বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদান ব্যাখ্যা কর

মুখ্য শব্দ বঙ্গবন্ধু, ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা,
বাংলাদেশ।
১৯৪৮ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পূর্ব পাকিস্তান সফর করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সমাবেশে ঘোষণা
করেন যে, উর্দু, একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। শুরু হলো প্রতিবাদ, প্রতিরোধ। ১৯৪৯ সালে বঙ্গীয়
মুসলিম লীগ দুই ভাগ হয়ে উদারপন্থী নেতাদের নিয়ে ‘আওয়ামী মুসলীম লীগ’ নামের একটি নতুন দলের সৃষ্টি হয়। ১৯৫২
সালের ফেব্রæয়ারি মাসে ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে পূর্ব পাকিস্তানের সম্পর্কে ফাটল ধরে। বস্তুত
ভাষার জন্য রক্তদানের মাধ্যমে শুরু হয় দেশের জন্য আত্মবলিদানের প্রস্তুতি। সূচনা হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের নতুন
ধারা। ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিপুল ভোটে জয়লাভের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করে। পশ্চিম
পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেঙ্গে দেয়। এভাবেই পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে পূর্ব পাকিস্তানের
সংগ্রামের সূত্রপাত হয়। এ সংগ্রামের শুরুতে তরুণ শেখ মুজিব এবং চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সামনে
থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা
বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশের যে কয়টি ঘটনা আছে তার মধ্যে ১৯৫৪ সালের নির্বাচন অতি গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতাসীন
মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান তখন তরুণ নেতা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি যুক্তফ্রন্টের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে সমগ্র পূর্ব
পাকিস্তান চষে বেড়ান। শেখ মুজিব বাংলার মানুষকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতন
করেন। তাঁর বাগ্মিতা, নেতৃত্ব, জনসম্পৃক্ততা এবং সাংগাঠনিক দক্ষতা নির্বাচনের ফলাফলে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ১৯৫৪
সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ৩০৯ আসনের মধ্যে ২২৮ টি আসন লাভ করে। কেবল নির্বাচনে জয়লাভ নয়, তরুণ শেখ
মুজিবের সম্মোহনী নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা প্রবল হতে থাকে।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে বঙ্গবন্ধুৃ শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন।
পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনকালে তাঁকে প্রায় ১২ বছর কাটাতে হয়েছে কারাবন্দি হিসেবে। এদেশের মানুষকে বৈষম্যের
হাত থেকে মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর ১৯৬৬ সালে ৬ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই দাবি উত্থাপনের মাধ্যমে বাঙালি জাতি
নিজেদের প্রকৃত অবস্থান বুঝতে পারে এবং নিজেদের স্বার্থের ব্যাপারে আরও সোচ্চার হয়ে উঠে। ঐতিহাসিক ৬ দফা
কর্মসূচির মধ্যে বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশের সমস্ত রসদ ছিল। ছয় দফার পক্ষে জনমত গড়তে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের
প্রতিটি থানা, মহকুমা (বর্তমান জেলা), বৃহত্তর জেলা, বিভাগ সফর করেন। ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, পেশাজীবি,
বুদ্ধিজীবী সর্বস্তরের মানুষকে তিনি ছয় দফার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি ছয় দফার
পক্ষেই ম্যান্ডেট চেয়েছিলেন। এ ছয় দফাই পরবর্তী কালে স্বাধীনতার এক দফায় রূপান্তরিত হয়।
ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুকে নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়। ঐতিহাসিক আগরতলা মামলায় দ্রæত বিচার ট্রাইবুনালে
তাঁর বিচার শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রশিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমিক, অন্যান্য রাজনৈতিক দল এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। গড়ে ওঠে গণআন্দোল।
১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন ‘সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’
গঠন করে। পরিষদের পক্ষ থেকে ১৯৬৯ সালের ১৮ জানুয়ারি ১১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ১৯৬৯ সালের
গণঅভ্যুত্থান পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্র-জনতা এক হয়ে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। আগরতলা
মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শামসুজ্জোহা গুলিতে নিহত
হলে আন্দোলন দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খান ঘোষণা দিতে বাধ্য হন যে, পরবর্তী নির্বাচনে
তিনি আর প্রেসিডেন্ট হিসেবে অংশ নিবেন না। প্রবল প্রতিরোধের মুখে সরকার আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে
বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্য আসামিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সবগুলো আসনেই (জাতীয় এবং
প্রাদেশিক) ভোটে বিপুল বিজয় অর্জন করে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০টি
