এবং এর মূল দ্বায়িত্ব ছিল আইন ও ফর্মান অনুমোদন করা ৷
সিনেট গঠিত হতো ক্ল্যান বা গোত্রসমূহের প্রধানদের নিয়ে। রাজা কর্তৃক প্রস্তাবিত আইন বা ফর্মান মূল্যায়ন করা এমন কি · নাকোচ করার অধিকার ছিল সিনেটের। রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ও বাজেট নিয়ন্ত্রণ এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক ক্ষমতাও সিনেটকে দেওয়া হয়েছিল।
অভিজাততন্ত্র : অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এটুস্কানদের ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকলে শেষ পর্যন্ত খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের শেষদিকে খ্রিঃপূঃ ৫০৯ অব্দে বিদেশি শাসক এটুস্কানদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রোমে রাজতন্ত্র উৎখাত এবং অভিজাত প্রজাতন্ত্র (Oligarchic Republic) প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাজতন্ত্র উৎখাতের পর রোমের মানুষেরা শাসন ব্যবস্থায় সংস্কার সাধন করে। রাজার পরিবর্তে দু'জন সর্বোচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন শাসক সিনেট কর্তৃক নির্বাচিত হন, যাদেরকে বলা হতো কন্সাল (Consul)। উভয় কন্সালেই সমান ক্ষমতা সম্পন্ন ছিলেন। তবে জরুরি অবস্থায় এদের একজন সর্বময় ক্ষমতা লাভ করতেন, যাকে বলা হতো ডিক্টেটর। এ সময়ে প্যাট্রিসিয়ান ও প্লিবিয়ান সংঘাত এবং পিউনিক যুদ্ধসমূহ হয়েছে। এভাবেই অভিজাত শ্রেণির হাতে অধিক ক্ষমতা পুঞ্জীভূত হওয়ায় রোমে ধীরে ধীরে জনগণ কর্তৃক আন্দোলন শুরু হয়। প্রাচীন গোষ্ঠী পতিদের বংশধর ভূ-স্বামী ও অভিজাতরা ছিল প্যাট্রিসিয়ান শ্রেণিভুক্ত। এরা এক চেটিয়াভাবে সিনেটের সদস্যপদ দখল করেছিল। অপরদিকে ক্ষুদ্র, কৃষক, কারিগর ও বণিকদের সমন্বয়ে সাধারণ নাগরিক ছিল প্লেবিয়ান শ্রেণিভুক্ত। এরা সাধারণত প্যাট্রিসিয়ানদের উপর নির্ভরশীল ছিল।
গণতন্ত্র : সিনেটে প্লেবিয়ানদের অন্তর্ভুক্তি, শাসন ও বিচার বিভাগীয় পদে প্যাট্রিসিয়াদের সব অধিকার প্রতিষ্ঠা, উপজাতি আইন পরিষদ কর্তৃক আইন প্রণয়ন, প্লেবিয়ান শ্রেণির আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পটপরিবর্তন ট্রিবিউনের ভেটো ক্ষমতার মাধ্যমেই মূলত রোমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে প্রকৃত পক্ষে রোমে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের বিকাশ হয়নি। এর প্রধান কারণ সেনা নায়কদের শ্রেষ্ঠত্ব।

সিনেট ও অ্যাসেম্বলি Senate and Assembly

রোমান রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন সম্রাট। তিনি ছিলেন জনগণের পিতা। তিনি ছিলেন জাতির শাসক, সেনাবাহিনীর প্রধান, প্রধান বিচারক এবং জনগণের সর্বোচ্চ পুরোহিতও বটে। অপরাধীকে তিনি যেকোনো ধরনের এমনকি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করতে পারতেন। সম্রাটের পরেই ক্ষমতার অধিকারী ছিল সিনেট। রাজাকে সাহায্য করার জ কার্যকরী পরিষদ ছিল। যথা- ১. জনগণের পরিষদ (The popular assembly) ও ২. সিনেট বা বয়োজেষ্ঠদের সভা (Senate or
the council of elders).
