মণিপুরি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা কররাখাইন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর

মুখ্য শব্দ মণিপুরি, রাখাইন, সমতল, সিলেট, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, আরাকট, মণিপুর।
বাংলাদেশের সমতল অঞ্চলের অন্যতম প্রধান দু’টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হচ্ছে মণিপুরি এবং রাখাইন। উভয় ক্ষুদ্র
নৃগোষ্ঠী এ ভ‚খÐে বাহিরাগত। মণিপুরিরা ভারতের আসাম সংলগ্ন মনিপুর অঞ্চল এবং রাখাইনরা মায়ানমারের
আরাকান অঞ্চল থেকে বাংলাদেশে প্রবশে করেছিল। স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ধারণ করে বর্তমানে তারা বাংলাদেশের অধিবাসী।
মণিপুরি সম্প্রদায়ের নৃতাত্তি¡ক ও জাতিগত পরিচয়: সাধারণত মণিপুর রাজ্যের অধিবাসীদেরকে ‘মণিপুরি’ বলা হয়।
ভারতের আসাম সংলগ্ন ‘মণিপুর’ রাজ্য থেকে উদ্বাস্তু হয়ে ১৭৫৬, ১৭৫৮ এবং ১৮৯১ সালে মণিপুরি সম্প্রদায়ের লোকেরা
বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে। লোককথায় প্রচলিত আছে যে, অষ্টাদশ শতাব্দীতে মণিপুর
রাজ্যের এক রাজপুত্র মণিপুর থেকে পালিয়ে সফরসঙ্গীসহ সিলেটে চলে আসেন। ধারণা করা হয় যে, এরাই হচ্ছে
বাংলাদেশের বর্তমান মণিপুরিদের পূর্বপুরুষ।
মণিপুরিরা কোনো নরগোষ্ঠীর অন্তর্গত তা সঠিকভাবে নিরূপণ করা মুশকিল। তবে দেহের গঠন ও মুখমন্ডলের বৈশিষ্ট্যের
দিক থেকে এদের সাথে চীনা ও বার্মিজদের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। তাই এদেরকে আদি-মঙ্গোলীয় নরগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত বলে
মনে করা হয়। ধারণা করা হয় যে, মণিপুরিরা ভারতের আসামরাজ্যের কুকি জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্গত। তাদের পূর্বপুরুষের
নাম ‘পাখাংবা’। প্রবাদ আছে যে, পাখাংবা একজন সর্পপুরুষ ছিলেন। অরণ্যে গর্তের ভিতর থেকে একজন সুপুরুষ যুবক
হিসাবে তিনি বেরিয়ে আসেন। জনপথে হাঁটার সময় জুমচাষরত এক অপূর্ব সুন্দরী রমণীকে দেখে মুগ্ধ হন এবং তাকে বিয়ে
করে সংসারজীবন শুরু করেন। এই দম্পতি থেকে মণিপুরি জাতিগোষ্ঠীর উৎপত্তি বলে মনে করা হয়।
ভাষা, ধর্ম ও আবাস: মণিপুরিদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। মণিপুরি ভাষার দু’টি উপবিভাগের একটি হচ্ছে বিষ্ণুপ্রিয়া,
অপরটি হচ্ছে মৈতৈ ভাষা। বিষ্ণুপ্রিয়ার সাথে অহমিয়া, উড়িয়া বাংলা ভাষার সাদৃশ্য রয়েছে। বিষ্ণুপ্রিয়ার নিজস্ব বর্ণলিপি
আছে। তবে উৎপত্তিগত দিক থেকে এটি মাগধি-প্রাকৃত থেকে আগত। মৈতৈ মণিপুরিদের ব্রহ্মীয় ভাষার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
কারো কারো মতে, মণিপুরিদের ভাষার সাথে কুকীদের ভাষার সাদৃশ্য রয়েছে।
মণিপুরিরা হিন্দু ধমের্র বৈষ্ণব স¤প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। ব্রাহ্মণ পুরোহিত দিয়ে তারা পূজা করে থাকে। সাধারণত তাদের
মন্দিরে শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ, শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব এবং শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গের মূর্তি দেখা যায়।