আসনের মধ্যে ২৮৮ টিতে এবং জাতীয় পরিষদের ১৬৯ টি আসনের মধ্যে (পূর্ব পাকিস্তান অংশ) ১৬৭ টি আসনে জয় লাভ
করে। এ বিজয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে বাঙালি
জাতীয়বাদী চেতনার স্ফ‚রণ ঘটে। সত্তরের নির্বাচনের ফলাফল তারই প্রতিফলন পরিলক্ষিত হয়। বস্তুত শেখ মুজিব হঠাৎ
করেই ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়ে উঠেননি। প্রতিটি প্রয়োজনে তিনি মানুষের পাশে থেকেছেন, আস্থা অর্জন করেছেন। ১৯৭০ সালে
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রলয়ংকরী ঝড় ও জলোচ্ছ¡াস আঘাত করে। এ দুর্যোগে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ মারা যান।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ সাধ্যমত মানুষকে
সহায়তা প্রদান করেছে। এভাবেই তিনি হয়ে উঠেছেন মানুষের আশা-আকক্সক্ষার প্রতীক, একান্ত আপনজন।
সত্তরের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সত্তে¡ও পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু তথা বাঙালির হাতে শাসন
ক্ষমতা অর্পণে টালবাহানা শুরু করে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান একাধিকবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করেন।
বাঙালিরাও ক্রমশ ফুঁসে উঠতে থাকেন। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে
(বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। তাঁর এ ভাষণ বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ
করে। ভাষণে তিনি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। একইসাথে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনেরও রূপরেখা ঘোষণা
করেন। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। .... তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে
হবে... মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ...। এবারের
সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকেই জাতি মুক্তিযুদ্ধের কার্যকর
প্রেরণা ও সুস্পষ্ট নির্দেশনা পেয়েছিল। গুরুত্ব এবং প্রভাব বিবেচনা করেই ৪৬ বছর পর ইউনেস্কো ৭ই মার্চের ভাষণকে
‘বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
৭ই মার্চের পরে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবস্থা আরো উত্তাল হয়ে উঠে। আলোচনার নামে শাসকগোষ্ঠী যুদ্ধের প্রস্তুতি
নিতে থাকে। ২৫ মার্চ কালোরাতে পাকবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর অতর্কিতে আক্রমণ করে। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের আগেই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১০ এপ্রিল গঠিত হয় ‘মুজিবনগর
সরকার’। পাকিস্তানে বন্দি থাকা অবস্থায় এ সরকারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর নামেই
পরিচালিত হয় দীর্ঘ নয় মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধ। দীর্ঘ ২৩ বছর তিনি একটু একটু করে বাঙালিকে স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্রের জন্য
প্রস্তুত করেছেন। এবার তারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের সময় শেখ মুজিব একজন তরুণ ছাত্রনেতা। কোলকাতা থেকে ঢাকায় এসে ১৯৪৮ সালের ০৪
জানুয়ারি তিনি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব প্রদান, ছয় দফা
নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে তিনি জাতীয় নেতায় পরিণত হন। আগরতলা মামলা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ
করে। পরিণত বয়সের শেখ মুজিব হন বঙ্গবন্ধু। সত্তরের নির্বাচনের নিরঙ্কুশ বিজয় বঙ্গবন্ধুকে বাংলার অবিসংবাদিত নেতায়
পরিণত করে। ৭ই মার্চের ভাষণ, ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা এবং পাকিস্তানের কারাগারে থেকেও বাংলা, বাঙালি এবং
বাংলাদেশের প্রতি তাঁর অবিচল প্রেম ও দায়বদ্ধতা তাঁকে জাতির জনকের মর্যাদায় ভ‚ষিত করে। বস্তুত বঙ্গবন্ধুর সমগ্র
জীবনই ছিল বাংলা ও বাঙালি তথা মাটি ও মানুষের জন্য নিবেদিত। আর এ কারণেই বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে সমার্থক বলে বিবেচনা করা হয়।
শিক্ষার্থীর কাজ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের একটি ক্রমপঞ্জি প্রস্তুত করুন। সময়: ৫ মিনিট
সারসংক্ষেপ
‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা হয়ত আজো
স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি কাটিয়েছেন কারাগারে। কিন্তু তাঁর জীবনের ব্রত ছিল
এদেশের মানুষকে পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষণ থেকে মুক্ত করা। আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির
লক্ষ্যে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেন। তিনি মানুষকে অধিকার সচেতন এবং মুক্তির
সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। তাঁর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত
হয়। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ক্রিশ লক্ষ শহীদ আর তিন লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। বঙ্গবন্ধু হন আমাদের জাতির পিতা।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৫.৬
সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন (√) দিন।
১। বঙ্গবন্ধুর কোন ভাষণ ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে?
