মধ্যযুগের অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের সর্বব্যাপিতা Prevalence of Ignorance and Superstitions in Middle Age

মানব সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, মধ্যযুগের পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায় অন্ধকার যুগ (Dark age) হিসেবে। এ যুগকে কেন অন্ধকার যুগ বলা হয় তার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় এ যুগের মানুষের জীবনমান ছিল অনুন্নত। গ্রিস, মিশর, রোম প্রভৃতি রাষ্ট্রে প্রাচীন যুগে যে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা শুরু হয়েছিল ৪৭৬ খ্রিষ্টাব্দের রোমের পতনের ফলে তা থেমে যায়। রোম ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার লালন ক্ষেত্র। তাই রোমের পতনে মধ্যযুগে আর জ্ঞান-বিজ্ঞান বিকাশের তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবেশ গড়ে ওঠতে পারেনি। এ সমাজে অন্ধকার নেমে আসে কেবলমাত্র অজ্ঞতার অভিশাপে। অযৌক্তিক জ্ঞানের পেছনে ছুটে তাদের মধ্যে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলতা, বর্বরতা ও নানা ধরনের কুসংস্কার। ধর্মের নামে মানুষ অধর্মের পেছনে পা বাড়ায় কেবলমাত্র সত্যনিষ্ঠ জ্ঞানের অভাবে। বিশ্বাস ও চিন্তা-চেতনার মধ্যে ফাটল ধরে যায়। জাদু বিদ্যার প্রতি গভীরভাবে অনুরাগী হয়ে পড়ে। তাই জাদু বিদ্যার প্রতি ছুটতে গিয়ে সকল প্রকার কু-সংস্কার তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। মধ্যযুগের সাংস্কৃতিক আলোচনায় প্রাথমিকভাবে চোখের কাছে ভেসে ওঠে ধর্মীয় বিধি-নিষেধ। এ সময়ের সমাজ নিয়ন্ত্রণের একমাত্র বাহন ছিল পিষ্ট ধর্ম। মধ্যযুগের যে সময়কে অন্ধকার যুগ বলা হয় সে সময়ে পিষ্ট ধর্মের মতানুসারে জ্ঞান চর্চা নিষিদ্ধ ছিল। বিশ্বাস ছিল এ সমরে ধর্মের মূল সুর। খ্রিষ্ট ধর্মের গুরুরা মানুষকে যেভাবে নির্দেশ দিত ঠিক সেভাবেই কাজ করাই ছিল বিশ্বাস। বিশপদের উদ্দেশ্য ছিল ধর্মের নামে মানুষের অধিকারকে খর্ব করা। মানব সমাজকে একটা গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ করে রাখার কৌশলে ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার পথ বন্ধ করে দেওয়া। এ যুগের মানব সমাজ ধর্ম প্রচারকগণের এরূপ হীন গড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিল। জ্ঞান চর্চার জন্য গণিত শাস্ত্রে পারদর্শী মহাপণ্ডিত হাইপোলিয়াসকে প্রাণ দিতে হলো তাদের হাতে। শুধু তাই ন তদানীন্তন সমাজে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কোনো সুযোগও ছিল না। সাধারণ মানুষের জন্য জ্ঞান অর্জনের সম্প পথই রুদ্ধ ছিল। সমাজের মানুষকে অজ্ঞতায় গ্রাস করবে এটা বড়ই স্বাভাবিক বিষয় ছিল এজন্য যে, অনেক সমাজে জ্ঞান চর্চায় কোনো সুযোগই ছিল না। মানুষ তখনই অধঃপতনের অতল তলে নেমে গেল যখন আনের উৎস থেকে মানুষ দূরে সরে যায়। মানুষের মস্তিষ্কে স্থান করে নিল প্রচলিত কুসংস্কার। প্রকৃত জিনিসকে আড়াল করে কৃত্রিম জিনিসের প্রচার ও প্রসারে মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়ল। পশ্চিম ইউরোপের সমাজ কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে গেল চার্চের ছত্রছায়ায়। ধর্মের নামে অঙ্গ বিশ্বাস, কুসংস্কার, গোঁড়ামি মানব সমাজকে গ্রাস করে ফেলল।
মানুষের অগাধ বিশ্বাস জন্য নিল জাদু বিদ্যার প্রতি। কয়েক শতাব্দী যাবৎ মধ্যযুগে ইউরোপের বুকে এ অন্ধকার অবস্থ বলবৎ ছিল। এ কারণেই মানব সমাজের জীবন প্রণালি ছিল মানবেতর। মানব জীবন কাটাতে হয়েছে অজ্ঞতার অন্ধকারে।
