সাংস্কৃতিক নবীভবন ও বিস্তার বলতে কি বো
১. সংস্কৃতি কি ?
সামাজিক বিজ্ঞানে সংস্কৃতি পাঠ গুরুত্বপূর্ণ কেন ?ঝেন?


সংস্কৃতি বলতে বোঝায় ঐতিহাসিক ভাবে সৃষ্ট এমন এক প্রতীক ব্যবস্থা যার ভিতর দিয়ে জগৎ সম্পর্কে
আমাদের জ্ঞান, বিশ্বাস ও ভাবনা তৈরি হয় এবং এর আদান-প্রদান ঘটে। সংস্কৃতি মানুষের সাথে
মানুষের যোগাযোগের ভিত্তি। সাধারণভাবে সংস্কৃতি বলতে আমরা বুঝি মনের সুন্দর রূপ। অনুশীলনে
অর্জিত জ্ঞান-বুদ্ধির উৎকর্ষতা সাংস্কৃতিক মানুষ বলতে বুঝি এমন ব্যক্তি যার রয়েছে পরিশীলিত চিন্তা,
রুচি এবং আচরণ।
সামাজিক বিজ্ঞান সমূহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রত্যয় হল সংস্কৃতি। সংস্কৃতিকে নৃবিজ্ঞানী ও
সমাজবিজ্ঞানীরা বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করে থাকেন।তবে সাম্প্রতিককালে সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞানের
প্রবণতা হচ্ছে সংস্কৃতিকে ব্যঞ্জণা ব্যবস্থা বণটভধভথ ্রর্হ্রণব হিসেবে আলোচনা করা। একটি বড় ও
জটিল সমাজে বিভিন্ন স্বতন্ত্র শ্রেয়োবোধ ও মূল্যবোধ সম্বলিত বিভিন্ন গোষ্ঠী বা দল থাকে। কোন কোন
গোষ্ঠীর স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যকে বলে উপসংস্কৃতি। এই উপসংস্কৃতি যখন আধিপত্যমূলক
সংস্কৃতির সাথে প্রতিদ্বন্দি¦তা করে বা তার আক্রমণের সম্মুখীন হয়, তখন এটি রূপ নেয় বিপরীত
সংস্কৃতিতে।
সংস্কৃতির শুরু কখন তা বলা না গেলেও, এটি ঠিক যে, ভাষার ক্রমবর্ধমান বিকাশের ুাথে সংস্কৃতির
বিকাশ ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। সংস্কৃতির বিকাশে নবীভবন অভভমশর্টধমভ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এটি সংস্কৃতিতে নতুন কোন চিন্তা, ঘটনা বা কাজের অর্ন্তভুক্তিকে নির্দেশ করে। সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তিতে
কোন এলাকায় জনগোষ্ঠীর মধ্যে আবিষ্কার বা উদ্ভাবনা হলে সহজেই অন্যান্য এলাকায় বিস্তৃত হয়।
এক সমাজ থেকে অন্য সমাজে সংস্কৃতির ধরনে ভিন্নতা থাকলেও, সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য সকল
সংস্কৃতিতেই বিদ্যমান- যেমন, ভাষা, মূল্যবোধ, শ্রেয়োবোধ, অনুমোদন প্রভৃতি। এসবই সংস্কৃতির
প্রধান উপাদান। সকল সংস্কৃতিই বিকাশমান ও পরিবর্তনশীল। নৃবিজ্ঞানের পরিসরে সাংস্কৃতিক
পরিবর্তনকে বোঝার জন্য গুরুত্ব আরোপ করা হয় সাংস্কৃতিক বিবর্তন ও সংস্কৃতিগ্রহণ- এর উপর।

ভ‚মিকা
সংস্কৃতি প্রত্যয়টি অনিবার্যভাবে বিতর্কিত। সংস্কৃতিকে বোঝা হয় বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে
বিভিন্নভাবে। সাধারণভাবে সংস্কৃতি বলতে আমরা বুঝি পরিশীলিত চিন্তা; রুচি এবংআচরণ।
এর সঙ্গে যুক্ত ক্রমাগত অভ্যাস বা অনুশীলনের দ্বারা অর্জিত মনের উৎকর্ষতা। সমাজ ও
নৃবিজ্ঞানীরাও একে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করে থাকেন। সামাজিক বিজ্ঞানে ব্যবহৃত
প্রত্যয়সমূহের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয় হচ্ছে সংস্কৃতি। সংস্কৃতিকে অনুধাবন করতে না
পারলে সমাজ ও সমাজের কোন আলোচনা বা পাঠ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। সমাজ ও সংস্কৃতি
একই সাথে যুক্ত বলে এরা অবিচ্ছেদ্য।
ইংরেজি কালচার শব্দটির উৎপত্তি অতীত কাল সূচক লাতিন ক্রিয়াপদ ঈড়ষবৎব থেকে যার অর্থ
চাষ করা। শব্দটির বর্তমান ব্যবহার মধ্যযুগের ফরাসী এবং মধ্য ইংরেজি (১১০০-১৪৫০)
থেকে। মধ্য ইংরেজিতে ঈঁষঃঁৎব শব্দটির অর্থ ছিল কর্ষিত ভ‚মি খন্ড। আধুনিক অর্থে প্রত্যয়টির
বিকাশ ঘটে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধের মধ্যে। এই কালপর্বে
সংস্কৃতি চারটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হতে থাকে।
১. ‘মানব হৃদয়ের সাধারণ অবস্থা অথবা অভ্যাস' ধারণাটি যুক্ত ছিল মানুষ সামাজিক
পরিবর্তনের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা অর্জনে সক্ষম এই বিশ্বাসের সাথে।
২. সামগ্রিক কোন সমাজের বৌদ্ধিক এবং নৈতিক উন্নয়নের সাধারণ রূপ।
৩. কোন সমাজের সমগ্র জীবনধারাÑ তার বস্তুগত, বৌদ্ধিক এবং আÍিক রূপ।
৪. সংস্কৃতি হচ্ছে মানব প্রকৃতির আদর্শরূপকে অর্জন করার সচেতন, কঠিন এবং দীর্ঘ
প্রচেষ্টা।
নৃতাত্তি¡ক বা সমাজতাত্তি¡ক দৃষ্টিতে এ প্রত্যয়টির প্রথম ব্যবহার করেন ১৮৪৩ সালে জার্মানীর
গুষ্টাভ খেলম এঁংঃধা কযবষস। ১৮৭১ সালে নৃবিজ্ঞানী ই.বি টাইলর ঊ.ই. ঞুষড়ৎ স্বীকৃত
নৃতাত্তি¡ক সংজ্ঞাটি প্রদান করেন।
সংজ্ঞা

নৃবিজ্ঞানী এ.এল. ক্রোবার অ.খ. কৎড়বনবৎ ও ক্লাইড ক্লুকন ঈষুফব কষঁপশযড়যহ ১৯৫২ সালে
সংস্কৃতির ১৬৪টি সংজ্ঞা লক্ষ্য করেন। আমাদের সাধারণ ব্যবহারে বুদ্ধিবৃত্তিক ও নৈতিক
উৎকর্ষতার অর্থে এই শব্দটি ব্যবহার করি।
আধুনিক সমাজ ও নৃবিজ্ঞানে দু'টি স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গির উদ্ভব হয়েছে। নৃবিজ্ঞানী ই.বি. টাইলরের
মতে, "ঈঁষঃঁৎব রং ঃযধঃ পড়সঢ়ষবী যিড়ষব যিরপয রহপষঁফবং শহড়ষিবফমব, নবষরবভ, ধৎঃ,
সড়ৎধষং, ষধ,ি পঁংঃড়স ধহফ ড়ঃযবৎ পধঢ়ধনরষরঃরবং ধপয়ঁরৎবফ নু সধহ ধং ধ সবসনবৎ ড়ভ
ংড়পরবঃু."