বাংলাদেশের মণিপুরি স¤প্রদায় সিলেটের তামাবিল, মৌলভীবাজারের ভানুগাছ এবং হবিগঞ্জের আসামপাড়া এলাকায়
বসবাস করে। এছাড়া ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় কিছুসংখ্যক মণিপুরি বাস করে।
বিবাহ, পরিবার ও অর্থনীতি: মণিপুরিদের মধ্যে বর্হিগোত্র বিবাহ প্রচলিত আছে। একই গোত্রের মধ্যে বিয়ে এখানে
নিষিদ্ধ। তাদের মধ্যে বাল্যবিবাহের প্রচলন নেই। তবে তালাক ও বিধবা বিবাহের প্রচলন রয়েছে। মণিপুরিদের মধ্যে
পিতৃতান্ত্রিক এবং পিতৃসূত্রীয় পরিবার ব্যবস্থা প্রচলিত। ছেলেরা পিতার সম্পত্তিতে সমান ভাগ পেলেও মেয়েদের কোনো
অধিকার নেই। তবে পিতা ইচ্ছা করলে তার মেয়েকে সম্পত্তি দান করতে পারেন। কোনো দম্পতির পুত্রসন্তান না থাকলে
মেয়ে পিতার সম্পত্তির পূর্ণ উত্তরাধিকারী বলে গণ্য হয়। এদের মধ্যে একক বা অনুপরিবার বেশি পরিলক্ষিত হয়।
মণিপুরিরা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। নারী-পুরুষ উভয়ই কৃষিক্ষেতে কাজ করে। পাহাড়ি এলাকার মণিপুরিরা জুম পদ্ধতিতে
এবং সমতলবাসীরা হালচাষ করে। নারী-পুরুষ সবাই কৃষিকাজে দক্ষ। কৃষিকাজ ছাড়াও তারা কাপড় বোনা ও তাঁত
পরিচালনায় পারদর্শী। তারা নিজেদের পোশাক নিজেরাই তৈরি করে। পুরুষরা সাধারণত ধুতি এবং মেয়েরা বুক আবৃত
করে লুঙ্গি পরিধান করে থাকে। ব্যবসা, দোকান পরিচালনা, চাকরি প্রভৃতি কাজেও মণিপুরি ছেলেমেয়েরা সম্পৃক্ত হয়।
জ্ঞাতিগোষ্ঠী ও সংষ্কৃতি: মণিপুরি নৃগোষ্ঠী বিভিন্ন জ্ঞাতিগোষ্ঠীতে বিভক্ত। এর মধ্যে প্রধান দু’টি জ্ঞাতিগোষ্ঠী হচ্ছে ভাষার
ভিত্তিতে। একটি বিষ্ণুপ্রিয়া, অপরটি মৈথৈ। এছাড়াও মৈরাং, লুয়াং, অমংগোম, ক্ষুমল, নিংথৌজা, খরা, নংবা ইত্যাদি
জ্ঞাতিগোষ্ঠী পরিলক্ষিত হয়। মণিপুরীদের লোকসংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। বিশেষ করে মণিপুরি নৃত্য ও সংগীত জাতীয়ভাবে
সমাদৃত। মণিপুরিদের প্রধান খাদ্য ভাত। তা ছাড়া মাছ ও শাক-সবজি তাদের খাদ্য তালিকায় থাকে। মণিপুরিরা নিজেদের
পোশাক নিজেরা তৈরি করে। বাঙালি সমাজের প্রভাবে মণিপুরি মেয়েরা তাদের ঐতিহ্যবাহী লুঙ্গির পরিবর্তে কেউ কেউ
শাড়ি পরছে। তাদের আচার-আচরণ ও রীতিনীতিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে এবং এ সমাজে সামাজিক গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাখাইন
সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসমূহের মধ্যে রাখাইন অন্যতম। তবে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মারমাদের সাথে ভাষা
নৃতাত্তি¡ সাদৃশ্য রয়েছে। মারমারা যেমন ‘মগ’ নামে পরিচিত, তেমনি রাখাইনরাও। প্রাচীনকালে এরা ‘মগধ’ রাজ্যে বসবাস
করত বলে ইতিহাসে এরা ‘মগ’ নামে পরিচিতি লাভ করে। রাখাইন শব্দের উৎপত্তি পালি ভাষা থেকে। এ ভাষায় ‘রাখাইন’
শব্দের অর্থ হল রক্ষণশীল অর্থাৎ যারা নিজেদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, পরিচয় ইত্যাদিকে সংরক্ষণ করতে সচেষ্ট থাকে।
সম্প্রদায়গত দিক থেকে থেকে রাখাইনরা অনেকটা রক্ষণশীল। রাখাইনরা নিজেদেরকে ‘রাক্ষাইন’ এবং তাদের বাসভ‚মিকে