অজ্ঞতা ও কুসংস্কার বিস্তারের কারণ অজ্ঞতা ও কুসংস্কার সর্বাত্মক রূপ পরিগ্রহ করেছিল মধ্য যুগের ইউরোপে। মানব সভ্যতার ইতিহাসে 'অন্ধকার বা তমসার যুগ হিসেবে মধ্যযুগের পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায়। মিশর, প্রাচীন গ্রিস, রোম প্রভৃতি রাষ্ট্র জ্ঞান-বিজ্ঞান শিল্প, সাহিত্য ও দর্শন প্রভৃতি ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি সাধিত হয় তা ৪৭৬ খ্রিষ্টাব্দে রোমান সাম্রাজ্যের পতনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে। এ সময় কুসংস্কার অজ্ঞতা, কূপমণ্ডুকতা, অসমতা, অযৌক্তিকতা প্রভৃতি ইউরোপীয় সমাজের ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসে। মধ্যযুগে অজ্ঞতা ও কুসংস্কার বিস্তারের পেছনের কারণসমূহ নিচে আলোচনা করা হলো- ১. খ্রিষ্ট ধর্মের প্রভাব : মধ্যযুগের ধর্মীয় বিধি নিষেধসমূহ সাংস্কৃতিক আলোচনায় প্রাথমিকভাবে চোখে পড়ে। এ সময়ের সমাজ নিয়ন্ত্রণের একমাত্র বাহন ছিল খ্রিষ্ট ধর্ম। এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল গির্জা। তৃতীয় শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত মূলত দারিদ্র্য ক্লিষ্ট মানুষ, চাকর-বাকর, ভবঘুরে এবং অশিক্ষিত দাসরাই অধিক হারে খ্রিষ্টধর্মের প্রতি বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে। সামরিক এলিট, অভিজাত রমণী, বেসামরিক মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি এবং ধনিক শ্রেণির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ খ্রিষ্ট ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকে এবং তারা পরকাল, স্বর্গ ও নরক ইত্যাদি বিষয়ের উপর বেশি গুরুত্বারোপ করে।
২. ধর্মতত্ত্বের অদ্ভুত ব্যাখ্যা : অনেক তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন পণ্ডিতগণই মধ্যযুগে ধর্ম তত্ত্বের অদ্ভুত ব্যাখ্যাতেই তাদের প্রতিভাকে নিয়োজিত রাখত। উইপোকার চোখ আছে কিনা সে বিতর্কে এসব পণ্ডিত গলদঘর্ম হতেন। এটা যে উইপোকার পর্ববেক্ষণেই সমাধান হতে পারে সেটা মধযুগের পণ্ডিতদের মাথায় আসত না। ঈশ্বরের বিধান এবং আসুবাক্য ছিল তাদের কাছে জ্ঞানের একমাত্র উৎস।
৩. জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা নিষিদ্ধ : খ্রিষ্টান চার্চগণ প্রায় তিনশত বছর জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা নিষিদ্ধ করে রাখে মধ্যযুগের ইউরোপে। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চাকে তৎকালীন খ্রিষ্টান যাজকরা নিষ্প্রয়োজন এবং বিধর্মীদের অলস মস্তিস্কের কাজ বলে মনে করতেন। এক্ষেত্রে যাজকদের মূল বক্তব্য ছিল খ্রিষ্টধর্ম হলো বিশ্বাসের মূলমন্ত্র এবং খ্রিষ্টান চার্চ যে ব্যাখ্যা ও নির্দেশনা দিবে তাই সন্তুষ্ট চিত্তে গভীর বিশ্বাস ও ভক্তি সহকারে মেনে নিতে হবে। অজ্ঞতা ও কুসংস্কার মূলত এসব কারণেই এক সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করেছিল।
৪. শিক্ষা ব্যবস্থার উপর যাজকতন্ত্রের আধিপত্য : শিক্ষার উপর যাজকতন্ত্রের প্রভাব ছিল মধ্যযুগে ইউরোপে অজ্ঞতা ও কুসংস্কার বিস্তারের অন্যতম কারণ। চার্চের ছত্রছায়ায় এ যুগে শিক্ষা ও সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল। শিক্ষা ব্যবস্থায় যাজকতন্ত্রের আধিপত্যের ফলে মানুষের চিন্তাধারা ভুল পথে পরিচালিত হতো। পার্থিব জীবন পরকালের প্রস্তুতিমাত্র ক্যাথলিক চার্চ মানুষকে এভাবেই বুঝাত। এখানে এমন বাণী প্রচারিত হতো যে, ইহকালে দুঃখ ভোগ করলে, দুঃখ কার্য নীরবে সহ্য করলে পরকালে স্বর্গ লাভ ঘটবে, তা না হলে অদৃষ্ট নরক ভোগ করতে হবে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবর্তিত শিক্ষা পদ্ধতি : মধ্যযুগে ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও এগুলো ছিল মূলত দ্বিধৰ্মীয় ভাবাবেগ সম্পন্ন এবং যাজকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। পাদ্রিরা ধর্মীয় চিন্তা বিস্তারের জন্য শিক্ষা পদ্ধতির বিশেষ নীতি অনুসরণ করতেন, যার নাম ছিল ক্যাটেকিজম। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মধ্যযুগে ঐতিহ্য ও গোঁড়া চিন্তার বক্ষক হয়ে দাঁড়ায় এবং সাংস্কৃতিক অগ্রগতিকে রুদ্ধ করে।
