বাংলাদেশে নগরায়ণ ও শিল্পায়নের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর

মুখ্য শব্দ বাংলাদেশ, নগরায়ণের প্রকৃতি, শিল্পায়নের প্রকৃতি, অকৃষি পেশার বিকাশ, ঘনবসতি।
বাংলাদেশে নগরায়নের প্রকৃতি
নগরায়ণ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে গ্রামীণ সমাজের কোনো একটি এলাকা ক্রমশ নগরে রূপান্তরিত হয়।
সাধারণভাবে নগরের উদ্ভব, বিকাশ এবং সম্প্রসারণকে বোঝাতে নগরায়ণ প্রত্যয়টি ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে নগরায়ণ
প্রক্রিয়া দ্রæত ঘটছে। বাংলাদেশে নগরায়ণের প্রকৃতি হিসেবে নি¤েœাক্ত বিষয়গুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য:
১. সীমিত এলাকায় ঘনবসতি। ঘনবসতির ফলে নগরের কোথাও কোথাও ঘিঞ্জি আবাসিক এলাকা এবং স্বল্পআয়ের
মানুষের বসবাসের জন্য বস্তি এলাকা গড়ে ওঠে।
২. নগর এলাকাগুলো স্বশাসিত পৌর/সিটি কর্পোরেশন বা স্থানীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়।
৩. অকৃষি পেশার বিস্তার ঘটে। শিল্পোৎপাদন, সেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভৃতি পেশা ও অর্থনীতির প্রধান ক্ষেত্র বলে
পরিগণিত হয়।
৪. পেশাজীবীদের মধ্যে শ্রম বিভাজন এবং নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা ও বিশেষজ্ঞতা অর্জনের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়।
৫. শিক্ষার বিস্তার ঘটে এবং উচ্চশিক্ষার সুযোগসমূহ প্রধানত নগরকেন্দ্রিক।
৬. নগর জীবনে শিক্ষা ও পেশায় নারী অভিগম্যতা বেশি। নারী অধিকার ও নারীর ক্ষমতায়নে নগর সংস্কৃতি
বিশেষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে।
৭. নগর সংস্কৃতিতে আধুনিক, উন্নত এবং গতিশীল জীবন-যাপন চর্চা হয়।
৮. উন্নত অবকাঠামো (ভবন, রাস্তা-ঘাট) এবং আধুনিক নাগরিক সুবিধা (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস) নগর জীবনকে গ্রাম
থেকে পৃথক এবং আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
৯. স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ, পরিবহন প্রভৃতি নাগরিক সেবা প্রধানত নগরকেন্দ্রিক। বাংলাদেশে নগরায়ণের এ প্রকৃতি
গ্রামের মানুষকে অনেক বেশি শহরমুখী করছে।
১০. বাংলাদেশের শহরগুলোতে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য, শিক্ষা, পেশা ও ক্ষমতা সামাজিক স্তরবিন্যাসের স্বতন্ত্র ধারা সৃষ্টি
করেছে। বিলাসবহুল ভবনের ফুটপাতে বিত্তহীনের বসবাস বাংলাদেশের নগর জীবনের এক অনিবার্য বাস্তবতা।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন নগরে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার জনসংখ্যা দ্রæত গতিতে বেড়ে চলেছে। কিন্তু এ বাস্তবতা
অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ইউরোপ, আমেরিকা, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা এমনকি প্রতিবেশী ভারতের তুলনায়
বাংলাদেশের নগরায়ণ এখনো অনেক পশ্চাৎপদ। বর্তমানে গ্রাম ছেড়ে নগরে স্থানান্তর যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে
জনসংখ্যার মাপকাঠিতে বাংলাদেশে নগরগুলো আয়তনের দিক থেকে দ্রæত বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে
পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলা কিংবা নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবুও উন্নত জীবনের হাতছানি প্রতিনিয়ত
মানুষকে নগরে আসতে উদ্বুদ্ধ করছে। বস্তুত বাংলাদেশের অধিক জনসংখ্যা, বেকারত্ব এবং উন্নত জীবনের আকাক্সক্ষা
মানুষকে নগরমুখী করছে। বাংলাদেশের গ্রামগুলো অনেকটাই পশ্চাদপদ, গতিহীন এবং সেখানে পেশার সুযোগ খুবই
সীমিত। ফলে গ্রামগুলো তার অতিরিক্ত জনসংখ্যাকে নগরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বাংলাদেশের শিল্পায়নের প্রকৃতি
শিল্পায়ন এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে প্রযুক্তিকে উৎপাদন পদ্ধতিতে প্রয়োগ করে উন্নত ও মানসম্মত পণ্য উৎপাদন,
