মধ্যযুগে নগরকেন্দ্র বিকাশের প্রভাব Impact of Urban Centers Growth in Middle Ages

আধুনিক ইউরোপ নির্মাণে, ইউরোপে মধ্যযুগীয় শহরগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ইউরোপ ছাড়াও গোটা বিশ্বকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বা আলোকিত করতে মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় শহর গতিশীল ভূমিকা পালন করে। এ শহরগুলো মানব ইতিহাসে নানা দিক থেকে ঋণী। কেননা মধ্যযুগীয় এ শহরগুলো সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলে। শহর বিকাশের ফলাফল/ প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হলো-
১. নতুন শ্রেণির উদ্ভব: শহরের বিকাশ মধ্যযুগে ইউরোপীয় সমাজে দুটি নতুন শ্রেণির সূচনা করে। এ দু'টি শ্রেণি হলো-
অভিজাত ও শ্রমজীবী ।
এ সময়ে অধিকাংশ সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, এমনকি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও এ দু'টি শ্রেণির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে। শ্রমজীবী শ্রেণি থেকে আমরা লক্ষ করি নতুন প্রলেতারিয়েত শ্রেণির এবং বুর্জোয়া শ্রেণি থেকে আমরা আরেকটি শেণি অর্থাৎ Third Estate এর উদ্ভব লক্ষ করি ।
নতুন
২. শিল্প ও বাণিজ্য কেন্দ্রের উদ্ভব : মধ্যযুগে ইউরোপে শহর বিকাশের ফলে এসব শহর ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের প্রাণকেন্দ্রে
পরিণত হয়। সমগ্র বিশ্ববাসী উপকৃত হয় তাদের শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অভিজ্ঞতার দ্বারা।
৩. জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা : তমসা বা অন্ধকার যুগ হিসেবে ইউরোপের মধ্যযুগকে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু বারো শতকের পরে শহরের বিকাশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা ও বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রগতিতে ব্যাপক অবদান রাখে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।
৪. ব্যাংকিং ব্যবস্থার সূচনা : ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল করণে মধ্যযুগীয় ইউরোপের শহরগুলোতে মুদ্রা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। এটি আধুনিক অর্থ ব্যবস্থার পথ প্রদর্শক রূপে ভূমিকা পালন করে। আধুনিক অর্থ-ব্যবস্থার ভিত্তি বলা হয় মধ্যযুগকে । ৫. সংস্কৃতির উন্নতি : সংস্কৃতির উন্নয়নে মধ্যযুগে ইউরোপের শহরগুলো বিরাট অবদান রাখে। শহরগুলো দূতের ন্যায় কাজ করে সংস্কৃতির ক্ষেত্রে। ব্যবসা-বাণিজ্যের বিনিময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি শহর থেকে শহরে স্থানান্তরিত হয়। গ্রিস ও রোমে এ সময় সংস্কৃতির গভীর পর্যালোচনা শুরু হয়।
৬. সংগঠন সৃষ্টি : বিভিন্ন ধরনের সংগঠন মধ্যযুগের ইউরোপীয় শহরগুলোতে গড়ে উঠে। যেমন— গিল্ড, বণিক ও জার্মানির বৃহৎ বাণিজ্যিক ও নিরাপত্তা প্রদানকারী সংগঠন 'হেনশিয়াটিক লীগের' কথা বিশেষভাবে বলা যায় ।
৭. সামন্ত প্রথার অবসান : ইউরোপীয় শহরগুলো মধ্যযুগে সামন্ত প্রথার অবসানকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইউরোপকে সামন্তপ্রথা সামগ্রিকভাবে অন্ধকারে ঠেলে দেয়। ঐ অন্ধকার থেকে ইউরোপকে টেনে তুলতে শহর কেন্দ্রগুলো ছিল আলোকবর্তিকা স্বরূপ ।
৮. রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি : মধ্যযুগের ইউরোপীয় শহরগুলোর টাউন কাউন্সিল, কমিউন ইত্যাদি গণতান্ত্রিক ও জনকল্যাণমূলক সংস্থা সৃষ্টি করে। এভাবেই পরবর্তীতে সুষ্টু রাজনৈতিক চর্চা ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে থাকে। ৯. বাণিজ্যবাদ সৃষ্টি : মধ্যযুগের ইউরোপে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ইউরোপের শহর একটি পরিবর্তনসূচক কাঠামো হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মধ্যযুগীয় অর্থনীতির সাথে আধুনিক অর্থনৈতিক ইউনিট গড়ে তোলে। ইউরোপের বাণিজ্যবাদ মূলত এখান থেকেই জন্ম নেয়।