চার্চের শিক্ষার প্রসার : চার্চের শিক্ষার প্রভাব ছিল মধ্যযুগে ইউরোপে অজ্ঞতা ও কুসংস্কার বিস্তারের উল্লেখযোগ্য কারণ। তারা দর্শনারুক্ত হয়েছিলেন সকল অর্থ ও সম্পত্তি চার্চের নামে দান করে। তাদের মনে দানের প্রেরণা যোগায় ঈশ্বর। চার্চকে দান করলে সকল পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ধর্ম যাজকরা প্রায়শ্চিত্তের বিহিত করত কেবলমাত্র চার্চকে দান করলেই। অজ্ঞতা ও কুসংস্কার বিস্তারের ফলাফল : অজ্ঞতা ও কুসংস্কার মধ্যযুগেই ইউরোপীয় সমাজ জীবনে সুদূর প্রসারী প্রভাব বিস্তার করেছে। নিচে এ প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো--
বর্বরতা বৃদ্ধি : বর্বরতা বৃদ্ধি পায় মূলত মধ্যযুগের ইউরোপে অজ্ঞতা ও কুসংস্কার বিস্তারের ফলে। মানুষ জ্ঞানের উৎস থেকে ছিটকে পড়ে জ্ঞান চর্চা রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং অধঃপতনের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হওয়ায় তাদের মধ্যে সীমাহীন বর্বরতা দেখা দেয়। শুধুমাত্র অজ্ঞতা ও অযৌক্তিক জ্ঞানের পিছনে ছোটার কারণে।
লাইব্রেরি ধ্বংস : খ্রিষ্টান ধর্ম যাজকরা মধ্যযুগে কেবল জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা নিষিদ্ধ তথা গ্রিক বিজ্ঞান ও দর্শন চর্চার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেই ক্ষান্ত হয়নি। বরং আর্চ বিশপ থিওফেলাস আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরির একাংশ ধ্বংস করে দেয়। নৈতিক অবক্ষয় : অজ্ঞতা ও কুসংস্কার মধ্যযুগের ইউরোপীয় সমাজে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করায় মানুষের নৈতিক চরিত্রের চরম অবক্ষয় ঘটে। কেননা মানুষের মধ্যে নীতি নৈতিকতাবোধ জাগ্রত হয় সুশিক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু সমাজে সুশিক্ষার পরিবর্তে অজ্ঞতা বা কুসংস্কার থাকলে সেখানে নৈতিকতার কোনো বালাই থাকে না।
৪. ধর্মীয় সংস্কার ও গোঁড়ামি বৃদ্ধি : অজ্ঞতা ও কুসংস্কার বিস্তার লাভের ফলে মধ্যযুগে ধর্মীয় কুসংস্কার ও গোঁড়ামি ইউরোপকে গ্রাস করে ফেলে। কারণ অজ্ঞতা ও কুসংস্কার থেকে মানুষের মধ্যে এক ধরনের গোঁড়ামি ও সেচ্ছাচারিতার জন্ম নেয়। তাঁরা কতিপয় ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিজের মতো করে সমাজে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনেক সময় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। যার ফলে তারা সমাজের পণ্ডিত বুদ্ধিজীবীদেরকে পর্যন্ত হত্যা করে।
৫. পণ্ডিত ও দার্শনিকদের উপর বর্বর হামলা : মধ্যযুগে চার্চের বিরুদ্ধাচরণের কারণে পণ্ডিত জ্ঞানী-গুণি ও দার্শনিকদের উপর অত্যাচার ও বর্বর আক্রমণ শুরু হয়। চার্চের বর্বরতার নির্মম শিকারে পরিণত হয়ে বিদুষী গণিতজ্ঞ হাইপেসিয়াসকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উন্মাদনা ও পৈশাচিকতা থেকে প্রাণ বাঁচাতে বহু দার্শনিক আলেকজান্দ্রিয়া ত্যাগ করে এথেন্সে প্লেটোর একাডেমির দ্বারস্থ হন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। সম্রাট জাস্ট্রিয়ান ৫২৯ খ্রিষ্টাব্দে প্লেটোর একাডেমিও বন্ধ করে দেন এবং সেই সাথে সর্বপ্রথম গ্রিক বিজ্ঞান ও দর্শন চর্চা আইন বলে নিষিদ্ধ করা হয়।
৬. অশিক্ষা ও কুশিক্ষার প্রসার : অশিক্ষা ও কুশিক্ষার প্রসার ঘটে মূলত মধ্যযুগে ইউরোপীয় সমাজে অজ্ঞতা ও কুসংস্কার বিস্তারের ফলে। সমাজের সুকুমার বৃত্তিগুলো এভাবেই ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকে এবং সৃজনশীলতা ও মননশীলতার পরিবর্তে সমাজে জাদুবিদ্যা প্রতিষ্ঠিত হয়।
পরিশেষে বলা যায় যে, ইতিহাসের কালো অধ্যায় ছিল মধ্যযুগ। যাবতীয় অবৈজ্ঞানিক বিষয়াদি গোঁড়ামি, কুসংস্কার, অন্ধত্ব জঘন্য হীন জাদুবিদ্যা প্রভৃতি ধর্ম বিশ্বাসের আদলে মানুষের অন্তরে জগদ্দল পাথর শিকড় বেঁধে বসে।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]