ভারতীয় সামগ্রথা ও ইউরোপীয় সামার পার্থক্য Difference between Indian Feudalism and European Feudalism

নিচে ভারতীয় সামগ্রা ও ইউরোপীয় সামন্ত প্রথার পার্থক্য আলোচনা করা হলো-
ভারতীয় সামগ্রথা ইউরোপীয় সাম
ভারতীয় সামমাপ্রথায় কোনো 'সামচুক্তি' সম্পাদিত হয়নি। ১. পর্ব এবং আদালদের মধ্যে 'OUT
২. ভূমিতে বাক্তিগত মালিকানা অনুপস্থিত ছিল। ৩. এ প্রথায় সামাজিক শ্রেণির মধ্যে রাজা, খাজনা, আদায়কারী শ্রেণি ও কৃষকশ্রেণি ছিল।
৪. ধর্মীয় কোনো প্ৰবতা চার্চ জাতীয় কোনো ধর্মীয় ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্বের সঙ্গে রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব সংঘাত হয়নি। ৫. এলাকাভিত্তিক কোনো স্বনির্ভর খামার বা ম্যানরপ্রথা
গড়ে ওঠেনি।
৫. সামগ্রতায় আনুষ্ঠানিকতা অনুপস্থিত ছিল।
৭. উৎপাদন চাহিদা অনুযায়ী হতো। উৎপাদন সামগ্রী বাজারে বিক্রির জন্য তেমন একটা Commodity বা বাজার পণ্যের রূপ নেয়নি। তাই ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটেনি।
দায়িত্ব-কর্তব্য সমাহারে সামন্তচুক্তি সম্পাদিত

ভূমিতে ব্যক্তিগত মালিকানা উপস্থিত ি
৩ এ প্রথায় অভিজাত, যাজক ও ভূমিদাস শ্রেণি ছিল।
৪. চার্চ বনাম রাষ্ট্রের ক্ষমতায় দ্বন্দ্ব লেগেছিল। চার্চের ক্রমে দুর্বল হতে থাকে।
৫. স্বনির্ভর খামার বা ম্যানর প্রথা গড়ে উঠেছিল। ৬ ৭ ইউরোপীয় সামন্তপ্রধায় আনুষ্ঠানিকতা বর্তমান ছিল। উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং বাজারে পণ্যে রূপ নেয়। বাণিজ্যের বিকাশ ঘটে এবং বণিক শ্রেণির এরাই প্রগতিশীল এবং বাণিজ্যিক ধনতন্ত্রের সূচনা করে।
৮. ব্যক্তিগত মালিকানায় পুঁজিগঠন না হওয়ায় পুঁজিবাদের ৮. ব্যক্তিগত মালিকানায় পুঁজিসঞ্চিত হয় এবং পুঁজিবাদের বিকাশ ঘটেনি। বিকাশ ঘটে।
৯. উৎপাদন ব্যবস্থা আন্তঃশোষণের রূপ পরিগ্রহ করে। শার স্বদেশি- ফলে তারা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে। ব্যক্তিগত মালিকানায় উপস্থিতি এবং স্বদেশি শাসক তাই উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ।
১. উৎপাদন ব্যবস্থা বহিঃশোষণের রূপ নেয়। কারণ শাসক প্রায় সর্বদাই বিদেশি। এতে উন্নতি ব্যাহত হয়। ১০. জমিদারগণ জমির মালিক নয়। খাজনা আদায়কারী ।
১০. শ্রেণিমাত্র। অন্যদিকে শাসক বিদেশি। ফলে উৎপাদন ব্যবস্থায় উন্নতি হয়নি ।
১১. আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা পুরোপুরি সামন্ত উৎপাদন ১১, আর্থ-সামাজিক কাঠামো সামন্ত উৎপাদন কৌশল
কৌশল হিসেবে চিহ্নিত নয়।
১২. কৃষকশ্রেণি তুলনামূলকভাবে স্বাধীন ছিল। তারা মূলত তৎকালীন গ্রাম পঞ্চায়েতকে সামান্য খাজনা দিয়ে বংশ পরম্পরায় কৃষি জমির ভোগ দখল করত।
হিসেবে পরিচিত।
১২. লর্ডের বিনা অনুমতিতে কৃষক ভূমি বা বাগান ছেড়ে যেতে পারত না বলে চুক্তি ছিল। কৃষক তাই পরাধীন এবং ভূমিদাস ।