১. জনগণের পরিষদ বা অ্যাসেম্বলি । জনগণের পরিষদে অন্তর্ভুক্ত ছিল নগর রাষ্ট্রের অস্ত্রধারী মুক্ত পুরুষ নাগরিক। রোমান নগর রাষ্ট্র গড়ে ওঠার পূর্বেই ধীরে ধীরে ইটুস্কানরা তাদের উপর আধিপত্য গড়ে তুলতে থাকে। রাজা কর্তৃক উপস্থাপিত আইন বিষয়ক কোনো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অ্যাসেম্বলি ভেটো প্রদান করতে পারত। তবে অ্যাসেম্বলি ভেটো প্রদান করলেও উপস্থিত আইনের কোনো পরিবর্তন করতে পারত না। অ্যাসেম্বলি মূলত আইন অনুমোদনকারী সভা ছিল। এছাড়াও আইন, সম্পত্তি এবং বাজেটের নিয়ন্ত্রণ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক ক্ষমতাও ছিল অ্যাসেম্বলির।
২. সিনেট বা বয়োজ্যেষ্ঠদের সভা গোত্র প্রধান অভিজাত শ্রেণিরাই সিনেটে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষভাগে রোমে রাজতন্ত্র উৎখাত করে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর রোমে শাসন সংস্কার প্রবর্তিত হয়। রাজা বা সম্রাটের পরিবর্তে দুজন সর্বোচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন শাসক সিনেট কর্তৃক নির্বাচিত হতেন, এদের বলা হতো কনসাপ (Consul)। সিনেট ছিল রোম প্রজাতন্ত্রের মূল ক্ষমতার আধার। তিনশ গোত্র প্রধান ছাড়াও সাবেক কনসালগণ ও অন্যান্য পদস্ত কর্মচারীরা সিনেটে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
সিনেট কর্তৃক নিয়োগকৃত কনসালদ্বয় সমান ক্ষমতা সম্পন্ন ছিলেন। যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে কনসালদ্বয়ের একজনকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হতে হয়। একেই বলা হয় ডিক্টেটর।

প্রজাতান্ত্রিক রোম Oligarchic Rome

সরকার ব্যবস্থার অনেক ভাঙা গড়ার মধ্য দিয়ে ষষ্ঠ খ্রিঃপূঃ শেষ দিকে রোম রাজতন্ত্রের বিলোপ ঘটে। রাজতন্ত্রের বিলোপ ঘটার পর অল্প সংখ্যক লোক নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রজাতান্ত্রিক শাসন। প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দুই শতক পর্যন্ত রোমের ইতিহাস ছিল যুদ্ধ বিগ্রহের ইতিহাস। যেসকল জাতি ইতোপূর্বে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল তারাই সীমন্তবর্তী বিদ্রোহী জাতিকে রোমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সব সময় প্রেরণা দিত। এ কারণেই সবসময়ই তাদেরকে যুদ্ধের মধ্যেই কাটাতে হতো। এছাড়াও বর্ধিত জনসংখ্যার বৃদ্ধির সাথে অধিক ভূমি লাভের জন্য তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এভাবেই পঞ্চম খ্রিঃপূঃ শুরুতেই জমি দখল নিয়ে চারদিকে সংঘর্ষ বাধে। বিদ্রোহী শক্তিকে পরাজিত করে সমগ্র ইটালী উপদ্বীপ জয় করে নেয়।
সার্বক্ষণিক যুদ্ধ ও সংঘর্ষ জনজীবনের উপর রেখাপাত করে। দীর্ঘদিন সেনাবাহিনীতে নাথাকায় কৃষকরা কৃষি কাজে অনীহা দেখায়। যার ফলে ঋণের দায়ে কৃষকদের জমিগুলো অন্য হাতে চলে যেতে থাকে। এ সময় ভূ-স্বামীরা কৃষিজমি পত্তন করে নেয়, যার ফলে কৃষি ব্যবস্থায় আশার আলো দেখা যায় ।
