মধ্যযুগের মার্কেন্টাইল অর্থনীতি Mercantile Economy in Middle Ages

ম্যযুগের অর্থনীতি Economy of Middle Ages
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মার্কেন্টাইলবাদ নীতি অনুসারে মধ্যযুগে ইউরোপের অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে উঠেছিল। অর্থাৎ মধ্যযুগের অর্থনীতি গড়ে উঠেছিল মার্কেন্টাইলবাদকে কেন্দ্র করেই। সরকার কর্তৃক অর্থনৈতিক বিধি ব্যবস্থার মধ্যে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করত। আর এটাই ছিল মার্কেন্টাইলবাদের মূলসূত্র বা মূলনীতি। এসব আইন-কানুন ও বিধি ব্যবস্থার মূলকথা হলো নিজ দেশের উন্নতির কথা চিন্তা করে বিদেশ হতে যথাসম্ভব কম আমদানি করা এবং অন্যান্য দেশে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি করা। আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে আমদানিকৃত দ্রব্যের উপর অধিকহারে শুল্ক ধার্য ও আদায় করা হতো। মধ্যযুগে পর্তুগাল, স্পেন, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশে মার্কেন্টাইলবাদ অনুসরণ করে বিদেশ হতে অধিক পরিমাণ সোনা, রুপা লাভ করার নীতি অনুসৃত হতো। সামন্ততান্ত্রিক ও ধর্মান্তরিত সমাজব্যবস্থাই ছিল মূলত মধ্যযুগের সমাজব্যবস্থা। সামন্ততান্ত্রিক ও ধর্মান্তরিত সমাজব্যবস্থা অর্থনীতিকেও নিয়ন্ত্রণ করত।

মধ্যযুগের মার্কেন্টাইল অর্থনীতি Mercantile Economy in Middle Ages

ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মধ্যযুগের সূচনালগ্নে, আধুনিক যুগের মতো যানবাহন ও রাস্তাঘাটের সুবিধা ছিল না। সেসময় স্থলপথে ঘোড়ার গাড়ি কিংবা গরুর গাড়িতে এবং পালতোলা নৌকায় জলপথে বাণিজ্য পরিচালিত হতো। পথিমধ্যে পণ্যবাহী গাড়ি-নৌকা নিরাপদ ছিল না। স্থলে ডাকাত এবং জলদস্যুদের দ্বারা লুটতরাজের ঘটনা ছিল একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। তারপরও অতিরিক্ত করের বোঝা ব্যবসায়ীদের উপর আরোপ করা হতো। এসব সমস্যাকে অতিক্রম করে ধীরে ধীরে মধ্যযুগের ব্যবসা- বাণিজ্য প্রসার লাভ করে। প্রথম দিকে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে সামস্ত প্রভুরা। পরে ব্যবসায়িক সমাজ গড়ে উঠে এবং ব্যবসায়িক সংগঠন হিসেবে ব্যবসা বাণিজ্যে নেতৃত্ব প্রদান করে মার্চেন্ট গিল্ড। মধ্যযুগের ইউরোপে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো-
১. ইউরোপীয় দেশগুলোতে বাণিজ্যের প্রসার : পণ্য পরিবহনে পশুর ব্যবহার মধ্যযুগীয় ইউরোপে বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ করে। তাই ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে স্থলপথে। এভাবে দেশের সীমারেখার বাইরে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাল্টিক সাগর ও উত্তর মহাসাগরের দিকে ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ খুলে যায়। ব্যবসায়িগণ এসব সমুদ্রপথে লোহা, কাঠ, লবণ, উলেন ফ্যাব্রিক্সসহ প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী জাহাজ যোগে আনা-নেওয়া করত। ইংল্যান্ড থেকে রাশিয়ার তৎকালীন বাণিজ্য নগর নভোগোরাদ পর্যন্ত উত্তর ইউরোপীয় বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে বাণিজ্য করত।