‘রাক্ষাইন পি’ (রাখাইন ভ‚মি) নামে অভিহিত করে। এর ভাবার্থ হচ্ছে, তারা তাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ভ‚মি সংরক্ষণের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
নৃতাত্তি¡ক পরিচয়, ভাষা ও আবাস: রাখাইনদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য অনেক প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ। তারা ‘মগধ’ রাজ্য থেকে
মায়ানমারের আরাকান রাজ্যে বসবাস শুরু করে। ১৭৮৪ সালে বার্মিজ রাজা ‘বোদোপ্রা’ আরাকান রাজ্য জয় করলে
বিপুলসংখ্যক রাখাইন সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের উপক‚লীয় জেলা পটুয়াখালী এবং কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়।
রাখাইনরা মঙ্গোলীয়দের ভোটবার্মি (ইযড়ঃনড়ৎসর) সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। রাখাইনদের মুখমÐল গোলাকার, নাক বোঁচা,
চুলকালো এবং দেহের রং হালকা বাদামি ও উচ্চতায় খাটো।
রাখাইনদের ভাষা ভোটবার্মি দলের ভাষার অন্তর্ভুক্ত। উত্তর ভারতের আদি ব্রাহ্মীলিপি থেকে রাখাইন বর্ণমালার উৎপত্তি।
রাখাইনরা কয়েক হাজার বছর আগে মগধে মৌখিকভাবে এই ভাষার উৎপত্তি ঘটায় বলে ধারণা করা হয়। প্রায় ছয় হাজার বছর আগে পাথরে খোদাই করা শিলালিপিতে রাখাইন বর্ণমালা পাওয়া যায়। এটি প্রথম রাখাইন বর্ণমালার উদ্ভবের দলিল।
বাংলাদেশের রাখাইনরা বাংলা ভাষায়ও পারদর্শী।
বাংলাদেশের কক্সবাজার, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় তাদের বসবাস। পটুয়াখালির কুয়াকাটা ও খেপুপাড়ায় রাখাইনদের
বসতি রয়েছে।। কক্সবাজারের রামু, পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, মানিকছড়ি, টেকনাফ ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া
উপজেলাতেও রাখাইনদের বসতি লক্ষ করা যায়।
অর্থনীতি, ধর্ম ও সংষ্কৃতি: রাখাইনদের প্রধান পেশা কৃষি ও মৎস্য শিকার। এছাড়া তারা ব্যবসা-বাণিজ্য, তাঁত বুনন,
নৌকা নির্মাণ ও অন্যান্য কারিগরি পেশার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। হস্তচালিত তাঁত থেকে কাপড় বোনার কাজে রাখাইনরা দক্ষ। রাখাইনরা লবণ এবং গুড় তৈরি করে। কৃষিকাজে রাখাইন নারী-পুরুষ উভয়েই অংশ গ্রহণ করে। রাখাইন নারীরা পোল্ট্রি ও গৃহপালিত পশু পালনও করে থাকে।
রাখাইনরা বৌদ্ধ ধর্মালম্বী। ধর্মীয় এবং ভাষাগত জ্ঞানের জন্য বৌদ্ধ মন্দিরে যায়। বৌদ্ধ পাঠশালা বা খ্যাং (শযুধহম/
গড়হধংঃবৎু) এ রাখাইন শিশুদের শিক্ষা জীবন শুরু হয়। বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি রাখাইনরা যাদুবিদ্যা, অতিপ্রাকৃতিক
শক্তি এবং নানাবিধ কুসংস্কারে বিশ্বাসী। তারা ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব উদযাপন করে থাকে। গৌতম বুদ্ধের
জন্মবার্ষিকী ও প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন রাখাইন অনুষ্ঠানসমূহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ।
রাখাইন সমাজের রীতি অনুযায়ী বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান বা দিবসের শুরুতে তারা পিতা-মাতা, বয়স্ক ব্যক্তি এবং বুদ্ধের