(ক) ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি ভাষণ (খ) ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ
(গ) ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভাষণ (ঘ) ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির ভাষণ
২। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রাদেশিক পরিষদের কতটি আসনে জয়লাভ করে?
(ক) ১৬৭টি (খ) ১৯৭টি
(গ) ২১১টি (ঘ) ২৮৮টি
৩। ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ‘সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয় কবে?
(ক) ১৯৬৬ সালের ৪ জানুয়ারি (খ) ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি
(গ) ১৯৭০ সালের ২৪ জানুয়ারি (ঘ) ১৯৭১ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি
উত্তরমালা :
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৫.১ ঃ ১। ঘ ২। গ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৫.২ ঃ ১। খ ২। ক
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৫.৩ ঃ ১। খ ২। গ ৩। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৫.৪ ঃ ১। ঘ ২। গ ৩। গ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৫.৫ ঃ ১। খ ২। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ৫.৬ ঃ ১। খ ২। ঘ ৩। খ
চ‚ড়ান্ত মূল্যায়ন ঃ ১। গ ২। ঘ ৩। গ ৪। খ ৫। ক
ক. বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (গঈছ)
১। পাকিস্তানের শাসনতন্ত্রে কত সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়?
(ক) ১৯৪৮ সালে (খ) ১৯৫১ সালে
(গ) ১৯৫৬ সালে (ঘ) ১৯৫৮ সালে
২। ১৯৭০ সালের ঝড় ও জলোচ্ছ¡াসে বাংলাদেশের কত মানুষ মারা যায়?
(ক) এক লক্ষ (খ) দুই লক্ষ
(গ) সাড়ে তিন লক্ষ (ঘ) প্রায় ৫ লক্ষ
খ. বহুপদি সমাপ্তিসূচক বহুনির্বচনী প্রশ্ন
৩। বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে ভ‚মিকা রয়েছেÑ
(র) বাহান্ন’র ভাষা আন্দোলনের
(রর) পাকিস্তানের সামরিক শাসনের
(ররর) ছিষট্টির ছয় দফা
(রা) বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ
সঠিক উত্তর কোনটি?
(ক) র ও রর (খ) রর ও ররর (গ) র, ররর ও রা (ঘ) র, রর ও ররর
গ. নিচের উদ্দীপকটি পড়–ন এবং ৪ ও ৫ নং প্রশ্নের উত্তর দিন।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ এর নির্বাচন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার্যকর
অবদান রেখেছে।
৪। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কত দফা উত্থাপন করেছিল?
(ক) ছয় দফা (খ) ১১ দফা
(গ) ১৭ দফা (ঘ) ২১ দফা
৫। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদে কতটি আসনে জয়লাভ করে?
(ক) ১৬৭টি (খ) ১৯৭টি
(গ) ২১১টি (ঘ) ২৮৮টি
ঘ) সৃজনশীল (কাঠামোবদ্ধ) প্রশ্ন:
উদ্দীপকটি পড়–ন এব নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন।
সজীব শহরের একটি স্কুলে পড়ে। তার দাদুভাই একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি থাকেন গ্রামে। কিন্তু দাদুর সাথে যখনই দেখা
হয় সজীব তার কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে চায়। দাদুও খুব আগ্রহ নিয়ে সজীবকে অনেক গল্প শোনান। দাদুর কাছে গল্প
শুনে শুনে সজীব বঙ্গবন্ধু, ৭ ই মার্চের ভাষণ, ২৫ মার্চের কালরারাত্রি, ২৬ মার্চ, মুক্তিযোদ্ধা, রাজাকার, ১৬ ডিসেম্বর সম্পর্কে
অনেককিছু জানতে পেরেছে।
১) ছয় দফা প্রথম কবে কোথায় উপস্থাপন করা হয়েছিল? ১
২) ১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফলাফল লিখুন। ২
৩) বাঙালি জাতীয়বাদ কিভাবে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটনে ভ‚মিকা রেখেছিল ব্যাখ্যা করুন। ৩
৪) “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক” কেন, কিভাবে ব্যাখ্যা করুন। ৪

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]