১০. ভূমিদাস প্রথার অবসান : শহর বিকাশের প্রভাবে মধ্যযুগের ইউরোপে অমানবিক ভূমিদাস প্রথার অবসান ঘটে। স্বাধীন বা মুক্ত মানুষে পরিণত হতে পারে অসংখ্য ভূমিদাস শহরে এসে এবং এটি ভিন্নতর স্বাদ ও তাৎপর্য এনে দেয় তাদের জীবনে।
১১. জাতীয় রাষ্ট্রের সৃষ্টি : অসংখ্য সামন্ত রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে মধ্যযুগের ইউরোপে। সামন্ত রাষ্ট্রগুলো ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ইত্যাদির জন্য ছিল ভীষণ প্রতিবন্ধক। জাতীয় রাষ্ট্র সৃষ্টিতে শহরগুলোতে বণিক ও বর্গাদার শ্রেণি খণ্ড খণ্ড সামন্তবাদী ইউরোপকে একত্রিত করে।
পরিশেষে বলা যায় যে, মধ্যযুগের ইউরোপে শহর বিকাশের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, অর্থনৈতিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন ও পুঁজিপতি শ্রেণি সৃষ্টি করে এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়। এসব কারণেই মধ্যযুগীয় ইউরোপে শহরের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম।

নগরকেন্দ্রের দ্রুত বৃদ্ধির কারণে সামাজিক পরিবর্তন Social Change for Rapid Growth of Urban Centers

মধ্যযুগে ইউরোপে দ্রুত নগরায়ণের ফলে সামাজিক ক্ষেত্রে নানা পরিবর্তন সাধিত হয়। নগর কেন্দ্রের দ্রুত বৃদ্ধির কারণে সামাজিক ক্ষেত্রে যেসব পরিবর্তন সাধিত হয় তা নিচে আলোচনা করা হলো-
১. সামাজিক শ্রেণির উদ্ভব : মধ্যযুগে ইউরোপে দ্রুত নগরায়ণের ফলে সমাজে দু'টি সুনির্দিষ্ট শ্রেণির উদ্ভব ঘটে। একটি অভিজাত শ্রেণি এবং অন্যটি শ্রমজীবী শ্রেণি। অভিজাত শ্রেণির মধ্যে বুর্জোয়া, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, পুঁজিপতি ও শিল্পপতি এবং শ্রমজীবী শ্রেণির মধ্যে অদক্ষ শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ অন্তর্ভুক্ত ছিল। মধ্যযুগের অধিকাংশ কর্মকাণ্ড এ দু'টি শ্রেণির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে। পরবর্তীতে শ্রমজীবী শ্রেণি থেকে প্রলেতারিয়েত শ্রেণির উদ্ভব হয় এবং বুর্জোয়া শ্রেণি থেকে একটি নতুন শ্রেণির উদ্ভব হয়। আধুনিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, মানুষের ভাগ্য নির্ধারণে এ শ্রেণি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
২. সামন্ত প্রথার অবসান : মধ্যযুগে ইউরোপে দ্রুত নগরায়ণের ফলে সামন্তপ্রথার অবসান ঘটে। সামস্তপ্রথা সামগ্রিকভাবে ইউরোপকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়। ঐ অন্ধকার থেকে ইউরোপকে আলোর মুখ দেখায় নগরকেন্দ্রগুলোই। এ সময় প মর্যাদা ও ক্ষমতার মাপকাঠি হিসেবে ভূ-সম্পত্তি আর থাকেনি। জায়গিরের পরিবর্তে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্যের উপর সামাজিক পদমর্যাদা ও প্রতিপত্তি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
৩. ভূমিদাসদের স্বাধীনতা লাভ : মধ্যযুগে ইউরোপে দ্রুত নগরায়ণের ফলে অমানবিক ভূমিদাস প্রথার অবসান ঘটে। ফলে অসংখ্য ভূমিদাস শহরে এসে স্বাধীন বা মুক্ত মানুষে পরিণত হয়। অর্থের প্রয়োজনে সহজেই তারা নিজেদের উৎপাদিত কৃষি জাত দ্রব্য খোলা বাজারে বিক্রি করতে শুরু করে। আর নগরগুলো ছিল উদ্বৃত্ত কৃষি দ্রব্যের বিক্রয় কেন্দ্র এবং শিল্প মালিকদের পুঁজি লেনদেনের বাজার।
৪. যাজক শ্রেণির ক্ষমতা হ্রাস : মধ্যযুগে ইউরোপে যাজক শ্রেণি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিল। তারা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে প্রচণ্ড শক্তিধর হয়ে উঠেছিল। এজন্যই বলা হয় যে, মধ্যযুগীয় ইউরোপের রাজশক্তি ধন শক্তির কাছে হার মানে। ইউরোপের যাবতীয় কূপমণ্ডুকতা ও কুসংস্কারের জন্য মূলত যাজক সম্প্রদায়ই দায়ী ছিল। এ সময় ইউরোপীয় নগরগুলো যাজক সম্প্রদায়ের সর্বময় ক্ষমতাকে খর্ব করতে সক্ষম হয়।