সর্বহারা শ্রেণি এবং দাসরা কৃষি কাজে আত্ম নিয়োগ করতে বাধ্য হয়। ফলে রোমে শিল্পভিত্তিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনে বাণিজ্য সীমিত আকারে চলতে থাকে। সামরিক তৎপরতায় রোম অধিক মনো নিবেশ করে যার ফলে সাংস্কৃতিক বিকাশে পিছিয়ে পড়ে। এ পর্যায়ে ইটুস্কান শাসনের পুরোপুরি অবমাননা ঘটে।
সুতরাং দেখা যায়, ইটুস্কান শাসন থেকে অব্যাহতি পাবার জন্য ক্রমান্বয়ে রোমান রাজার ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। রোমনরা এক ব্যক্তির শাসনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওঠে। তাই তারা অভিজাত শ্রেণি থেকে কনসাল (Consul) নামে দুজন রাজা নির্বাচন করত। এদের নির্বাচনের কারণ ছিল দু'জনের মধ্যে পারস্পরিক নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য রক্ষা করা। এ সকল রাজা নির্বাচিত হতো দুই বছরের জন্য। যুদ্ধের সময় তারা সিনেটের মাধ্যমে ছয় মাসের জন্য একজন স্বৈরশাসক নিয়োগেরও ব্যবস্থা করে। এই সকল স্বৈরশাসকেরা সিনেটের নির্দেশ মতই শাসন করতেন। রোম শাসন কাঠামোতে উচ্চ স্তরে থাকতেন অভিজাত শ্রেণি আর সাধারণ নাগরিকরা থাকত ছোটখাটো পদে।
প্যাট্রিয়সিয়ান ও গ্লেবিয়ানদের সংঘাত ধীরে ধীরে রোমে অভিজাত শ্রেণির সকল ক্ষমতার মালিক হয়ে বসে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করণের ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হতে থাকে। এর ফলেই জনগণ আন্দোলনের পথ বেছে নেয়। এসময়ই মূলত রোমের জনগণ দুটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। যথা- ১. প্যাট্রিসিয়ান (Patrician) এবং ২. প্লেবিয়ান (Plebian)।
প্রাচীন গোষ্ঠীপতিদের বংশধর ভূ-স্বামী ও অভিজাতরা ছিল প্যাট্রিসিয়ান শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এরা একচেটিয়াভাবে সিনেটের সদস্যপদ দখল করে ছিল। অপরদিকে ক্ষুদ্র কৃষক, কারিগর ও বণিকদের সমন্বয়ে সাধারণ নাগরিকরা ছিল প্লেবিয়ান শ্রেণিভুক্ত। এরা সাধারণত প্যাট্রিসিয়ানদের উপর নির্ভরশীল ছিল। এদের হয়ে তারা যুদ্ধ করত, রাজনৈতিক সমর্থন দান করত। নিরাপত্ত দানের বিনিময়ে প্লেবিয়ানরা, প্যাট্রিসিয়ানদের খামারে কাজ করত। এমনিভাবে প্যাট্রিসিয়ানরা প্লেবিয়ানদেরকে শোষণ করত। প্লেবিয়ানরা উচ্চ হারে কর প্রদান করত। এ কাজে তাদেরকে বাধ্য করা হয়েছিল। আবার এদেরকে জোর করে সেনাবাহিনীতে ভর্তি করা হতো। কেবলমাত্র এসেম্বলির সদস্য হওয়া ছাড়া রাষ্ট্র কাঠামোতে তাদের কোনো স্থান ছিল না। এ সকল কারণেই শোষিত হওয়া তাদের জন্য খুব সহজ ছিল। ঋণের জন্য ঋণ গ্রহণকারীকে দাস হিসেবে বিক্রি করার নিয়ম ছিল। এ সকল অনিয়ম ও অত্যাচার প্লেবিয়ানদেরকে বিদ্রোহী হতে বাধ্য করে। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তারা ঐক্যবদ্ধ হয়। এমনিভাবে খ্রিঃপূঃ পঞ্চম শতকের শুরুতে প্লেবিয়ানরা বিদ্রোহ করে প্যাট্রিসিয়ানদের বিরুদ্ধে।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]