জ্ঞান-বিজ্ঞান, আচার-বিশ্বাস, শিল্পকলা, নীতিবোধ, আইন-কানুন এবং অনুশীলন ও অভ্যাস, যা
মানুষ কোন এক সমাজের পরিবেশে আয়ও করে, সেসব কিছুই সে সমাজের সংস্কৃতি।
সংজ্ঞাটির মূল বক্তব্য হচ্ছে সমাজের সদস্য হিসাবে মানুষ যে সব দক্ষতা বা নৈপুন্য অর্জন
করে তাই সংস্কৃতি।
সমাজবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সংস্কৃতির সংজ্ঞাকে ট্যালকট পার্সনস্ তুলে ধরেছেন তাঁর স্বভাবসুলভ
জটিলতায়। "ঈঁষঃঁৎব---- পড়হংরংঃং রহ ঢ়ধঃঃবৎহবফ ড়ৎফবৎবফ ংুংঃবসং ড়ভ ংুসনড়ষং যিরপয
ধৎব ড়নলবপঃং ড়ভ ড়ৎরবহঃধঃরড়হ ড়ভ ধপঃরড়হ, রহঃবৎহধষরুবফ পড়সঢ়ড়হবহঃং ড়ভ ঃযব ঢ়বৎংড়হধষরঃরবং
ড়ভ রহফরারফঁধষ ধপঃড়ৎং ধহফ রহংঃরঃঁঃরড়হধষরুবফ ঢ়ধঃঃবৎহ ড়ভ ংড়পরধষ ংুংঃবস." সমাজবিজ্ঞানে
পার্সনস্-এর প্রবল প্রভাবের জন্য সংস্কৃতিকে প্রধানত: প্রতীকি ব্যবস্থা হিসাবে দেখা হয়েছে।
ব্রিটিশ সমাজবিজ্ঞানী এন্থনি গিডেন্স অহঃযড়হু এরফফবহং (১৯৯৩) সংস্কৃতিকে সংজ্ঞায়িত
করেছেন কোন গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্যমান মূল্যবোধ ও শ্রেয়োবোধ এবং বস্তুগত দ্রব্যকে।
সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞানে সংস্কৃতির আলাদা কোন ধারণা আছে বলে এখন আর মনে করা হয়
না। ঈড়ষষরহং উরপঃরড়হধৎু ড়ভ ঊহমষরংয খধহমঁধমব (১৯৭৯) -এ সংস্কৃতির প্রথম যে দু'টি অর্থ
উল্লেখ করা হয় তা এই পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে।
১. ঐতিহ্যসূত্রে প্রাপ্ত চিন্তা, বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও বিশ্বাসের সমগ্র যা সামাজিক কর্মের সাধারণ
ভিত্তি গঠন করে ঞযব ঃড়ঃধষ ড়ভ ঃযব রহযবৎরঃবফ রফবধং, নবষরবাবং, াধষঁবং ধহফ
শহড়ষিবফমব, যিরপয পড়হংঃরঃঁঃব ঃযব ংযধৎবফ নধংবং ড়ভ ংড়পরধষ ধপঃরড়হ ।
২. সাধারণ ঐতিহ্যে আবদ্ধ কোন গোষ্ঠীবদ্ধ জনসমষ্টির কার্যাবলী ও চিন্তার সামগ্রিকক্ষেত্র,
যা ঐ গোষ্ঠীর সদস্যদের দ্বারা পরিবাহিত ও শক্তিশালী হয়: যেমন, মায়াদের সংস্কৃতি ঞযব
ঃড়ঃধষ ৎধহমব ড়ভ ধপঃরারঃরবং ধহফ রফবধং ড়ভ ধ মৎড়ঁঢ় ড়ভ ঢ়বড়ঢ়ষব রিঃয ংযধৎবফ ঃৎধফরঃরড়হং,
যিরপয ধৎব ঃৎধহংসরঃঃবফ ধহফ ৎবরহভড়ৎপবফ নু সবসনবৎং ড়ভ ঃযব মৎড়ঁঢ়: ঃযব গধুড়হ
ঈঁষঃঁৎব.