২. জলপথে পণ্য পরিবহন : জলপথেও পণ্য পরিবহন করা হতো ইউরোপে, বাণিজ্যিক যোগাযোগ বরং নদী ও সমুদ্রপদে অনেকটা সহজতর ছিল। বণিকদেরকে নদী ও সমুদ্রের উপকূলে ঘেষেই চলাচল করতে হতো এবং জলযান চালনার ক্ষেত্রে পাল তোলা ও দাঁড় টানার কাজে দাসদেরকে ব্যবহার করা হতো। মধ্যযুগীয় ইউরোপে এর ফলে দাস ব্যবসা জমজমাট হয়ে ওঠে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে এক শ্রেণির বণিক প্রচুর দাস ক্রয় করে তা সরবরাহ করার মাধ্যমে এটিকে একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত করে।
৩. পণ্য পরিবহনে পশুর ব্যবহার : পণ্য পরিবহনে মধ্যযুগীয় ইউরোপে পশুর ব্যবহার বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে। মালামাল পরিবহনে স্থলপথে সাধারণত ঘোড়া ও খচ্চর ব্যবহার করা হতো। এ পদ্ধতি স্বল্পবিত্ত বণিকদের জন্য যেমন সহজতর ছিল তেমনি এর খরচও ছিল নাগালের মধ্যে। ইতালিতে পা চালিত গাড়ির প্রথম প্রচলন হয়। পরবর্তীতে ইউরোপের অন্যান্য দেশেও এর ব্যবহার শুরু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটে।
৪. হানসা লীগ গঠন : হেনসিয়াটিক লীগ চৌদ্দ শতকে জার্মানির শহরগুলোর ব্যবসায়ীগণ ইউরোপীয় দেশ ও শহরগুলোর সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পসারণের জন্য গঠন করে। একে সংক্ষেপে বলা হয় হানসা লীগ। ৭০টিরও বেশি নগরী তৎকালীন ইউরোপে এই লীগে যুক্ত হয়। জার্মানির লিউবেক শহরে এর কেন্দ্র স্থাপিত হয়। সমিতি গঠনের মাধ্যমে হানসার ব্যবসায়ীগণ ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এর ফলে উত্তর ইউরোপের শহর ও বন্দরগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে। দূরে পণ্য বহন করা সহজসাধ্য হয়। স্থানীয় উৎপাদিত পণ্য ও কাঁচামাল দ্রুত সংগ্রহের মাধ্যমে উৎপাদনে ব্যবহার করতে তারা সাহায্য করে। নিজস্ব নৌবহর ছিল হানসার আর এ কারণে প্রতিবেশি যেকোনো দেশের কাছ থেকে যেকোনো সুবিধা আদায়ে তারা সাহায্য করে এবং তারা সর্বপ্রকার বাধামুক্ত হয়। এমনকি দু'বার ডেনমার্কের সাথে যুদ্ধ করে তারা হানসার জন্য বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নেয়। ইউরোপের উত্তরাঞ্চলে এভাবেই ব্যবসা-বাণিজ্য ক্রমেই সম্প্রসারিত হয় ।
৫. জল দস্যু দমন : জল দস্যূদের উৎপাত ও লুটতরাজের কারণে ইউরোপে ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতি মারাত্মক বাধাগ্রস্ত হয়। মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় জনগণ উপলব্ধি করে যে, জলদস্যু নির্মূল করতে না পারলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার সম্ভব নয়। তাই তারা ইউরোপ থেকে জলদস্যু নিধনে সচেষ্ট হয়। আড্রিয়াটিক সাগরকে এজন্য ভেনিস নগর এবং জার্মানির এনসিয়টিক লীগ উত্তর সাগর ও বাল্টিক সাগরকে জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত করে। ফলে ইউরোপে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটে।
