মধ্যযুগীয় ইউরোপে পোপ ও সম্রাটের দ্বন্দ্বের কারণসমূহ আলোচনা কর। Discuss the causes of conflict between the Pope and the Emperor in medieval Europe.

সম্রাট ও পোপের মধ্যে সংঘাত Conflict between the Crown and the Cross
মধ্যযুগের রাষ্ট্রচিন্তার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গির্জা ও রাষ্ট্রের মধ্যে অনবরত সংঘর্ষ। বস্তুত পক্ষে একটি বিশাল অংশ ে ছিল এ বিরোধ। আর মধ্যযুগের মূল সময়কাল ছিল মূলত ৪০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৪০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। গির্জা ও রাষ্ট্রের একগুয়েমি, অবাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদির কারণে বিভিন্ন বিরোধ দানা বেঁধে ওঠে এবং এক সময় তা প্রবল আকার ধারণ করে। যার ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্র ও গির্জার মধ্যে বিরোধ মধ্যযুগের রাষ্ট্রচিন্তার প্রধান বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়।
সম্রাট ও গোগের মধ্যে সংঘাত : মধ্যযুগীয় ইতিহাসে একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল সম্রাট ও পোপের মধ্যে সংঘাত। ইউরোপীয় সমাজ বিশেষভাবে স্মরণীয় ছিল মূলত সামন্ততন্ত্রের জন্য। কেননা এ সমাজে সামন্তবাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সামন্ততন্ত্র বিরাজমান ইউরোপে দুটো বিষয়ের প্রাধান্য ছিল খুব বেশি। বিষয় দু'টি হচ্ছে চার্চ ও সম্রাট।
চার্চ ও সম্রাটের ক্ষমতার মধ্যে কোনো সীমা নির্ধারিত না থাকায় উভয়ের মধ্যে দেখা দেয় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। চার্চ মনে করত দেহ ও আত্মার মধ্যে আত্মাই শ্রেষ্ঠ। সুতরাং রাষ্ট্রের চেয়ে চার্চের গুরুত্ব বেশি। এ ধারণার প্রেক্ষাপটে চার্চ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক উভয় ক্ষমতার দায়ি করে। চার্চ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে গৌণ করে। অপরদিকে সম্রাট সবসময় ক্ষমতার অধিকার হিসেবে চার্চের উপর কর্তৃত্ব করতে চায়। দুটি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়ার ফলে সংঘাত অনিবার্য হয়ে দেখা দেয়। কালক্রমে পোপদের কার্যকলাপে তাদের ক্ষমতা লোপ পায়। রেনেসাঁ ও ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের ফলে পোপতন্ত্রের অবসান হয় পনেরো শতকের প্রথম পর্যায়ে গোপতন্ত্রের অবসানের ফলে সম্রাট ও পোপদের দ্বন্দ্ব মিটে যায়। খ্রিষ্ট ধর্মের প্রচার ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপারে ধর্মযাজক নিযুক্ত হতো এবং তাদের বিশেষ উপাধি দেওয়া হতো। বিশেষ করে মধ্যযুগে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে। ফলশ্রুতিতে মানুষের মনে ধারণা জন্মেছিল যে রোমের গির্জাটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন স্বয়ং সেন্ট পিটার। আর এ কারণেই রোমে বিশপদেরকে অন্যান্য বিশপদের তুলনায় বেশি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হতো। রোম তখন ছিল রাজনৈতিক কেন্দ্রস্থল। তাই রোমের সম্মান ও প্রতিপত্তি এখানকার গির্জাকে প্রশংসিত করে। তাই রোমের বিশপ অন্যান্য বিশপদের মধ্যে প্রধান হয়ে উঠেন। এখানকার বিশপগণ খ্রিষ্টান জগতের নেতা মূলত পঞ্চম শতকে। এ সকল নেতাদের উপাধি ছিল পোপ। পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্য পতনের পর তিনিই হলেন এই বিশাল এলাকার একমাত্র শাসনকর্তা। এভাবেই রোমে যে ধর্মীয় সম্রাটের অভ্যুদয় হলো- পরবর্তীকালে তিনিই রোমান সম্রাটের মতোই ক্ষমতাবান হয়ে ওঠেন। ফলে দেখা যায় রোমান সাম্রাজ্যের ক্ষমতার দাবিদার হয়ে আবির্ভূত হয় পোপরা। একদিকে সম্রাট, অপরদিকে পোপ ক্ষমতার লড়াইয়ে মেতে উঠে। একই পর্যায়ে দুই ক্ষমতা লোভী শক্তির আক্রমণে সংঘাতের সৃষ্টি হয়। মোটকথা পোপ নিযুক্ত হয় ধর্মীয় কাজ পরিচালনার জন্য। কিন্তু কার্যত তারা রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমকে তাদের আওতায় নিয়ে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হতে চায়। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে তারা রাষ্ট্রকে চার্চের সাথে মিশিয়ে ফেলে। এসব কারণেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মালিক সম্রাটরা পোপদের সাথে বিরোধিতা করতে বাধ্য হয় ।