সমাজবিজ্ঞানের মূল ধারার মধ্যে সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও দু'টি বিষয় আলোচনার অপেক্ষা
রাখে। প্রথমটি হচ্ছে সংস্কৃতির অন্তর্গত বিভাজন। সংস্কৃতিকে কয়েকটি অংশে বিভাজিত করে
দেখা যায়।
❐ উঁচু সংস্কৃতি : প্রধানত: জ্ঞানতাত্তি¡ক এবং নন্দনতাত্তি¡ক সংস্কৃতি
❐ জনপ্রিয় সংস্কৃতি : প্রধানত: গণমাধ্যমভিত্তিক সংস্কৃতি যা প্রায় একই রূপে বিশাল
জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছায় এবং তাদের চিন্তা এবং বিশ্বাসের উপর প্রভাব বিস্তার করে।
জনপ্রিয় সংস্কৃতিকে অনেক সময় মাসকালচার বা গণসংস্কৃতি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
মাসকালচার বা গণসংস্কৃতিতে রুচির অবনতি ঘটে-সরল, উপভোগ্য এবং নৃশংস বিষয়
এখানে প্রাধান্য পায়।

❐ লোক সংস্কৃতি : লোক সংস্কৃতি বলতে বোঝায় গ্রামীণ বা কৃষকের সংস্কৃতি যেখানে ধর্ম,
ঐন্দ্রজালিকতা এবং জ্ঞাতি-সম্পর্ককে কেন্দ্র করে প্রধানত: নির্মিত হয় প্রতীকি ভুবন।
উপসংস্কৃতি ঝঁন ঈঁষঃঁৎব
সমাজবিজ্ঞানে দ্বিতীয় আলোচিত বিষয় হচ্ছে উপসংস্কৃতি বা সাব-কালচার। উপসংস্কৃতি বলতে
বোঝায় সমাজের কোন বিশেষ জনগোষ্ঠীর মূল্যবোধ এবং অনুশীলন যা বৃহত্তর সংস্কৃতি থেকে
ভিন্ন। যে কোন জটিল সমাজে অনেক ধরনের উপসংস্কৃতি বিরাজ করে। উপসংস্কৃতি গড়ে
উঠতে পারে পেশা বা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে- সামরিক বাহিনী বা চিকিৎসা বিদ্যায়,
নরগোষ্ঠীগত বা এথনিক গোষ্ঠীর মধ্যে উপসংস্কৃতি লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে সংখ্যালঘু
ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যেও তা বিরাজ করে। অঞ্চলভিত্তিতেও উপসংস্কৃতি গড়ে উঠে। আমেরিকায়
যেমন বিভিন্ন দেশ থেকে স্থানান্তরিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির অনেক বৈশিষ্ট্য
টিকে থাকে এবং ফলে তাদের সংস্কৃতিকেও উপসংস্কৃতি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
সমাজবিজ্ঞানে অবশ্য উপসংস্কৃতির প্রধান ব্যবহার বিচ্যূতিমূলক বা অপরাধমূলক ব্যবহারের
ক্ষেত্রে। গুল্ডনার এড়ঁষফহবৎ -এর উপমা ব্যবহার করে বলা যায় উপসংস্কৃতি এক শীতল
বিশ্বের পরিচায়ক যেখানে বাস করে “হাল ফ্যাসনের গান পাগল মানুষ, নেশাগ্রস্থ,
জাজসঙ্গীতজ্ঞ, ট্র্যাক্সি-ড্রাইভার, পতিতা, রাতের মানুষ, ভাসমান লোকজন, বস্তীবাসী .....।”
এর সাথে যুক্ত নানা ধরনের অপরাধীরা। উপসংস্কৃতির সাথে একটি ঋণাতœকবোধ যুক্ত থাকায়
অন্যান্য ক্ষেত্রে (অর্থাৎ বিচ্যূতিমূলক আচরণের বাইরে) প্রত্যয়টির ব্যবহার খুব বেশি লক্ষ্য করা
যায় না। উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করা যায় নগরের দরিদ্রদের মধ্যে অস্কার লুইস ঙংপধৎ