৭.১১ “ইউরোপীয় সামন্তবাদ পুঁজিবাদের জন্ম দিয়েছিল, কিন্তু ভারতীয় সামন্তবাদ পুঁজিবাদের জন্ম দিতে ব্যর্থ হয়েছিল” (নাজমুল করিম)
"European feudalism gave birth to capitalism, while Indian feudalism of its own accord failed to do so." (Nazmul Karim)
সামন্তবাদ মূলত সমাজ বিকাশের ধারায় ইউরোপে এক বিশেষ ধরনের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ঘটেছিল। খ্রিষ্টীয় নবম থেকে ত্রয়োদশ শতকের মধ্যবর্তী সময়ের বছরগুলোতে ইউরোপীয় সমাজব্যবস্থায় সামন্তপ্রথার উপস্থিত লক্ষনীয়। ইউরোপে পুঁজিবাদী অর্থনীতির সূচনা ঘটেছিল। উৎপাদন ব্যবস্থার এবং উৎপাদন সম্পর্কের পরিবর্তনের ফলে। প্রাক-ব্রিটিশ ভারতের সাথে পাশ্চাত্য সামন্ততন্ত্রের বেশ কিছু মৌল পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম একটি হলো ভূমিতে ব্যক্তিগত মালিকানার অনুপস্থিতি। যার কারণে সমাজে ভূ-কেন্দ্রিক অভিজাত শ্রেণি গড়ে ওঠেনি। উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নয়নের কথাও ভাবেননি খাজনা আদায়কারী শ্রেণি। যার ফলে ভারতীয় সামন্ততন্ত্র পুঁজিবাদের জন্ম দিতে পারেনি।
সামতবাদ ইউরোপীয় সমাজব্যবস্থায় যেভাবে এসেছিল কিন্তু ভারতীয় সমাজব্যবস্থায় এসেছিল একটু অন্যভাবে। এজন্যই মতবাদ পুঁজিবাদ বিকাশে সহায়তা প্রদানে ব্যর্থ হয়। প্রাচীনকাল থেকেই প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সমাজের গড়ন প্রক্রিয়া ও বিকাশের ভিন্নতর ছিল। এ দুইয়ের মধ্যে যে সকল বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান তা হলো- আবহাওয়া, ভূমি ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্রকৃতি অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাঠামো, ধ্যান-ধারণা ইত্যাদি ।
ইউরোপীয় সমাজে বিভিন্ন ধারায় সামস্তপ্রথার উদ্ভব হয় মূলত খ্রিষ্টীয় নবম শতক থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত। সেখানে পুঁজিবাদী অর্থনীতির গোড়াপত্তন হয়েছিল মূলত সামস্ত যুগের উৎপাদন ব্যবস্থা ও উৎপাদন সম্পর্কের মধ্যে পরিবর্তন ঘটিয়ে। পাশ্চাত্য সামন্ততন্ত্রের অবক্ষয়ের পর পুঁজিবাদী এই সমাজব্যবস্থা পুঁজিবাদী সমাজে পরিণত হয়েছে তাই ইউরোপীয় সমাজকে সামন্ত সমাজ বলা যায় না। অন্যদিকে প্রাক ব্রিটিশ আমলের ভারতীয় সমাজের গড়ন যে সামন্ততান্ত্রিক ছিল তা অনেকেই অস্বীকার করতে চান না। কারণ পাশ্চাত্য সামস্ত সমাজের সাথে কিছুটা কাঠামোগত মিল থাকলেও কতগুলো মৌল বিষয়ের মধ্যে অমিলই বেশি রয়েছে। বিশেষ করে ভূমিব্যবস্থায় প্রকৃতি ভিন্ন হওয়ায় এমনটি মনে করার কারণ উড়িয়ে দেওয়া হায় না। ভূমিতে ব্যক্তিগত মালিকানা ছিল না ভারতীয় সামস্তপ্রথায়। পশ্চাত্য থেকে আলাদা ছিল সম্পত্তির ধারণা। সম্পত্তিতে ব্যাক্তিগত মালিকানার ভিত্তিতে পাশ্চাত্যের ন্যায় কোনো অভিজ্ঞ শ্রেণি এখানে গড়ে উঠেনি। এটা ছিল প্রাক ব্রিটিশ ভারতীয় সমাজের একটা বৈশিষ্ট্য। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ শাসনামলে তথা প্রাচীন ও মধ্যযুগের ভারতীয় সমাজে ভূমিতে কোনো মালিক শ্রেণির অস্তিত্ব দেখা যায়নি । এ প্রসঙ্গে A.R. Desai তাঁর Social Background of Indian Nationalism গ্রন্থে বলেন, “Indian feudalism is distingished from European feudalism by the striking feauture that no class of landed feudal nobility with proprietory rights over land existed under it. This has been the characteristic of the pre-british Indian society in all its known stages of existence either in ancient or medieval Indian under Hindu, Buddhist or Muslim monarchs. প্রাক-ব্রিটিশ যুগে রাষ্ট্র ও সাধারণ কৃষককুলের মধ্যবর্তী যে শ্রেণিটির অস্তিত্ব ছিল তার নিয়োগ পদ্ধতি ও ভূমিকা স্থান ও কালভেদে যত ভিন্নই হোক তারা কখনো জমির মালিক ছিল না। তারা আদায়কারী শ্রেণি ছিল মাত্র।
রাজা একাধারে তার রাজ্যের সকল মানুষ এবং সম্পত্তির মালিক ছিলেন, এমনটাই ইউরোপীয়, সামস্ত প্রথায় লক্ষ করা যায়। ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ যখন বিভিন্ন ভূ-স্বামীদের মধ্যে চলত, তখন রাজা থেকে ডিউক, কাউন্ট, ডাইস কাউন্ট, ব্যারণ, নাইট ইত্যাদি পর্যায়ক্রমে তারা ভূমি ও ভূমির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভূমিদাসও লাভ করত। অপরদিকে রাজা ভারতীয় সমাজকাঠামোতে তাত্ত্বিকভাবে কোনো জমির মালিক ছিলেন না। তাই তিনি জমিতে মালিক শ্রেণি সৃষ্টি করতে পারেননি। ভারতে সম্রাট কোনো মাটির মালিক ছিলেন না এমনটাই অনেকে মনে করেছিলেন। তাই তিনি ভূমিদান বা বিক্রয় করতে পারতেন না। কিন্তু তিনি জমির খাজনা আদায় করতেন মাত্র। এর জন্য তিনি ইজারাদার, ওয়াদাদার ইত্যাদির ওপর নির্ভর করতেন। সম্রাট বা রাজা এদেশকে জমি বন্দোবস্ত দিতেন না। শুধু নির্দিষ্ট এলাকায় এদের খাজনা আদায়ের ক্ষমতা দিতেন মাত্র। এর বিনিময়ে প্রাপ্ত খাজনাসমূহের একটা কমিশন লাভ করতেন মাত্র। ড. নাজমুল করিম ভারতীয় সামন্তপ্রথার ৩টি, মৌলিক ভিত্তির কথা বলেছেন। যথা-
ক. স্বনির্ভর গ্রাম সম্প্রদায়,
খ. যৌথ পরিবার ব্যবস্থা ও
গ. বর্ণশ্রম প্রথা ।
স্বনির্ভর, সুগঠিত ও গ্রাম কমিটি দ্বারা পরিচালিত হতো গ্রাম সম্প্রদায়গুলো। উত্তর ভারতের গ্রামগুলোতে এটা লক্ষণীয়। সুগঠিত এই গ্রামের কৃষক পরিবারগুলো গ্রাম কমিটি কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভূমি চাষ করত। গ্রাম কমিটিকে অথবা স্থানীয় খাজনা আদায়কারীকে খাজনা দেওয়ার বিনিময়ে গ্রাম সম্প্রদায়ের মানুষ বংশ পরম্পরায় ভূমি চাষ করতে পারত।