৫. পুঁজিবাদের বিকাশ : মধ্যযুগে ইউরোপে দ্রুত নগরায়ণের ফলে যান্ত্রিক ও কারিগরি উন্নতির পাশাপাশি শিল্প-কারখানার অভ্যন্তরে শ্রমবিভাগ প্রবর্তিত হয়। এ সময় ব্যাংকার, ধনী বণিক, সুদখোর, মহাজন প্রমুখ শ্রেণির উদ্যোগে শ্রমিকের হাত থেকে উৎপাদন যন্ত্রকে পৃথক করা হয় এবং সেটিকে পুঁজিবাদের মূলধনে পরিণত করা হয়। শ্রমবিভাগ এবং উৎপাদন যন্ত্রের পৃথকীকরণ থেকে শিল্প পুঁজি এবং পরবর্তীতে পূর্ণ পুঁজিবাদের বিকাশ ঘটে।
৬. সংগঠন সৃষ্টি : ১১৬৭ খ্রিষ্টাব্দে পোপের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় উত্তর ইতালিতে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো নিজেদের কারণে একতাবদ্ধ হয়ে লোম্বার্ডী লীগ নামক একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করে। এ প্রতিষ্ঠান জার্মান আগ্রাসনকে ঠেকিয়ে রাখতে সচেষ্ট হয়। পরবর্তী সময়ে ১২১১ খ্রিষ্টাব্দে হামবুর্গ এবং লুবেক নগরী মিলে গঠন করে হেনসিয়াটিক লীগ। এ লীগ তাদের পরস্পর সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য গঠিত হয়। এ সময় ধীরে ধীরে এ লীগের পরিসর বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তেরো শতকের মধ্যেই ১৮টি দেশ উক্ত লীগের সদস্যদের গ্রহণ করে। হল্যান্ডও এ লীগের অন্তর্ভুক্ত হয়। জলদস্যুদের বিতাড়িত করতে উক্ত লীগ স্বীয় নৌ বহর গড়ে তোলে। ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও অধিক প্রসার ঘটাতে নগরগুলোতে স্থাপিত হয় অনেক কল-কারখানা।
জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা : মধ্যযুগকে ইউরোপে অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ বলা হয়। তবে বারো শতকের পর নগরের বিকাশে অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা ও বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রগতি সাধিত হয়। এ সময় বুর্জোয়া শ্রেণিই মূলত বিজ্ঞান ও শিক্ষার পৃষ্ঠপোষকতা করে। ধর্মীয় প্রভাব থেকে মুক্ত জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে তাদের আগ্রহ ছিল প্রবল। তারা এসবের বিকাশের জন্য বহু স্কুল, কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। পৃষ্ঠপোষকতা
প্রশাসনে স্থিতিশীলতা আনয়ন : বণিক, মহাজন ও শহরে বসবাসরত শ্রেণিরা রাজ্যকে নিয়মিত সৈন্যবাহিনী রাখার সপক্ষে করে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজতন্ত্রকে মজবুত করার মাধ্যমে প্রশাসনে একটি স্থিতিশীলতা আনয়নের জন্য মা মর্মে তারা সচেতন করে। মধ্যবিত্ত শ্রেণির মাধ্যমে শহুরে রাজা নিজেকে সুসংহত করার সুযোগ লাভ করে। হয়। রাজ্যের শাসন পাকাপোক্ত রাখতে তাদের শ্রেণিস্বার্থ বজায় রাখতে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি : মধ্যযুগে ইউরোপে দ্রুত নগরায়ণের ফলে উপার্জনের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়। এ সময় ইউরোপের নগরগুলো ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের সাথে সাথে এখানে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতাও
পায়। ফলে অর্থোপার্জনের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়, যা মানুষের জীবনযাত্রার মান বহুলাংশে উন্নত করে।
কারিগরি ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগ্রগতি : মধ্যযুগে ইউরোপে দ্রুত নগরায়ণের ফলে পূর্বে যে স্থবির অবস্থা বিরাজ করছিল তার পরিবর্তন হয়। এ সময় ইউরোপে নগর উদ্ভবের কারণে কারিগরি ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। ফলে ইউরোপে চাকা বহুল ঘোড়ার গাড়ি, কাগজ, বারুদ, কম্পাস, উলেন মিল প্রভৃতি ক্ষেত্রে কারিগরি ও প্রযুক্তি জ্ঞান অর্জন করে। পরিশেষে বলা যায় যে, মধ্যযুগে ইউরোপের নগরগুলো আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করে। এ প্রসঙ্গে মায়ার্স বলেন, নগরগুলো ছিল মধ্যযুগের শিল্প-কারখানা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল এবং এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিময় ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করে। মধ্যযুগে ইউরোপের নগরগুলো আধুনিক সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]