খবরিং যে বিশেষ সংস্কৃতি লক্ষ্য করেছেন তা উপসংস্কৃতি। কিন্তু তিনি তাকে চিহ্নিত করেছেন
‘দারিদ্র্যের সংস্কৃতি' হিসাবে ।
বিপরীত সংস্কৃতি ঈড়ঁহঃবৎ পঁষঃঁৎব
ঙীভড়ৎফ উরপঃরড়হধৎু ড়ভ ঝড়পরড়ষড়মু অনুযায়ী উপসংস্কৃতি যখন সংস্কৃতির বিরোধিতা করে
তার প্রধান মূল্যবোধ এবং নীতিমালাকে বাতিল করে তার বিপরীত মূল্যবোধ, নীতিবোধ এবং
জীবনাচরণকে গ্রহণ করে তখন তাকে বিপরীত সংস্কৃতি বলে। ইউরোপ ও আমেরিকায় ১৯৬৮
সালের ছাত্র আন্দোলন, হিপ্পী আন্দোলন এবং পরিবেশবাদী সবুজ আন্দোলন বিপরীত
সংস্কৃতির উদাহরণ।
সারাংশ
সামাজিক বিজ্ঞানে ব্যবহৃত প্রত্যয় সমূহের মধ্যে সংস্কৃতি প্রত্যয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
সংস্কৃতির আলোচনায় আধুনিক সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞানে দু'টি স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গির উদ্ভব
হয়েছে। নৃবিজ্ঞানী ই.বি. টাইলরের মতে জ্ঞান-বিজ্ঞান, আচার-বিশ্বাস, শিল্পকলা,
নীতিবোধ, আইন-কানুন এবং অনুশীলন ও অভ্যাস, যেসব মানুষ কোন এক সমাজের
পরিবেশে আয়ত্ত করে, সে সব কিছুই ঐ সমাজের সংস্কৃতি। পক্ষান্তরে, সমাজবিজ্ঞানে
সংস্কৃতিকে প্রধানত: প্রতীকী ব্যবস্থা হিসাবে দেখা হয়। সমাজবিজ্ঞানী গিডেন্স সংস্কৃতিকে

দেখছেন গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্যমান মূল্যবোধ, শ্রেয়োবোধ এবং বস্তুগত দ্রব্যকে। সংস্কৃতির
পাশাপাশি উপসংস্কৃতি ও বিপরীত সংস্কৃতিও থাকতে পারে। বড় ও জটিল সমাজে
বিদ্যমান বিভিন্ন দলের শ্রেয়োবোধ ও মূল্যবোধ সমনি¦ত স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য
উপসংস্কৃতি নামে পরিচিত। আবার এই উপসংস্কৃতি যখন আধিপত্যপূর্ণ সংস্কৃতির সাথে
বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয় তখন ঐ উপসংস্কৃতিই হল বিপরীত সংস্কৃতি।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১. 'ঈঁষঃঁৎব' শব্দটি কোন ভাষার শব্দ থেকে এসেছে?
ক. ইংরেজি খ. জার্মানী
গ. ফরাসী ঘ. ল্যাটিন
২. ‘সংস্কৃতি' শব্দটির অর্থ কি?
ক. রুচিশীল কর্ম খ. ভ‚মি চাষ
গ. সৌন্দর্য প্রীতি ঘ. কোনটিই নয়
৩. পশ্চিমে প্রতি-সংস্কৃতির জোয়ার কখন থেকে শুরু হয় ?
ক. ১৯৫০ সালে খ. ১৯৬০ সালে
গ. ১৯৭০ সালে ঘ. ১৯৮০ সালে
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. সংস্কৃতি কি ?
২. সামাজিক বিজ্ঞানে সংস্কৃতি পাঠ গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. সংস্কৃতি, উপসংস্কৃতি ও বিপরীত সংস্কৃতি বলতে কি বোঝেন ? আলোচনা করুন।
২. “সামাজিক বিজ্ঞানে ব্যবহৃত প্রত্যয় সমূহের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রত্যয় হচ্ছে
সংস্কৃতি”Ñসংস্কৃতির সংজ্ঞাসহ উক্তিটি আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]