প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকে। বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে তারা বিভিন্ন নকশা করা পিঠা ও মিষ্টি জাউ-ভাত
(চৎড়ৎৎরফমব) পরিবেশন করে থাকে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বাইরে রাখাইনদের নিজস্ব আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব রয়েছে।
রাখাইনদের সবচেয়ে বড় উৎসবকে হচ্ছে জলকেলি উৎসব। এপ্রিল মাসে নববর্ষের প্রাক্কালে চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে তিন
দিন ধরে এ উৎসব উদযাপন করা হয়। তারা বসন্ত উৎসবও পালন করে থাকে।
শিল্পকলা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে রাখাইনদের সুপ্রাচীন ঐতিহ্য রয়েছে। স্থাপত্যকলা, চারু ও কারুকলা, চিত্রকলা, ভাস্কর্য,
নাটক, সংগীত, নৃত্যকলা ইত্যাদিতে রাখাইন জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য সমৃদ্ধ। নদীর তীরবর্তী অঞ্চল ও সমুদ্র উপকূলের সমতল
ভ‚মিতে রাখাইনরা বসবাস করে। নিচে খালি রেখে উঁচু ভিত বা মাচার উপর ঘর নির্মাণ করে তারা বসবাস করে। ঘর
তৈরির উপকরণ হিসেবে তারা গোলপাতা, টিন প্রভৃতি ব্যবহার করে।
খাদ্য, পোশাক, পরিবার ও বিবাহ: রাখাইনরা সাধারণত ভাত, মাছ, ডাল এবং শাক সবজি খেয়ে থাকে। শূকর এবং
শুটকি মাছ তাদের প্রিয় খাবার। রাখাইন পুরুষেরা সাধারণত লুঙ্গি ও ফতুয়া পরে থাকে। রাখাইনরা বিভিন্ন ধর্মীয় এবং
সামাজিক অনুষ্ঠানে মাথায় পাগড়ি পরে। রাখাইন নারীরা নকশাকৃত লুঙ্গি এবং বøাউজ পরিধান করে। রাখাইন নারীরা
তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের অলংকার এবং চুলে ফুল পরে থাকে।
বিবাহ রাখাইন সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। সাধারণত অভিভাবকেরাই বিবাহ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে
থাকেন। তবে বর্তমানে প্রেমের বিয়েও এ সমাজে দেখা যায়। যৌতুক প্রথা রাখাইন সমাজে নিষিদ্ধ। রাখাইন পরিবার
ব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক। পিতাই পরিবারের প্রধান। পরিবারে নারী-পুরুষ প্রত্যেকেরই সমান অধিকার রয়েছে। পুত্র এবং কন্যা উভয়েরই পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে মণিপুরি এবং রাখাইন উভয়েই সমতলের অধিবাসী। তারা বর্তমান ভারত এবং এবং মায়ানমার থেকে
আগত হলেও এখন এদেশের নাগরিক। তাদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্যময়
করেছে। পেশা, বিবাহ এবং পরিবার কাঠামোয় উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। মণিপুরিরা বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে বসবাস করে। রাখাইনদের বসবাস প্রধানত পটুয়াখালী এবং কক্সবাজারে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৪.৯
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। মণিপুরি ভাষার দু’টি উপবিভাগের নাম কী?
ক) বিষ্ণুপ্রিয়া ও মৈতৈ খ) বাংলা ও অহমিয়া
গ) উড়িয়া ও অহমিয়া ঘ) কোনোটি নয়
২। বাংলাদেশে মণিপুরিদের মূল বাসস্থান কোথায়?