পোপ ও সম্রাটের মধ্যে সংঘাতের কারণ Causes of Conflict between the Cross and in Crown

মধ্যযুগে ইউরোপের ইতিহাসের একটি বৃহত্তর অংশ জুড়ে রয়েছে পোপ ও সম্রাটদের বিরোধ। প্রথম দিকে পারস্পরিক স্বার্থে পোপ ও সম্রাট মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ থাকলেও এগারো শতকে এসে এ সম্পর্কে ফাটল ধরে। গির্জা ও রাষ্ট্রের এক গুঁয়েমি, অবাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি ও নানা কারণে বিরোধ দানা বেঁধে ওঠে এবং একসময় তা প্রবল আকার ধারণ করে। ফলে এগারো শতকের মধ্যভাগ থেকে বারো শতকের দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত পোপ ও সম্রাটের মধ্যে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব নিয়ে সংঘাত লক্ষ করা যায়। ফলে গির্জা ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ মধ্যযুগে ইউরোপের প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়।
মধ্যযুগে পোপ ও সম্রাটের মধ্যে যে সকল কারণ রয়েছে নিম্নে তা আলোচনা করা হলো-
১. পোপের অভিষেক অনুষ্ঠান : টুস বিজয়ী চার্লস মার্টনের পৌত্র ছিলেন শার্লামেন। আর তাই রোম সাম্রাজ্যের পতনের তিনশত বছর পরে রাজা শার্লামেন রোমান সাম্রাজ্যের পুনর্গঠনের জন্য চেষ্টা করেন। এই বিশ্ব বিখ্যাত ও যোদ্ধার সাথে যোগ দিয়ে ছিলেন টিউটন স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা। পরবর্তীতে শার্লামেন রোমান সম্রাট অভিসিক্ত হন। যার ফলে ইউরোপের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। এরপর থেকেই শার্লামেনের বংশধরগণ রাজ্যাভিষেকের পরে পোপ কর্তৃক আবার অভিসিক্ত হন। ফলে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় ইউরোপে। এ ঘটনার পর থেকে শার্লামেনের বংশধরগণ রাজ্যাভিষেকের পরে পোপ কর্তৃক আবার অভিসিক্ত হতো। এমনিভাবে পোপরা ধারণা করে নিল তাদের অনুমোদন ছাড়া কারো পক্ষেই সম্রাটের পদে আসীন হওয়া সম্ভব নয়। একারণেই সম্রাট ও পোপদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ২. পথভ্রষ্টতা : মধ্যযুগীয় ইউরোপে পোপ ও সম্রাটের মধ্যকার দ্বন্দ্ব বিরোধের অন্যতম কারণ হলো পথভ্রষ্টতা। মধ্যযুগের ইউরোপের ইতিহাসের গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, ধর্ম বা রাজনীতি কোনোটিই সঠিকভাবে নিজ নিজ পথে চলেনি। এ সময় সম্রাট রাজকার্যে অবহেলা শুরু করে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়। সরল জীবন যাপন ত্যাগ করে গির্জাও হয়ে ওঠে ভোগবিলাসী। গির্জার পুরোহিতগণ অনেক সময় বিলাসিতাপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য জনগণের উপর কূটকৌশল প্রয়োগ করতে থাকে। অধিক পাওয়ার আশায় পোপও সম্রাটকে এমনভাবে নেশাগ্রস্ত করে তোলে যে, শেষ পর্যন্ত উভয়ে সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হতেও দ্বিধাবোধ করেনি।
৩. সামন্ত স্বাধীনতা : জার্মান শাসক বা শার্লামেনের উত্তরাধিকারী হিসেবে নিজেদেরকে সম্রাট মনে করত। তারা জার্মান
ইতালি দু'দেশেই প্রভুত্ব কায়েম রাখতে চায়। এ কারণেই সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার গড়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। পদ মর্যাদা নিয়ে সম্রাট ও পোপদের মধ্যে এ সময়ে সংঘর্ষ শুরু হয় এ পর্যায়ে সামন্তরা স্বাধীন হয়ে ওঠে। ইতালির শাসকেরা অন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে পোপরাও তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। এ সকল অবনতির কারণে সম্রাট ও পোপদের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরে।