বিপণন এবং আয়ের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা হয়। শিল্পায়নের ফলে মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক ও
অর্থনৈতিক জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত হয়। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনে
শিল্পায়নের গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে। যদিও বাংলাদেশে শিল্পায়নের গতি বেশ মন্থর। বস্তুত প্রাচীনকাল থেকে প্রাক-ব্রিটিশ
আমল পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশের সমাজ কাঠামো ছিল কৃষিভিত্তিক এবং তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। গ্রামীণ সমাজ
কাঠামোর উৎপাদনের প্রাণকেন্দ্র ছিল কৃষি। তাছাড়া ভূমিনির্ভর ও কৃষিভিত্তিক গ্রামগুলো ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। ব্রিটিশ
ঔপনিবেশিক শাসক স্যার চার্লস মেটক্যাফ ভারতবর্সের এ গ্রামগুলোকে ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রজাতন্ত্র’ বলে অভিহিত
করেছেন। প্রত্যেকটি গ্রাম জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় উপকরণ নিজেরাই উৎপন্ন বা প্রস্তুত করত। ব্রিটিশ শাসনের মধ্য
দিয়ে ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রাম সম্প্রদায়’ ব্যবস্থা অনেকটা পরিবর্তিত হতে থাকে। এ সম্পর্কে ড. এ.কে নাজমূল করিম তাঁর শীর্ষক গ্রন্থে বলেন, “ভারত-বাংলার সমাজব্যবস্থায় ভূমি হচ্ছে
সম্পদ এবং কৃষি হচ্ছে অর্থনীতি। ব্রিটিশ শাসনের প্রভাবে আমাদের সমাজকাঠামোতে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক
দিক দিয়ে অনেক পরিবর্তন ঘটে। এ পরিবর্তনের ফলে ভারতে আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যার অগ্রগতি সাধিত হয়। অর্থনৈতিক
সুবিধার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে শিল্প-কল-কারখানা পরিচালনা, কাঁচামালের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ব্রিটিশ পণ্যদ্রব্য সহজে
পরিবহণের জন্য ব্রিটিশরা এদেশের অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করে। রেলপথ নির্মাণের
মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন যুগের সূচনা করা হয়। বলা যায় যে, ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে রেল যোগাযোগের
ফলে ভারতীয় উপমহাদেশে আধুনিক কলকারখানার সংখ্যা বাড়তে থাকে”।
ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে প্রথম কাগজের কল স্থাপিত হয়। ১৮৭২-৭৩ সালে বোম্বাই
প্রদেশে ১৮টি, বাংলায় ২টি কাপড়ের কল এবং ১৮৮২ সালের মধ্যে ভারত-বাংলায় ২০টি পাটের কল স্থাপিত হয়,
যারমধ্যে ১৮টি স্থাপিত হয়েছিল বাংলাদেশে। বস্তুতপক্ষে এসব শিল্প-কল-কারখানা গড়ে তোলার পিছনে ব্রিটিশ
সা¤্রাজ্যবাদী স্বার্থই প্রাধান্য পেয়েছিল। কারণ, ১৯১৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকারের কোনো শিল্পনীতি ছিল না।
১৯১৭ সালে ভারতে সর্বপ্রথম শিল্প বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ সরকারের তত্ত¡াবধানে শিল্পায়নের ফলে রপ্তানীমুখী দেশীয়
কুটির শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পাকিস্তানী আমলে বাংলাদেশে পাটকলের সম্প্রসারণ ঘটে। যদিও শোষণ, বৈষম্য
এবং অব্যবস্থাপনার কারণে পাট এবং পাটজাত পণ্য রপ্তানী থেকে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান খুব বেশি লাভবান হয়নি।
স্বাধীনতা লাভের পর থেকে বাংলাদেশে শিল্পায়নের নতুন যুগের সূচনা হয়। প্রথমদিকে সব কল-কারখানা জাতীয়করণ করা
হলেও পরবর্তীতে বিশেষ করে ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃসংশভাবে হত্যার পর এগুলো
আবার বেসরকারীকরণ করা হয়। বেসরকারী এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগেও নতুন নতুন অনেক শিল্প-কল-কারখানা প্রতিষ্টিত