৬. কম্পাস আবিষ্কার : ইউরোপীয়রা ব্যবসা উপলক্ষে কম্পাস আবিষ্কারের পূর্বে দিক ভ্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় গভীর সমুদ্রে চলাচল বা পাড়ি দেওয়ার চিন্তা করত না। কিন্তু ইউরোপে চৌদ্দশতকে কম্পাস আবিষ্কারের পর সমুদ্রপথে বাণিজ্য এক অভাবনীয় বিপ্লব সূচিত হয়। এ সময় থেকে বড় বড় জাহাজ সমুদ্র পথে পণ্য, পরিবহনে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। এভাবেই মধ্যযুগের ইউরোপে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়।
৭. মার্চেন্ট গিল্ড প্রতিষ্ঠান : কোনো সুনির্দিষ্ট আইন-কানুন ছিল না ইউরোপের ব্যবসা-বাণিজ্যে। মধ্যযুগে ইউরোপীয়রা একটি সংগঠন গড়ে তুলেছিল মূলত সীমাহীন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য। এ সংগঠনের নামই ছিল মার্চেন্ট গিল্ড। ব্যবসার ক্ষেত্রে এ সংগঠনের মাধ্যমে যাবতীয় নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা করা এবং সুশৃঙ্খলভাবে ব্যবসা পরিচালিত হয়। এভাবেই ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে।
৮. মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে বাণিজ্য সম্প্রসারণ : মধ্যযুগে ইউরোপে নিকট প্রাচ্য ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়। প্রাচীনকাল থেকেই ভূমধ্যসাগরের অপর তীরে অবস্থিত মিশর, সিরিয়া, ইরান ও আরবের দেশগুলোর সাথে ইউরোপের ব্যবসা-বাণিজ্য চলত। কিন্তু রোমান সাম্রাজ্যের ধ্বংসের পর প্রাচ্যের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য শিথিল হয়ে পড়ে। ক্রুসেড অভিযানের মধ্য দিয়ে এগারো থেকে তেরো শতকে পুনরায় প্রাচ্যের সাথে ইউরোপের বাণিজ্য-যোগাযোগ শুরু হয়। মিশর, সিরিয়া, ইরান ও আরবের বন্দরগুলো থেকে ইউরোপের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণের ফলে ভূ- মধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত ইতালিতে কতগুলো বন্দর নগরী গড়ে উঠে। যেমন— ভেনিস, জেনোয়া, নেপলস, মার্দিনিয়া ইত্যাদি। এর মধ্যে দু'টি প্রসিদ্ধ বাণিজ্য নগরী ছিল ভেনিস ও জেনোয়া। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ফলে প্রচুর সম্পদশালী ও ধনী ব্যবসায়ীদের উদ্ভব ঘটে।
গুদাম ঘর নির্মাণ : দ্রুত মাল উঠানোর সুবিধার্থে জাহাজে মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় বণিকরা সমুদ্র উপকূলে ও নদীর উভয় তীরে সারিবদ্ধভাবে গুদামঘর নির্মাণ করে। জাহাজ তীরে পৌঁছার পূর্বেই রপ্তানি প্রধ্য এসব গুদাম ঘরে রূপ করা হতো। এর ফলে প্রথম গুদাম থেকে জাহাজ শেষ ওদাম পর্যন্ত পৌঁছতে পৌঁছতে জাহাজ বোঝাই হয়ে যেত। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য দ্রুত সম্প্রসারিত হতে থাকে।