অন্যদিকে ইউরোপীয় সামন্তপ্রথায় দেখা যায় যে, রাজা একাধারে তার রাজ্যের সকল মানুষ ও সম্পত্তির মালিক। তাই এ সমাজে উঁচু-নীচু বিভিন্ন শ্রেণির অস্তিত্ব বর্তমান। এই উঁচু-নীচু শ্রেণিতে অধিকার ও মর্যাদা ক্রমানুসারে বর্তাত। ফলে সেখানে উৎপাদনও বহুগুণে বেড়ে যায় এবং পুঁজিবাদের পথকে আরও গতিশীল করে তোলে। অপরদিকে ভারতীয় সমাজব্যবস্থায় এরূপ কোনো রকম শ্রেণি ব্যবস্থা ছিল না। প্রাকারান্তরে পরিবারগুলো ছিল প্রায়ই যৌথ সংগঠন। যৌথ পারিবারিক ব্যবস্থায় তারা যে. জমি চাষ করত ও হস্তচালিত শিল্পের কাজ করত তাতে তাদের মধ্যে একটি সমষ্টিগত চিন্তাই কাজ করছে। যৌথ পরিবারে
ব্যক্তির অস্তিত্ব ছিল গৌণ। এসব পরিবারের ব্যক্তির আলাদা কোনো সত্তা নেই। ব্যক্তিই ছিল মুখ্য ভূমিকায়। গ্রামীণ অর্থনীতি স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে আবার সমাজে নানা পেশায় নিযুক্ত বিভিন্ন জাতি বর্ণের লোক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। জনাব পাওয়া ছিল পেশাগুলো। বর্ণ প্রথায় স্ব স্ব বর্ণানুযায়ী পেশাগ্রহণ করতে হয়। অসম্ভব ছিল এই পেশা পরিবর্তন করা। এতে বাধা দিত সামাজিক মূল্যবোধ। এর ফলে উৎপাদন হতো গ্রামের চাহিদা অনুযায়ী, উৎপাদিত দ্রব্য কখনো বাজার পণ্যে পরিণত হয়নি। পেশা রদবদল না হওয়ায় মুক্তবাজার অর্থনীতিতেও তেমন লক্ষ করা যায়নি। কিন্তু ইউরোপীয় বর্ণ প্রথায় এ ধরনের প্রকটতা ছিল না বলে পেশা নির্ধারণে তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল না। ফলে উন্মুক্ত অর্থনীতির বিকাশ ঘটে এবং এর ধারায় মুক্ত ব্যবসায়ী শ্রেণির উদ্ভব ঘটে, যা পরবর্তীতে পুঁজিবাদ বিকাশে সহায়তা করছিল। অথচ ভারতে জাতিবর্ণ প্রথায় এই প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত মালিকানায় অনুপস্থিতির কারণে সংকুচিত অর্থনীতির বিকাশ ঘটে। এ প্রসঙ্গে নাজমুল করিম বলেন, "Europian feudalism gave birth to capitalism, while Indian feudalism of its own accord to do so "
Protestant মূল্যবোধ, পশ্চিম ইউরোপীয় সমাজ ব্যবস্থায় মানুষকে পুঁজিগঠনে এতবেশি উদ্বুদ্ধ করেছিল যে, সেখানে পুঁজিবাদ বিকাশের পথ সুগম হয়েছিল। এছাড়াও ভারতীয় সামন্ত প্রথা ইউরোপীয় সামস্তপ্রথায় Manor ব্যবস্থারও জন্ম দিলে পারেনি । ম্যানরকে এখানে উৎপাদনের কেবলমাত্র একটি ইউনিট হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ইউরোপীয় ম্যানরই হলো - স্বামীর অধীনে স্বয়ংসম্পূর্ণ উৎপাদনের একক। এদিক থেকে বিচার করলে একথা বলা যায় যে, "The institution of the manor existed in the pre-British Indian Society.” সুতরাং বলা যায় যে, পুঁজিবাদ হলো একটি বিশেষ আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার নাম। যেখানে সম্পত্তিতে ব্যক্তিগত মালিকানা ও মুনাফার নিশ্চয়তা থাকে।
অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে পুঁজিবাদের উদ্ভব ও বিকাশ হয়েছিল ইংল্যান্ডে। তাই বলা যায়, বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করেই ভারতীয় সমাজব্যবস্থায় পুঁজিবাদের বিকাশ হয়নি ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]