৪. প্রতিনিধি নির্বাচন : অনেকে অভিষেককরণকে মধ্যযুগে ইউরোপে যাজকশক্তি ও রাজশক্তির মধ্যে বিরোধের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন। এ সময় ইউরোপে সামন্ততন্ত্রের রমরমা অবস্থা ছিল। সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেশের সমুদয় ভূ-সম্পত্তি কতগুলো জায়গিরে বিভক্ত ছিল। প্রত্যেকটি জায়গিরের ধর্ম বিষয়ক সমস্ত দায়িত্ব ভার একেক জন যাজকের উপর ন্যাস্ত থাকত। জায়গিরের ভারপ্রাপ্ত যাজকরা যে কেবল ধর্মীয় কাজ-কর্ম দেখাশুনা করতেন তাই নয় বিষয় সম্পত্তি তদারক করার ভারও তাদের উপর ন্যস্ত ছিল। জায়গির ছিল চার্চের সম্পদ আহরণের অন্যতম প্রধান উৎস এবং যে ব্যক্তি সেই দায়িত্বে থাকতেন তারও গুরুত্ব নেহাত কম ছিল না। যে জায়গিরের প্রতিনিধি নির্বাচন বা অভিষেককরণ কাজটি ন্যস্ত ছিল কেন্দ্রীয় গির্জা বা চার্চ প্রতিষ্ঠানের উপর। এ কাজ করার অধিকার চার্চ ছাড়া অন্য কোনো সংস্থার ছিল না। কিন্তু সম্রাট দাবি করেন যে, যাজকরা যে সমস্ত কাজ করে সেগুলো পুরোমাত্রায় ধর্মীয় নয়। সুতরাং যাজক পদে লেখক নিয়োগের ক্ষেত্রে ধর্মীয় যোগ্যতা গৌণ। তাই এক্ষেত্রে নিয়োগের জন্য সম্রাটের অনুমোদন অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু রাষ্ট্রের এ বিধি পোপ শুধু যে মানতে অস্বীকার করেন তা নয়, চরম বিরোধিতাও করে বসেন।
৫. সম্রাট কর্তৃক করারোপ : রাজারা মধ্যযুগে অধিকাংশ সময় পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতেন। তাই তাদের প্রয়োজন হতো প্রচুর অর্থ। গির্জার বিপুল সম্পত্তির উপর কর আরোপের মনোস্থ করলে পোপগণ এতে বাধার সৃষ্টি করেন। তাদের যুক্তি হলো সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত আয় ধর্মীয় কাজে ব্যয় করতে হবে। তারা আরও যুক্তি দিয়ে বলেন যে, গির্জার সম্পত্তি পরিচালনার ভার ঈশ্বর প্রদত্ত। তাই ঈশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতার উপর পার্থিব রাজা বা সম্রাট হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। পোপদের সম্রাট বিরোধী এ ধরনের ব্যাখ্যার ফলে রাষ্ট্রের সাথে তাদের বিরোধ দেখা দেয় ।
৬. গির্জার সম্পদ বৃদ্ধি : মধ্যযুগে ইউরোপে রাজশক্তি দুর্বল হওয়ায় অন্যান্য যেসব শক্তি মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় তাদের মধ্যে অন্যতম হলো সামন্ততন্ত্র। সম্রাটের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সামন্ত প্রভু ও গির্জায় পুরোহিতকুল উভয়ই রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুটতরাজে নেমে পড়ে। কিছুদিন পরে সামন্ত প্রভু ও জমিদারদের সাথে পোপ একটি গোপন ও অলিখিত ভাগ বাটোয়ারা সম্পর্ক গড়ে তোলে। জনসাধারণের দান ও অন্যান্য বেআইনি উৎস থেকে গির্জা বিপুল পরিমাণ সম্পদ আহরণ করে । এ সময় পার্থিব ভোগ বিলাসে পুরোহিতরা এত বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে, তাদের কোনো প্রকারের ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি বলা যায় না। গির্জার এ বিলাসিতা সারাদেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ঈর্যার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ফলে দেশ জুড়ে সবাই গির্জার সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে।
১০. রাজনৈতিক ভূমিকা পালন : মধ্যযুগে ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সুসংগঠিত রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন কর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টের আসন প্রস্তুতির অধিকার এবং বিশেষ সুবিধা লাভ করে। ১১. রেনেসাঁর সৃষ্টি : মধ্যযুগে ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মধ্য ও আধুনিক যুগের ক্রান্তিকালে রেনেসাঁর আবির্ভাব।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞানের মশাল জ্বেলে দিয়েছিল তারই অনিবার্য ফল হলো ইউরোপীয় রেনেসাঁ।
১২. প্রাচীন দর্শন ও শিক্ষার সংস্কার : প্রাচীন ধর্মতত্ত্ব ও দর্শনের উন্নতি ও সংস্কারের ব্যবস্থা করে মূলত মধ্যযুগীয় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ। প্রাচীন দর্শন ও ধর্মতত্ত্বগুলো ইউরোপের সমাজের উন্নয়নের পথে অন্তরায় হিসেবে কাজ করত। তাই ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ এ তত্ত্বগুলো বর্জন করে আধুনিক ও উন্নয়নমুখী তত্ত্বগুলো ধারণ করে এবং প্রাচীন শিক্ষায় উন্নতি ও সংস্কারের ব্যবস্থা করে।
পরিশেষে বলা যায় যে, মধ্য যুগের ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৮০টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়া নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চাকে অব্যাহত রাখতে এগুলোর অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]