১০. জাহাজ ডুবি আইনের সংস্কার : অদ্ভুত রকমের জাহাজ ডুবি আইন ইউরোপে প্রতিষ্ঠিত ছিল। সমুদ্রে কোনো জাহাজ বা জলযান ডুবে গেলে বা ভেঙে গেলে কিংবা বিকল হয়ে গেলে সে জাহাজের সমস্ত মালামাল ঐ এলাকায় সমুদ্র উপকূলের মালিকেরা পেত। আইনের এ গ্যাড়াকলে ইউরোপীয় বণিকেরা আটকে পড়ার আশায় পণ্য আমদানি রপ্তানিতে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ে। তাই মধ্যযুগে বণিকদের সম্মিলিত প্রতিবাদ ও হেনসিয়াটিক লীগের উদ্যোগে এ কালো আইনটি সংস্কার সাধনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের মালামালের উপর তার মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিনাশুছে সামুদ্রিক জাহাজগুলো পণ্য পরিবহনের সুযোগ পায়। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন গতির সঞ্চার হয়।
১১. মসলার বাণিজ্য: দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ ইত্যাদি মসলাজাত দ্রব্য ইউরোপীয়দের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ছিল। স্বর্ণের
মতোই এগুলো তাদের নিকট অত্যন্ত মূল্যবান ছিল। এসব মসলা উৎপাদিত হতো পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ তথা ভারতবর্ষে। সমুদ্র পথ আবিষ্কৃত না হওয়ায় মধ্যযুগে মসলার আকর্ষণে ইউরোপীয় বণিকরা মধ্য প্রাচ্যের ভিতর দিয়ে স্থল পরে আফগানিস্তান হয়ে ভারতবর্ষের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করত। আলেকজান্ডারের ভারতবর্ষ আক্রমণের পথ ধরে খ্রিষ্ট পূর্ব চারশো অব্দে, ভারতবর্ষের সাথে ইউরোপীয় বাণিজ্য যোগাযোগ স্থাপিত হয় এবং সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হয় মধ্যযুগে এসে। মূলত ভারতবর্ষ ও পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের সাথে লাভজনক বাণিজ্যের সহজ উপায় বের করতে গিয়েই ইউরোপীয় বণিকরা একদিন সমুদ্র পথ আবিষ্কারে বের হয়ে আমেরিকা আবিষ্কার করে এবং ভারতবর্ষে আসার জলপথ আবিষ্কার করে। সমুদ্র পথের গুরুত্বের দিক বিবেচনা করেই মূলত ইতিহাসের গতিপথ ব্যাপক পরিবর্তন হয়ে ছিল।
১২. ব্যাংকিং ব্যবস্থা : ব্যবসায়ীদের মুদ্রা সরবরাহ করতে গিয়ে মুদ্রা বিনিয়োগকারীরা সুদের কারবার শুরু করে এবং এ থেকেই ইউরোপে ব্যাংকিং ব্যবস্থা শুরু হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতিতে ও সম্পদ সৃষ্টিতে সহায়তা করে ব্যাংকিং ব্যবস্থা। অর্থাৎ ব্যাংকিং ব্যবস্থার উদ্ভব ঘটে। ব্যবসায়িক প্রয়োজন থেকেই এবং ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণে ব্যাংকিং ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।
১৩. বাণিজ্য মেলা : ব্যবসায়ীরা মধ্যযুগে পণ্য কেনা বেচার জন্য বার্ষিক মেলার আয়োজন করত বিভিন্ন শহরে। এ মেলায়
· সরবরাহ করা হতো কেবল চাহিদা সম্পন্ন জিনিসগুলো। উৎপাদনকারী ও ছোট বড় বণিকদের সমাবেশ ঘটত এসব মেলায়। তেরো শতকের প্রায় প্রতি বছরই উত্তর ফ্রান্সের শ্যাম্পান, মার্নসেনে, রুয়ান ইত্যাদি নগরীতে মেলা বসত। প্রাচ্যের থিলাস সামগ্রী এসব মেলায় এবং দক্ষিণ ও উত্তর ইউরোপ থেকে আসত ও পণ্য সামগ্রী বিক্রি হতো । পরিশেষে বলা যায় যে, বাণিজ্য সংস্থা ও বাণিজ্য মেলার আয়োজনের ফলে মধ্যযুগে ইউরোপীয় বাণিজ্য বিশ্বব্যাপী প্রসার লাভ করে।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]