ক) পটুয়াখালী খ) পার্বত্য চট্টগ্রার্ম
গ) সিলেটে ঘ) রাজশাহী
৩। ‘রাখাইন’ শব্দের অর্থ কী?
ক) ঐতিহ্যবাহী খ) রক্ষণশীল গ) ঈশ্বরের সন্তান ঘ) সাগরপুত্র
ক. বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (গঈছ)
১। ডাকওয়ার্থ (উঁপশড়িৎঃয) কিসের ভিত্তিতে নরগোষ্ঠীর শ্রেণিবিভাগ করেছেন?
(ক) চুলের ভিত্তিতে (খ) মাথা, চোয়াল ও করোটিতত্তে¡র ভিত্তিতে
(গ) গায়ের রঙের ভিত্তিতে (ঘ) কোনোটিই নয়
২। জাতিগতভাবে বাঙালির নৃতাত্তি¡ক পরিচয় কী?
(ক) কৃষ্ণকায় (খ) অস্ট্রেলীয়
(গ) দ্রাবিড়ীয় (ঘ) সংকর জাতি
খ. বহুপদি সমাপ্তিসূচক বহুনির্বচনী প্রশ্ন
৩। চাকমা সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের মূলে রয়েছেÑ
(র) কেন্দ্রীয় শাসনের প্রভাব
(রর) আধুনিক শিক্ষা
(ররর) মুদ্রা ও বাজার অর্থনীতি
সঠিক উত্তর কোনটি?
(ক) র ও রর (খ) রর ও ররর (গ) র ও ররর (ঘ) র, রর ও ররর
গ. নিচের উদ্দীপকটি পড়–ন এবং ৪ ও ৫ নং প্রশ্নের উত্তর দিন।
এ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বোমাং সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত। এদের সমাজের প্রধান হলেন বোমাং চিফ বা বোমাং
রাজা। এদের ভাষায় এ গ্রামকে বলা হয় ‘রোয়া’। গ্রামবাসী দ্বারা গ্রামের প্রধান মনোনীত হয়, যাকে ‘রোয়াজা’ বলা হয়।
৪। উদ্দীপকে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে?
(ক) চাকমা (খ) মারমা
(গ) গারো (ঘ) ত্রিপুরা
৫। কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বান্দরবান জেলায় বেশি বসবাস করে?
(ক) মারমা (খ) চাকমা
(গ) গারো (ঘ) ত্রিপুরা
ঘ) সৃজনশীল (কাঠামোবদ্ধ) প্রশ্ন:
উদ্দীপকটি পড়–ন এব নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন।
সংগীতা কলেজের বন্ধুদের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে শিক্ষা সফরে গিয়েছিল। বাড়িতে ফিরে সে বাবা-মায়ের
সাথে অনেক গল্প করলো। সে রাঙামাটিতে চাকমা, বান্দরবানে মারমা জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা এবং সংস্কৃতি দেখেছে।
কক্সবাজারেও বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উপস্থিতি তাকে অভিভ‚ত করেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন দোকানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মেয়েরা পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছে।
১) বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত? ১
২) পাহাড় এবং সমতলের তিনটি করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নাম লিখুন। ২
৩) উদ্দীপকের আলোকে মারমা জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা এবং সংস্কৃতি বর্ণনা করুন। ৩
৪) ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে আপনার অভিমত ব্যাখ্যা করুন। ৪
উত্তরমালা :
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৪.১ ঃ ১। ঘ ২। ক
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৪.২ ঃ ১। খ ২। ক ৩। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৪.৩ ঃ ১। গ ২। খ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৪.৪ ঃ ১। খ ২। গ ৩। গ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৪.৫ ঃ ১। ক ২। গ ৩। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৪.৬ ঃ ১। খ ২। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৪.৭ ঃ ১। ক ২। গ ৩। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৪.৮ ঃ ১। খ ২। ক ৩। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৪.৯ ঃ ১। ক ২। গ ৩। খ
চ‚ড়ান্ত মূল্যায়ন ঃ ১। খ ২। ঘ ৩। ঘ ৪। খ ৫। ক

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]