হয়। এক্ষেত্রে পোশাক শিল্প, বস্ত্রকল, পাটকল, চিনিকল, চাশিল্প, চামড়াশিল্প, সার কারখানা, প্লাস্টিক, সিরামিক, নির্মাণশিল্প বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
বিংশ শতাব্দীর নব্বইয়ের দশক থেকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের শিল্পায়নে আরো গতি এবং
উন্নতি সাধিত হয়। শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রমশক্তি ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রা
অব্যাহত থাকার পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক্স, হিমায়িত খাদ্য, ডেইরি-পোল্ট্রিসহ বিভিন্ন শিল্প দ্রæত বিকাশ লাভ করে। সম্প্রতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সফ্টওয়্যার উন্নয়ন, ই-বিজনেস, ই-কমার্স প্রভৃতি শিল্পায়নের নতুন দিগন্ত উšে§াচন করেছে।
দেশের জিডিপিতে এখন কৃষি অপেক্ষা শিল্পের অবদান অনেক বেশি। মোট শ্রমশক্তির একটি বড় অংশই শিল্পে নিয়োজিত।
তবে বাংলাদেশের শিল্পায়নে কিছু প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিক‚লতা রয়েছে। যোগাযোগ, অবকাঠামোগত দুর্বলতার পাশাপাশি
বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঙ্কট বিনিয়োগের বড় বাধা বলে চিহ্নিত। এ ছাড়া অব্যবস্থাপনা এবং নানা ধরনের বাহ্যিক প্রভাব ও কর্তৃত্ব
শিল্পায়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করছে। দক্ষ শ্রমশক্তি এবং দেশীয় শিল্পকে পৃষ্ঠপোশকতা প্রদানের অভাবও শিল্পায়নের বড়
অন্তরায়। আমদানি-রপ্তানীতে বিরাট ভারসাম্যহীনতা, কার্যকর নীতিমালার অভাবও শিল্পায়নকে কঠিন করে তোলে। এসব
প্রতিবন্ধকতা দূর হলে বাংলাদেশে শিল্পায়নের গতি এবং মান দ্রæত বৃদ্ধি পাবে।
নগরায়ণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকা নগরে রূপান্তরিত হয়। নগরের উদ্ভব, বিকাশ এবং বৃদ্ধি
বোঝাতে ও নগরায়ণ প্রত্যয়টি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নগরায়ণের মাধ্যমে সামাজিক গতিশীলতা বাড়ে এবং সমাজ
কাঠামো পরিবর্তন সাধিত হয়। নগরায়ণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার ঘনত্ব একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য বলে প্রতীয়মান হয়।
নগরায়ণ নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করে। বাংলাদেশের নগরায়ণের ক্ষেত্রে এসব বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশে
শিল্পায়নের সূচনা হয়েছিল ব্রিটিশ উপনেবিশ শাসনের মধ্য দিয়ে। পাকিস্তান আমলে পাটশিল্পের প্রসার ঘটেছিল। তবে
স্বাধীনতোত্তর বাংলাদেশে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পসহ সরকারি পৃষ্ঠপোশকতা এবং বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন শিল্পের প্রসার
ঘটে। সম্প্রতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং সফ্টওয়্যার উন্নয়ন শিল্পেও বাংলাদেশ অনেকটা সাফল্য অর্জন করছে। জিডিপি, মাথাপিছু আয় এবং কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও নানাধরনের প্রতিক‚লতা এবং প্রতিবন্ধকতা শিল্পায়নের গতিকে মন্থর করে দেয়।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৮.২
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। কোন শতাব্দীতে পাশ্চাত্যে শিল্পায়নের প্রসার ঘটে?
ক) অষ্টাদশ খ) একাদশ গ) দ্বাদশ ঘ) চতুর্দশ
২। আধুনিক যান্ত্রিক প্রযুক্তির আশীর্বাদ কোনটি?
ক) প্রাচীন সমাজ খ) সামন্ত সমাজ
গ) কৃষিভিত্তিক সমাজ ঘ) শিল্পায়িত সমাজ
৩। নগরের উদ্ভব বিকাশ ও বৃদ্ধিকে বোঝাতে যে প্রত্যয়টি ব্যবহার করা হয় তা হলো-
ক) নগর পরিকল্পনা খ) নগর ইহিতাস
গ) নাগরিকতা ঘ) নগরায়ণ
৪। কোনটিকে শিল্পয়িত সমাজের মূলভিত্তি বলা যাবে?
ক) দক্ষ শ্রমিক খ) প্রতিযোগিতা
গ) আধুনিক প্রযুক্তি ঘ) অধিক উৎপাদন
৫। নগর মানসিকতা বলতে বোঝায়-
ক) নগরের প্রতি মানসিক আকর্ষণ খ) নগরের প্রতি ভালবাসা
গ) নগর জীবনযাত্রা প্রণালী বা নগর সংস্কৃতি ঘ) নগরবাসী হওয়ার বাসনা

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]